লাইফ স্টাইলঃ বৃষ্টি ভেজা পিকনিক
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমার প্রাইভেট ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে একটা পিকনিকের আয়োজন করব। পিকনিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম গত শনিবার অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বরে। কিন্তু আবহাওয়া ভালো না থাকার কারণে আমাদের তারিখ পরিবর্তন করতে হয়েছিল। কারণ যদি পিকনিকের দিনে বৃষ্টি হয় তাহলে কোন ভাবেই পিকনিকের আসল মজা উপভোগ করা সম্ভব হবে না। যেহেতু পিকনিক আমরা আমাদের গ্রামের পার্কে করব তাই বৃষ্টির কারণে সেখানে কাদাও হয়ে যেতে পারে। এক সপ্তাহ অপেক্ষা করার পরে যখন আবহাওয়ার অবস্থা ভালো দেখলাম এবং রৌদ্রজ্জ্বল দিন দেখতে পেলাম তখন পুনরায় ৩০ তারিখ শনিবারে পিকনিকের দিন ধার্য করলাম। সব কিছু ভালই চলছিল এমনকি পিকনিকের সকল কেনাকাটা ও সম্পূর্ণ করে ফেলেছিলাম আমি আগের দিনেই। হঠাৎ রাত বারোটার দিকে ঘুম ভেঙে উঠে দেখি বাইরে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টি হতে দেখে সত্য কথা বলতে আমার মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল সেই সময়টাতে কেননা ছাত্রীরা কত আশা নিয়ে ঘুমিয়েছে সকাল হলেই তারা পিকনিক করার জন্য পার্কে আসবে। হয়তো বা তারা অনেকেই রাতে যে বৃষ্টি হয়েছে সেটা দেখেও নি। হয়তোবা তারা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্নে দেখেছে সকালে তারা পিকনিক এ এসে কতটা মজা করবে।
সকাল হতেই আমি লক্ষ্য করলাম সকল ছাত্র-ছাত্রী আমাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করতে শুরু করলো যে স্যার আজকে তো বৃষ্টি হলো পিকনিক কি করতে হবে। যেহেতু সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল তাই আমি তাদেরকে বললাম এখন তো আর কিছু করার নেই তোমরা চলে এসো।
আমার কথা শুনে তারা খুব একটা বেশি সময় দেরি করেছিল না। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা পার্কে চলে এসেছিল। যেহেতু রাতে এবং সকালে বৃষ্টি হয়েছিল তাই পরিবেশটা একটু অন্য রকমের ছিল। প্রচুর পরিমাণে বাতাস হচ্ছিল পার্কে পৌছাই এমনকি হালকা হালকা বৃষ্টিও হচ্ছিল।
যদিও বৃষ্টির কারণে আমাদের পিকনিকের আনন্দটা অনেকটাই কমে গিয়েছিল কিন্তু আমরা কোনভাবেই হাল ছেড়ে দেইনি। এই প্রতিকূল পরিবেশেও যতটা সম্ভব ততটা আনন্দের সাথে পিকনিক উদযাপন করেছি। আমাদের সাউন্ড বক্স আনার কথা ছিল খুব সকালে কিন্তু বৃষ্টির কারণে আনতে আনতে প্রায় এগারোটা বেজে গিয়েছিল। আর এই সময়টাতে আমি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে গিয়েছিলাম পার্কের একটা বড় পুকুরে যেখানে নৌকা রয়েছে। তাদেরকে পর্যায়ক্রমে আমি নৌকা ভ্রমন করাতে শুরু করলাম। দেখতে পেলাম নৌকা ভ্রমণ করবে তারা অনেক মজা পেয়েছে।
আপনাদের মাঝে আমি একটা ছবি শেয়ার করেছি সেটা আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন যে আমরা বৃষ্টির কারণে কতটা খারাপ অবস্থার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। বৃষ্টির কারণে আমরা পার্কের মধ্যে রান্না করতে পেরেছিলাম না তাই রান্নার কার্যক্রম সব আমার বাড়িতেই সম্পন্ন করেছিলাম। আর যখন রান্না করা সকল খাবার নিয়ে যেতে শুরু করলাম সেই মুহূর্তে শুরু হল আবারও বৃষ্টি।
এই প্রতিকূল পরিবেশেও আমরা কিভাবে আমাদের পিকনিকের মজাটা সঠিকভাবে করতে পেরেছি তা আপনাদেরকে আমি পরবর্তী পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করব। আজকের মতো এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্যে দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যে মুহূর্তটি আমি অনেকদিন ধরে মিস করছি। বৃষ্টির কারণে আপনাদের পিকনিকে আনন্দটা নষ্ট হতে চলেছিল কিন্তু আপনারা চেষ্টা করেছেন সময়টা আনন্দে কাটার জন্য। তারপর আমার কাছে মনে হয় আপনাদের সময়টা অনেক ভালোই কেটেছে। ধন্যবাদ খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যদিও বৃষ্টির কারণে আনন্দ কিছুটা কম হয়েছে তারপরও আমরা ভালই মজা করেছি।
সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো ভাই।
শীতকালে মানুষ পিকনিক করে জানি কিন্তু আপনারা তো বর্ষাকালে পিকনিক করেছেন।এটা বেশ মজার বিষয়, আশা করি সঠিকভাবে পিকনিক সম্পন্ন করতে পেরেছেন।তাছাড়া বাচ্চারা বৃষ্টির দিনেও বেশ আনন্দে কাটিয়েছে ,যদিও আপনারা অনেক কষ্ট করেছেন।পুকুরটি বেশ বড়,ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমিও চেয়েছিলাম শীতকালে পিকনিক করতে কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা বলল এখনই করবে।
টিচার আর ছাত্রদের মনের ভিতরে বৃষ্টির ভয়ের সাথে আনন্দও দেখলাম। আপনি যেমন আপনার ছাত্ররাও তেমন। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তারা পিকনিক করতে রাজি হয়ে গেল। একবার তারিখ চেন্জ করেছেন দ্বিতীয়বার চেন্জ করলে বাচ্ছাদের আগ্রহটা কমে যেত। ধন্যবাদ।
আসলেই ভাই এই বৃষ্টির কারণে একবার তারিখ পরিবর্তন ও করেছিলাম।
বন্ধু ও ছোট ভাইদের সঙ্গে পিকনিক করতে আমারও খুব ভালো লাগে। আমরা সকলে যখন একসঙ্গে থাকি হঠাৎ করে পিকনিকের সকল ব্যবস্থা করে ফেলি।আশা করছি বৃষ্টির মধ্যেও পিকনিক সম্পন্ন করেছেন সুন্দরভাবে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্তের কিছু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আমার এই ছাত্রছাত্রী গুলো এমন সারাদিন যেন পিকনিক করতে চায় ওরা।
এই ওয়েদারে পিকনিক খাওয়া আসলে খুবই কষ্টের। যদিও বাচ্চাদেরকে আনন্দ দেওয়ার জন্য আপনি করেছিলেন। কিন্তু ভাগ্য খারাপ রাতে বৃষ্টি হয়ে গেল। যাক অবশেষে ওয়েদার খারাপ থাকার সত্বেও আপনি তাদেরকে আনন্দ থেকে মিস করেননি। নিজের ঘর থেকে রান্না করে এনেছেন। তাছাড়া বাচ্চাদের নৌকাতে চড়ালেন। অবশেষে বেশ মজার মজার খাওয়া-দাওয়া খেলেন। মুহূর্তটি বেশ ভালই লাগলো শেয়ার করার জন্য।
আমার বাড়িতে রান্না করেছিলাম তাই ভালোভাবে তাদেরকে খাওয়াতে পেরেছি।