কুয়াশা ঘেরা ফটোগ্রাফির অ্যালবাম
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে স্কুলে যাবার সময় লক্ষ্য করলাম প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। স্কুলে যাবার পরে দেখতে পেলাম কুয়াশার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম রয়েছে। এই ফটোগ্রাফি গুলো আমি আপনাদের মাঝে যখন শেয়ার করেছিলাম তখন সময় প্রায় ৮:৩০ বেজে এ এসেছিল। যেহেতু দেখতে পেলাম ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি অনেক কম হয়েছে তাই আমি ফটোগ্রাফি ধারণ করতে শুরু করে দিলাম। যেহেতু আমাদের স্কুলে অনেক ফুল গাছ রয়েছে তাই আমি প্রথমে ফুল গাছের কাছে গেলাম এবং ফুলের ফটোগ্রাফি ধারণ করতে শুরু করে দিলাম। চলুন আমার ধারন করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেওয়া যাক....
প্রথমে আমি আপনাদের মাঝে কয়েকটা গাঁদা ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। যেহেতু আমাদের স্কুলে বেশি সংখ্যক গাঁদা ফুল রয়েছে তাই একসাথে সেগুলোকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। আপনারা যদি ফটোগ্রাফির পিছনের দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন সেখানে কত বেশি পরিমাণে কুয়াশা রয়েছে। আমাদের স্কুলের বাগানে যে গাঁদা ফুলগুলো রয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই হচ্ছে রক্তগাঁদা।
এরপরে আমি আপনাদের মাঝে স্কুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাচ্ছেন কতটা বেশি পরিমাণে কুয়াশা পড়ছে। বেশি পরিমাণে কুয়াশা থাকার কারণে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ও অনেক কম রয়েছে। আজকে অন্য দিনের তুলনায় কুয়াশার পরিমাণ টা একটু বেশি ছিল।
এই পর্যায়ে আমি আপনাদের মাঝে একটা সরিষার ক্ষেতের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। আমাদের স্কুলের পাশে একটা বড় আকৃতির সরিষার ক্ষেত রয়েছে এই ফটোগ্রাফি টা আমি সেখান থেকেই ধারণ করেছিলাম। যেহেতু প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা ছিল তাই সরিষা গুলো দেখতে কিছুটা অন্যরকম লাগছিল। কতটা বেশি কুয়াশা ছিল তা এই ফটোগ্রাফি লক্ষ করলে খুব ভালোভাবে দেখতে পাবেন।
আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে থেকে আপনাদের কাছে কোন ফটোগ্রাফিটা ভালো লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে নতুন কোন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হব।
Device : Realme C25s
What's 3 Word Location :
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
আপনি কুয়াশাচ্ছন্নর দারুণ ফটোগ্রাফি করছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগতেছে।ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আমার শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।
আসলে ভাইয়া আজ কয়েক দিন ধরে বেশ কুয়াশা পড়ছে। কুয়াশার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। আসলে ভাইয়া গাঁদা ফুলগুলো দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সুন্দর ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া।
গত কয়েকদিন যাবত কি যে কুয়াশা পড়ছে তা আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না।
শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন চারপাশের সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন।এখন তো অনেক কুয়াশা পরে।শীতকালে গাদা ফুল দেখতে ও অনেক ভালো লাগে। অনেক এত সুন্দর কিছু ফটো শেয়ার করার জন্য।
বেশি পরিমাণে কুয়াশা দেখেই তো আমি ফুলের ফটোগ্রাফি ও তার সাথে ধারণ করে নিলাম।
এতো শীতে এইরকম কুয়াশাই আমি নিজেই তো বাইরে বের হয় না ভাই। তাহলে বাচ্চারা কীভাবে স্কুলে আসবে বলেন। ৮:৩০ টার সময়ও এইরকম কুয়াশা। বেশ দারুণ ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। সত্যি মনমুগ্ধকর। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালের প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার করেছেন আপনি ভাই।
এইজন্যই তো স্কুলের সময় পেচিয়ে এক ঘন্টা দেরিতে করে দিয়েছিস যেন সকলেই ভালোভাবে স্কুলে আসতে পারে।