জেনারেল রাইটিংঃ পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে একুশে ফেব্রুয়ারির কার্যক্রমের সমাপ্তি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। ফেব্রুয়ারি মাস অনেক মর্যাদা পূর্ণ একটা মাস এই মাসের জন্যই বলা চলে বাঙালি তাদের মুখের ভাষা বাংলা ভাষা পেয়েছে। ১৯৫২ সালে যখন বাঙ্গালীদের উপর উর্দু ভাষাকে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছিল ঠিক সেই সময়েই বাঙালির জনগণ বিষয়টা মেনে নিতে পারেনি এবং ভাষার জন্য প্রথমবারের মতো কোন জাতি হিসেবে যুদ্ধ করেছে। সেই সকল শহীদদের স্মরণে আমরা প্রত্যেক বছরই বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। আমাদের স্কুল থেকে প্রত্যেক বছরে কি ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করে সেগুলো সব সময় আপনাদের মাঝে আমি পোস্ট আকারে শেয়ার করি। এ বছরেও আমরা কি ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করেছিলাম তা আপনাদের মাঝে বেশ কয়েকটা পোষ্টের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই আমি শেয়ার করে দিয়েছি। আপনারা যদি সেই পোস্টগুলো দেখে থাকেন তাহলে জানতে পারবেন যে আমরা একুশে ফেব্রুয়ারির এই মহান দিনে কি ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকি।
একুশে ফেব্রুয়ারি দিনের সর্বশেষ ছিল পুরস্কার বিতরণ করা। এই দিনে আমরা যেগুলো গ্রহণ করেছিলাম সেই কার্যক্রমগুলোতে যারা প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল তাদের মধ্যে এই পুরস্কার বিতরণ হচ্ছিল। যেহেতু আমরা ছাত্রছাত্রীদেরকে পুরস্কার দেবার মাধ্যমে উৎসাহ প্রদান করে থাকে তাই তারা যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই খুবই বেশি পরিমাণে আগ্রহ প্রকাশ করে। আপনারা যদি একটু চিন্তা করে থাকেন যে অনেকগুলো মানুষের মাঝ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করব তাহলে ভাবুন কতটা ভালো লাগা কাজ করবে।
যেহেতু আমাদের এই একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রচুর পরিমাণে পর্ব ছিল যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে তাই পুরস্কারের পরিমাণটাও ছিল অনেক বেশি। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো সচরাচর স্কুলের যে কোন প্রোগ্রামে পুরস্কার হিসেবে প্লেট দিয়ে থাকে তাই আমরা তার ভিন্নতা করিনি। আমরা ও ছাত্রছাত্রীদেরকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য প্লেট পুরস্কার হিসেবেই নির্ধারণ করেছিলাম।
পুরস্কার গ্রহণ করতে পেরে আমি লক্ষ্য করলাম ছাত্রছাত্রীরা অনেক বেশি পরিমাণে খুশি হচ্ছিল। এটা অলক্ষ্য করলাম যে যে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা পুরস্কার পায়নি তারা ও পরবর্তী সময়ে অংশগ্রহণ করার মত মানসিকতা গ্রহণ করছে। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সহ প্রদান করার জন্য এবং একুশে ফেব্রুয়ারি তে গ্রহণ করা আমাদের এই উদ্যোগগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
ভালো লাগার মত চমৎকার একটি পোস্ট আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক অনেক ভালো লাগলো আমার। আসলে এজাতীয় কার্যক্রম গুলো ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার প্রতি আরো বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে, তাই এই ধারা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।
ছাত্র ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ বৃদ্ধি করার জন্যই আমরা এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
কিছুদিন আগে আমাদের প্রাক্তন স্কুলেও এরকম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়েছিল৷ খুব সুন্দর ছিল ওই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান৷ আজকে আপনার স্কুল এ এরকম সুন্দর একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একুশে ফেব্রুয়ারির কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে শুনে খুব ভালো লাগলো৷ আপনার ছাত্র-ছাত্রীরা পুরস্কার পেয়ে অনেকটাই খুশি হয়েছে যা দেখে বোঝা যাচ্ছে৷ পুরষ্কার পেলে সকলেই অনেক খুশি হয়৷
এমন উদ্যোগ গ্রহণ করলে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার আগ্রহ অনেক বৃদ্ধি পায়।
আসলে প্রতিটা স্কুলে এরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। যেটা ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক অনুপ্রেরণা দেয় । যে কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরস্কার জিততে পারাটা অনেক বড় একটি প্রাপ্তির জায়গা ভালো লাগলো। এভাবেই স্কুল থেকে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। যেটা এখন স্মৃতি । সেই পুরস্কারের বিষয়টি যখন সামনে আসে আরো ভালো লাগে । আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া প্রত্যেকটা স্কুলেই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।