ফটোগ্রাফি: স্কুলের বাগান থেকে ধারণ করা বিভিন্ন ধরনের ফুল
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার, এপ্রিল ১৪/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। প্রথমেই আপনাদের সকলকে জানাই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা শুভ নববর্ষ। আজকে আপনাদের মাঝে আমি আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে এটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করব। আজকে আমি যে ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি তার সবগুলোই ধারণ করা হয়েছে আমাদের স্কুলের বাগান থেকে। সেই কারণে আমি যে লোকেশন ব্যবহার করেছি তা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফিতেই একই । পূর্বে আমি আপনাদের মাঝে যে সকল পোস্ট শেয়ার করেছিলাম সেখানে বলেছিলাম যে আমাদের স্কুলের এই ফুলবাগানটি আমরা নিজেদের উদ্যোগেই তৈরি করেছি। আর এই ফুলবাগান তৈরি করার ক্ষেত্রে আমাকে সব থেকে বেশি সাহায্য করেছে আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ শামসুল হক এবং সহকারী শিক্ষক সুমন স্যার। তো চলুন আজকের এই ফটোগ্রাফি পোস্টটি আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক।
Device-Realme-C25s
Location
প্রথমে আমি আপনাদের মাঝে যে ফুলের ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করেছি তা আপনাদের প্রত্যেকেরই অতি পরিচিত একটি ফুল। এই ফুলটির অরজিনাল নাম হচ্ছে বাগান বিলাস। কিন্তু বিভিন্ন জায়গাতে এই ফুলটিকে বিভিন্ন নামে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে আমাদের এলাকাতে তো এই ফুলটাকে গেট ফুল ও বলা হয়ে থাকে। সাধারণত গেটের সামনে এই ফুল গাছটি লাগানো হয় যার কারণে এটা আমাদের এলাকায় গেট ফুল গাছ নামে পরিচিতি লাভ করেছে।
Device-Realme-C25s
Location
এ পর্যায়ে আমি আপনাদের মাঝে যে ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি সেটাও আপনাদের প্রতি পরিচিত একটা ফুল। এই ফুলটির নাম হচ্ছে কসমস ফুল। এটি আকৃতিতে ছোট হলেও অসম্ভব ধরনের সুন্দর। নিজের সৌন্দর্যের কারণেই এই ফুলটি আমাদের সকলের কাছেই অতি পরিচিত এবং পছন্দের ফুল।
Device-Realme-C25s
Location
এ পর্যায়ে আমি আপনাদের মাঝে যে ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করেছি এই গাছটির সাথে আপনারা অনেকেই পরিচিত। আবার অনেকেই রয়েছে যে এই গাছটির নাম শুনেছে কিন্তু দেখার সৌভাগ্য হয়নি। এই ফটোগ্রাফিটিতে যে গাছটিকে শেয়ার করা হয়েছে সেটা হচ্ছে লজ্জাবতী গাছ। আমরা সকলেই হয়তো বা বয়ে পড়েছি যে কোন গাছের পাতায় হাত দিলে লজ্জা পাই। এটাই সেই লজ্জা পাওয়া লজ্জাবতী গাছ।
Device-Realme-C25s
Location
আমাদের দেশের সবথেকে পরিচিত একটা ফুলের নাম হচ্ছে গাঁদা ফুল। এই পর্যায়ে আমি যে ফটোগ্রাফি টা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি সেটা হচ্ছে রক্ত গাঁদা ফুলের ফটোগ্রাফি। এটা আকৃতিতে ছোট হলেও দেখতে অনেক সুন্দর।
Device-Realme-C25s
Location
এ পর্যায়ে আপনারা যে ফুলের ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটার নাম স্থলপদ্ম। এই ফুল গাছের নাম আমার জানা ছিল না পরে আমি নার্সারিতে গিয়েছিলাম শুধুমাত্র এই ফুলটার নাম জানার জন্য। তাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি এটা জবা ফুলেরই একটা প্রজাতি। কিন্তু গাছ দেখলে আপনি বলবেন যে এটা আমাদের অতি পরিচিত ঢেঁড়স গাছ।
Device-Realme-C25s
Location
এ পর্যায়ে আপনাদের মাঝে আমি যে ফুলটি শেয়ার করেছি এই ফুলটার নাম আমার জানা নেই। যদি এটার নাম আপনারা কেউ জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।

Location
সবশেষে আমি আপনাদের মাঝে যেয়ে ফুল শেয়ার করেছি সেটা আমাদের সকলেরই পরিচিত। আকার আকৃতি এবং সৌন্দর্যের কোন অংশেই এটা কোন ফুলে থেকে কম নয়। এই ফুলটা বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে। আমাদের স্কুলেও বিভিন্ন রকমের ডালিয়া ফুল রয়েছে।
আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্য থেকে কোনটা আপনাদের কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR









এটা ঠিক কথা বলেছেন ইচ্ছা থাকলেও সময়ের অভাবে এই ধরনের বাগান তৈরি করা হয়ে ওঠে না
খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আজকে শেয়ার করলেন। ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। ফুল আমার দেখলেই অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
ফুল ভালো লাগে না এমন মানুষ পৃথিবীতে হয়তো খুঁজেই পাওয়া যায় না।
স্কুলের বাগান থেকে খুব দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। আপনার ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে লজ্জাবতী পাতার ফটোগ্রাফি খুব দারুণ ছিল। আমি নিজেও এর আগে অনেকবার লজ্জাবতী গাছের ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এছাড়া আপনার প্রত্যেকটি ফুলের ফটোগ্রাফি খুব দুর্দান্ত ছিল
আসলে লজ্জাবতী ফুলগুলো দেখতে ভালই লাগে
বাহ্ আপনাদের স্কুলের বাগানে তো অনেক রকমের ফুল আছে।প্রতিটি ফুল খুব সুন্দর দেখতে লাগছে ফটোগ্রাফি তে।মনে হচ্ছে একটা বার যদি সামনে থেকে দেখতে পারতাম।আপনি ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর করেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
দাওয়াত রইল আপু চলে আসেন দেখে যান।