শীতের সন্ধ্যায় চিতই পিঠা খাবার অনুভূতি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি । আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। গতকালকে একটু কাজের জন্য কুষ্টিয়াতে গিয়েছিলাম। যদিও দুপুরের দিকে আমার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল তারপরও যেহেতু কুষ্টিয়াতে প্রচুর পরিমাণে মন রয়েছে তাই ভাবলাম একটা রাত সেখানে থেকেই যাই। দুপুরে বন্ধুর কাছে চলে গেলাম এবং তাদের সাথে আড্ডা দিতে শুরু করলাম। বিকেলে আমরা হরিপুর ব্রিজে গিয়েছিলাম। হরিপুর ব্রিজের পোস্ট আমি পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। সন্ধ্যার সময় আমরা গিয়েছিলাম কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের কাছে। সেখানে যাবার পরে আমরা অনেক ধরনের জিনিস খেলাম। আমার খাওয়া জিনিস গুলোর মধ্যে থেকে আমার সব থেকে প্রিয় জিনিসটাই আমি আপনাদের মাঝে পোস্ট আকারে শেয়ার করার জন্য হাজির হয়ে গিয়েছি। উপর ের ছবিগুলো দেখে আপনারা হয়তোবা বুঝিয়ে ফেলেছেন আমি কি জিনিসের কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাচ্ছি।
আমাদের অন্যান্য সকল খাওয়া শেষ হয়ে যাবার পরে যখন আমরা কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের খেলার মাঠে আড্ডা দেবার জন্য যা ছিলাম ঠিক তখনই দেখতে পেলাম মাঠের এক পাশে আলো জ্বলছে। আলোচনা দেখে আমরা সেখানে গেলাম এবং দেখতে পেলাম সেখানে চিতই পিঠা তৈরি হচ্ছে। যেহেতু আমার চিতই পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে তাই ভাবলাম যে একটু পিঠা খেয়ে দেখাই যাক কেমন মজা লাগে। যেহেতু অনেক কিছু খাওয়া হয়ে গিয়েছিল তারপরও চিতই পিঠা দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম।
যেহেতু এখানে অনেক মানুষের সমাগম হয় তাই আমাদেরকে এই চিতই পিঠা খাবার জন্য বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করা লাগলো। চিতই পিঠা খাবার সব থেকে মজার জিনিস হচ্ছে ধনিয়া পাতা ভর্তা এবং শুটকি ভর্তা। যারা চিতই পিঠা খেয়েছেন তারা জানেন এই দুইটা জিনিস দিয়ে এটা খেতে কতটা ভালো লাগে।
অবশেষে আমাদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। অনেক সময় অপেক্ষা করার পরে আমরা পেয়ে গেলাম আমাদের কাঙ্ক্ষিত চিতই পিঠা। শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম চিতই পিঠা খেতে মজাই আলাদা। শীতের সন্ধ্যায় শীতল পিঠা খেতে আপনাদের কাছে কেমন লাগে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আর শীতল পিঠার সাথে কোন ভর্তা আপনাদের সব থেকে বেশি ভালো লাগে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ফিল্ডের আশপাশ সবসময় বিকেলে অনেক মানুষের আনাগোনা ঘটে।
এর মধ্যে শীতকাল এলে যেন এখানে পিঠাপুলির উৎসব জেগে ওঠে।
গরম গরম চিতই পিঠা খেতে আমারও খুব ভালো লাগে বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ভর্তায় মজায় অন্যরকম।
ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা পড়ে বুঝতে পারলাম অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে খাবার গুলো অনেক মজাদার ছিল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের আশেপাশে প্রচুর পরিমাণে মানুষের সমাগম হয়ে থাকে।
শীতের সন্ধ্যায় চিতই পিঠা খাবার অনুভূতি পরে ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া। এখন বর্তমান সময়ে শীত এবং গরমের সময় ও চিতই পিঠা পাওয়া যায়। আপনার অনুভূতি দারুন ছিলো ভাই। কিছুদিন আগে রাস্তার পাশে থেকে আমিও পিঠা খেয়েছিলাম। আসলে বিভিন্ন ধরণের ভর্তা দিয়ে খেতে ভীষণ মজা লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শীতের সন্ধ্যায় চিতই পিঠা খাবার মজাই আলাদা।
এই শীতের ভিতরে ধনিয়া পাতা ও শুঁটকি ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে । আমরাও তো খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি সেই সন্ধ্যা থেকে কখন কিনে নিয়ে আসবে আর খাব ।আপনি কুষ্টিয়া গিয়ে চিতই পিঠা খেয়েছেন সাথে অন্যান্য খাবার খেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো ।
আমার কাছে শুটকি ভর্তা দিয়েছি তাই পিঠা খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
শীতের সন্ধ্যায় খুব মজা করে চিতই পিঠা খেয়েছেন।আপনার পিঠা দেখে তো আমার এখনই খেতে ইচ্ছে করছে। চিতই পিঠা দুধ দিয়ে ভেজানো আর ভর্তা দিয়ে দুরকমেরই ভীষণ ভালো লাগে আমার।আর ভর্তা ঝাল ঝাল সব ধরনের ভর্তা দিয়েই খুব ভালো লাগে।তবে স্পেশাল শুটকি ভর্তা বেশী ভালো লাগে। আপনি চিতই পিঠার পাশাপাশি অন্যান্য খাবার ও খেয়েছেন। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো।
তাহলে আর দেরি করিয়েন না আপু ছবি থেকেই নিয়ে খেতে শুরু করে দেন।
কুষ্টিয়ার বিভিন্ন জায়গায় এভাবে চিতই ও ভাপা পিঠা তৈরি করা হয়। প্রিয় শহরের চিতই ও ভাপা পিঠা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খেতে। চিতই পিঠার সাথে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা থাকে যা খেতে অনেক মজা। খুব শীঘ্রই ভাইয়া হরিপুর সেতু সম্পর্কে পোস্ট করবেন। আশায় থাকলাম।
আমি ঢাকা শহরে যখন থাকতাম মাঝে মাঝেই সন্ধ্যার সময় চিতই পিঠা খেতাম।
চিতই পিঠা আমারো অনেক পছন্দের। শীতের সন্ধ্যায় চিতই পিঠা খেতে খুবই ভালো। যাইহোক আপনি সব কিছু খাওয়া দাওয়া করে পছন্দের খাবার খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আপনার মনের অনুভূতি গুলো পড়ে দারুণ লাগলো ভাই। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
গরম গরম এই পিঠা খেতে ভালো লাগে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর।
শীত মানেই মুখরোচক সব পিঠা খাওয়ার দিন ৷ আসলে অনেক ভালো লাগে এই সব ছোট দোকান ৷ বাজারের মোড়ে মোড়ে শীতের সময় এই পিঠার দোকান গুলো বসে ৷ আর এই দোকান গুলোর জন্যই পিঠার আড্ডা হয় যখন তখন ৷ অনেক ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি ৷ ভরা পেটেও পিঠার লোভ সামলাতে পারেনি ৷ অপেক্ষা করতে হয়েছে তবুও পিঠা খেয়েছেন ৷ বিষয়টা বেশ মজার ৷ যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ৷
ঠিক বলেছেন ভাইয়া শীত মানে যেন পিঠা উৎসবের সময়।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন শীতের সন্ধ্যায় চিতই পিঠা খাবার অনুভূতি। আপনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের খেলার মাঠে আড্ডা দিতে গিয়ে সেখানে চিতই পিঠা খেয়েছেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আমাকে বাড়িতে রেখে একা একাই কুষ্টিয়াতে চলে গেলেন জেনে বেশ খারাপ লাগলো। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে একটা কাজে হঠাৎ করে চলে গিয়েছিলাম তাই বলা হয়নি।
সবেমাত্র ৩০০ ফিট থেকে ফিরলাম, টার্গেট ছিল সেখানে চিতই পিঠা খাব কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটা আর হয়নি। আপনার পোস্ট দেখে কথাটাই মনে পড়ল।
তাহলে আর দেরি করেন না ভাইয়া পরের দিন অবশ্যই পিঠা খেয়ে নিবেন।
শীতের সময় শহর অঞ্চলে রাস্তার ধারে চিতই পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে। কুষ্টিয়া শহরে যখন থাকতাম সেই সময় প্রচুর খেয়েছি । বন্ধুদের সাথে সন্ধ্যার সময় বের হতাম আড্ডা দিতে। সেই সময় পিঠা খাওয়ার মুহূর্তগুলো খুবই সুন্দর ছিল। আপনি বন্ধুর কাছে এসে তাদের সাথে শহরে ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। তার পাশাপাশি চিতই পিঠা উপভোগ করেছেন। অনেক সুন্দর একটি দিন ছিল।
আমিও যখন ঢাকাতে থাকতাম প্রচুর পরিমাণে খেতাম কিন্তু এখন বাড়িতে থাকার কারণে আর খাবার সৌভাগ্য হয় না।