খেজুরের পাতা দিয়ে চশমা তৈরীর পদ্ধতি||১০% @shy-fox||
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বুধবার , মার্চ ২৩/২০২২
আচ্ছালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। ছোটবেলায় আমরা খেজুরের পাতা দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতাম। আজকে হঠাৎ ছোটবেলার সেই কথাগুলো মনে পড়ে গেল। তাই চিন্তা করলাম আমাদের ছোটবেলার সেই স্মৃতির কিছু জিনিস আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে। এই জন্য আজকে আমি খেজুরের পাতা দিয়ে চশমা তৈরীর পদ্ধতি শেয়ার করব। চলুন শুরু করা যাক...
পাতা দিয়ে চশমা তৈরীর উপকরণ |
|---|
| ক্রমিক নম্বর | উপকরণের নাম | পরিমাণ |
|---|---|---|
| ১ | খেজুরের পাতা | ২ টি |
| ২ | খেজুরের কাঁটা | ২ টি |
🖌ধাপ - ০১🖌
চশমা তৈরি করার জন্য আমি প্রথমে একটি খেজুরের পাতা দিলাম।
🖌ধাপ - ০২🖌
তারপরে আমি চশমার মত করে একপাশে গোলাকৃতির করে দিলাম।
🖌ধাপ - ০৩🖌
একপাশে গোলাকৃতি তৈরি করা হয়ে যাবার পরে আমি তার সাথে আরও একটি পাতা সংযুক্ত করে দিলাম আরো একটি গোলাকৃতি তৈরি করার জন্য।
🖌ধাপ - ০৪🖌
তারপরে আমি খেজুরের পাতা দিয়ে আরো একটি গোলাকৃতি তৈরী করে নিলাম।
🖌ধাপ - ০৫🖌
গোলাকৃতি তৈরি করার পরে যে খেজুর পাতার উপর অবশিষ্ট ছিল তার একটি অংশ এই ধাপটিতে কেটে নিয়েছি।
🖌ধাপ - ০৬🖌
এই ধাপটিতে অবশিষ্ট পাতার দুটি অংশই কেটে নেয়া হয়ে গেছে।
🖌ধাপ - ০৭🖌
যখন গোলাকৃতি দুটো অনেকটাই চশমা মতো দেখাচ্ছিল তখন আমি ডান দিকের গোলাকৃতির সাথে একটি খেজুরের কাঁটা লাগিয়ে দিলাম চশমার আবরণ দেবার জন্য।
🖌ধাপ - ০৮🖌
তারপরে আমি বাম দিকের গোলাকৃতির সাথে একটি খেজুর কাঁটা লাগিয়ে দিয়েছি।
🖌ধাপ - ০৯🖌
এভাবেই তৈরি হয়ে গেল খেজুরের পাতা দিয়ে একটি সুন্দর চশমা।
🖌ধাপ - ১০🖌
তারপরে আমি আমার তৈরি করা খেজুরের পাতার তৈরি চশমাটি চোখে দিয়ে একটি ছবি তুললাম।
আমি জানি আপনারা ছোটবেলায় অনেকেই এই ধরনের চশমা চোখে দিয়ে খেলা করতেন। আমি আজকে আপনাদের মাঝে আপনাদের ছোটবেলার স্মৃতি কে জাগ্রত করার জন্য এই পোস্টটি করেছি। এই ধরনের চশমা তৈরি করতে খুব একটা বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না। আপনারা আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আপনারা ছোটবেলায় পাতা দিয়ে কি ধরনের জিনিস তৈরি করতেন।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
ছোটবেলায় খেজুরের পাতা নারিকেলের পাতা ইত্যাদি দিয়ে চশমা ঘড়ি বানাতাম। অনেকদিন পর সেই কথাগুলো মনে হলো। ধন্যবাদ
মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
খেজুরের পাতা দিয়ে তৈরি চশমা আমাদের ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিল। আমরা সকলেই কমবেশি ছোটবেলায় এধরনের চশমা ব্যবহার করেছি। এছাড়া আপনার চশমা বানানোর ধাপ গুলো কি সুন্দর। কামনা রইল।
মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
খেজুরের পাতা দিয়ে চশমা তৈরীর পদ্ধতি টা আমার বেশ ভালো লাগলো। ছোটবেলায় অনেক তৈরি করেছি। আসলেই বেশ দারুন লাগতো। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ছোটবেলায় এধরনের কাজ গুলা অনেক করতাম। নারকেল পাতা দিয়ে চশমা তৈরি করতাম। আপনি খুব সুন্দর করে খেজুর পাতা দিয়ে একটি চশমা তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা দেখতে অনেক ভালো লাগতেছে। আপনি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এরকম সুন্দর একটি কারুকাজ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এত সুন্দর করে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
ছোট বেলায় খেজুর পাতা দিয়ে এরকম অনেক জিনিস তৈরি করছিলাম, যেমন ঘড়ি, চশমা, আংটি ইত্যাদি, অনেক ভালো লাগতো এসব জিনিস পরতে, আজ আপনার পোস্টি দেখে পুরোনো দিনের কতা মনে পরে গেলো, অনেক সুন্দর করে আপনি চশমা তৈরি করেছেন, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
ভাইয়া আপনার খেজুর পাতা দিয়ে চশমা বানানো দেখে ছোট বেলার কথা খুব মনে পড়ে গেল। আমরা পাতা দিয়ে কত কিছু বানিয়ে খেলেছি। আপনার এই পোস্ট আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
এগুলো অনেক ছোটবেলায় বানিয়েছি তবে এটি খুবই সহজ একটি বিষয়বস্তু। আশা করি সামনে স্মৃতিময় আরো কঠিন কিছু আমাদের সাথে তুলে ধরবেন। যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ আশা করি সামনে আরও ভাল কিছু দেখতে পাবো এই কামনা করি।
মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া, সত্যি সত্যি ছোটবেলার স্মৃতি কে জাগ্রত করে দিয়েছেন। কারণ আমিও ছোটবেলায় এই খেজুরের পাতার তৈরি চশমা তৈরি করে চোখে পড়তাম। তাই আপনার এই চশমা দেখে ছোটোবেলার স্মৃতিতে ফিরে গেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এত সুন্দর করে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনি তো ছোট বেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন। আমরা অবশ্য খেজুর পাতা দিয়ে নয়, নারকেল পাতা দিয়ে চশমা বানাতাম। চশমা ছাড়াও ঘড়ি, আংটি এগুলো বানাতাম। ভালোই লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
গঠনমূলক মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
টুইটার শেয়ার লিংক