দূর থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেখা
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বুধবার, মার্চ ১/২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে আমি একটা ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। যারা আমার পোস্টগুলো নিয়মিত পড়েন তারা হয়তো বা জেনেছেন যে কিছুদিন আগে আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কে নিয়ে একটা শিক্ষা সফরের আয়োজন করেছিলাম। সেই শিক্ষা সফরের স্থান নির্ধারণ করেছিলাম নাটোরের লালপুর। সেখানে আমরা অনেক ঘুরাঘুরি করেছিলাম এবং সর্বশেষে আমরা একটু ঘুরে ছিলাম পাকশী ব্রিজের পার্শ্ববর্তী এলাকাতে। আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন সেখানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত।
অনেক মানুষের এই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে কোন ধরনের ধারণা নেই। যেহেতু আমরা সেখানে শিক্ষা সফরে গিয়েছিলাম তাই আমরা একটু চেষ্টা করলাম আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেবার। মূলত এই কারণেই আমরা সেখানে আমাদের গাড়ি থামিয়েছিলাম এবং কিছু সময় দেখিয়েছিলাম সকল জিনিসগুলো।
আমাদের এলাকাতে কোন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল না রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমাদের এলাকা থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উপর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সকল জিনিস দেখানোর পাশাপাশি সেখানে কি হতে চলেছে এবং কি ধরনের কার্যক্রম হয় সেই বিষয়গুলো আমরা খুব সহজেই সঠিক ধারণা দিতে পারলাম। যেহেতু তারা ভ্রমণের মাধ্যমে এই জিনিসটি নিজের চোখের সামনে দেখতে পেল তাই আমি মনে করি তারা এই শিক্ষাটা অনেক দিন ধরে রাখতে সক্ষম হবে। আসলে শিক্ষা সফরের প্রধান উদ্দেশ্যটা তো এটাই হয়ে থাকে।
প্রথমে আমি আপনাদের মাঝে যে চিত্রগুলো শেয়ার করেছিলাম সেগুলো ছিল পাকশী ব্রিজের নিচ থেকে তোলা। আর শেষের দিকে আপনাদের মাঝে যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছি সেগুলো আমি ধারণ করেছিলাম বাস থেকে। যখন আমরা পাকশী ব্রিজের উপর দিয়ে আসছিলাম তখনই ছবিগুলো ধারণ করেছিলাম। এর উপর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে সাধারণ মানুষের প্রবেশের কোন অগ্রাধিকার নাই যার কারণে আমি সেখানে কি কি রয়েছে সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারলাম না। এই কারণেই আমি আপনাদের মাঝে দূর থেকে ধারণ করা কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম।
আমার এই পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোষ্টের মধ্যে দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
জ্বী ভাইয়া আমি জানি আপনি আপনার স্কুল থেকে শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্যে নাটোরে গিয়েছিলেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কথা অনেক বার শুনেছি। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আলোচনা শুনতে শুনতে কান একেবারে ঝালাপালা হয়ে গেছে। যাইহোক অনেক শখ ছিল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেখার। আপনার মাধ্যমে কেন্দ্রটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
শিক্ষা সফরে যাওয়া মানে হচ্ছে যে কোন কিছু শিক্ষা নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শিক্ষনীয় কিছু দেখার উদ্দেশ্যে যাওয়া। আপনারা বেশ সুন্দর একটি জায়গা সিলেক্ট করেছেন রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঘুরতে গেছেন অনেক ভালো একটি কাজ করেছে। আশা করি ছাত্রছাত্রীরা বেশ কিছু আইডিয়া পেয়েছে এবং অনেক সুন্দর ধারণা পেয়েছে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং সেই মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন।
আসলে শিক্ষা সকলের প্রধান উদ্দেশ্য হল সফর করার মাধ্যমে শিক্ষা নেওয়া বা দেওয়া। আপনারা ছাত্র-ছাত্রীদের কে রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সকল জিনিস দেখানোর পাশাপাশি সেখানে কি হতে চলেছে এবং কি ধরনের কার্যক্রম হয় সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা দিছিলেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মনে হচ্ছে আপনার ফটোগ্রাফির মুহূর্তে আমিও এলাকার আশপাশে ছিলাম। যাই হোক রূপপুরের এত সুন্দর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমাদের বাংলাদেশের জন্য অন্য রকম একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। যা দেখে খুব সহজেই বোঝা যায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম এটা।