বৃষ্টিভেজা একটি দিনের গল্প
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শনিবার , জুন ১৮/২০২২
বর্তমান সময় হচ্ছে বর্ষাকাল। বর্ষাকাল হবার কারণে সব সময় আকাশে কালো মেঘ ছেয়ে থাকে। আর মাঝে মাঝেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়তে থাকে। যদিও অনেক দিন থেকে আমাদের এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছিল না কিন্তু শেষ দুই দিন আমাদের এলাকাতে এত বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে যা আমাদেরকে সত্যি অতিষ্ঠ করে তুলেছে। বৃষ্টি সবসময় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে কিন্তু এই ভালোলাগার মধ্যেও খারাপ লাগা কাজ করছে। সেই খারাপ লাগার বিষয়টি হচ্ছে বৃষ্টির কারণে গ্রাম অঞ্চল গুলোতে বেশিরভাগ সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই এই দুই দিন আমাদের এলাকাতেও খুব একটা ভালো বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। যার কারনে আমি এই দুইদিন কমিউনিটি তে ভালোভাবে সময় দিতে পারছি না। এমনকি পোস্ট কমেন্ট করতেও আমার অনেক সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু আমার এই ভালবাসার জায়গাটা আমি কোনভাবেই হারাতে চায় না তাই সব সময় চেষ্টা করছি যখনই সুযোগ পাই একটু আপনাদের মাঝে উপস্থিত হতে। এডমিন মডারেটর দের উদ্দেশ্যে বলছি আশা করি আপনারা আমার এই সমস্যার বিষয়গুলো একটু বিবেচনার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বৃষ্টিভেজা একটি দিনে আমার কার্যক্রম তুলে ধরবো। চলুন শুরু করা যাক...
আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন আমি পেশাগতভাবে একজন শিক্ষক। আর একজন শিক্ষক হবার কারণে আমাকে যত ঝড় বৃষ্টি হোক না কেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হয়। প্রতিদিনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য আজকেও আমি নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে চেয়েছিলাম কিন্তু বৃষ্টির কারণে ৫ মিনিট দেরিতে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়। যখন আমি বিদ্যালয়ে পৌঁছায় তখন চারিদিকে ঘন কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে ছিল। মনে হচ্ছিল যেন এখনই আকাশ ভেঙে অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়তে থাকবে।
যেমন চিন্তা তেমন কাজ কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয়ে গেল প্রচন্ড বৃষ্টি। এই বৃষ্টির পরিমাণ টা অন্যান্য সময়ের থেকে অনেকটাই বেশি ছিল। আমি আপনাদের জন্য আজকের বৃষ্টির ছোট্ট একটা ভিডিও ধারণ করেছি সেটা আমি দিয়ে দিচ্ছি।
বৃষ্টি যখন শেষ হবে তখন পরিবেশটা অনেকটাই শান্ত হয়ে গিয়েছিল। কেননা বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটে যানবহন চলা বন্ধ ছিল। তখন আমি দেখতে পেলাম আমাদের স্কুলের একটা ছোট্ট বাচ্চা বৃষ্টির পরে কাদা পানি নিয়ে খেলা করছে। দৃশ্যটি দেখে আমার মনে পড়ে গেল ছোটবেলায় কথা আমিও কতটা এই ধরনের কাজের সাথে সংযুক্ত থাকতাম। সত্যি কথা বলতে ছোটবেলায় আমি বৃষ্টি হলেই কাদামাটি নিয়ে খেলতে শুরু করে দিতাম। তার এই দৃশ্যটি দেখে আমি আমার ছোটবেলার টা কে খুব মিস করছিলাম।
বৃষ্টি শেষে যখন আমি বাড়িতে চলে আসলাম তখন মনের মধ্যে কি খাবো এমন একটা চিন্তা আসছিল। মনে হচ্ছিল এমন একটা জিনিস খেতে যেটা বৃষ্টির সময় আমার অনেক ভালো লাগবে। তখনই আমার অর্ধাঙ্গিনী আমার জন্য এমনই একটা জিনিস নিয়ে আসলো সেটা দেখে আমি সত্যি অনেক খুশি হয়েছি। সে জানতো বৃষ্টির দিনে আমি কোন জিনিসটা সবথেকে বেশি পছন্দ করি। আর সে সেটা নিয়েই হাজির হয়ে গেল আমার সামনে।
বৃষ্টির দিনের আমার এই কাহিনীটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আর এই বর্ষাকালে বৃষ্টির দিন গুলো আপনারা কিভাবে উপভোগ করছেন তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে আরো কোন একটা পোষ্টের মাধ্যমে।
শ্রেণী | বৃষ্টিভেজা একটি দিনের গল্প |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @mostafezur001 |
লোকেশন | গাংনী, মেহেরপুর, বাংলাদেশ |
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
বাহ একেবারে পারফেক্ট একটা বৃষ্টির দিন কাটিয়েছেন ভাই। সত্যি বলতে এবারের এই বৃষ্টিতে আমার মনটা অনেক খারাপ। সিলেটের অবস্থা টা দেখেছেন। এবং এই বৃষ্টির দিনে নেটওয়ার্ক সমস্যা টা যেন বেড়ে যায়। যদিও মেঘলা দিন আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার পোস্টের ফটোগ্রাফি গুলো এবং ভিডিও টা দারুণ ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।।
সুরাইয়া বৃষ্টির দিন গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে কিন্তু সমস্যা একটাই নেটওয়ার্কের সমস্যা দেখা দেয়।
একজন শিক্ষক হিসেবে আপনার কাঁধে অনেক বড় দায়িত্ব চেপে আছে যার কারণে শত বৃষ্টি হওয়ার ফলে ও আপনাকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতেই হবে। আর শিক্ষকতা তো অনেক বড় পেশা যাকে বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। আপনার বিদ্যালয় এর আশপাশের ছবিগুলো বেশ ভালো ছিল। বৃষ্টি ভেজা দিনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমাদের কাছে অনেক বড় দায়িত্ব রয়েছে বৃষ্টি হোক কিংবা না হোক আমাদের অবশ্যই সময়মতো পৌঁছানো লাগে।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে বৃষ্টি ভেজার একটি দিনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। আপনার এত সুন্দর চমৎকার বর্ননা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আর এর পাশাপাশি খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এর সাথে দেখলাম একটি ভিডিও ধারন করে শেয়ার করেছেন। তাই আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে আপনার এই পোস্ট। কিউট একটি বাচ্চা আপনার ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। সব মিলিয়ে মনমুগ্ধকর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
খুবই সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছিল তাই মনে করলাম একটা ভিডিও ধারণ করলে কেমন হয় এইজন্যই আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরেছি
ইদানিং খুব বৃষ্টি হচ্ছে সারাদেশে। সিলেটে তো বন্যা শুরু হয়ে গেছে। আপনি এই বৃষ্টি ভেজা দিনেও আপনার বিদ্যালয়ে গিয়েছেন পাঠদান করাতে। মুড়িও খেয়েছেন দেখলাম। অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এত বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে যার কারণে বন্যার সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে
এমন বৃষ্টি বৃষ্টি পরিবেশ আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন বৃষ্টিতে। তবে সিলেট বাসীর জন্য খুব খারাপ লাগছে ভাইয়া এসময় তারা খুব কষ্টে আছে। বৃষ্টির সময় এই ভাবে ঝাল মুড়ি বানিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আসলে আপু বৃষ্টির সময় এই ধরনের ঝাল মুড়ি খেলে বৃষ্টির মজাটাই বৃদ্ধি পেয়ে যাই
আপনি খুব চমৎকারভাবে একটি বৃষ্টি ভেজা দিনের গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বৃষ্টিভেজা দিন অনেকের কাছেই অনেক বেশি রোমাঞ্চকর হয়ে থাকে কিন্তু আবার অনেকের কাছে এটা খুবই কষ্টসাধ্য। যেমনটা আমরা এখন সিলেট বাসীর দেখতে পাচ্ছি। সত্যিই খুবই খারাপ লাগছে তাদের এরকম দুর্দশা দেখে।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া বৃষ্টিভেজা দিনগুলো অনেক রোমাঞ্চকর হয়ে থাকে