গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল কর্তৃক আয়োজিত সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার, জুলাই ৭/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও অনেক ভালো আছি। আপনারা সবাই জানেন আমি পেশাগত ভাবে একজন শিক্ষক আমি সর্বদা চেষ্টা করি আমার স্কুলে সংগঠিত সকল কার্যক্রম আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে। জানিনা আমরা আমাদের স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে কতটা উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পেরেছি তারপরও চেষ্টা করছি শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অন্যান্য কাজের দিকেও আগ্রহী করে গড়ে তুলতে। যেন আমাদের স্কুলের প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রীকে যে কেউ দেখলেই বুঝতে পারে এটা ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী। আমি সর্বদা চেষ্টা করছি আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কাজের মধ্য দিয়ে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করানোর মতো করে গড়ে তুলতে। সেই চিন্তা ধারাকে কাজে মাথায় রেখে গত সপ্তাহ থেকে আমাদের সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আরো একটি পর্ব যুক্ত করা হয়েছে সেটি হচ্ছে সাপ্তাহিক কুইজ প্রতিযোগিতা। একই সাথে কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি বিজয়ী কে আমরা পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করি। যেন তাদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহের পরিমাণটা আরো বৃদ্ধি পেয়ে যায়।
এই পর্যায়ে আপনারা যে ছোট্ট বাচ্চা মেয়েকে দেখতে পাচ্ছেন সে আমাদের স্কুলের প্লে শ্রেণীর একজন ছাত্রী। এতোটুকু বাচ্চা মেয়ে যে মাইক হাতে করে অনেকগুলো মানুষের সামনে কিছু বলতে পারবে এটাই চিন্তা করা যায় না। কিন্তু সে আজকে আমাদের সবার সামনে একটি গজলকে শোনালেন।
আসলে আমাদের অনুষ্ঠানে অনেকগুলো ভিডিও করা হয় কিন্তু সব ভিডিও গুলো আপনাদের মাঝে যদি আমি শেয়ার করি তাহলে আমার এই পোস্টটি অনেক বড় হয়ে যাবে। তাই আমি আজকে আপনাদের মাঝে মূলত কয়েকটি কবিতা বা ছড়া শেয়ার করব যেগুলোতে অংশগ্রহণ করেছে আমাদের স্কুলের কিছু ছাত্র-ছাত্রী। এই পর্যায়ে আপনারা যে ভিডিওটি দেখতে পাচ্ছেন সেটিতে অংশগ্রহণ করেছে আমাদের স্কুলের প্রি-ওয়ান শ্রেণীর ছাত্র আজমাইন।
এই পর্যায়ে আপনারা আরও সুন্দর একটি কবিতা শুনতে পাবেন। এই কবিতাটি প্রত্যেকটি বাচ্চারই অনেক প্রিয় একটি কবিতা। আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি এই কবিতাটি ছোটবেলায় আপনারা খুবই পছন্দ করতেন। যখন আমি এই কবিতাটি শুনছিলাম তখনই মনে পড়ে যাচ্ছিল আমার সেই ছোটবেলার কথাগুলো। এই কবিতাটিতে অংশগ্রহণ করেছে প্রি-ওয়ান শ্রেণীর ছাত্র ফাহিম।
এই পর্যায়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের স্কুলের ছোট্ট একটি ছেলে যে প্লে শ্রেণীতে পড়ে সেই বাচ্চাটি আমাদের মাঝে একটি ইংরেজী কবিতা আবৃত্তি করে শেয়ার করলো। ইংরেজি এই কবিতাটিও আমাদের ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দেয়।
এই পর্যায়ে আপনারা যে কবিতা আবৃতিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি আবৃত্তি করেছিল আমাদের স্কুলের প্রি-ওয়ান শ্রেণীর ছাত্র মোঃ লাবিব হোসেন
আসলে বড় ছাত্র-ছাত্রীরা তো অনেক ভালো কবিতা আবৃত্তি করতে পারে এ বিষয়ে আমাদের কোন সন্দেহ নেই কিন্তু এত ছোট ছোট বাচ্চারা যে এত সুন্দর কবিতা আবৃত্তি করতে পারে তা সত্যি কথা বলতে ভাবাটা আমাদের সবার জন্য একটু কষ্টসাধ্য। আমি মনে করি আমাদের চেষ্টা অনেকটাই সফলতা অর্জন করেছে। আশা করি আমরা যদি এইভাবে আমাদের কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারি তাহলে এই সকল ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে আরো সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার ভিডিও লিংক
আমি মনে করি বর্তমান সময়ে আমাদের সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের এই জিনিসটি প্রতিটি অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের মনের ভিতর অন্যরকমের একটি নাড়া দিয়েছে। যেটা আমি শুরু করেছি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাপ্তাহিক কুইজ প্রতিযোগিতার অবলম্বনে। আজকে দ্বিতীয়বারের মতো আমাদের স্কুলের সাপ্তাহিক কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আজকে আমি একটি বিষয় লক্ষ্য করছিলাম যখন সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অন্যান্য পর্বগুলো হচ্ছিল কিছু কিছু ছাত্র-ছাত্রী বই নিয়ে পড়তে শুরু করে দিয়েছিল। তারা চাচ্ছিল যে কোন মূল্যে কুইজ প্রতিযোগিতায় ভালো করার জন্য। আর আপনারা যদি আমার শেয়ার করা সাপ্তাহিক কুইজ প্রতিযোগিতার ভিডিওটি লক্ষ্য করেন তাহলে বুঝতে পারবেন আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা কুইজ প্রতিযোগিতায় কতটা পারদর্শী হয়ে গিয়েছে।
আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তীতে আবারো ফিরে আসবো আমাদের স্কুলের কোন আপডেট নিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
আসলে আপনাদের শিক্ষণ পদ্ধতিটি চমৎকার। সাপ্তাহিক কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি করা হয় পাশাপাশি পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে তাদের সম্মান সম্মানিত করা হয়। আসলে আপনাদের ধন্যবাদ যারা মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করছে আমাদের সমাজে।
আমরা সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য
পড়ালেখার পাশাপাশি যেমন বিনোদনের দরকার তেমনি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করলেও বাচ্চাদের মেধাবিকাশে সহায়তা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।
সেই চিন্তা ধারা কি কাজে লাগিয়েই আমরা এই ধরনের কাজ হাতে নিয়েছি
জি ভাই খুব ভালো একটি উদ্যোগ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
আপনাদের স্কুলের সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে আমি আগেও পড়েছি আপনাদের অনুষ্টানে। বেশ ভালো এবং নতুনত্ব আছে। আমাদের দেশের শিক্ষার্থী মানুষের সামনে কথা বলতে তাদের কলা পরিদর্শনে বেশ হীনমন্যতায় ভোগে। কিন্তু যদি প্রতিটা স্কুলে এইরকম অনুষ্টানের আয়োজন করা হয় তাহলে আমার ধারণা খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে। যাইহোক দারুণ ছিল।
আমিও মনে করি প্রত্যেকটি স্কুলেই এই ধরনের কার্যক্রম হাতে নিয়ে দরকার
এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। খুবই ভালো লেগেছে আপনার আজকের এই পোস্ট দেখে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন স্কুলের সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিষয়গুলো। আশা করি পুনরায় এমন সুন্দর সুন্দর স্কুল বিষয়ক পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
চেষ্টা করেছি স্কুলের সকল কার্যক্রম গুলো সবার মাঝে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে