শীতের প্রকোপ দিন দিন যেন বৃদ্ধি পাচ্ছে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। শীতকাল মানে শীত পড়বে এটা স্বাভাবিক কিন্তু বর্তমান সময়ে কয়েকদিন যাবত আমরা লক্ষ্য করছি শীতের পরিমাণটা যেন অনেক দিতে হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেলের খবর এর মাধ্যমে জানতে পারলাম যে এই শীতের পরিমাণটা যেন দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাবে। এই ধরনের কারণ অনুসন্ধান করতে যেয়ে আমি দেখতে পেলাম যে বর্তমান সময়ে প্রকৃতির অবস্থা খুবই খারাপ যার কারণে সময়-অসময়ে বিভিন্ন ধরনের বিপর্যয় নেমে আসছে আমাদের দেশে। বর্তমান সময়ে সব থেকে বেশি তাপমাত্রা কম রয়েছে আমাদের পার্শ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গাতে। তাহলে বুঝুন যদি আমাদের পার্শ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে তাহলে তার কিছু অংশ আমাদের জেলাতেও পড়ছে। মানে পার্শ্ববর্তী জেলা হবার কারণে আমাদের এলাকাতে শীতের পরিমাণটা এই বছর প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
আজকে সকালে যখন টিভিতে খবর দেখছিলাম তখন জানতে পারলাম যে আজকে চুয়াডাঙ্গাতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর আমাদের এলাকাতে বর্তমান সময়ে তাপমাত্রা রয়েছে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আপনারা যদি উপরের ছবিগুলো লক্ষ্য করেন তাহলেই শীতের প্রকোপ বুঝতে পারবেন চারিদিকে রাস্তাঘাট দেখার কোন উপায় নেই যেন কুয়াশাকতে চেয়ে গেছে পুরো এলাকা।
এই ধরনের দিনগুলোতে বিভিন্ন ধরনের এক্সিডেন্ট এর সম্মুখীন হয় আমাদের দেশ। কেননা রাস্তাঘাট সবকিছু কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে যার ফলে একটু দূরের কিছু দেখতে পাওয়া যায় না। আর এর ফলেই বিপরীতমুখী বিভিন্ন যানবাহন এসে ধাক্কা দেয় অন্য যানবাহনের সাথে। প্রতিবছর এই ধরনের এক্সিডেন্ট এর সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে থাকে আমাদের দেশে। বিশেষ করে আমাদের এলাকাতে এই ধরনের অ্যাক্সিডেন্টের সংখ্যা সব থেকে বেশি থাকে। তার সব থেকে বড় কারণ হচ্ছে আমাদের এলাকাতে তাপমাত্রা অনেক কম হয় আর তাপমাত্রা কম হওয়ার ফলে প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা পড়তে দেখতে পাওয়া যায় আমাদের এলাকাতে। আমার কাছে মনে হয় নদী এলাকাতেও প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা এবং শীত থাকে। নদী এলাকাতে শীত বেশি থাকার সব থেকে বড় একটি কারণ হচ্ছে নদীর পানির মধ্য দিয়ে যে বাতাস এলাকাতে এসে পৌঁছায় সেই বাতাসগুলো অনেক ঠান্ডা থাকে। যাইহোক আমরা এখন পুরো বাংলাদেশের প্রায় সকল এলাকার মানুষ শীতের কারণে ঘর বন্দী হয়ে রয়েছে। আর এই শীতের কারণে সব থেকে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে ছিন্নমূল এবং খেটে খাওয়া মানুষেরা। ছিন্নমূল মানুষেরা যাদের জায়গা নেই থাকার মত তারা সব থেকে বেশি কষ্টে রাত অতিবাহিত করছে। আর খেটে খাওয়া মানুষেরা এই শীতের কারণে সঠিকভাবে কাজের সন্ধান করতে পারছে না।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
কয়েকদিন হলো সবখানেই অনেক শীত পড়েছে তা বলার মতো নয়। আমাদের উত্তরবঙ্গে গতকাল সকালে তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো,সকালে কুয়াশার জন্য চারদিকে কিছুই দেখা যায় না দুপুর পর্যন্ত একই অবস্থা।আমরা তো তবুও শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু ছিন্নমূল মানুষের সত্যি অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের কথা ভাবলে খুবই কষ্ট হয়।ঈশ্বর সহায় হোক এই প্রার্থনা করি।সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
গত কয়েকদিন যাবত যে পরিমাণ ঠান্ডা পড়ছে তা বলার বাইরে। আসলে এই বছরটাতে এই কয়েকদিনে যেন খুব বেশি ঠান্ডা পড়ছে। আর পাশাপাশি কুয়াশায় সারাদিন ঢেকে থাকে বোঝাই যায় না কখন সকাল কখন বিকেল। তবে এটা ঠিক বলেছেন এই কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থায় এক্সিডেন্ট খুব বেশি হয়। আমরা গতকালকে শ্বশুরবাড়িতে
ফেরার সময় দেখলাম সামনে কুয়াশার কারণে তেমন বেশি কিছু দেখা যাচ্ছে না। তাই গাড়ি খুব ধীর গতিতে চালিয়ে এসেছিল। তবে বাইরে খুব বেশি পরিমাণ বাতাস ছিল। যাই হোক সবাই সুস্থ থাকুক এটাই কামনা করি।
গত কয়েকদিন যাবত শীতের প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে ।তার পাশাপাশি বাতাসের গতিবেগ অনেক। আপনাদের জেলায় দশ ডিগ্রি সেলসিয়াস প্রচন্ড শীত। তাছাড়া কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ যেটা রাস্তায় চলাচলে বাধাগ্রস্ত করে যেকোনো সময় বিপদের সম্মুখীন হতে পারে মানুষ অনেক ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো পড়ে।
বেশ কয়েকদিন হয়ে গিয়েছে আমাদের এখানে তো রোদের ছোঁয়া ও দেখা যাচ্ছে না। তাই একটু বেশি শীত পড়ছে। শীতের জন্য কোথাও বের হতেও পারছি না এখন। ঠিক জমে যাওয়ার মত শীত। আপনি ঠিকই বলেছেন কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থায় এক্সিডেন্ট অনেক বেশি হয়। এখন তো দুপুরবেলায় বের হলেও কিছু না দেখার মত অবস্থা। আপনার পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আসলেই তাপমাত্রা দিনদিন অনেক নিচে নেমে গেছে। আপনি যেদিন পোস্ট করেছেন সেদিন আমাদের ঢাকার তাপমাত্রা ছিল 12 ডিগ্রী। আর আপনাদের ওখানে তাপমাত্রার ১০ ডিগ্রি মানে তো আরো কম৷ ১২ ডিগ্রিতেই আমাদের অবস্থা খারাপ। যেখানে ৮ ডিগ্রি তাদের কি অবস্থা কে জানে।