লাইফস্টাইলঃ শীতবস্ত্রের দাম যেন দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। শীতকাল চলে এসেছে আর শীতকাল আসার সাথে সাথে সকলেই শুরু করে দিয়েছে শীতবস্ত্র ক্রয় করার। যেহেতু আমি গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করি তাই আমাদের এইদিকে শীত একটু আগেই এসেছে। আশি তার সাথে সাথেই আমাদের এলাকাতে শীতবস্ত্র ক্রয় বিক্রয় পুরোদমেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আজকে ছুটির দিন থাকার কারণে গিয়েছিলাম একটু বাজার করার জন্য সেখানে দেখতে পেলাম শীতবস্ত্র খুব ভালোভাবে বিক্রয় শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু একটা জিনিস দেখে খুবই খারাপ লাগলো সেটা হচ্ছে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সব কিছুর দাম অনেক বেশি। দাম বেশি হবার কারণে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য একটু কষ্ট হয়ে যাবে এই ধরনের শীতবস্ত্র ক্রয় করার জন্য।
মার্কেটের মধ্যে শীতবস্ত্রের দাম আরো বেশি তাই আমি দাম পরীক্ষা করার জন্য গিয়েছিলাম রাস্তার পাশে তৈরি হওয়া ভ্রাম্যমান দোকানগুলোতে। সেখানে দামের দিকটা লক্ষ্য করলাম দেখতে পেলাম দোকানের থেকে কিছুটা কম রয়েছে কিন্তু তারপরও জিনিসের তুলনায় দামের পরিমাণটা অনেক বেশি। যখনই আমি বিক্রেতার কাছ থেকে দাম শুনলাম এবং নাম শোনার সাথে সাথেই আমার মাথা ঘুরে যাবার মত অবস্থা। আগের বছরে এই জিনিসের দাম যা ছিল এই বছরে তা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। দামি হওয়ার পেছনে সব থেকে বড় কারণ যেটা আমি মনে করি সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের মুদ্রার সাথে ডলারের দামের পার্থক্য। ডলারের দাম অনেক বেশি হয়ে যাবার কারণে প্রত্যেকটা জিনিসের দামই বৃদ্ধি পেয়েছে এ বছরে।
যাই হোক আমার কাছে মনে হয় দাম বৃদ্ধি পেলেও যেহেতু শীতকাল তাই সকলেরই প্রয়োজন এই জিনিসগুলো । তাই সকালে চেষ্টা করবে তাদের সাধ্যমত শীত বস্ত্র ক্রয় করতে। কেননা গ্রাম অঞ্চলের শীতের পরিমাণটা অনেক বেশি থাকে আর এই শীতে মানুষের জীবন যাপন করাটা অনেক কষ্টসাধ্যকর হয়ে যায়। যেহেতু আমি আজকে শুধুমাত্র ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম তাই কোন ধরনের শীতবস্ত্র ক্রয় করিনি। পরবর্তী কোন এক সময়ে আবারো আমি এইখানে যাব এবং আমার পছন্দ মতো শীতবস্ত্র ক্রয় করে নিয়ে আসবো। উপরের ছবিতে আপনারা যে কম্বলগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো দেখতে ভালই সুন্দর। এগুলো অনেকটাই যেন বিদেশি কম্বলের মতো করে তৈরি করা হয়েছে।
আপনাদের এলাকাতে শীতবস্ত্রের দাম কেমন সেই বিষয়টা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন করে একটা পোস্টের মধ্যে দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
আসলে ভাইয়া শুধু শীতবস্ত্র কেন এ বছর সব কিছুর দাম দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। আসলে বর্তমান দেশের অবস্থা করুণ। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে সবকিছুই আমাদের আওতার বাইরে চলে যাচ্ছে। যাইহোক ভাইয়া কম্বল গুলো সুন্দর। আশাকরি পরবর্তীতে কিনে আনবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক কথা বলেছেন আপু শুধুমাত্র শীত বস্ত্র নয় সবকিছুর দামি দ্বিগুণহারে বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া,আজকেও বাজারে গিয়েছিলাম সব কিছুর অনেক দাম আর শীতের কাপড়েরতো আর কোন কথাই নেই। প্রচুর দাম।
নিম্নবিত্ত মানুষের একটু বেশিই কষ্ট হবে। মধ্যবিত্ত মানুষেরও হবে। আমাদের উচিত যারা শীতের মধ্যে কষ্ট করছে তাদের সামান্য হলেও সাহায্য করা।
নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র ক্রয় করা অনেক কষ্টের হয়ে গিয়েছে।
আপনি ঠিকই বলেছেন শীত কালে আগের থেকে এই বছরে অনেক দাম।আর এই সময় যদি শীত না হতো তাহলে কম দামে শীতের জিনিস গুলো পেতাম।তবে গ্রাম অঞ্চলে শীত একটু বেশি। আর শীত বেশি হলে যদি শীতের জিনিস গুলো দাম বাড়ে তাহলে কিছুই করার নাই। তবে মধ্যবিত্ত এবং গরীব লোক গুলোদের অনেক কষ্ট হবে।আমাদের এইদিকেও শীতের কাপড়ের অনেক দাম।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপনি শীত আসার আগে থেকে শীতের কাপড়ের দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমিও কিছু কেনাকাটা করেছিলাম। সব জিনিসের দাম আগে থেকে অনেক বেশি। মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত মানুষের সাধ্যের বাহিরে চলে গেছে। যাইহোক তারপরও যেটা দরকার সেটা আমাদের কিনতেই হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
দাম বৃদ্ধি পাবার পরে ব্যবসায়িকেরা ভালই লাভের মধ্যে চলে এসেছে।
আজকাল তো সবকিছুরই দাম উর্ধ্বগতি।তাই শীত আসার আগেই শীত বস্ত্রের দাম বেড়ে যাবে এটাই তো স্বাভাবিক।বর্তমানে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জন্য অনেক কষ্টের সময়। তারপরেও প্রয়োজন বলে কথা।সবাই যে যার প্রয়োজন মতো শীতবস্ত্র কিনে শীত নিবারন করবে এমনটাই আশাকরি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
কি আর করা যাবে আপু প্রয়োজনের তাগিদে সকলেই এই আকাশচুম্বী দামের পরেও জিনিস ক্রয় করতে শুরু করেছে।
বর্তমান সময়ে সবকিছুর দাম যখন বেশি শীতবস্তরের উপরেও প্রভাব পড়বে সেটা স্বাভাবিক। আসলেই এত বেশি দাম বেড়ে গেছে যারা অসহায় মানুষ তারা কেনাকাটা করতে পারবে না। আপনাদের ওদিকেই দেখছি তো শীত অনেক বেশি পড়ে গেছে। তবে আমাদের এদিকে ও শীত পড়া শুরু করে দিয়েছে। ভালো লাগলো শীতবস্ত্র কিনতে গেলেন। অনেক ভালো লাগলো আপনি খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করলেন।
শীতবস্ত্র ক্রয় করতে গিয়েছিলাম আর না ক্রয় করে চলে এসেছি।
যখন যে সিজন সেই সিজনের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়ে সবসময় দুর্নীতি চলে, সেটা আপনাদের দেশ হোক বা আমাদের। যেমন ধরেন গরমকালে আমাদের এখানে কুলার বা এয়ারকন্ডিশনের দাম অনেকটা বাড়িয়ে রেখে দেয়। যেটা শীতকালে অনেক কম থাকে। তেমনি শীতকালীন বস্ত্র শীতকালে দাম অনেক বেশি থাকে। তবে জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে একটু অস্বাভাবিক মনে হল। এত বেশি বাড়ানো উচিত নয়।
ঠিক বলেছেন আপু সিজন এ সেই জিনিসগুলোকে নিয়ে একটু বেশি পরিমাণে দুর্নীতি হতে দেখতে পাওয়া যায়।