আমঝুপি নীলকুঠি ভ্রমণ পর্ব -৩
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। ইতিমধ্যেই আমি আমঝুপি নীলকুঠি ভ্রমণের দুইটা পর্ব শেষ করে ফেলেছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম ছবি নীলকুঠির ভ্রমণে তৃতীয় পর্ব নিয়ে। আমঝুপি নীলকুঠি ভ্রমণের মুহূর্তগুলো অনেক রোমাঞ্চকর ছিল ,কেননা এখানে আমি অজানা জিনিস দেখতে পেরেছি এবং তাদের সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা লাভ করতে পেরেছি। এখানে আমি আদিম যুগের এমন কিছু জিনিস দেখেছি যা হয়তোবা আমি আমঝুপি নীলকুঠিতে না গেলে দেখার সুযোগই পেতাম না।
সেখানে আমরা অনেক বছর পুরাতন কিছু মৃৎশিল্প দেখতে পেয়েছিলাম। শিল্প গুলো সত্যি দারুন ছিল বর্তমান সময়ে এই ধরনের শিল্প আর তেমন দেখতে পাওয়া যায় না। গ্রাম অঞ্চলের কিছু কিছু জায়গায় এই শিল্পটি আজও টিকে রয়েছে কিন্তু আগের মতো ভালোভাবে কোন জিনিস তারা তৈরি করতে পারে না। আপনারা উপরের ছবিতে অনেকগুলো আদিম যুগের মিছিল দেখতে পাচ্ছেন। যেগুলো প্রায়ই ২০০ বছর আগেকার।
এই ছবিটিতে আমরা আদিম যুগের মৃৎশিল্পের কিছু ভাঙ্গা অংশ দেখতে পাচ্ছি। যদিও অংশগুলো ভাঙ্গা তারপরও এগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে কেননা এগুলো অনেক পুরাতন। আর এই গুলোর মধ্যে অনেক ধরনের ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে।
এই ছবিটিতে আমরা দুটি মাটির কলস দেখতে পাচ্ছি। এই মাটির কলস দুটো চুয়াডাঙ্গার কালুপোল রাজারভিটা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেখানে অনেকদিন পূর্বে যখন রাজারা বসবাস করত তারা এই ধরনের কলস ব্যবহার করত।
এরপরে আমরা দেখতে পেলাম নকশা কি তো পোড়ামাটির নিদর্শন। এই নিদর্শনগুলো প্রায় ১৫০ বছর আগেকার। তাই এগুলোকে খুবই যত্ন সহকারে সমর্থন করা হয়েছে।
এরপরে আমরা পোড়ামাটির আরও একটা জিনিস দেখতে পেলাম। যদিও সেটা ভেঙে গিয়েছিল তারপরও সেটাকে খুবই সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে এই আমঝুপি নীলকুঠিতে।
এরপরে আমরা সেখানে তিনটা মাটির হাড়ি দেখতে পেলাম। হাড়িগুলো কালুপোল রাজর ভিটা থেকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে এ ধরনের মাটির হাড়ি খুব কম দেখতে পাওয়া যায়।
এরপরে সেখানে আমার নিজের একটা ছবি তুলে ফেললাম।
তারপরে আমরা দেখতে পেলাম একটা ফায়ারপ্লেস। মূলত এই ফায়ার প্লেস ইংরেজরা তৈরি করেছিল আমঝুপি নীলকুঠিতে বসবাস করার সময়। আমরা বিভিন্ন ধরনের ইংরেজি সিনেমায় এ ধরনের ফায়ার প্লেস দেখেছি। মূলত ইংরেজরা অধিক শীত নিবারণ করার জন্য এই ধরনের ফায়ার প্লেস তৈরি করে থাকে।
আমার তৈরি করা আমঝুপি নীলকুঠির এই তৃতীয় পর্বটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। পরবর্তী সময়ে আপনাদের সাথে দেখা হবে নতুন কোন একটি পোস্টের মাধ্যমে।
শ্রেণী | আমঝুপি নীলকুঠি ভ্রমণ পর্ব -৩ |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @mostafezur001 |
লোকেশন | আমঝুপি,গাংনী, মেহেরপুর, বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/breastfeeding.glassware.repurpose |
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমাদের কলেজ থেকে শিক্ষা সফরে নিয়ে গিয়েছিল আমঝুপি তে।এখানে থেকেই সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এছাড়া কিছু ঐতিহাসিক নিদর্শন এর ছবি তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আমাদের অতীতের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য।
তাহলে তো আপনারা অনেক দূর অতিক্রম করে আমঝুপি নীলকুঠিতে এসেছিলেন দেখছি ভাইয়া
হ্যা ভাইয়া। সেই বগুড়া থেকে। গিয়েছিলাম মেইনলি মুজিবনগর।তার আগে ওখানে যাত্রা বিরতি ছিল।
আমি কখনো নীল কুঠিতে যাইনি। আপনার পোস্টগুলোর মাধ্যমে নীলকুঠি সম্পর্কে খুব ভালো একটি ধারণা পেলাম। আপনার পোষ্টটি পড়ে মনে হচ্ছে আমি যেন নীল ঘুরে আসলাম।তিনটা মাটির হাড়ি দেখতে পেলাম। হাড়িগুলো এখন দেখতে পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে এই হাড়িগুলো অনেক দিন আগেকার তাই বর্তমানে সময় আর দেখতে পাওয়া যায় না
নীলকুঠিতে যাওয়ার আমার ভীষণ ইচ্ছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। আপনি তো দেখছি বেশ সুন্দর একটা মৃৎশিল্পের জায়গায় গিয়েছেন। বিশেষ করে মৃৎশিল্প দেখতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। সেখানে আবার দেড়শ বছর আগের জিনিস রয়েছে এটা শুনে তো অবাক লাগলো। এর আগে আমি একটা মৃৎশিল্পের জায়গায় গিয়েছিলাম সেখানে প্রায় বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দেখেছি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে আরো কিছু দেখতে পেলাম ভীষণ ভালো লাগলো।
দেরি করিয়েন না আপু আপনার আশেপাশে অবস্থিত যে কোন একটা নীলকুঠি ঘুরে আসুন
বাড়ির কাছে থেকেই যদি আপনি আমঝুপি নীলকুঠি ভ্রমণ না করে আসেন তাহলে কেমন হবে বলেন
মামা আমি অনেক আগেই গেছে আমঝুপি নীলকুঠিতে কিন্তু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আরো ভালোভাবে সুযোগ পেলাম আমি কিছু জিনিস দেখার। ঠিক বলেছেন মামা আপনি আম ঝুপি নীলকুঠিতে অনেক আদি যুগের জিনিস সংরক্ষণ করে রাখা রয়েছে সেগুলো গেলে দেখা যায়। পোড়ামাটির আদি যুগের জিনিস হলেও যদি ভেঙে যায় তাও খুব সুন্দর ভাবে সংরক্ষণ করে রাখা থাকে সেখানে। ধন্যবাদ মামা আদি যুগের কিছু জিনিস আবারো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আসলে প্রত্যেকটি ঘর প্রতিদিন খোলা থাকে না তাই আমরা সেখানে ভ্রমণে গেলেও সবগুলো জিনিস একত্রিত ভাবে দেখতে পারে না
আপনার ভ্রমণ গল্পটির মাধ্যমে আমার না দেখা না জানা জিনিসগুলো আপনার মাধ্যমে অনেক সুন্দর ভাবে দেখতে পারতেছি। আপনি সেগুলোকে সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে তুলে ধরা পাশাপাশি অনেক সুন্দর ভাবে উপন্যাস গুলো উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি পুরাতন সময়ের বিভিন্ন জিনিস আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে
আপনার নীলকুঠি ভ্রমন এর পোস্ট দেখে আমার ও সেখানে যেতে খুবই ইচ্ছা করছে। পুরাতন নিদর্শন দেখতে খুবই ভালো লাগে। বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে অনেক ইতিহাস জানা যায় এ কারণেই আমার ভালো লাগে। এটা জেনে অবাক হলাম যে ভেঙে যাওয়া জিনিসগুলো এখানে সংগ্রহ করা হয়েছে।
যদিও জিনিসগুলো ভেঙ্গে গিয়েছে তারপরও সেগুলো পুরাতন হবার কারণে সংরক্ষণ করা হয়েছে