দীর্ঘ একটি ভ্রমনকাহিনী||১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য ||
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বুধবার ,ফেব্রুয়ারি ১৬/২০২২
আচ্ছালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা অনেক ভাল আছেন। আমিও অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে দীর্ঘ একটি ভ্রমনকাহিনী কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব।
![Screenshot_2022-02-16-12-09-08-94_3d9111e2d3171bf4882369f490c087b4.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeibAGfdHXqYnFXrU4oEp75XJXGafC1gadgXkVGD4Z9V2/Screenshot_2022-02-16-12-09-08-94_3d9111e2d3171bf4882369f490c087b4.jpg)
ভ্রমনের সূচনা |
---|
ভ্রমনের শুরুটা করেছিলাম আমাদের থানা শহর গাংনী থেকে। এটি খুলনা বিভাগের মেহেরপুর জেলায় অবস্থিত। আমিও ভ্রমণ করতে হবে এই কথাটা ভেবে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ঘুম থেকে ওঠার পরে খাওয়া-দাওয়া করে আমি চলে এলাম আমাদের থানা শহরের উদ্দেশ্যে। কারণ ঢাকার উদ্দেশ্যে আমি যেই বাসের টিকিট ক্রয় করেছিলাম সেটি সকাল ৮ঃ১৫ মিনিট এ গাংনী থেকে ছেড়ে চলে যাবে।আমি যে বাস এর টিকিট ক্রয় করেছিলাম তার নাম ছিল শ্যামলী পরিবহন।কিন্তু দুঃখের বিষয় একটাই ঢাকা পর্যন্ত আসতে আমার ১১ ঘন্টা সময় লেগেছিল। ২৭৭ কিলোমিটার এই ভ্রমনে আমার যেখানে সময় লাগার কথা ছিল ৭-৮ ঘন্টা।
![]() | ![]() |
---|
ভ্রমনের কিছু মুহূর্ত |
---|
সকাল ১১ঃ৩৮ মিনিট এ পৌঁছে গিয়েছিলাম লালন শাহ সেতু টোল প্লাজায়।এখানে সুন্দর একটা ব্রিজ রয়েছে যা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নামে পরিচিত।এটির নাম করন করা হয়েছে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের নাম অনুসারে। এটি সাধারণত একটি রেল সেতু। বাংলাদেশের সবথেকে বড় রেল সেতু হিসেবে আমরা এটাকে চিনে থাকি।
আমি দীর্ঘদিন যাবৎ এই ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করি কিন্তু আজকে আমার কাছে অন্যরকম একটি ঘটনা ঘটেছে ব্রিজের উপর। এত বছরের মধ্যে আজকে আমি প্রথমেই সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করতে দেখতে পেলাম। কারণ আমি যে সময়ে এই সেতু অতিক্রম করি তখন এই সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করে না। কিন্তু ভাগ্যের সাক্ষী হয়ে দাঁড়ালো আজকের এই দিনটি।
দুপুর ১২ঃ০৩ মিনিট এ পৌঁছে গিয়েছিলাম নাটোর জেলার মধ্যে। এটি বাংলাদেশের সুপরিচিত একটি জেলা। নাটোরের কাঁচাগোল্লা এর জন্য এটি অনেক বিখ্যাত।
নাটোরে বাস কিছু সময়ের জন্য থামল তখনই দেখতে পেলাম কিছু বরই বিক্রেতা বরই বিক্রয় করছে। তারা বরই বিক্রয় করার জন্য বাসের মধ্যে চলে আসলো। আমি তাদের কাছ থেকে ৫০ টাকা দিয়ে এক ব্যাগ বরই কিনে নিলাম। সত্য কথা বলতে এই বরই এগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল।
দুপুর ১ঃ৩৩ মিনিটে আমরা পৌছে গেলাম সিরাজগঞ্জে। সেখানে আমাদের বাস ২০ মিনিটের জন্য বিরতি প্রদান করল। তাই সকল যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পড়ল এবং তারা সেখানে হালকা খাবার গ্রহণ করল।
যমুনা সেতুর উপর থেকে তৈরি করা ভিডিও
দুপুর ২ঃ৪৭ মিনিটে পৌঁছে গিয়েছিলাম যমুনা সেতুর উপর। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সব থেকে বড় সেতু। একইসাথে এই সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন এবং রেল চলাচলের জন্য রাস্তা রয়েছে। আমি যখন এই যমুনা সেতুর উপর দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন কিছু ছবি ধারণ করেছি এবং সাথে একটি ভিডিও তৈরি করেছি আপনাদের দেখানোর জন্য।
সন্ধ্যা ৬ঃ১৬ মিনিটে পৌঁছে গিয়েছিলাম ব্যস্ততম নগরী ঢাকাতে। রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল যার পরিপ্রেক্ষিতে আমার ভ্রমণের সময় অনেক বেশি হয়ে গেছে।
সারাদিন বাসের মধ্যে থাকার কারণে অনেক ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল। তাই বাস থেকে নামার পর আমি একটি রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম এবং সেখানে যেয়ে একটি মোগলাই অর্ডার দিলাম। মোগলাই টি কেমন হয়েছিল জানিনা কিন্তু অনেক ক্ষুধা লেগে যাওয়ার ফলে খুব ভালো লাগছিল। এভাবেই শেষ হলো আমার আজকের পুরো ভ্রমনটি।
শ্রেণী | দীর্ঘ একটি ভ্রমনকাহিনী |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @mostafezur001 |
লোকেশন | গাংনী থেকে ঢাকা |
টুইটার শেয়ার লিংক