পহেলা জানুয়ারি বই উৎসব উদযাপন
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। গতকাল ছিল পহেলা জানুয়ারি আর পহেলা জানুয়ারি মানেই বই উৎসব। বাংলাদেশের সরকার পহেলা জানুয়ারিকে বই উৎসব হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। এজন্য প্রত্যেকটি স্কুলে আগে থেকেই সরকারি বইগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যেহেতু এবার আমাদের দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তাই আগে থেকেই নতুন বই স্কুলে স্কুলে পৌঁছে গিয়েছে। যদিও অন্য বছরে তুলনায় এ বছর স্কুলগুলোতে বইয়ের সংখ্যা কিছুটা কম এসেছে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি আমাদের এলাকাতে যে সকল স্কুলগুলো রয়েছে সেই স্কুলগুলোর প্রত্যেকটি এবার ৫০% মতো বই পেয়েছে। অর্থাৎ এখনো বাকি অর্ধেক ছাত্রছাত্রীরা বই হাতে পায়নি। যতদূর জানতে পেরেছি বাকি বইগুলো নির্বাচনের পরে স্কুলগুলোতে পৌঁছে দেয়া হবে।
যেহেতু আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আমরা পঞ্চাশ পার্সেন্ট বই হাতে পেয়েছি তাই এই বই দিয়েই আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বই বিতরণের উৎসব পালন করলাম। যদিও বউয়ের সংখ্যা অর্ধেক দিয়েছে তারপরও আমরা চেষ্টা করলাম সকলকে বই দিতে। এমন করতে যেয়ে অনেকেই তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক বই পেয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি বইয়ের সংখ্যা কম পেলেও যেন সকলে বই পায় সেই দিকটাতে লক্ষ্য রাখতে। আর কোন শিক্ষার্থীর কোন বইগুলো এখনো হাতে পায়নি সেগুলো আমরা আগে থেকেই ভালোভাবে নোট করে রেখেছি যেন পরবর্তী সময়ে যখন স্কুলে বই আসবে তাদেরকে সঠিক ভাবে বই দিতে পারি। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি ছাত্রছাত্রীরা নতুন বই হাতে পাবার পরে অনেক খুশি হয়েছে।
যখন আমি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নতুন বই দিচ্ছিলাম ঠিক সেই সময় আমার নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। মনে পড়ে গিয়েছিল এই সময়টাতে আমরা কতটা খুশি থাকতাম। আমার খুব ভালোভাবে মনে আছে যখন আমরা নতুন বই হাতে পেতাম আর নতুন বইয়ে একটা সুন্দর সুগন্ধ থাকে। আমি সেই সুগন্ধ বারবার অনুভব করার চেষ্টা করতাম। জানিনা এখনকার ছাত্রছাত্রীরা সেই নতুন বইয়ের সুগন্ধ অনুভব করে কিনা।
ছোটবেলায় নতুন বই হাতে পাবার অনুভূতি আপনাদের কেমন ছিল তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
আপনার পোস্টটি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। যখন স্কুলে পড়তাম জানুয়ারি মাসের 1 তারিখে স্কুলে গিয়ে ভিড় জমাতাম বই নেওয়ার জন্য। নতুন বই নেওয়ার আনন্দটা অনেক বেশি। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া ১ তারিখে আসলেই যেন আমরা স্কুলে ভিড় জমাতাম বই সংগ্রহ করার জন্য।
যখন স্কুলে পড়তাম তখন নতুন বই পাওয়ার অনুভূতিটাই অন্যরকম। বই পাওয়ার পরে সেই বই বারবার দেখতাম সত্যিই ভালো লাগা কাজ করত। সেই দিনগুলো মিস করি । আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেল। খুবই ভালো লেগেছে আপনার বই উৎসবের দৃশ্য দেখে।
আমি তো সবার আগে এই দিনেই স্কুলে পৌঁছে যেতাম বই নেবার জন্য।
বেশ ভালো লাগলো অনেকদিন পর ছাত্র-ছাত্রীদের মুখ দেখতে পারলাম। পাশাপাশি তারা নতুন বই পেয়েছে এই আনন্দে হাত তুলে বই দেখাচ্ছে। দোয়া করি সবাই যেন ভালোভাবে লেখাপড়া শিখতে পারে এবং মানুষের মত মানুষ হয়।
আসলেই ছাত্রছাত্রীরা নতুন বই হাতে পেয়ে প্রচুর পরিমাণে খুশি হয়েছে।
আমাদের এখানেও বই দেয়া শুরু হয়ে গেছে, স্কুলে থাকতে এই দিনগুলো মিস করতাম না নতুন বই পাওয়ার আশায়, এখন ছোটরাও দেখি খুব আনন্দ উল্লাস করে নতুন বই পাওয়ার খুশিতে।
আসলে ভাইয়া শুধুমাত্র আপনাদের জায়গাতে নয় সব জায়গাতেই বছরের প্রথম দিনে বই দেয়া হয়।
পহেলা জানুয়ারির বই উৎসবটা খুবই ভালো লাগে। সেই দিন বাচ্চারা নতুন বই পেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়। তবে বই কম পাওয়ার কারণ হয়তো নির্বাচনের ব্যস্ততার কারণে। আশা করি সবাই নতুন বই পাবেন নির্বাচনের পরে। আপনি অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
ভেবেছিলাম নির্বাচনের পরে বাকি বই দিতে পারব কিন্তু আজকে আবার চলে এসেছি বই সংগ্রহ করার জন্য।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে পহেলা জানুয়ারি তেই আপনারা শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পেরেছেন যদিও প্রতিবছর পহেলা জানুয়ারিতেই বই দিয়ে দেওয়া হয়। তবে এবছর বই কোন আশায় আপনারা সেই বইগুলো সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে ভাগ করে দিয়েছেন জানতেই ভালো লাগছে। ছোটবেলায় এরকম ভাবে আমরাও বই নিতাম সেই মুহূর্তটা সত্যিই অসাধারণ ছিল যা কখনো বর্ণনা করার মত নয়। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে বই উৎসব উদযাপন শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাইয়া এটা তো বাংলাদেশের জাতীয় সরকার নির্ধারণ করেই দিয়েছে যে পহেলা জানুয়ারি বই দেয়া হবে।
ছোট বেলায় আমিও যখন নতুন বই হাতে পেতাম আমিও অনেক খুশি হতাম আপনার ছাত্রছাত্রীদের মত।
এই কাজটি আমিও সব সময় করতাম ভাই। আপনার পোস্ট টি পড়তে গিয়ে সেই কথা গুলো আমারও মনে পড়ে যাচ্ছিল।