ভিডিওগ্রাফিঃ একুরিয়াম জগতের অন্যতম ছোট আকৃতির মাছ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনারা হয়তোবা অনেকেই জানেন যে রঙিন মাছের প্রতি আমার একটা অন্য রকমের আকর্ষণ রয়েছে। যেহেতু আমি রঙিন মাছের একটা খামার দিয়েছি তাই যেখানেই রঙিন মাছের খামারের কথা শুনে সেখানে ভ্রমণ করতে চলে যাই। এইতো কিছুদিন আগে আমি ঢাকাতে ছিলাম হঠাৎ ফেসবুকে একটা পোষ্টের মাধ্যমে একটা রঙিন মাছের খামারের সন্ধান পেলাম। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম যে খামারটা আমার পার্শ্ববর্তী এলাকাতেই অবস্থিত। যেহেতু আমার পার্শ্ববর্তী এলাকাতেই রঙিন মাছের এই খামারটি অবস্থিত তাই আমি আর দেরি করলাম না। ফেসবুক আইডিতে সেই ভাইয়াকে এসএমএস দিলাম যে আমি তার খামাটা ভ্রমণ করতে চাই যদি তিনি আমাকে সুযোগ দেয়। কথাটি বলার পরে এই দেখলাম ভাইয়া রাজি হয়ে গেল আর বলল আজকে বিকেলেই চলে আসতে। তাই আমি আর দেরি করলাম না আমার একটা বন্ধুকে নিয়ে চলে গেলাম ভাইয়ার রঙিন মাছের খামার ভ্রমণ করতে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একুরিয়াম জগতের খুবই ছোট আকৃতির একটা মাছের ভিডিওগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আপনারা হয়তোবা আমার টাইটেল দেখে বুঝেই ফেলেছেন যে মাছটির নাম কি। এই মাছটি একুরিয়াম জগতের খুবই ছোট আকৃতির একটা মাছ। কিন্তু ও আকৃতিতে ছোট হলেও দামের দিকে কিন্তু এই মাছটা অন্য কোন মাছের থেকে কম নয়। এই মাসটি বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে। প্রজাতি ভেদে এবং সৌন্দর্য ভেদে এই মাছের দাম অনেক বৃদ্ধি পায়।
গাপ্পি মাছের সব থেকে মজার একটা বিষয় হচ্ছে এরা সরাসরি বাচ্চা দিতে পারে। আর সব থেকে ভয়ংকর একটা বিষয় হচ্ছে এরা নিজেদের বাচ্চা নিজেরাই খেয়ে ফেলে। যদিও এরা নিজেদের বাচ্চা নিজেরা খেয়ে ফেলে তারপরও এদের উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি। একটি মাছ একই সাথে ৩০ থেকে ৪০ টির উপরে বাচ্চা দিতে সক্ষম হয়। আমার নিজের বাড়িতেও বেশ কয়েক প্রজাতির গাপ্পি মাছ রয়েছে। এই মাছগুলো যখন একুরিয়ামের মধ্যে রাখা হয় এবং সেই একুরিয়ামে লাইটিং করা হয় তখন এগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে।
আমার শেয়ার করা গাপ্পি মাছের এই ভিডিওগ্রাফি টা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
এই রঙিন মাছগুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে।
আমার নিজের একটা মাছের একুরিয়াম রয়েছে এবং তাদের বেশ যত্ন সহকারে রাখি। আপনি ফেসবুকে ঠিকানা যোগার করে ওখানে চলে গেলেন, দারুন ব্যাপার। আপনার এই ছোট ছোট মাছগুলোর ভিডিওগ্রাফী বেশ ভালো লেগেছে আমার। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার পোস্টটি গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
এটা যেন আমার কাছে একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে ভাইয়া যখনই অন্য জায়গায় রঙিন মাছের খামারের কথা শুনি সেখানে ভ্রমণ করতে চলে যাই।
একুরিয়াম আমার অনেক পছন্দের। আর একুরিয়াম এম যে মাছগুলো থাকে সেগুলোকে আমি অনেক বেশি পরিমাণে ভালবাসি। আর আজকে যেভাবে আপনি এর ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করেছেন এর দিকে আমার সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করছে।
শুনেছি এ ধরনের মাছ গুলোর অনেক দাম। তবে দাম যাই হোক না কেন দেখতে কিন্তু বেশ চমৎকার। আপনার শেয়ার করা ভিডিওগ্রাফিতে এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। তবে এই মাছের নামটিও খুব সুন্দর গাপ্পি মাছ।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন একুরিয়াম জগতের অন্যতম ছোট আকৃতির মাছের ভিডিওগ্রাফি। আপনার শেয়ার করা ভিডিওগ্রাফি সত্যি আমার কাছে দেখতে বেশ দারুন লেগেছে। আসলে এত ছোট আকৃতির মাছগুলো যেভাবে বেড়াচ্ছে পানির মধ্যে দেখতে বেশ অসাধারণ।গাপ্পি মাছের ভিডিওগ্রাফি সত্যি বেশ দারুন ছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এই মাছগুলো আকৃতিতে ছোট হলেও এর দামের দিকটা অনেক বড় হয়ে থাকে।