ভ্রমণঃ ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি ভ্রমণ প্রথম পর্ব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। ঘোরাঘুরি করতে আমার অনেক ভালো লাগে তাই তো চেষ্টা করি সব সময় পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে। এইতো কিছুদিন আগের কথা আমরা ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম ঝিনাইদহ জেলার ড্রিম ভ্যালি পার্কে। যেহেতু আমাদের এলাকা থেকে ঝিনাইদহ প্রায়ই ৭০ কিলোমিটার দূরে তাই আমরা সকাল সকাল রওনা দিয়েছিলাম। আসলে আমরা যেদিন আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে ক্যাডেট কলেজের পরীক্ষা দেওয়ানোর জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম মূলত সেই দিনই আমরা ড্রিম ভ্যালি পার্ক ভ্রমণ করেছিলাম। তাই এই ভ্রমণের সময় আমাদের স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক, যে সকল ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে তারা এবং তাদের অভিভাবকেরা সাথেই ছিল। যেহেতু আমরা অনেকজন একসাথে ছিলাম তাই অনেক মজা করেছিলাম ড্রিম ভ্যালি পার্কে। সেই বিষয়গুলোই আমি আপনাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে পোস্ট আকারে শেয়ার করব।
ড্রিম ভ্যালি পার্কে প্রবেশ করতে হলে টিকিট কাটার প্রয়োজন পড়ে। যেহেতু আমরা অনেকজন ছিলাম তাই আমাদের সকলের প্রিয় সুমন স্যারকে পাঠিয়ে দিলাম টিকিট ক্রয় করার জন্য। তিনি আমাদের জন্য টিকিট ক্রয় করে নিয়ে আসলেন এবং সেই টিকিট দেখেই আমরা ভিতরে প্রবেশ করতে শুরু করলাম।
ড্রিম ভ্যালি পার্কে প্রবেশের সময় আমার কাছে যে জিনিসটা সবথেকে বেশি ভালো লেগেছিল সেটি হচ্ছে পার্কের প্রবেশ মুখের অঙ্কন করা একটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চিত্র। সেখানে খুবই চমৎকারভাবে একটি নদী কেন্দ্রিক গ্রামের দৃশ্য অংকন করা রয়েছে। আর ঠিক সেখানেই একটা ছোট্ট আকৃতির বাঁশ বাগানের চিত্র অঙ্কন করা রয়েছে। দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্য এই চিত্রটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে আমি মনে করি।
যেহেতু এই পার্কের প্রবেশ করতে করতে আমাদের প্রায় দুপুর পার হয়ে গিয়েছিল তাই সেখানে অনেক মানুষের সমাগম আগে থেকেই উপস্থিত ছিল। আমরা পার্কে প্রবেশ করেই দেখতে পেলাম প্রচুর পরিমাণে মানুষ পার্কের মধ্যে ঘোরাঘুরি করছে এবং পার্কের সৌন্দর্য উপভোগ করছে।
পার্টি যেহেতু অনেকটাই শিশু পার্কের মতো তাই সেখানে অনেক ধরনের খেলাধুলার ব্যবস্থা করা রয়েছে। আসলে বর্তমান সময়ে যে সকল পার্কগুলো তৈরি করা হয় সেখানে এই ধরনের সামগ্রী সব থেকে বেশি রাখা হয়। এই জিনিসগুলো দুইটা দিক রয়েছে একটা দর্শনার্থীদের জন্য এবং অন্যটি পার্ক মালিকদের জন্য। দর্শনার্থীরা এই ধরনের জিনিসগুলোতে রাইড করতে পারে সাথে মজা পাই এবং মালিকপক্ষ এই জিনিসগুলো থেকে যে টাকা উপার্জন হয় তা দিয়ে বাড়তি উপার্জন এর সুযোগ পায়।
যেহেতু আমরা শুক্রবারে ছুটির দিনে গিয়াছিলাম তাই বেশিরভাগ রাইড বন্ধ ছিল। তারপরও আমরা চাইলেও এগুলোতে ওঠার মত সুযোগ পেতাম না কেননা আমাদের হাতে খুব একটা বেশি সময় ছিল না। যেহেতু আমরা অন্য কাজে সেখানে গিয়েছিলাম তাই আমাদের খুব তাড়াতাড়ি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে আর একে তো দুপুর পার হয়ে গিয়েছে।
ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালিতে আমার ভ্রমণের বাকি বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে পরবর্তী সময়ে পোস্ট আকারে শেয়ার করব। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য।
শ্রেণী | ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি ভ্রমণ প্রথম পর্ব |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @mostafezur001 |
লোকেশন | ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি |
W3W | https://w3w.co/elevated.wins.profound |
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
ঝিনাইদহ এর সোহানস ড্রিন ভ্যালি পার্ক টা মোটামুটি দারুন আমি ২০২১ এ গিয়েছিলাম বেশ ভাল লাগছিলো আপনার পোস্ট থেকে আপডেট জানতে পারবো ঘুরাঘুরি করুন মন খুলে শুভ কামনা।
এখন আরো সুন্দর হয়ে গিয়েছে ভাইয়া। অনেক জিনিস যুক্ত করা হয়েছে এখনকার ড্রিম ভ্যালিতে।
বছর তিনেক আগে যখন কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করতাম তখন বন্ধুদের সাথে গিয়েছিলাম ঝিনাইদাহ সোহান ড্রিম ভ্যালি পার্কে। এই পার্কে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাই। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এখন জায়গাটা দেখতে আরো সুন্দর হয়ে গিয়েছে ভাইয়া।
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি ভ্রমণের প্রথম পর্ব। আসলে এই পার্কে আমি অনেকদিন আগে গিয়েছিলাম। আমি যখন অনেক ছোট ছিলাম সম্ভবত ২০১৯ সালের দিকে। আসলে পার্টি দেখতে বেশ দারুন ছিল সেই সময়। এই পার্কে আপনারা বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সেই সময়টাতে এই ড্রিম ভ্যালি পার্ক দেখতে এতটা সুন্দর ছিল না।