ছোট গল্প " একটি ভয়ঙ্কর কালো রাত :- ০২
আসসালমুআলাইকুম আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন।
আমি একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নিচের গল্পটি রচনা
করতে যাচ্ছি। এটি আমার জীবনের ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনা। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রথম পর্বের পরের....
আমার কথা মত সোহাগ রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলো। কিছুক্ষন পর আমার সাথে সোহাগের দেখা হয়ে গেলো। সোহাগ জিজ্ঞাসা করলো রাস্তায় কোনো সমস্যা হয়নিতো। আমি বললাম না রাস্তায় কোনো রকম সমস্যা হয়নি। সোহাগ আমায় বাসায় নিয়ে গেলো। সোহাগ বলল আমি এখনো খাওয়া দাওয়া করিনি তোর জন্য অপেক্ষা করতে ছিলাম।
তারপর আমরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে। কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে নিলাম। সোহাগ বলল চল আমরা দুজন একটু বাহিরে ঘুরে আসি। আমি সম্মতি দিলাম ঠিক আছে চলো। সোহাগদের বাড়ীর সামনে একটি মসজিদ ছিল। মসজিদের সাইটে একটি ফাঁকা জায়গা ছিল সেখানে কিছু খর বিছিয়ে বসে পড়লাম।
তারপর আমরা কিছু ব্যক্তিগত ও পরীক্ষা বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম। হঠাৎ আমার ফোনটি বেজে উঠলো। ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার ফোন দিয়েছে। আমি ফোনটা ধরলাম মা বলল তোমাকে তারা তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে হবে। আমি মাকে জিজ্ঞাসা করলাম কেন? মা বলল তোমার ছোট বোন অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে হঠাৎ করে।
আমি সোহাগকে আমাকে এখন যেতে হবে। আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত প্রায় ১২ টা বেশি বেজে গেছে। সোহাগ বলল আমি একটু তোকে এগিয়ে দিয়ে আসবো। আমি বললাম না আমি যেতে পারব।
আমি সোহাগের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে হাটা শুরু করলাম। জোস্নার আলোর জন্য রাস্তাটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল। আমার কাছে মোবাইলের টস লাইট ছিল কিন্তু প্রয়োজন ছিলনা। আমি সবকিছুই জোস্নার আলোর জন্য পরিষ্কার দেখতে পারছিলাম।
আমি একটু ভয় পাচ্ছিলাম কারন রাস্তার দুই পাশে ঘন জঙ্গল ছিল। আমাকে যেনো কোনো জীব জন্তু কামড় না দেয়। এমনকি রাস্তায় কোন মানুষ ছিলো না নিরব নিস্তব্ধ চারিদিক।
জোরে জোরে হাঁটতে ছিলাম। আমি দূর থেকে দেখতে পাচ্ছিলাম বট গাছটি। তখন আমার আচমকা শরীর শিউরে উঠলো। বট গাছটি সম্পর্কে যা শুনেছিলাম সবকিছু যেনো মাথায় ঢুকে গেল।
আমি বট গাছের দিকে তাকিয়ে আছি আর হাটতেছি।
গাছটির একটু কাছ কাছি যাওয়ার পর তাকিয়ে দেখি,
একটি বাদুর পাখি মত দেখতে গাছ থেকে নিচে নামলো। আমি গাছের নিচের তাকিয়ে দেখি মানুষের চেয়ে অনেক লম্বা কিছু একটা দাড়িয়ে আছে দেখতে কালো। কিন্তু আমি সেই বস্তুটির মাথা এবং পা দেখতে পাচ্ছিলাম না। সেই বস্তুটির কিছু একটা দিয়ে রাস্তা আটকিয়ে দিয়েছে।
আমি দাঁড়িয়ে পড়লাম আমার হাত পা আসতে আসতে অবশ হয়ে পড়েছে। আমি মনে মনে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকছিলাম। আমি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারছিনা। আবার পিছে ঘুড়তে পারছি না। আমার মনে হচ্ছিল সে আমাকে দেখে ফেলেছে। হটাৎ দেখি সেই কালো বস্তুটি রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে।
আমি চিৎকার দেয়ার মত শক্তি হারিয়ে ফেলেছি। আমার গলা শুখিয়ে যাচ্ছে। আমি সৃষ্টিকর্তাকে ডাকতেছি আর বলতেছি আজকের মত আমাকে রক্ষা করো। আমি ভাবতেছি সামনের দিকে এগিয়ে যাবো নাকি পিছে ফিরে যাবো। আমার জন্য কোনটা ভালো হবে।
আমার হাতে বেশি সময় ছিল না।
সেই বস্তুটি আমার দিকে এগিয়ে আসতেছে। আমি কোন কিছু না ভেবে কিছুটা সাহস নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এমন সময় সৃষ্টিকর্তা রহমতে একটি অ্যাম্বলেন্স গাড়ির হর্ণ বাজিয়ে আসতেছে। বস্তুটি দ্রুত বেগে আমার একটা আওয়াজ দিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল। আওয়াজ টা এরকম ছিল আজ বেঁচে গেলি।
আমি কিছুটা সাহস পেয়ে দ্রুত করে বট গাছটি পার করে দৌরে বাসায় চলে গেলাম। মাকে সব কিছু খোলে বললাম। মা আমাকে গোসল করতে বললো। আমি গোসল করে মা গরম পানি খাওয়ালেন তার বিশ্রাম নিতে বললেন। আমার চোখের সামনে দৃশ্যটি ভেসে ওঠেছে ।
পরের দিন সকাল থেকে খুব জ্বর ছিলো বিছানা থেকে উঠতে পারছিলাম না। তারপর মা আমাকে এক হুজুরের কাছে নিয়ে যায়। এক সপ্তাহ আমার জ্বর ছিলো। তারপর আমি আসতে আসতে সুস্থ হয়ে উঠি।
আমি আজও ভুলতে পারিনি সেই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি।
[শেষ]
বি দ্রঃ এই ঘটনাটি আমার সাথে ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনা। এই গল্পটি বিশ্বাস করাটা আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম। ধন্যবাদ সবাইকে
এ সমস্ত ঘটনাগুলো অনেকে পড়তে চায় না কিন্তু আমার কাছে পড়তে খুবই ভালো লাগে। কারণ আমি মনে করি এই ঘটনার মধ্যে রয়েছে অনেক শিক্ষনীয় বিষয়। ইহা আমাদের ভবিষ্যতের উপকারে আসে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে । আপনার কথা গুলো শুনে আমার উৎসাহ বেড়ে গেল।
এমন ঘটনা গ্রামে অনেকের সাথেই ঘটে। এই ঘটনা শহরের লোকেরা বিশ্বাস করবে না। আমিও এরকম ঘটনার ইঙ্গিত পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ হেফাজত কারেছেন।