ভালোবাসার গল্প: ব্যর্থ ভালোবাসা|| পর্ব ৩

আমার সকল প্রিয় ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি সৃষ্টিকর্তা অসীম রহমতে সবাই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভাল আছি। আপনারা সবসময় ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন এটাই আমার কামনা।

সোর্স

দ্বিতীয় পর্বের পর....

নদী কাছ থেকে কোন উত্তর পেলোনা সজীব। নদী হেঁটেই চলেছে সজীব নদীকে আবার বলল, একটু দাঁড়াও নদী। নদী এবার উত্তরে বলল, আপনি আমার পিছে আসবেন দয়া করে। আমি একটু অবাক হলাম নদীর কথা শুনে। সজীব দাড়িয়ে পরে আমি কাছে।আমরা নদীর কাছ থেকে এমন উত্তর আশা করিনি। আমি সজীবকে সান্তনা দিয়ে বললাম কিছু মনে করিস না। হয়তো নদীর পরিচিত কেউ ছিল আশে পাশে। তাই এমন উত্তর দিয়েছে, বিষয়টা নিয়ে পরে ভাবা যাবে। চল আমরা চলে যায়।

আমি সজীবের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। কিন্তু সজীব কোনো উত্তর দিচ্ছে না। আমার মনে হচ্ছে সজীব নদীর এই এরকম আচরণ মানতে পারছে না।
আমি আবার জিজ্ঞেসা করলাম এই বিষয় নিয়ে তুই কি ভাবছিস। সজীব বলল, হয়তো নদীর করো সাথে সম্পর্ক রয়েছে। আমি বললাম তুই যেটা ভাবছিস সেটা নাও হতে পারে। হয়তো ভালোবাসার অনুভূতি নদীর মনে সৃষ্টি হয়নি এখনো। কারণ বয়স তো বেশি না। আমরা প্রয়োজনে নদীর বান্ধবীর কাছ থেকে জেনে নিবো। নদীর করো সাথে সম্পর্ক রয়েছে কি না। কাল স্কুলে ওর বান্ধবীর সাথে আমি কথা বলবো।

পরের দিন স্কুলে আমি নদীর বান্ধবীর সাথে দেখা করি। আমার সঙ্গে আমার এক ক্লাস মেট বান্ধবী ছিলো। আমি ওর মাধ্যমে নদীর বান্ধবীর সাথে আমার কথা হয়। নদীর বান্ধবীর নাম সীমা। সীমা আমাকে জানাই, নদীর করো সাথে সম্পর্ক নেই। তবে ওর বাবার ইচ্ছা একজন সরকারি চাকুরিজীবি ছেলের সাথে বিবাহ দিতে। আমি সীমাকে সব খুলে বললাম, সজীবের বিষয় টা নিয়ে। আমি সিমাকে অনুরোধ করলাম একটু হেল্প করতে। সীমা বললো, ভাইয়া আমি চেষ্টা করবো। আমি সীমার সাথে কথা বলে চলে আসলাম।

সজীব আমাকে জিজ্ঞেসা করলো, বন্ধু কি খবর। আমি বললাম নদীকে বিবাহ করতে হলে সরকারী চাকুরী করতে হবে। এটা নদীর বাবার ইচ্ছা। সজীব বলল, এটা কি ভাবে সম্ভব আমি চাকরী পেতে পেতে নদীর বিবাহ হয়ে যাবে। আমি বললাম, চিন্তা করিস না একবার সম্পর্ক হয়ে গেলে পরের টা পরে ভাবা যাবে। আমি সীমাকে বলেছি তোর প্রেমের সাহায্য করতে।
আশা করি ফলাফল ভালো পাবি। এভাবে কিছু দিন কেটে গেল। আমরা সীমার কাছ থেকে নদীর মনের গতি জনার চেষ্টা করতে থাকি। সজীব সীমাকে খুব অনুরোধ করে। সীমা সজীবকে জানাই, সে বুঝিয়ে বলেছে। নদী সময় নিয়েছে একটু ভাবার জন্য।

সীমার কথা শুনে সজীব একটু খুশী হল। আমি সজীবকে বললাম, প্রেমের বিষয়ে এতো অধর্য হওয়া যাবে না। একটু সময় তো দিতে হবে। সজীব বলল, বন্ধু আমি অপেক্ষা করবো। এভাবে আরো কিছু দিন কেটে গেল। একদিন সেই সময়টা এসে গেলো। সীমার এক বান্ধবীকে নিয়ে আমাদের সাথে দেখা করতে আসে। আমার স্কুলের শহীদ মিনারে পাশে বসে ছিলাম। সীমা আমাকে ডাকল আমি আর সজীব জিজ্ঞাসা করলাম। কোন সুখবর, সীমা একটু হাসলো বললো, ভাইয়া কাল বিকাল বেলায় নদী সজীব ভাইয়ের সাথে দেখা করতে চায়। আপনারা দুজন আমাদের বাড়ীতে আসবেন। এই বলে সীমা চলে গেল, সজীব আনন্দে আত্নহারা। যাবার সময় সীমা মজা করে বলে গেলো কাল মিষ্টি সাথে করে নিয়ে আসিয়েন।

🌹আমার পরিচয়🌹

ধন্যবাদ

@mosarofhosen