ভালোবাসার গল্প: ব্যর্থ ভালোবাসা|| পর্ব ৫

আমার সকল প্রিয় ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি সৃষ্টিকর্তা অসীম রহমতে সবাই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভাল আছি। আপনারা সবসময় ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন এটাই আমার কামনা।

সোর্স

৪র্থ পর্বের পর...

সজীব ও নদীর প্রেম রাগ ও অভিমানের মধ্যেই ভালো ভাবেই চলতে থাকে। সময় পেলেই টিফিনের সময় সজীব নদীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করে। এভাবেই প্রায় অনেক দিন কেটে যায়। আমরা এসএসসি পরীক্ষা দিলাম। আমাদের দুজনের পরীক্ষা মোটামুটি ভালো হলো। আমরা পরীক্ষা রেজাল্টের অপেক্ষায় আছি। রেজাল্ট ভালো হলে কে কোথায় ভর্তি হবে। সজীব সাইন্সের ছাত্র ছিল। আমি হিসাব বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম। সজীবদের আর্থিক অবস্থা মোটামুটি ভালো ছিল। ওর বাবা মার ইচ্ছা সজীবকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াতে। সজীব আমাকে বলল, বন্ধু আমার রেজাল্ট ভাল হলে আমাকে দূরে কোথাও ভর্তি হতে হবে। আমি বললাম, এটাতো ভালো খবর। তোর আর নদীর জন্য ভালো হবে।

সজীব বলল, বন্ধু তুই কোথায় ভর্তি হবি। আমি বললাম, জানিনা তবে আমি এখানেই থেকে যাবো মনে হয়। কারণ সেই সময় আমার আর্থিক অবস্থা বলছিলো না। সজীব বলল, নদীর সাথে কথা বলতে হবে। কারণ দূরে ভর্তি হলে নদীর সাথে যোগাযোগ খুব কম হবে। তোকে আর নদীকে ছাড়া থাকাটা আমার খুব কষ্ট হবে। আমি বললাম, জিবনে ভালো কিছু করতে হলে বা পেতে হলে প্রিয় মানুষকে কিছু সময়ের জন্য দূরে রাখতে হবে। যাইহোক আমাদের রেজাল্ট হলো। সজীব মোটামুটি ভালো রেজাল্ট করলো। আমারও রেজাল্ট মোটামুটি ভালোই হল। আমরা দুজনেই অনেক আনন্দিত। সজীব নদীকে আনন্দের খবর দেয়ার জন্য আমাকে বলল, বন্ধু চলো নদীর সাথে দেখা করে আসি। বললাম কাল স্কুলে দেখা করিস।

নদী সজীবের রেজাল্টের খবর শুনার পর খুব খুশি হলো। নদীও চাইতো সজীব যেনো ভালো কলেজে ভর্তি হতে। সজীব আমাদের জেলা শহরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হলো। আমি আমাদের কলেজেই ভর্তি হলাম। কারণ স্যারেরাও চাইতো আমরা যারা পাশ করেছি সবাই যেনো আমাদের কলেজেই থেকে যায়। সজীব প্রতি সপ্তাহে বাড়ীতে আসে। সজীব আর নদীর প্রেম এভাবেই চলতে থাকে। ওদের দুজনের প্রেম আরো গভীর হতে শুরু করে। সজীব মাঝে মাঝে বলে বন্ধু যতো দীন যাচ্ছে ততোই যেন চিন্তা বেড়ে যাচ্ছে। বললাম, চিন্তার কিছুই নেই। ভালো ভাবে পড় লেখা কর নদী তোর হবে ইনশাআল্লাহ্। এখন নদী তোকে অনেক ভালোবাসে। আমি দেখেছি তুই দূরে থাকলে দেখা হলেই তোর খুঁজ খবর রাখে।

সজীব আর আমার একটাই ভয় ছিল। কারণ নদীর বাবা খুব রাগি মানুষ, তিনি আর্মি অফিসার। তিনি সব সময় চাইতেন নদীকে একজন আর্মি ছেলের সাথে বিবাহ দিতে। এই ভয় টা সজীবকে কুড়ে কুড়ে খেতো। এই বিষয় টা নিয়ে নদীও ভয় পেত। কখন কি হয়ে যায়। কারণ নদীর বাবা নাকি মাঝে মাঝে বলে। নদীকে তার মতো এক অফিসারের সাথে বিবাহ দিতে। আমি সজীবকে বললাম, মাঝে মাঝে আর্মি নিয়োগ হলে লাইনে দাঁড়াতে। যদি ভাগ্য ক্রমে হয়ে যায়। কারণ সজীবের উচ্চতা বডি ফিটনেস ভালো ছিল। এভাবেই ওদের প্রেম চলতে থাকে। নদীর এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। নদীর পরীক্ষাও ভাল হয়। দেয়। নদী ভালো রেজাল্ট করে পাশ করে। নদী ভর্তি হয় আমাদের উপজেলায় মহিলা কলেজে। সেখান হোস্টেলে থেকে পড়া লেখা করে। সজীব মাঝে মাঝে এসে নদীর সাথে দেখা করে। এভাবেই ওদের প্রেম চলতে থাকলো। একদিন নদীর সাথে একটি ঘটনা ঘটে।

চলবে...

🌹আমার পরিচয়🌹

ধন্যবাদ

@mosarofhosen