সহকর্মীকে বিদায়, ১০% লাজুক শিয়ালকে
ধন্যবাদ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন । আপনারা সবাই ভালো থাকুন, হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে এই কামনা করি সব সময়।
বিদায় -বরণ সব জায়গায় আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী ক্ষেত্রে ব্যবসা দুনিয়ায় জন্ম মৃত্যু কোথায় নেই বিদায় -বরণ। বিদায় আর বরণ যেন জীবনের একই সূত্রে গাঁথা একটি ছাড়া ছাড়া অপরটি কল্পনা করা যায় না । বিদায় কারো জন্য আনন্দদায়ক আবার কোন সময় বেদনাদায়ক হয়। ইহা সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।
আমরা যারা কর্মস্থলে থাকি তারা এ বিষয়টি সহজে মেনে নেই। প্রকৃতির রঙ্গমঞ্চে একটি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার এক সহকর্মীকে বিদায়ের কিছু অভিজ্ঞতা। গত ০৪.০৩.২০২২ তারিখে সে আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নেয় নতুন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য। আমাদের মাঝে তিনি প্রায় এক বছর ছিলেন। তিনি একজন দক্ষ সহকর্মী ছিলেন । কখনো কারো সাথে রাগ করে কথা বলেননি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ খুব চমৎকার ভাবে সম্পন্ন করতেন। তিনি কথা কম বলতেন কিন্তু যা বলতেন তার মধ্যে সকল উত্তর পাওয়া যেত।
আসলে আমার জীবনটাই এমন। প্রতিনিয়ত আমাদের কত ধরনের মানুষের সাথে দেখা। যোগাযোগ। চলাফেরা। সময়ের আবর্তনে আজ তারা কোথায়। কোথায় আছে সে বাল্যকালের বন্ধুরা। হারিয়ে গেছে সবাই জীবন থেকে যার যার কর্ম স্থলে। সবাই ব্যস্ত নিজেদের নিয়ে। অনেকে আবার এই দুনিয়া ছেড়ে সৃষ্টিকর্তার নিকট চলে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুরা আজ কোথায়?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে তাদের সাথে যোগাযোগ রয়েছে, হাই হ্যালো বলা হয় কিছু অনুভূতি শেয়ার করা হয়। এটাই তো জীবন এটাই তো বাস্তবতা। মনে না চাইলেও তাকে মেনে নিতে হয়। এটাই প্রকৃতি।
কোথায় আজ সেই হাই স্কুলের বন্ধুরা কত স্বপ্নের নেয় জীবন কাটিয়েছি । একসাথে খেলাধুলা একসাথে স্কুলে যাওয়া কেউ ফিরিয়ে দেবেনা । মাঝে মাঝে মনে হয় কুতকুত খেলার মত থুক্কু দিয়ে জীবনটা যদি আবার নতুন করে শুরু করা যেত! তাহলে কত না আনন্দদায়ক হত । তা কি সম্ভব ? কখনোই না।
সহকর্মীর বিদায় বর্ণনা দিতে গিয়ে পেছনের জীবনে ফিরে গিয়েছিলাম। স্মৃতি সেতু বেদনা শুধু বড় কষ্টের। এই ভালো লাগা কিংবা মন্দ লাগা স্মৃতিকে নিয়েই আমরা বেঁচে আছি। যেখানে আমরা সবাই ভালো থাকার অভিনয় করছি।
দোয়া করবেন। ভালো থাকবেন । আবার নতুন কোন সহকর্মীর বিদায় বেলায় এধরনের লেখা নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হওয়ার আশা ব্যক্ত রেখে এখানেই শেষ করলাম।
যে ব্যক্তি এক বছর আপনাদের সাথে কাজ করেছে কিন্তু কখনো রাগ করেনি নিঃসন্দেহে বলা যায় তিনি খুব ভালো মনের একজন মানুষ। আপনার এই বিদায়ের পর্ব দেখে আমার স্কুল লাইফের বিদায়ের কথা মনে পড়ে গেল আসলেই সব জায়গা থেকে একদিন আমাদের বিদায় নিতে হবে। দিনশেষে একদিন দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হবে থেকে যাবে ভালোবাসা। এই ভালোবাসা গুলি চিরদিন অটুট থাকুক এই দোয়ায় করি।
সহকর্মীকে বিদায় সম্পর্কে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখছি। সে যেই শ্রেণির লোক ইই হোক কেন অনেক ধরে পাশে থাকলে তাকে বিদায় দেওয়াটা সত্যি অনেক কষ্টসাধ্য। সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
বিদায় জিনিসটা সবচেয়ে বড় বেদনা জনক। যখন যে জিনিসটা থাকে না যে জিনিসটার মূল্য সে না থাকার পরেই আমরা বুঝতে পারি আসলে সে কত কতটা মূল্যবান ছিল। এক বছর আপনাদের সাথে থাকার ফলে ও যিনি রাগ করেননি তিনি নিঃসন্দেহে একজন বড় মনের মানুষ। আমার পক্ষ থেকে তার জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন নিবেদিত করলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।