আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন। আপনার ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন অন্তরের অন্তস্থল এ প্রার্থনা করি সর্বদা। প্রচন্ড এ গরমে মাহে রমজানের দিনগুলোতে আপনারা সবাই নিশ্চয় কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন। আল্লাহর নামে শুরু করছি শুভ ভাইয়ের ছুড়ে দেওয়া
প্রতিযোগিতা- ১৫ , প্রতিযোগিতার বিষয়ঃ শেয়ার করো তোমার বানানো মজাদার ফলের জুস বা শরবত।
এই প্রতিযোগিতায় আমি একজন প্রতিযোগী। আমি বেলের শরবত তৈরীর প্রস্তুত প্রণালী এখানে শেয়ার করবো। এ গরমে যত রকম ফলের শরবত রয়েছে তার মধ্যে বেলের শরবত স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। ইংরেজিতে বেলকে উড আপেলও বলা হয়। এ কারণে এ প্রতিযোগিতায় বেলকে আমি বেছে নিয়েছি।
প্রচন্ড তাপদাহ, মাহে রমজান এবং শুভ ভাইয়ের প্রতিযোগিতা-
পহেলা বৈশাখ নববর্য উদযাপনের মাধ্যম গ্রীষ্মকালকে বরণ করে নেয়া হয়। যদিও গ্রীষ্মকাল এখনো আসেনি গরম কিন্তু পুরোদমে পরা শুরু করেছে। প্রচন্ড তাপদাহ আর কাকফাটা রোদ্দরে মানুষ ঘেমে একেকার। বিশেষ করে যারা কৃষক এবং গায়ে খেটে উপার্জন করে তাদেরতো বেহাল অবস্থা। শুষ্ক বাতাস আর ঘাম ঝরার কারণে সকল শ্রেণীর মানুষের বারবার তৃষ্ণা পাবে এটাই স্বাভাবিক। অন্যদিকে মাহে রমজান শুরু হয়ে গিয়েছে। সারাদিন অনাহারে থাকার কারণে এই গরমে মানুষ মারাত্বক তৃষ্ণার্ত হয়ে পরে। এ সকল তৃষ্ণার্ত মানুষের পিপাসা মেটাতে শরবত কিংবা জুসের কোন বিকল্প নাই। তাই সারাদিন রোজা রেখে ইফতারির সময় খাবার টেবিলের প্রধান আকর্ষণ হয় ফলের জুস কিংবা শরবত । সার্বিক দিক বিবেচনায় শুভ ভাই আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে মজাদার ফলের জুস বা শরবত তৈরির যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন তা খুবই সময়োপযোগী এবং একটি কালজয়ী সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের অনেক কিছু শিখার আছে। বিভিন্ন প্রতিযোগীদের শেয়ারকৃত আইটেমের মাধ্যমে আমরা শিখতে পারবো বিভিন্ন ফলের শরবত তৈরির প্রস্ততপ্রণালী। এরকম একটি প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য শুভ ভাই ও আমার বাংলা ব্লগকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমাকে ফলের যোগানদান-
আমার কয়েকজন গ্রাহক আছেন যারা বিভিন্ন সময়ে আমাকে ফরমালিনমুক্ত গাছের তাজা ফল সরবরাহ করেন। তেমনি একজন গ্রাহক জয়নাল ভাই। ঘরের পেছনে পুকুরপাড়ে তার একটি বেল গাছ রয়েছে। বেল আমার নিকট অনেক প্রিয় একটি ফল। বেলের শরবত আমার এবং আমার পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি পানীয়। মাস দুয়েক আগে যখন আমি তার একটি প্রজেক্ট দেখতে তার বাড়িতে যাই তখন পুকুর পাড়ে বেল গাছটি আমার চোখে পড়ে। গাছটিতে অনেক বেল ধরে আছে। তখন জয়নাল ভাইকে বলে রাখি আমাকে গাছের বেল খাওয়াতে হবে। বেল দিলে আমার নিকট হতে বেলের দাম নিতে হবে তবেই আমি আপনার বেল নেব এ কথা জয়নাল ভাইকে প্রথমেই বলে দেই। তারপর থেকে যখনই কোনো বেল গাছে পেকে পানিতে পড়তো তিনি তা আমার অফিসে নিয়ে আসতেন। আজকে যে বেলের শরবত প্রস্তুতপ্রণালী আপনাদের নিকট শেয়ার করবো তা তার দেওয়া গাছে পাকা একটি বেল নিয়ে।
এবার মূল আলোচনায় আশা যাক।
বেলের শরবতের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
আমি এখানে প্রদত্ত বেলের শরবত বানাতে যে উপকরণাদি ব্যবহার করেছি-
১. গাছে পাকা বেল
২. পানি
৩. দুধ (পানির ৪ভাগের ০১ ভাগ) ( দুধ না দিলেও সমস্যা নেই )
৪. চিনি প্রয়োজন মতো।
৫. লবণ প্রয়োজন মতো।
ধাপ-০১ঃ
প্রথমে বেলটি ভালভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেই।
ধাপ-০২ঃ
তারপর শক্ত কোন কিছু দিয়ে বেলটি ভেঙ্গে ০২ ভাগ করে নিলাম।
ধাপ-০৩ঃ
তারপর চামচ দিয়ে সব বেলকাই নামিয়ে একটি প্লেটে নিলাম।
ধাপ-০৪ঃ
সামান্য পানি যোগে হাত দিয়ে মাখিয়ে নরম করে নিলাম।
ধাপ-০৫ঃ
তারপর বেলের শাসগুলো বের করার জন্য একটু বেশি করে পানি দিয়ে একটি পাতিলে কিংবা পরিষ্কার কিছুতে রাখি। এখানে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যাতে বিচি গুলো থেতে না যায়। এটা অনেকটা মোলায়েমভাবে করতে হবে।
ধাপ-৬ঃ
তারপর ছাকুনি দিয়ে বেলের বিচি ও শাস আলাদা করে নেই ।
ধাপ-৭ঃ
বেলের বিচি ও শাস আলাদা করে একটি জগে নিলাম।
সর্বশেষ ধাপঃ
এবার জগের মধ্যে প্রয়োজন মতো দুধ , পানি, লবণ ও চিনির মিশিয়ে ভালো করে মিশিয়ে শরবত তৈরি করে ফেললাম। ইচ্ছে করলে আপনি ফ্রিজে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিতে পারেন। ব্যস হয়ে গেল বেলের শরবত!
এ গরমে কেন খাবেন বেলের শরবত-
বেল একটি রসালো ফল। বেলে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশিয়াম। পুষ্টিবিদেরা বলেন, এ গরমে রোজাদারদের সারাদিন অনাহারে থাকার কারণে শরীরে যে পানিস্বল্পতা হয়, তা দূর করতে বেলের শরবতের বিকল্প নেই। এক গ্লাস বেলের শরবত সারা দিনের ক্লান্তি মুছে শরীরকে সতেজ প্রাণচঞ্চল করে তুলে। বেল পেট পরিষ্কার রাখে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। বেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া বেলের আরো অনেক গুনাবলীর কথা বলা আছে।
লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
আমি মোঃ সাইদুর রহমান সরকার পেশায় একজন ব্যাংকার। হাই স্কুল জীবনে ছড়া, ছোট গল্প ও কবিতা লেখার হাতেখড়ি ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করেছি, তাই লেখালেখির কাজটি অবহ্যাত রাখতে পেরেছিলাম। বই পড়া এবং বই সংগ্রহ করতে আমার ভালো লাগে ।আমি জীবনে একজন ভালো মনের মানুষ এবং ভালো মানের একজন লেখক হতে চাই । এটা আমার সারা জীবনের স্বপ্ন। আমার জন্য দোয়া করবেন।
বাহ্ এত অসাধারণ ভাবে বেলের শরবত বানিয়েছেন সত্যিই কলিজা শীতলকারী। আমার বাংলা ব্লগে প্রতিনিয়ত এখন এত দারুন দারুন শরবত দেখতে পাচ্ছি সবাই কিভাবে রোজা রাখতেছে বুঝতে পারছিনা। ইফতারের সময় এরকম এক গ্লাস শরবত পেলে আর কি লাগে। প্রতিযোগিতায় আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সারাদিন রোজা থাকার পর ইফতারির সময় এক গ্লাস শরবত খিদার অর্ধেকটা মিটিয়ে ফেলে।
ভাইয়া রোজার মধ্যে সকাল সকাল এরকম শরবত দেখলে তো লোভ সামলানো যায় না । আপনার বেলের শরবত অসাধারণ হয়েছে। ইফতারে এমন কলিজা ঠান্ডা করা শরবত পেলে আর কোনো কিছুর দরকার হয় না। আপনার বেলের শরবত তৈরি করার প্রক্রিয়া গুলো খুব সুন্দর ছিল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। একটি বিষয় খেয়াল করেছি আপনি প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেন না। একটা একটা ভালো গুণ, আপনার জন্য শুভকামনা রইল এই রমজানে ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
যে গরম পড়তেছে শরবত খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনি যেভাবে বেলের শরবত উপস্থাপন করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার উপস্থাপন খুবই অসাধারণ হয়েছে। আশা করছি আপনি এই প্রতিযোগিতায় প্রথম সারিতে অবস্থান করবেন। এত অসাধারণ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ ভাই এই গরমে বেলের শরবত হৃদয় টা জুরিয়ে যায়।
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে পাকা বেলের তাজা শরবত তৈরি করেছেন। সত্যি অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। রোজা আছি ভাইয়া ভাইয়া। ইফতার করার জন্য পাঠায় দিয়েন ভাইয়া। আপনার উপস্থাপনা টা অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই চমৎকারভাবে প্রশংসা করার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বেলের শরবত তৈরি করেছেন । বেলের শরবতটি সুন্দরভাবে তৈরি করার পাশাপাশি ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই প্রশংসা করার জন্য।
আপনার বেলের শরবত তৈরি করার পদ্ধতি দেখে খুব ভালো লাগলো, সত্যি ভাইয়া তাজা বেলের শরবত খাওয়ার মজাই আলাদা রকম, এই রমজানে ইফতারের সময় বেলের শরবত খুবই উপকারী, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।
হ্যাঁ ভাই ইফতারের সময় বেলের শরবত সারাদিন পানহার এরপর পান করলে হৃদয় টা জুরিয়ে যায়, আপনাকে ধন্যবাদ অসাধারণ ভাবে লেখাটির প্রশংসা করার জন্য।
ইফতারের সময় পাঁকা বেলের শরবত খেলে পেট একদম ঠান্ডা হয়ে যায়। আপনি খুবই সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আসলেই শরবত রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল।
বেলের শরবত সব ধরনের মানুষ খেতে পারে, হ্যাঁ ভাই ঠিক বলেছেন বেলের শরবত খেলে পেট একবারে ঠান্ডা হয়ে যায়, ধন্যবাদ আপনাকে
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। সত্যি এই গরমে বেলের শরবত এর উপকারিতা বলে বোঝানো যাবে না। বেলটা দেখে মনে হচ্ছে গাছপাকা ছিল। বেলের শরবত টা দারুণ তৈরি করেছেন ভাই। দেখে তো আমারই খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক ভালো ছিল আপনার পোস্ট টা। আপনার জন্য শুভকামনা।।
আপনাকে বেলের শরবত খাওয়াতে পারলে ভালো লাগতো, আপনি অনেক প্রশংসা করেছেন , ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া এই রোজার সময় আপনার কলিজা শীতল কারী পাকা বেলের তাজা শরবত দেখিয়ে তো খুবই লোভ লাগিয়ে দিলেন। আপনার বেলের শরবত দেখে আমার প্রাণটা জুড়িয়ে গেল। ধাপে ধাপে অনেক সুন্দরভাবে বেলের শরবত তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন যা দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি আসলে প্রশংসা করতে কোনো কার্পণ্য করেননি, আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ইফতারির সময় ঠান্ডা শরবত খেলে কলিজা সত্যিই ঠান্ডা হয়ে যায়। তখন যে একটা শান্তি সেটা খুবই ভালো করে অনুভব করা যায়। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। বেলের শরবত
খুবই মজাদার একটি রেসিপি
বেলের শরবত খেলে কি কলিজা ঠান্ডা হয়ে যায় মনে প্রফুল্লতা আসে।