কবিতা আবৃত্তি " রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের - হঠাৎ দেখা"
১৬ মে,২০২২, সোম বার ।
আস সালামু অলাইকুম/নমস্বকার,
কবিতাঃ হঠাৎ দেখা
রচয়িতাঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা,
ভাবি নি সম্ভব হবে কোনোদিন।
আগে ওকে বারবার দেখেছি
লালরঙের শাড়িতে
দালিম ফুলের মতো রাঙা;
আজ পরেছে কালো রেশমের কাপড়,
আঁচল তুলেছে মাথায়
দোলনচাঁপার মতো চিকনগৌর মুখখানি ঘিরে।
মনে হল, কালো রঙে একটা গভীর দূরত্ব
ঘনিয়ে নিয়েছে নিজের চার দিকে,
যে দূরত্ব সর্ষেখেতের শেষ সীমানায়
শালবনের নীলাঞ্জনে।
থমকে গেল আমার সমস্ত মনটা;
চেনা লোককে দেখলেম অচেনার গাম্ভীর্যে।
হঠাৎ খবরের কাগজ ফেলে দিয়ে
আমাকে করলে নমস্কার।
সমাজবিধির পথ গেল খুলে,
আলাপ করলেম শুরু —
কেমন আছ, কেমন চলছে সংসার ইত্যাদি।
সে রইল জানলার বাইরের দিকে চেয়ে
যেন কাছের দিনের ছোঁয়াচ-পার-হওয়া চাহনিতে।
দিলে অত্যন্ত ছোটো দুটো-একটা জবাব,
কোনোটা বা দিলেই না।
বুঝিয়ে দিলে হাতের অস্থিরতায় —
কেন এ-সব কথা,
এর চেয়ে অনেক ভালো চুপ করে থাকা।
আমি ছিলেম অন্য বেঞ্চিতে
ওর সাথিদের সঙ্গে।
এক সময়ে আঙুল নেড়ে জানালে কাছে আসতে।
মনে হল কম সাহস নয়;
বসলুম ওর এক-বেঞ্চিতে।
গাড়ির আওয়াজের আড়ালে
বললে মৃদুস্বরে,
“কিছু মনে কোরো না,
সময় কোথা সময় নষ্ট করবার।
আমাকে নামতে হবে পরের স্টেশনেই;
দূরে যাবে তুমি,
দেখা হবে না আর কোনোদিনই।
তাই যে প্রশ্নটার জবাব এতকাল থেমে আছে,
শুনব তোমার মুখে।
সত্য করে বলবে তো?
আমি বললেম, “বলব।”
বাইরের আকাশের দিকে তাকিয়েই শুধোল,
“আমাদের গেছে যে দিন
একেবারেই কি গেছে,
কিছুই কি নেই বাকি।”
একটুকু রইলেম চুপ করে;
তারপর বললেম,
“রাতের সব তারাই আছে
দিনের আলোর গভীরে।”
খটকা লাগল, কী জানি বানিয়ে বললেম না কি।
ও বললে, “থাক্, এখন যাও ও দিকে।”
সবাই নেমে গেল পরের স্টেশনে;
আমি চললেম একা।
কবিতা আবৃত্তি " রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের - হঠাৎ দেখা কবিতা আবৃত্তি করেছেন দারুন হয়েছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
কবিতা লেখার পাশাপাশি ভালো আবৃত্তি করার চেষ্টা করছি দোয়া করবেন।
আপনার গলায় কবিতাটি সুন্দর লেগেছে, খুব সুন্দর ভাবে আবৃত্তি করেছেন। বিশেষ করে আমার অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে অবিরাম ভালোবাসা রইলো।
দোয়া করবেন ভাই ভালো কবিতা আবৃতি করতে চাই।
দোয়া তো অবশ্যই থাকবে ভাই এবং দোয়ার সাথে সাথে আপনারা আরও ভালো ভালো পারফর্মেন্স চাই। ধন্যবাদ ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
ভাই আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আশা করি হ্যাংআউটে আপনার কবিতা আমাদের শুনাবেন। এগিয়ে যান ভাই। দোয়া ও ভালোবসা রইলো।
আসলে আমি হ্যাংআউটে নিয়মিত উপস্থিত থাকি। কিন্তু পারিবারিক ঝামেলার কারণে কবিতা আবৃত্তি করার জন্য নির্দিষ্ট একটু সময় বের কর আমার জন্য একটু কঠিন । অবশ্যই আশা আছে হ্যাংআউটে কবিতা আবৃত্তি করার।