অলস মনটাকে সর্বদা কাজ দিয়ে রাখুন
আসসালামু আলাইকুম,
আপনারা কেমন আছেন? আশাকরি সৃষ্টিকর্তার অপার করুণায় সবাই ভাল আছেন। সবাই ভালো থাকুন এবং সুস্থ্য থাকুন এই কামনা করি। আজকের লেখার বিষয়বস্তু হলো অলস মনটাকে কাজ দিয়ে রাখুন।
মনটা পাগলা ঘোড়া-
মানুষের মনটা পাগলা ঘোড়ার নেয় দুরন্ত। ঘোড়ার পিঠ যেমন খালি থাকে না তেমনি মানুষের মন কখনো খালি থাকে না । আমরা যদি স্বেচ্ছায় স্বপ্রণোদিতভাবে আমাদের মনটাকে কাজ দিয়ে ব্যস্ত না রাখি তাহলে সে নিজের মত করে কাজ সংগ্রহ করে নিবে। অলস মন যখন নিজ থেকে কাজ নিবেন তা হবে ইবলিশের চাকর ।
রাষ্ট্র ও দেহ-
আমাদের সমস্ত দেহটি একটি রাষ্ট্র এবং দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, শিরা-উপশিরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন Organogram. প্রতিটি অঙ্গ পতঙ্গ যখন সঠিকভাবে কাজ করবে তখন একটি মানুষ সঠিকভাবে পরিচালিত হবে। দেহের কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যদি অসুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহে যেমন তার প্রভাব পড়ে, তেমনি রাষ্ট্রের কোন Organogram ঠিক না থাকলে রাষ্ট্র সঠিক পরিচালক হতে পারেনা । এর দায়ভার কিন্তু তখন আমাদেরকে বহন করতে হয়।
মনের লাগাম কোথায়?
আপনি নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন আপনি কি আপনার দেহ নামক রাষ্ট্রের সঠিক পরিচালক কিনা। আপনি যা বলেন আপনার মন সেভাবে কাজ করে কি? মন আপনার সিদ্ধান্ত শুনে, নাকি আপনি মনের সিদ্ধান্ত দ্বারা পরিচালিত। আপনি মনের উপর রাজত্ব করছেন নাকি মন আপনার উপর রাজত্ব করতেছে? যদি আপনি এই প্রশ্নগুলোর যদি সঠিক উত্তর না পান তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনি জীবন পরিচালনার সঠিক ট্রাকে নাই।
মনের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা-
মনের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মনটাকে শাসন করা এত সহজ নয়, মন সব সময় নিজের মতো করে চলতে চায়, তাকে বেঁধে রাখা কঠিন যেমন বাতাসকে আটকে রাখার বৃথা চেষ্টা করা হয়। মানুষ ইচ্ছা করলে চেষ্টা করলে মনের লাগাম ধরে রাখতে পারে। আর যদি সে তার করতে পারে তবে হবে খ্যাতিমান সফল মানুষ। এর জন্য সব সময় সচেতন এবং সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে মনের উপর। কখনো বেখেয়াল হওয়া চলবে না, যখনই দেখবেন মন আপনার ইচ্ছামত পরিচালিত হবে না তখনই আপনার প্রয়োজনীয় কাজ তাকে দিয়ে দিবেন।
মনটাকে সর্বদা কাজ দিন-
সব সময় তাকে কাজ দিয়ে রাখবেন, এক মুহুর্তও তাকে কাজ বাদে রাখবেন না। মন কখনো খালি থাকে না, আপনি তাকে কাজ না দিলেও সে কিন্তু নিজের মত করে কাজ নিয়ে নিবে, কাজটি নিশ্চয়ই আপনার পছন্দ হবে না। আপনার হাতে কোন কাজ না থাকলেও আপনার মন কিন্তু কখনো খালি থাকবে না, তাই তাকে বিরামহীন একটার পর একটা কাজ দিয়ে ব্যস্ত করে রাখুন।
কিভাবে মনকে কর্মব্যস্ত রাখবেন-
মনকে সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভয় জাগ্রত করুন এমন ভাব মনে আসতে দেওয়া উচিত হবেনা যা আল্লাহ অপছন্দ করেন। অতিরিক্ত কোনো চিন্তা করবেন না, সময়ের কাজ সময়ে, আগামীকালের কথা ভেবে আজকের মূল্যবান সময়টুকু নষ্ট করবেন না, ঠিক এই মুহূর্তে টিকে যথার্থভাবে কাজে লাগান। মনটাকে প্রয়োজনীয় কাজ দিয়ে রাখুন। ছাত্ররা মনেমনে পড়াগুলো রিভাইজ দিতে পারেন, জিকিরের মাধ্যমে নিজের কলবকে ব্যস্ত রাখুন, ইংরেজী শব্দগুলো স্মরণ করতে থাকুন এতে আপনার ইংরেজী শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হবে, কবিতা আবৃতি করতে পারেন, মনেমনে সর্বদা English speaking করতে পারেন এতে speaking skill বৃদ্ধি পাবে, শিক্ষার্থীর কঠিন বিষয়গুলো মনে মনে স্মৃতিতে আওড়াতে পারেন। যেকোন ভাবে আপনার মনকে ব্যস্ত রাখুন। দেখবেন আপনার পেছনের দিনগুলোর জন্য আপনাকে অনুতাপ করতে হবে না, আর সামনের দিনগুলিতে আপনার অপার সম্ভাবনা তৈরি হবে আর সাফল্য আপনাকে হাতছানি দিবে।
চমৎকার একটি ব্লগ, এবং আপনার লেখনি শক্তি চমৎকার। খুব ভালো লেখেন আপনি মানতে হবে এটা। হ্যাঁ এটা ঠিক নিজের মনের লাগাম ধরে রাখাটা কিন্তু সহজ নয়, তবে ইচ্ছে আর অধ্যাবসায় থাকলে সেটাও সম্ভব।
হ্যা ভাই ঠিক বলেছেন। ইচ্ছে আর অধ্যাবসায় থাকলে সবই সম্ভব।
সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ভাই।অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। এজন্য আমাদের উচিত অলসতা পরিহার করে নিজেকে সবসময় ব্যস্ততার মধ্যে রাখা। ধন্যবাদ ভাই।
হ্যা ভাই অলসতা হতে বাচার জন্য proactive হওয়া প্রয়োজন.
আপনার ফটোতে সোর্স দেওয়া ভুল হয়েছে , সংশোধন করুন।
সংশোধন করে দিলাম।