চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বিয়ে খাওয়ার বিচিত্র অভিজ্ঞতা
১৮ আগস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার
আসসালামু অলাইকু/নমস্কার
লেখার শুরুতে আমার বাংলা ব্লগের সকলের প্রতি রইল আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আশা করি আপনারা সবাই সবকিছু মিলিয়ে ভালো আছেন । আপনারা সবাই ভাল থাকেন এই আমাদের সকলের কামনা। আজ শুক্রবার মুসলমানদের একটি ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ দিন। সাধারণত শুক্রবারকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক উৎসব পালিত হয়। বিয়ে থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যকলাপ এই বন্ধের দিনে সংঘটিত হয়। আমি সব সময় আপনাদের মাঝে কবিতাই বেশি শেয়ার করি। আজ অন্য রকমের একটি পোস্ট নিয়ে আসলাম।
আজ চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বিয়ের খাবার এক বিচিত্র ধরনের অভিজ্ঞতা হল। আমার শালা মানে আমার ওয়াইফের ছোট ভাইয়ের বিয়ের দিন তারিখ নির্ধারিত হয় । মেয়ে পক্ষের বসবাসের ঢাকা তাই চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বিয়ের দাওয়াত দেওয়া হয়। বরাবরের মতো সবাই রেস্টুরেন্টে গেলাম বিয়ের দাওয়াতে। গ্রাম থেকে অনেক মানুষ এসেছে যাদের জীবনে কখনো চাইনিজ খাবার অভিজ্ঞতা হয়নি।
কুমিল্লা হতে সকাল দশটায় রওনা দিয়ে রেস্টুরেন্টে আসতে আসতে ১২:৩০ বাজে খাবার পর্ব শুরু হয় আড়াইটার দিকে। এরই মধ্যে অনেকে খাবার-দাবারের জন্য একটু অধৈর্য হয়ে পড়ি। কারণ সবাই অনেক দূর থেকে আসছে স্বাভাবিকভাবেই একটু ক্ষুধার্ত।
খাবার শুরুতে প্রথমে অন্থন জাতীয় চিকেন কারি খাবার দেয়া হয় অনেক কিছুই খুব ক্ষুধার্ত যে তারা মনে করে চাইনিজ রেস্টুরেন্টের খাবার এমনই।
কারণ চাইনিজ সাধারণ থেকে খেতে হয় যাদের অনেকের চামচ দিয়ে খাওয়ার অভিজ্ঞতা ছিল না। কিছু মানুষ মনে করে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ ধরনের খাবারই হয় তাই অনেক ইচ্ছামতো খায় এবং খুব রাগান্বিত হয় এই খাবার খাওয়ার জন্য বিয়ের দাওয়াতে আসছে এবং অনেকে নানা রূপ মন্তব্য শুরু করে তারা জানে না এরপরে মূল খাওয়া-দাওয়ার পর্ব রয়েছে।
কয়েকজন আবার রেস্টুরেন্ট হতে বের হয়ে যায় রাগান্বিত হয়ে । তারপর যখন মূল খাবার দাবার আসে তারা শান্ত হয়। এবং সরি বলে দুঃখ প্রকাশ করে। তারা নিজেদের এক্সপ্রেস করে যে তারা মনে করেছিল অন্তরকারি দিয়ে খাবার পর্ব শেষ। অতঃপর নিজেরা ভরপুট খেয়ে তৃপ্তির হাসি ফুটে ওঠে।
বিভাগ | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | vivo y33s |
লোকেশন | Hotel blue moon, Khilket, Dhaka |
তারিখ | ২৯.০৭.২২ |
ফটোগ্রাফার | @mosaidur |
এতটা সময় খাবার না খেয়ে থাকাটা বড়ই কঠিন ব্যাপার। কারণ জার্নি করলে খুব খিদে লেগে থাকে। যাই হোক এটা বলতে পারি এটা বেশ আনন্দঘন একটি মুহূর্ত ছিল আপনার লাইপে।
সেদিন লোকগুলো আসলে অনেক ক্ষুধার্ত ছিল।
সত্যি অনেকেই অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলো।। আমারও কখনো চাইনিজ রেস্টুরেন্টে কারো বিয়ে খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছায় রেস্টুরেন্টে গিয়ে যা খাওয়া হয় আর কী। খাবারের বর্ণনা টা বেশ দিয়েছেন ভাই। নতুন দম্পতির সুখি জীবন কামনা করি।।
আসলে ভাইয়া আপনারা তো অনেক দূর পথ জার্নি করে এসেছেন আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বলতে পারলাম। এত সময় খাবার না খেয়ে থাকাই তো অনেক কঠিন একটা কাজ। সত্যি বলতে বিয়ের দাওয়াত রেস্টুরেন্টে খাওয়ার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বিয়ে খাওয়ার বিচিত্র এক অভিজ্ঞতা আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আমি এর আগে কয়েকবার রেস্টুরেন্টে বিয়ে খেয়েছি। আমার কাছে প্রতিটা মুহূর্তই অনেক বেশি রোমাঞ্চকর ছিল আপনার এই পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ চাইনিজ রেস্টুরেন্টের খাবার বিচিত্র এক অভিজ্ঞতা হয়েছে।
শালার বিয়ের খাবার মনে হচ্ছে খুবই মজা করে খেয়েছেন। আর সবাই মিলে আসলে এরকম ভাবে কোন জায়গায় দাওয়াত খেতে ভালো লাগে। আর বিশেষ করে বিয়ের খাবার বলে কথা দারুন ছিল ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য
হ্যাঁ ভাই অনেক মজা হয়েছে ফুর্তি হয়েছে।
আপনাদের খাওয়া দাওয়ার সিস্টেমটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে ভাই এবং বিয়ে খাওয়ার অভিজ্ঞতাটা খুবই সুন্দর ছিল। আপনার পোস্টটা পড়ে আপনার অভিজ্ঞতা গুলো থেকে কিছুটা মুহূর্ত উপলব্ধি করার সুযোগ পেয়েছি এর জন্য আপনার জন্য বিশেষ শ্রদ্ধা কামনা করছি।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর প্রশংসা করার জন্য।