কেএসআরএম কোম্পানির গল্প প্রতিযোগিতায় আমার অর্জন ১০%লাজুক-খ্যাক৫%abb-school এর জন্য
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা 🧕🧕
আসসালামুয়ালাইকুম 🙋♀️🙋♀️
প্রীতি ও শুভেচ্ছা 🌼🌼
- আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি কেএসআরএম কোম্পানির একটি গল্প প্রতিযোগিতায় আমার অংশগ্রহণ ও অর্জন নিয়ে। গত ২৫ জানুয়ারি একটি বিজ্ঞাপনে দেখি সারা বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ আমার অহংকার এই নাম নিয়ে ৭৫০শব্দের একটি গল্প প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল সারা বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বাছাইকৃত ১০ টি সেরা গল্প তারা সিলেক্ট করবে এবং প্রথম তিনটি সেরা গল্প দিয়ে তৈরি করা হবে ডিজিটাল শর্ট ফিল্ম।
- আর তাই আমিও বাংলাদেশ আমার অহংকার নামে একটি গল্প লিখে তাদের মেইলে পাঠাই।যদিও আমি কখনোই এর আগে গল্প লিখি নি, মাঝে মাঝে ছোটখাটো কবিতা লিখেছি এবং কয়েক জায়গায় কবিতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরস্কৃত হয়েছি। কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় এটি ছিল আমার জীবনে প্রথম গল্প লেখা।কিছুদিন আগে কেএসআরএম কোম্পানি থেকে ফোন আসে সেরা দশটি গল্পের মধ্যে আমার গল্পটিও সেরা হিসেবে বাছাইকৃত হয়েছে।
- সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হয়েছি যখন শুনেছি আমার গল্পটি বাছাই করার মধ্যে ছিল কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক স্যার সহ আরো অনেকে।
- আর তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার গল্পটি শেয়ার করতে এসেছি। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
- ছবিটি কেএসআরএম এর ফেসবুক পেইজ থেকে নেয়া।
গল্পঃ বাংলাদেশ আমার অহংকার
বাবার কথায় কখনোই গুরুত্ব দেইনি।এখন কিভাবে গিয়ে বাবাকে বলবো, আমি ভুল করেছি। এমনটাই ভাবছে ক্যাম্পাসের এক কোণে বসে থাকা নাদিয়া।এমন সময় পিছন থেকে ডাক দিয়ে চমকে দিল রাফান।আচ্ছা তাহলে চল বাসায় যাই। আমি একটু পরে যাব রাফান তুমি যাও। আরে চলত। একথা বলেই নাদিয়ার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল রাফান।নাদিয়া বাসায় গেলে করিম চাচা বলে নাদিয়া মামনি আসছো! তোমার বাজান কহন থেইকা তোমারে ফোন দিতাছে তুমি নাকি ফোন ধরতাছো না।
- বাবা কোথায়? অফিসে যাওনেরলাই রেডি হইতাছে। বাবা তুমি এখনো অফিসে যাওনি? নারে মা তুই এখনো বাসায় ফিরিসনি আমি কিভাবে অফিসে যাব ফোনটা ধরছিস না।সরি বাবা ফোনটা সাইলেন্ট ছিল।তাই দেখতে পাইনি।নাদিয়া মন খারাপ করে বাবার পাশে গিয়ে বাবার হাতটা ধরে বলল বাবা আমি আসলে সবকিছু নিয়ে সরি এতদিন আমি তোমাকে,,,,,, ঠিক আছে মা পরে সব কথা শুনব।অনেক জার্নি করে এসেছিস। আগে ফ্রেশ হ। আমি অফিস থেকে একটু ঘুরে আসি। আচ্ছা বাবা যাও পরে কথা হবে।কথা শেষ হতে নাহতেই রাফানের ফোন। নাদিয়া বলে বাসায় আয়। হকেন আজকে ফ্লাইট নাকি তোমার?
- নাদিয়া রাগ করে ফোন রেখে দিল। বিকেলে কলিং বেল বাজল। নাদিয়া বললো, করিম চাচা দেখতো কে এলো? নাদিয়া মামনি রাফান ভাইজান আইছে। কি ব্যাপার নাদিয়া তুমি এখনো ঘুমোচ্ছো তোমার না আজ ফ্লাইট চলো তোমাকে দিয়ে আসি। কিছুক্ষণ চুপ থেকে,,,আচ্ছা রাফান তুমি কক্সবাজার ছাড়া বাংলাদেশের আর কোথায় কোথায় ঘুরেছ? কেন হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে মন খুব খারাপ হয়ে গেল না? আমি আসলে তোমাদের সাথে এমনটা করা উচিত হয়নি। এমন সময় বাবা এসে পরল বাসায়। আসসালামুয়ালাইকুম আঙ্কেল। আরে রাফান তুমি কখন এলে?এইতো আঙ্কেল কিছুক্ষণ হলো।তোমরা বস আমি নিজ হাতে কফি বানিয়ে নিয়ে আসছি তারপর আড্ডা দেবো।
- দুজনের হাতে কফি দিতে দিতে বাবা বলল কিরে মা থাইল্যান্ড যাবি? বাবা জিজ্ঞেস করলে না আমার কক্সবাজার ভ্রমণ কেমন হলো?আমি সবই জানি।কিভাবে বাবা?তোকে আজ একটি গল্প বলি আমি আজ ১৭ বছরেও কাউকে বলিনি।তোর মাকে আমি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। (কল্পনা),,,,,,,বাঙালি হলেও তোর মা ছোটবেলা থেকেই থাইল্যান্ড। আমি যখন চাকরিতে জয়েন দিই,থাইল্যান্ড থেকে কিছু লোক আমাদের কোম্পানির সাথে ব্যবসার কাজে এসেছিল। সেই থেকে তোর মায়ের সাথে আমার পরিচয়। সেদিন তোর মা কথা দিয়েছিলো আমাকে আর আমার দেশকে ছেড়ে কোথাও যাবে না। তারপর আমাদের বিয়ে হয়।
আমার কোল আলো করে তুই আসলি কিন্তু তোর মা হঠাৎ করেই আবার থাইল্যান্ড চলে যেতে চায় এমনকি আমাকে নিয়ে। আমি রাজি না হওয়ার এক পর্যায়ে তোর মা আমাকে ছেলে চলে যায়। তখন তোর বয়স ছিল ৩ বছর। তুই আমাকে ছেড়ে যেতে চাস নি। সেদিন তোর মাকে আমি বলেছিলাম আমার মেয়ে হবে দেশ প্রেমি। এই দেশ, মাটি, মানুষ ছেড়ে কখনও কোথাও যাবে না। কিন্তু এই দেশের প্রতি তোর অনীহা আমার মনে ভীতি তৈরি করে।
এবার রাফান বলে নাদিয়া তাইতো আংকেল আর আমি প্ল্যান করে তোমাকে কক্সবাজার ট্যুরে পাঠাই। আর সেখানে যাওয়ার পর প্রতিনিয়ত কি ঘটছে আঙ্কেলকে ফোনে জানাই। বাবা তুমি আমাকে পুরো
দেশটা ঘুরে দেখাবে। তাহলে বাবা আমি আর রাফান একটি সংগঠন তৈরি করবো যার নাম হবে ''বাংলাদেশ আমার অহংকার"। আমরা বর্তমান প্রজন্মের যুবকদের মাঝে বাংলাদেশের অহংকার, গর্ব করার বিষয় গুলো তুলে ধরব। যাতে করে নতুন প্রজন্ম জানতে পারে আমার দেশের গৌরব। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুবকদের কাজে আনবো যারা আমাদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। তবে বাবা তুমি আমাকে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং স্বাধীনতা সম্পর্কে বিস্তারিত বলবে কেননা আমি এগুলো খুব বেশী জানিনা।
কিছুদিনের মধ্যেই নাদিয়া সংগঠনটি তৈরি করতে সক্ষম হয়। সেখানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার ট্যুরে গিয়ে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা নাদিয়া বলে।" বাসে আমার পাশের সিটে বসেছিল এক বিদেশি নারী।
আমি যখন আমার বন্ধুদের বললাম ধুর বাংলাদেশে কি এমন আছে যে ঘুরে দেখবো। আমার পাশের সিটে বসে থাকা বিদেশি মহিলা বলে আমি বাংলাদেশের ঘুরতে এসেছি কিন্তু এখন আমার ইচ্ছে করছে বাংলাদেশে থেকে যেতে। ওই বিদেশির মুখে বাংলা কথা শুনে আমি বিস্মিত হয়ে যাই এবং দেশকে নিয়ে ভাবার অনুপ্রেরণা পাই। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন , ৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রাম, করে বাংলাদেশ নামক এই ভূখণ্ডকে পৃথিবীর বুকে এক বিশাল মর্যাদার অধীনে আনে। এমন সংগ্রাম পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও ঘটেনি।সকল অর্জনের মাঝেও একটি হারানোর যন্ত্রণা হলো যে ব্যক্তি স্বাধীনতার ডাকে মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে সে শেষ পর্যন্ত নিজের জীবনকে কিছু নরপিচাশ এর হাতে হারিয়েছে। তবুও আমরা তাকে নিয়ে গর্ববোধ করি। বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কাজ গুলো জননেত্রী শেখ হাসিনা করে যাচ্ছে। দারিদ্র্যের হার কমেছে, গ্রামেগঞ্জে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে, উন্নত বিশ্বের সাথে অর্থনৈতিক লেনদেন বাড়িয়েছ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তৈরি করেছে , স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে । ভ্রমণের জায়গাগুলো কে উন্নত করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা বাংলাদেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আসছে।বাংলাদেশের মাটি এতটাই উর্বর যেকোনো ফসল সহজেই উৎপাদন করা সম্ভব। এদেশ বিশ্বের বুকে আজ মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে তাই এদেশকে নিয়ে গর্ব করা সমীচীন।
এদেশ আমার আপনার তাই এদেশকে নিয়ে ভাবুন এবং এদেশকে এগিয়ে নিতে হবে আমাদেরকেই।নাদিয়া এইসব বক্তব্য শেষ করেই রাফানকে নিয়ে শুরু করে তার তৈরি করা স্বপ্ন।
আপনি সাফল্য কাটা অবিরত করতে পারে
অসংখ্য ধন্যবাদ।
অভিনন্দন আপু। আপনি দশম স্থান পেয়েছেন। সত্যি অসাধারন লিখেছিলেন। দোয়া করি সামনে যেনো আরো অন্যান্য প্রতিযোগিতায় এরকম পারফর্ম করতে পারেন। শুভেচ্ছা রইলো।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে উৎসাহিত করার জন্য।
প্রথমে আপনাকে অভিনন্দন জানাই আপু। আসলে এটা জেনে ভালো লাগতেছে যে আপনি আমার বাংলা ব্লগের একজন মেম্বার যে দশম স্থান অধিকার করেছেন। একটা গর্বের বিষয় বলতে পারেন। আর ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মতামত ব্যক্ত করার জন্য।
প্রথমে আপনাকে অভিনন্দন জানাই এত সুন্দর একটি অর্জনের জন্য। বাংলাদেশ আমার অহংকার গল্পের টাইটেল খুব ভালো লেগেছে আমার। আপনার লেখা গল্পটি করলাম এটি অত্যন্ত অনুপ্রেরনাদায়ক একটি গল্প। আপনি গল্পটি খুব সুন্দর ভাবে সাবলীল ভাষায় লিখেছেন যা সত্যি মুগ্ধকর। আমাদের অবশ্যই দেশকে নিয়ে ভাবতে হবে দেশকে উচ্চতায় নিয়ে যেতে হলে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমে আপনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা যে আপনি দশম স্থান অর্জন করেছেন। দেশের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে এত সুন্দরভাবে দেশকে নিয়ে কেউ লিখতে পারে না। সত্যি আমি ভালো লিখেছেন আপনি। শুভেচ্ছা রইল আপনার প্রতি যেন ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু করতে পারেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মতামত ব্যক্ত করার জন্য।
প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানায়। আপনি দশম স্থান অধিকার করেছেন। সত্যিই আপনি দেশ নিয়ে বাংলাদেশ আমার অহংকার একটি গল্প লিখেছেন। আসলে বেশ ভালো লাগলো। আপনার সামনের জীবন অনেক ভাল হোক। আরো অর্জন করেন এই দোয়া করি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মতামত ব্যক্ত করার জন্য।
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আপনার এই অসাধারণ অর্জনের জন্য৷ আপনি দশম স্থান দখল করেছেন। দোয়া করি ভবিষ্যতে আপনি প্রথম স্থান যাতে দখল করতে পারেন।জানি আপনি চেষ্টা করলেই পারবেন। মানুষ পারে না এমন কোনো কঠিন কাজ নেই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মতামত ব্যক্ত করার জন্য।
আমার বাংলা ব্লক পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। গল্প লিখে আপনি দশমিক স্থান অধিকার করেছেন সত্যিই অনেক আনন্দের খবর ভবিষ্যতে আরও অনেক দূর এগিয়ে যান এই দোয়াই রইল
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মতামত ব্যক্ত করার জন্য।