আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম
প্রীতি ও শুভেচ্ছা
- আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি ।আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেছি। আমার আজকের ব্লগটি হচ্ছে রেস্টুরেন্টে কাটানো সময় নিয়ে। গত সপ্তাহে আমি প্রায় ছয় দিন ঢাকায় অতিবাহিত করেছি আমার আব্বুকে নিয়ে। আমার আব্বু একটু অসুস্থ ছিল তাই ঢাকায় বারডেম হসপিটাল এ নিয়ে গিয়েছিলাম। আব্বু কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর আমার হাজবেন্ডের বন্ধুর বাসায় ছিলাম আমি এবং আমার বড় আপুর সহ।
- তারপর একদিন বিকেলবেলা আমরা একটু ঘুরতে বের হলাম। আমার বড় আপু বলল চলো আমরা কিছু কেনাকাটা করি। কেনাকাটা করতে করতে প্রায় সন্ধ্যার পর হয়ে গিয়েছিল। পাশে দেখলাম অনেক বড় একটি সাইনবোর্ডে লেখা আছে ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্ট। এমন রহস্যজনক নাম দেখে তো আমরা অবাক হয়ে গেলাম। ভাবলাম ভেতরে গিয়ে দেখে আসি ভূতেরা সব ভূতেরা কি করছে কিভাবে আড্ডা দিচ্ছে হাহাহা।🤣🤣
location
- আর আমার ভাগিনা তো সে কি কান্নাকাটি শুরু করল ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্ট দেখার জন্য। তারপর আমরা কেনাকাটা শেষ করে রেস্টুরেন্টের দিকে গেলাম ।রেস্টুরেন্টে ছিল পাঁচ তলায়। ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখি আবছা আলো আবছা আঁধার এমন একটি পরিবেশ বিরাজ করছে। অর্থাৎ সম্পূর্ণ উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত করা হয়নি। যাতে ভুত ভুত একটু ভাব থাকে হাহাহা।
location
location
- যে তোমরা সন্ধ্যার মধ্যেই সেখানে গিয়েছি তাই নাস্তা করেছি ভারি কোন খাবার খাইনি। বেশ ভালই লেগেছে রেস্টুরেন্টের ভেতরের পরিবেশ। আমরা যখন গিয়েছি সেখানে মানুষ খুব কম ছিল। কিন্তু আমরা উঠে আসার পর দেখলাম অনেক মানুষের ভিড় হয়ে যাচ্ছে। আমরা খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি সবগুলো খাবারই গরম গরম সার্ভ করা হয়েছিল।
location
location
- তারপর আমরা নাচোস,হট ডগ এবং কোল্ড কফি অর্ডার করেছি। এর মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি নাচোস ভালো লেগেছে। মুচমুচে আর মাঝখানে ক্রিম ফ্লেভার জাস্ট অসাধারণ লেগেছে খেতে। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে এই নাচুস খাবারটা খাওয়ার পর অল্প একটু খাওয়ার পরেই আমার পেট যেন ভরে গেছে। তারপর আমরা কোল্ড কফি খেয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে আসলাম। বিল পরিশোধ করার সময় আমার ছবি তোলার কথা মনে ছিল না। তবে দাম খুব বেশি ছিল না নাচোস ছিল ৩০০ টাকা প্লেট, হট ডগ ছিল প্রতিটি ১৩০ টাকা এবং কোল্ড কপি ছিল ৫০ টাকা। যদিও আমরা সেই রেস্টুরেন্টে কোন ভূত দেখতে পাইনি রেস্টুরেন্টের এমন নামকরণ সম্পর্কে আমি অবগত নই। যাইহোক খাবারের মান ভালো ছিল ।
location
🌺 আশা করি আমার আজকের রেসিপি টি আপনাদের ভালো লাগবে।ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 🌺 |
🌺 ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🌺 |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার আব্বুর অসুস্থতার কথা জেনে খারাপ লাগলো। দোয়া করি যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যান।
ভুতের আড্ডা কেমন দেখলেন😆?? তবে আমি শুনেছি এরকম নামের কিছু রেস্টুরেন্টগুলোতে ভূত সেজে খাবার সার্ভ করা হয়। তবে আমি কখনো যাইনি। ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখছি। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দোয়া করবেন এখন মোটামুটি সুস্থ আছে। কিন্তু এই রেস্টুরেন্টে এরকম কোন ভূত সেজে খাবার সার্ভ করতে দেখিনি। হতে পারে একই নামের অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট থাকে। খাবার-দাবার বেশ ভালোই ছিল অনেক মজা লেগেছে।
আপনার আব্বু আশা করি এখন ভালো আছে আপু! রেস্টুরেন্ট এর নাম দেখে আমি নিজেই অবাক 😂। ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্ট 😁। আপনারাও গিয়ে ভূতেদের সাথে খাওয়া-দাওয়া করলেন। 🤭
জি ভাইয়া এখন মোটামুটি ভালোই আছে। রেস্টুরেন্টের নাম দেখেই আমরাও অবাক হয়ে গিয়েছি ।তাই তো কৌতুহলবশত সেখানে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেছি। তবে বেশ ভালই লেগেছে।
ভুতের আড্ডা নাম শুনেই তো ভয় পাইছি আপু। ভূতের আড্ডা নামে যে রেস্টুরেন্ট হয় তা আজ প্রথম জানলাম। আপনাদের দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভালই খাওয়া দাওয়া করেছেন এবং খুবই সুন্দর কিছু মুহূর্ত আপনার উপভোগ করেছেন। আপনার আব্বুর সুস্থতা কামনা করছি এবং দোয়া করি উনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
আসলেই প্রথমেই ভেবেছিলাম সেখানে নিশ্চয়ই অনেক ভূত একসাথে আড্ডা দিচ্ছে ।ভূতের নামে রেস্টুরেন্টের নাম আমিও প্রথম শুনেছি। সেখানে আমরা অনেক কিছু খাওয়া-দাওয়া করেছি উপভোগ করেছি বেশ ভালোই লেগেছে।
আপনার আব্বু সুস্থ হওয়ার পরে আপনারা সকলে মিলে আপনার হাসবেন্ডের বন্ধুর বাসায় ছিলেন তারপরও সেখান থেকে কিছু কেনাকাটার জন্য বাহিরে বের হয়েছিলেন। সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করার পাশাপাশি এরকম একটি রেস্টুরেন্ট আসলেই ভাবতে অনেক বেশি অবাক লাগছে এ আবার কেমন নাম হাহাহা। যাই হোক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিতার পাশাপাশি মজাদার মজাদার খাবার খেয়েছেন দেখছি। ধন্যবাদ আপনার মুহূর্ত টা শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া আসলে অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছি রেস্টুরেন্টে।বিশেষ করে রেস্টুরেন্টের নামটি অদ্ভুত লাগার কারণেই এর ভেতরে দেখতে গেলাম। আর ভেতরে প্রবেশ করে মনটা ভরে গেল।
ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্টের নামটাই অনেক রহস্যজনক।এ রকম নাম শুনলে রেস্টুরেন্টের ভেতরে যাওয়ার ইচ্ছেটা বাড়াই স্বাভাবিক। রেস্টুরেন্টে গিয়ে অনেক কিছু খেয়েছেন দেখছি।খাবার গুলো নিশ্চয়ই অনেক মজা লেগেছে।অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মূহুর্তটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভুতের আড্ডা রেস্টুরেন্টের নামটি আসলে রহস্যজনক যদিও এর ভেতরে কোনো ভূতের আড্ডা নেই। তবে নামটা শুনে যে কেউ ভিতরে প্রবেশ করতে চাইবে। খাবার-দাবার বেশ মজা করে খেয়েছি। আপনারাও চাইলে যেতে পারেন ওই রেস্টুরেন্টে।
আপনি যেহেতু আপনার আব্বুকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন ঢাকায় সেই সাথে কিছু ঘোরাফেরা এবং কেনাকাটাও করেছেন।তবে ভুতের আড্ডা রেস্টুরেন্টটা দেখে বেশ অদ্ভুত লেগেছে।কিন্তু নাম যায় হবে হোক আপু খাবার গুলো বেশ লোভনীয় দেখাচ্ছে।সুন্দর করে আপনি ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন অনেক ভালো লেগেছে।
জ্বী আপু প্রথমে আব্বুকে নিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য ঢাকায় গিয়েছিলাম। তারপর কয়েকদিন যাওয়ার পর একটু ঘোরাফেরা করতে গিয়েই এই ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্টের সন্ধান পেলাম। তাই তো কৌতুহল বসত হয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। বেশ ভালই লেগেছে সেখানে।
আপনার আব্বুর অসুস্থতার কথা জেনে খারাপ লাগলো আপু। দোয়া করি যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। আর এই ভূতের আড্ডা খাবার গুলো বেশ মজা লাগে।এই রেস্টুরেন্টে একটা নির্দিষ্ট সময় ভূতের পোশাক 👗 পড়ে কিছু সময় বিনোদন দিয়ে থাকে। আমাদের এখানে আছে একটা প্রতিদিন রাত নয়টা দিকে ভূতের আড্ডা হয়ে থাকে। আমার কাছে ভালো লাগে ওই মূহুর্ত গুলো। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটা রেস্টুরেন্টে ঘোরাঘুরি এবং খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
দোয়া করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই রেস্টুরেন্টের নামটি খুবই রহস্যজনক এবং অদ্ভুত। রহস্য উদঘাটন করার জন্যই ভুতের আড্ডা রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম। এটা অবশ্য জানি না যে এই রেস্টুরেন্ট একটা নির্দিষ্ট সময়ে ভূতের পোশাক পড়ে কেউ বিনোদন দিয়ে থাকে। কারণ তখন আমরা কাউকে এমন পোশাক পরতে দেখিনি। তথ্যটি জানতে পেরে আপনার কাছ থেকে খুবই ভালো লাগলো।
প্রথমে আপনার আব্বুট সুস্থতা কামনা করছি সৃষ্টিকর্তার কাছে।
আপনার বোন হাজব্যান্ড এবং ভাগ্নেদেরকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন। তবে আসলেই রেস্টুরেন্টের নাম শুনে কিছুক্ষণ হাসলাম। বেশি আলোকসজ্জা না হওয়ায় আসলে ভুতুড়ে একটি ভাব আছে।
দোয়া করবেন আপু যেন আমার আব্বু সুস্থ হয়ে ওঠে। আমার বোন হাসবেন্ড এবং ভাগ্নিদের কে নিয়ে এই রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম। আসলে রেস্টুরেন্টের নামটি খুবই রহস্যজনক। এটা ঠিক খুব বেশি আলোকসজ্জা না হওয়ার কারণে ভেতরে মোটামুটি ভুতুড়ে ভাব লাগছে।