হেপাটাইটিস বি সংক্রান্ত সচেতনতা ও সেমিনার
হ্যালো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন?আশা করি ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের ব্লগ টি হচ্ছে একটি সচেতনতামূলক পোস্ট। আজ আমি হেপাটাইটিস বি রোগের টিকা সংক্রান্ত একটি সেমিনার সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। হেপাটাইটিস বি এই রোগটি সম্পর্কে এখনো অনেকেই অসচেতন। আমাদের বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত মানুষ বিভিন্ন রোগে ভুগছে শুধুমাত্র অসচেতনতার কারণে। সচেতন হলেও অনেকে ইচ্ছে করেই এই সম্পর্কে প্রাধান্য না দিয়ে খামখেয়ালি ভাবে সময় কাটায় পরবর্তীতে বিভিন্ন রোগে ভুগে। হেপাটাইটিস বি রোগের নাম সম্পর্কে যারা জানে তারাও অনেকেই এই রোগের টিকা দেয়নি। হেপাটাইটিস বি হচ্ছে জন্ডিস জনিত রোগ যা মানুষের লিভারকে শেষ করে ফেলে এমনকি মানুষ মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়ে। এই রোগ ছড়ানোর মাধ্যম হচ্ছে আমাদের নিত্য ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস।যেমন হতে পারে একই গ্লাসে বিভিন্ন জনে পানি পান করা, একই সুই দিয়ে বিভিন্ন জন সেলাই করা,এছাড়াও আরও বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে যেগুলো আমরা চাইলেও সচেতন হতে পারব না। কিন্তু এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একটি টিকা বের হয়েছে হেপাটাইটিস বি এর।
কিছুদিন আগে আমার আপুর স্কুলে একটি কোম্পানির কয়েকজন লোক এসে এই টিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আমাদেরকে জানান। এর মধ্যে উপস্থিত ছিল এলাকার বিভিন্ন মহিলারা। তাদের তথ্য অনুসারে বুঝতে পারলাম এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ টিকা আমাদের জন্য। আমি হেপাটাইটিস বি এর টিকা দিয়েছিলাম গত চার বছর আগে তিনটি টিকা।কিন্তু এখন জানতে পারলাম এই টিকা হচ্ছে মোট চারটি। তবে যারা একটি বা দুটি টাকা দিয়েছে তারা আবার প্রথম থেকে টিকা গ্রহণ করতে হবে এবং সেটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেহেতু আমি তিনটি দিয়েছি তাই পাঁচ বছরের ভেতরে আমি আরেকটি টিকা সম্পন্ন করতে পারব।কিন্তু পাঁচ বছর অতিক্রম হয়ে গেলে আবার আমাকে প্রথম থেকে এই টিকা গ্রহণ করতে হবে। তাই আমি এই টিকাটি ঈদের পর দিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। এই টিকাটি দিলে হয়তো ৯৯% লিভারের রোগ থেকে ভালো থাকা যাবে আল্লাহর রহমতে। কিন্তু আমরা বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই অসচেতন তাই এটিকে গ্রহণ না করে একসময় দেখা যায় লিভারের বিভিন্ন রোগ নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। পরবর্তীতে এই লিভারকে কেটে বা কোন অপারেশন করেও কোন চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না। লক্ষ লক্ষ টাকা ফেলে ও তখন আর জীবন বাঁচানো সম্ভব হয় না। কারণ লিভার ছাড়া বাঁচা অসম্ভব। আর এই রোগে আক্রান্ত হলে লিভার ছিদ্র ছিদ্র হয়ে কালো হয়ে যায় শিশুদের জন্য এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ তাই সবারই উচিত এই টিকা গ্রহণ করা।
আজ আমি এই গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো বলছি যাতে আপনারাও সচেতন হোন এবং আপনার পরিবারকেও সচেতন করতে পারেন। একটু সচেতনতাই পারে আমাদের মূল্যবান জীবনকে বাঁচাতে।আসুন আমরা সকলে সচেতন হই এবং হেপাটাইটিস বি এর টিকা গ্রহণ করি।
🌺 আশা করি আমার আজকের পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 🌺 |
---|
🌺 ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🌺 |
---|
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
হেপাটাইটিস-বি খুব মারাত্মক একটি রোগ। এই রোগ ধীরে ধীরে লিভার কে ধংস করে দেয়। তাই এই রোগ হওয়ার আগেই টিকা নিয়ে নেওয়া উচিৎ। আপনি হেপাটাইটিস-বি রোগ সংক্রান্ত সেমিনারে যোগ দিয়ে অনেক কিছু জেনেছেন এবং সেই তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আশা করছি আপনার এই পোস্ট পরে অনেকেই সচেতন হবেন। ধন্যবাদ আপু।
আসলে ভাইয়া হেপাটাইটিস বি খুবই মারাত্মক একটি রোগ। যেহেতু এই রোগ হওয়ার আগে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে আমি মনে করি সবার উচিত টিকা গ্রহণ করা। আমি চাই এই পোস্ট পড়ে কেউ না কেউ সচেতন হোক।
মাঝে মাঝে দেখি এমন অনেক বিষয়ে আমাদের এলাকাতেও জনসচেতন মূলক একটি করে সেমিনার গড়ে তোলা হয়, যেখানে গ্রামের মানুষজনকে ডেকে অনেক জ্ঞানমূলক কথাবার্তা বলে। বাইরে থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অনেকেই এভাবে বিভিন্ন বিষয়ের সজাগ করে থাকে জনগণকে এগুলো আমার অনেক ভালো লাগে।
আসলে বেশিরভাগ মানুষই অসুস্থ হয়ে শুধু সচেতনতার কারণে। আমাদের দেশে সচেতন মানুষ অনেক কম। তাই সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে তাকে সচেতনতার জন্য।