পবিত্র ঈদুল ফিতর ও আমার আনন্দ
ঘুরে ফিরে বারে বারে
ঈদ আসে ঈদ চলে যায়।
ঈদ হাসতে শেখায়
ভালবাসতে শেখায়
ত্যাগের মহিমা শেখায়।
হ্যালো বন্ধুরা,সবাইকে ঈদ মোবারক।ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে গতকাল। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর এই আনন্দের বার্তা বয়ে এনেছে মুসলিম উম্মাহর মাঝে। মুসলিম জাতি পুরো একমাস সিয়াম সাধনার পর এই আনন্দ সকলের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়। এই আনন্দ যেন প্রতিটি মানুষের জীবনে থাকে সেটি হচ্ছে এই ঈদুল ফিতরের মূল লক্ষ্য। গতকাল যেহেতু পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে, সারা দেশের মানুষ আনন্দে ব্যস্ততায় সময় কাটিয়েছে। একইভাবে আমিও বেশ আনন্দের সাথে ও ব্যস্ততার সাথে দিনটি কাটিয়েছি।
রমজানের প্রায় শেষের দিক থেকেই ঈদের প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছি। কাপড়চোপড় কেনাকাটা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা এবং চাঁদ রাতে হাতে মেহেদী পরা কোন কিছুই কমতি রাখিনি। এবার আসি ঈদের দিন সকাল বেলা থেকে রাত পর্যন্ত আমার দিনটি কেমন কেটেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফজরের সালাত আদায় করে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করে পরিবারের সবাই মিলে একটি করে খেজুর খেয়ে নিয়েছি। আবার শ্বশুরবাড়িতে আবার ঈদের নামাজ পড়ে সকাল ছয়টায়। তাই আমার শ্বশুর ও আমার হাসবেন্ড গোসল করেই রেডি হয়ে নিচ্ছে। এরই মধ্যে আমরা কিছু সেমাই রান্না করে তাদেরকে পরিবেশন করে দিলাম। তারপর তারা খেয়ে ঈদগাহে চলে গেল। এরপর আমার ব্যস্ততার পালা।আমি এবং আমার শাশুড়ি মিলে অনেক ধরনের খাবারের আয়োজন করেছি। যেহেতু ঈদের দিন অতিথি আসবে বাড়িতে সেহেতু ভালো ভালো খাবার তো রান্না করতেই হবে। আমি নুডলস, পায়েস, হালিম ও সেমাই রান্না করেছি। আর দুপুরের খাবারের জন্য মুরগির মাংস, ঢেঁড়স ,ডাল, ডিম এসব কিছুর আয়োজন করেছি।
তারপর ঈদের নামাজ শেষে এক এক করে বাড়ির চারপাশের প্রতিবেশীরা আসা শুরু করলো। সকলের মাঝে নাস্তা পরিবেশন করা, সকলের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া ,কোলাকুলি করার মাধ্যমে সময় কাটিয়েছি। এরপর আমিও গোসল করি রেডি হয়ে নিলাম। এরপর আমার হাজবেন্ডের কাছ থেকে সালামি আদায় করে নিলাম। তারপর আমি আমার ননদ আমার শাশুড়ি মিলে পাশের বাড়িগুলোতে ঘুরে ফিরে সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিলাম। সন্ধ্যায় আবার আমার হাজব্যান্ড ও তার ১৪/১৫ জন বন্ধু ঘরে আসলো। সবাইকে আবার নাস্তা দিলাম এভাবেই সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিলাম। চমৎকার ভাবেই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছি। আসলে যখন ছোটবেলায় এই আনন্দ উপভোগ করতাম তখন শুধুমাত্র দৌড়াদৌড়ি হইহুল্লোর এগুলো ছাড়া যেন আনন্দ কোন কিছুতে ছিল না। আর এখন হচ্ছে নিজে কোন কিছু রান্না করে অন্যদের মাঝে পরিবেশন করা যেন আমাদের মূল আনন্দের বিষয়। ঈদের আনন্দ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল প্রশান্তি। এই বলে আমি আমার আজকের পোস্ট শেষ করছি সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
🌺 আশা করি আমার আজকের পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 🌺 |
---|
🌺 ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🌺 |
---|
ঈদের দিন মানে খাওয়া দাওয়া আর আনন্দ করা। আর খাবারও দেখলাম অনেক প্রকারের আয়োজন করেছেন। ঈদের দিন সবাই একজন অপর জনের বাসায় যায়।সব মিলিয়ে ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপু।
ঈদের দিনটাই হচ্ছে আনন্দ আর আনন্দ। এই আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্যই আমরা বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করি এবং সবাইকে আপ্যায়ন করি এতেই বেশি ভালো লাগে।
পুরো একমাস রোজা রাখার পরে মুসলিমদের জন্য ঈদের দিন হচ্ছে বিশেষ একটা দিন যা সকল মুসলিম উম্মাহের মধ্যে আনন্দের উৎসব বয়ে আসে। সবার মত আপনার ঈদ উৎসবও অনেক ভালো কেটেছে। অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন পুরো একমাস রোজা রাখার পর মুসলিমদের জন্য এই দিনটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় আনন্দের দিন। এই আনন্দ কে সবার মাঝেই বিলিয়ে দেয়ার জন্যই আমরা একে অপরের বাড়িতে যাই এবং আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই।
আপু আপনাকে প্রথমেই ঈদের শুভেচ্ছা জানাই।আসলেই আপনার লেখাগুলোই যেন ইদে আমরা করে থাকি।একমাস আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় ঈদের প্রস্তুতি। কেনাকাটা থেকে শুরু করে মেহেদী পরা চাঁদ রাতে।পরিবারের সবাই মিলে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আসলেই রমজান মাসেই আমরা ঈদের প্রস্তুতি নিয়ে শুরু করেছি ।কেনাকাটা থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রস্তুতি নিয়ে শুরু করি। আর এই আনন্দ ঈদের দিন সবাই মিলে ভাগাভাগি করে নেয়ার চেষ্টা করি।
ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ। শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করে সবার সাথে ঈদের ভাগাভাগি করলেন। আপনার হাসবেন্ডের বাড়ির ওখানে মনে হয় ঈদের নামাজ তাড়াতাড়ি হয়ে গেল। আমাদের এখানে সাড়ে সাতটা ঈদের নামাজ হল। তবে আপু মহিলাদের ঈদের সময় সেমাই হতেন নাস্তা জলদি বানাতে হয়। কারণ ঘরের মানুষ এবং মেহমানগুলো থাকে। মনে হয় ভাইয়া থেকে জোর করে ঈদের সেলামি নিয়ে নিলেন। যাক ঈদের দিন ননদের সাথে বাড়ির সবার সাথে ঈদ ভাগাভাগি করলেন শুনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে ঈদের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু আমার শ্বশুরবাড়িতে ঈদের নামাজ ছয়টা থেকে শুরু হয়ে যায়। আর তাই ফজরের সালাতের সেই পরপরই আমরা সেমাই রান্না করে ফেলতে হয়। আর মেয়েদের তো এমনিতেই কাজ হল সব কিছু তাড়াতাড়ি সামলে নেয়া। আসলে আমার হাসবেন্ড আমাকে এমনিতেই সালামি দিয়ে দিয়েছে তাও একটু জোর করে বাড়তি নিয়ে নিলাম।
আসলে পরিবারের সবার সাথে ঈদ করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। আপনি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে এবার ঈদ করতেছেন। মনে হয় আপনাদের ওখানে ঈদের নামাজ অনেক জলদি হয়ে গেল। তবে ঈদের দিন আমাদের বাড়িতেও নাস্তাগুলো এবং সেমাই জলদি বানিয়ে ফেলেছেন। তবে ভালো লাগলো বাড়ির সবার সাথে ঈদ ভাগাভাগি করেছেন। আর আমাদের ভাইয়া থেকে মনে হয় অনেক বড় একটা সালামি পেয়েছেন। সন্ধ্যাবেলা ভাইয়ের অনেক বন্ধু আপনাদের বাড়িতে আসলো। আসলে ঈদের সময় বন্ধু-বান্ধব আসলে অনেক ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পরিবারসহ ঈদ আনন্দ উপভোগ করাটাই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য। ঠিক বলেছেন আমাদের এদিকে ঈদের নামাজ একটু তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। সেজন্যই নাস্তা সব তাড়াতাড়ি বানিয়ে ফেলতে হয়।আমার কাছে এটি খুবই ভালো লাগে ঈদের সময়ে সবাই একসাথে আনন্দ গুলো ভাগাভাগি করে নিতে।