সুস্বাদু খাসির পায়া দিয়ে মুগডালের রেসিপি //১০% প্রিয় লাজুক খ্যাক এর জন্য
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা
আসসালামুয়ালাইকুম
প্রীতি ও শুভেচ্ছা
আশা করি সবাই ভাল আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে যে রেসিপিটি নিয়ে হাজির হয়েছি তা হচ্ছে সুস্বাদু খাসির পায়া ও মুগ ডাল রেসিপি। খাসির পায়া দিয়ে মুগ ডাল রান্না করলে এর সাথে চালের গুড়ার রুটি খেতে জাস্ট ইয়াম্মি লাগে। খাসির পায়া ভেতরের মগজ গুলো চুষে চুষে খেতে যে মজা তা আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না।
মুগ ডালের সাথে খাসির পায়ার এই সংমিশ্রন স্বাদে ভরপুর৷ এসব খাবার আবার একা একা খাওয়া যায় না। তাই আমরা যখন সব বোন একসাথ হই তখন মজার মজার খাবার তৈরি করে খাই। সবাই মিলে একসাথে কোন খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। আমরা চার বোন একসাথে খুলে নতুন নতুন রেসিপি খাওয়ার চেষ্টা করি আজ ভাবলাম কি খাওয়া যায়। আব্বু বাজার থেকে দুই কেজি খাসির পায়া নিয়ে আসে। ঘরে আছে মুগডাল। দুটোর সংমিশ্রণ বেশ জমে উঠবে। আর আমি ভাবলাম এত মজার একটি রেসিপি যেহেতু করব সেটা আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়া দরকার। তাহলে চলুন আমার আজকের রেসিপিটি দেখে নেয়া যাক।
❤️প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ❤️ |
---|
- খাসির পায়া ২ কেজি
- মুগডাল আধা কেজি
- পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ
- কাঁচা মরিচ কুচি
- শুকনো মরিচ
- হলুদের গুড়া
- মরিচের গুঁড়া
- আদা বাটা
- রসুন বাটা
- জিরার গুঁড়ো
- এলাচ
- তেজপাতা
- দারুচিনি
- বিট লবণ
- তেল
- লবণ
🌹প্রথম ধাপ🌹 |
---|
- প্রথমেই আমি মুগডাল গুলো ভালভাবে পরিষ্কার করে দিয়ে আধাঘন্টা ভিজিয়ে রাখলাম।
🌹দ্বিতীয় ধাপ🌹 |
---|
- প্রথমে একটি কড়াইয়ে পরিমাণমতো তেল নিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।
🌹তৃতীয় ধাপ🌹 |
---|
- এবার এলাচ,দারুচিনি, তেজপাতা ও শুকনো মরিচ দিয়ে দিলাম।
🌹চতুর্থ ধাপ🌹 |
---|
- তারপর সবগুলো মসলা দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে অল্প একটু পানি দিয়ে দিলাম।
🌹পঞ্চম ধাপ🌹 |
---|
- মসলা ভালোভাবে কষানো হলে তার মধ্যে খাসির পায়া গুলো ঢেলে দিলাম।
🌹ষষ্ঠ ধাপ🌹 |
---|
- এভাবে কিছুক্ষণ নেড়ে আরো কিছু পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঘন্টাখানিক কষাতে থাকলাম।
🌹সপ্তম ধাপ🌹 |
---|
- ঘন্টা খানিক কষানোর পর এর মধ্যে আমি বিট লবণ দিয়ে দিলাম।
🌹অষ্টম ধাপ🌹 |
---|
- তারপর ভিজিয়ে রাখা মুগডাল হাসির হাড়ের ওপর ঢেলে দিলাম।
🌹নবম ধাপ🌹 |
---|
- আরো কিছু পানি দিয়ে রান্না করতে থাকলাম।
🌹চূড়ান্ত ধাপ🌹 |
---|
- এবার রসুন দিয়ে তেলের বাগার দিয়ে রান্না শেষ করলাম।
- এবার আমি আবার রান্না করা খাসির পায়া মুগ ডাল চালের গুড়ি রুটি দিয়ে পরিবেশন করে ছবি তুলে নিলাম।
আশা করি আমার আজকের মজার রেসিপি টি আপনাদের ভালো লাগবে। কেমন লেগেছে মন্তব্য করবেন। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য💘 |
---|
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে খাসির পায়া দিয়ে মুগ ডালের রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনার এই রেসিপিটি আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লেগেছে। যদিও আমি আপনার এই রেসিপি খাইনি তবে দেখেই বুঝতে পেরেছি ।সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে আপনার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু আপনার খাসির পায়া রেসিপি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে।মনে হচ্ছে এটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।খুবই কালার ফুল লাগছে রেসিপিটি।রুটি দিয়ে খেতে দারুন লাগবে । আমার তো এখনই খেতে ইচ্ছে করছে।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আসলেই আপু এই ধরনের রেসিপি রুটি দিয়ে খেতে খুবই মজা লাগে। তাই আমি মাঝে মাঝে এভাবেই মুগ ডাল দিয়ে রান্না করে খাই। আপনারও দেখছি খুব পছন্দ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য।
খাসির পায়া দিয়ে মুগ ডালের রেসিপি টা আগে কখনো খাওয়া হয়নি আপনি আমাদের মাঝে রেসিপি টা বেশ চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন দেখে আমি খুবই আনন্দিত। মনে হয় রেসিপি টা খেয়ে খুব মজা পাওয়া যাবে আমি যদি সময় পাই রেসিপি টা একবার ট্রাই করে দেখতে চাই । ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খাসি দিয়ে মুগ ডালের রেসিপি অনেক মজা হয়েছে। আপনি আমার রেসিপি দেখে আনন্দিত হয়েছেন শুনে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগছে। কেননা আমার রেসিপি গুলো আপনাদের ভাল লাগার জন্যই করি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনিতো খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। মুগ ডাল দিয়ে খাসির পায়া অসম্ভব মজাদার রেসিপি। দেখে আর লোভ সামলাতে পারছিনা। কিন্তু কিছুই করার নেই দেখে মন ভারতে হবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
আসলে আপু ঠিক বলেছেন খাসির পায়া দিয়ে মুগ ডালের রেসিপি অনেক মজা হয়। তাই আমি রান্না করেছি আমার কাছে খেতে ভীষণ মজা লেগেছে। আপনিও চাইলে এভাবে রান্না করে খেতে পারেন। যেহেতু আমার রান্নার খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
আমার এই ধরনের নেহারি খাবার খুবই পছন্দ। চালের গুড়ির রুটির সাথে এই খাবার আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আমরা বাসায় প্রায়ই খেয়ে থাকি। তবে সত্যি বলতে মুগ ডালের সাথে কখনো এভাবে রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি ভীষণ ইউনিক এবং মজাদার লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে এবং অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলে আপু এই ধরনের নেহারি রান্না আমার কাছেও ভীষন ভালো লাগে। তাই আমি মুগ ডাল দিয়ে রান্না করে খেয়েছি। যেহেতু আপনি কখনো এভাবে রান্না করে খান নি।আপনিও একসময় রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার এই সুস্বাদু রেসিপি দেখে আমার তো জিভে জল চলে আসলো। সুস্বাদু খাসির পায়া দিয়ে মুগ ডালের রেসিপি রুটি দিয়ে এমনভাবে পরিবেশন করে রেখেছেন যা দেখেই লোভ লেগে যাবে। আপনারা শুধু চার বোন মিলে এতো সুস্বাদু খাবারটা খেয়ে নিবেন আপু। আমাদের কেউ দাওয়াত দেওয়া উচিত ছিল। আপনাদের সাথে সাথে আমরাও খাসির পায়া দিয়ে মুগ ডালের সুস্বাদু রেসিপি খেয়ে দেখতাম। যাইহোক আপু আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ইস! রেসিপিটি দেখে আপনার জিভে জল চলে আসলো। তাহলে চলে আসুন আমাদের বাড়িতে আপনার দাওয়াত রইল। অবশ্যই এতক্ষণে আমাদের খাওয়া শেষ হয়ে গেছে। তবে অসাধারণ মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।
ওয়াও খাসির পায়া দিয়ে মুগ ডালের রেসিপি দেখতে অসাধারণ লাগছে ।আমি আগে কখনো এই রেসিপিটা খাইনি ।আপনার এই রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে ।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে খাসির পায়া দিয়ে মুগ ডালের রেসিপি শেয়ার করেছেন ।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু ঠিক বলেছেন খাসির পায়া অনেক মজা হয়েছে। রুটি দিয়ে খেতে খুবই মজা লাগে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
এতো সুস্বাদু একটি খাবার দেখে লোভ না লাগার কোন কারণ নেই। খাসির পায়া যত বেশি সিদ্ধ হবে ততো বেশি মজা লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখেই জিভে জল এসে গেছে। সঙ্গে মুগডাল দেয়ায় বোধহয় আরও বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন খাসির পায়া যত বেশি সিদ্ধ হয় ততবেশি তুলতুলে নরম হয়। খেতে ভীষণ মজা লাগে। যেহেতু আমার রেসিপিটি আপনার পছন্দ হয়েছে আপনাকে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
আপু আপনার তৈরি খাসির পায়া রেসিপি দেখে আমার তো মুখে জল চলে এসেছে। দেখে মন আছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। বিশেষ করে তরকারির কালারটি অনেক সুন্দর হয়েছে। যাইহোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
খুবই লোভী লাগিয়ে দিলেন এই দেশে ফিরে দেখি। আপনার রেসিপি দেখার সাথে সাথে আমার জিভে জল চলে এসেছে । ইচ্ছে করছে এখনই খেয়ে নিতে। মনে হচ্ছে বৃস্বনে সুস্বাদু হয়েছে আপনার খাসির পা দিয়ে মুগ ডালের রেসিপি। খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এই রেসিপি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।