বাইকে চড়ে মাওয়া ফেরিঘাট ভ্রমণ//১০% প্রিয় লাজুক খ্যাককে

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা

আসসালামু আলাইকুম

প্রীতি ও শুভেচ্ছা

আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের ব্লগটি হচ্ছে বাইকে চড়ে মাওয়া ফেরিঘাট ভ্রমণ ।

  • ভ্রমণ পিপাসু মানুষের জন্য আমার আজকের ব্লগটি। যারা ব্যস্ততাকে কাটিয়ে নিজেকে সময় দেয়ার জন্য দূর অজানায় হারিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাকুল থাকে। আমরা সবাই কিন্তু ঘুরাঘুরি করতে পছন্দ করি। বিশেষ করে যারা চাকরিজীবী তারা অনেক ব্যস্ততার পর যখন একটু অবসর সময় ঘোরাফেরা করে তারাই বেশি এই সময়গুলোকে উপভোগ করতে পারে। ঠিক তেমনি আমিও কিছুদিন আগে ঢাকায় যাওয়ার পর আমার হাজব্যান্ড আমাকে বাইকে করে মাওয়া ফেরিঘাট ভ্রমণ করাতে নিয়ে গেল। আমরা সেখানে রওনা দিয়েছি রাত বারোটায়। একটানা ৬৩ কিলোমিটার ১৩৪ স্পিডে বাইক চড়ে আমরা সেখানে পৌঁছলাম। তারপর ঘুরাঘুরি,পদ্মার ইলিশ খাওয়া এবং দূর থেকে পদ্মা সেতু দেখে আবার রওনা হয়ে বাসায় এসে পৌঁছতে সময় লেগেছিল ভোর সাড়ে পাঁচটা। রাতের ভ্রমণ এমনিতেই অনেক মজার হয় তার মধ্যে বাইকে ছড়িয়ে প্রিয় মানুষের সাথে লং ড্রাইভে যাওয়া ছিল অন্যরকম অনুভূতি।

IMG_20220825_022018.jpg

IMG_20220825_022056.jpg

  • আমরা যখন রওনা হই তখন ছিল পুরো রাস্তা ফাঁকা প্রায়। কারণ রাত বারোটার পর গাড়ি এমনিতেই কমে যায়। আর মাওয়া ব্রিজে পৌঁছার আগে অনেকগুলো ব্রিজ পড়ে ছিল ।আমি সব গুলোর নাম জানিনা মাঝ পথে এসে একটা ব্রিজের সামনে আমরা দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিলাম ।তারপর সেখানেই দাঁড়িয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম আর পাশেই চা দোকান থেকে চা খেলাম।

20220825_030500.jpg

20220825_034924.jpg

  • তারপর আমরা সেখানে যখন পৌঁছলাম তখন ছিল রাত প্রায় দুইটা ।ফ্রেশ হয়ে পদ্মা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম ।এগুলো ছিল পদ্মা পারে বাসের মাচাঙের উপর এই রেস্টুরেন্ট। খুবই গ্রামীণ প্রকৃতির রেস্টুরেন্টের স্টাইল ছিল। এখানে একই রকম অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এত রাতেও সেখানে ছিল অনেক মানুষ। চারপাশে দিনের আলোর মতো লাইট জ্বলছিল ।আর আমি প্রবেশ করেই কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে ফেলেছি।

20220825_035132.jpg

20220825_025728.jpg

  • মাওয়া ফেরিঘাট থেকে পদ্মা সেতু দেখা যাচ্ছিল যেহেতু আমরা বাইকে চড়ে এসেছি আর পদ্মা সেতুতে বাইক নিয়ে ওঠা নিষিদ্ধ তাই আমরা উপরে উঠতে পারিনি। মাওয়া ফেরিঘাট থেকেই দেখতে হয়েছে পদ্মা সেতু ।দূর থেকে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল আর মাওয়া ফেরিঘাটের স্টিমার গুলো বন্ধ এখন। কারণ এখন আর দূর দুরান্ত থেকে মানুষ লঞ্চ স্টিমারে করে আসার প্রয়োজন পড়ে না। বরিশাল জেলার মানুষ এখন এই পদ্মা ব্রিজ হয়েই আসতে পারে। কিছু স্টিমার ফেরিঘাটে এখনো আছে তবে বন্ধ অবস্থায়। তাই আমি ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

20220825_024831.jpg

20220825_024918.jpg

  • পদ্মা নদীতে গিয়ে যদি পদ্মর ইলিশ না খেয়ে আসি তাহলে তো মানা যায় না। আর সেখানে গেলে সবাই ইলিশ আর গরম ভাত খেয়ে থাকে তাই আমরা গিয়েও একটি ইলিশ অর্ডার করে ফেলি। তারপর তারা আমাদেরকে ইলিশ ভেজে পরিবেশন করে সাথে ছিল আরো অনেক খাবার ।পদ্মা নদীতে এসে পদ্মার ইলিশ খাওয়ার মজাই ছিল আলাদা।

20220825_030920.jpg

20220825_030902.jpg

20220825_031628.jpg

  • পদ্মার ইলিশ খাওয়ার মজাই ছিল অন্যরকম। ইলিশ মাছ পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না সেখানে গিয়েই যাবে সেই ইলিশ মাছ খেয়ে আসতে হবে ইলিশ মাছের সাথে ছিল বেগুন ভাজি শুকনো মরিচ ভাজি এবং ইলিশ মাছের লেজ দিয়ে ভর্তা । আর ছিল পেঁয়াজ এবং কাঁচামরিচ।সাথে গরম গরম ভাত জাস্ট অসাধারণ লেগেছিল।

20220825_031711.jpg

20220825_032015.jpg

বন্ধুরা আপনারা যারা মাওয়া ফেরিঘাটে যেতে চান তারা রাতের বেলায় গেলে একটু বেশি আনন্দ অনুভব করবেন। কারণ তখনকার পরিবেশ অসাধারণ আর ইলিশ মাছ খেয়ে আসতে ভুলবেন না কিন্তু।

ফটোগ্রাফারঃ@morioum

ডিভাইসঃSamsungA22

🌺 আশা করি আমার আজকের ব্লগ টি আপনাদের ভালো লাগবে।ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 🌺

🌺 ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🌺

Sort:  
 2 years ago 

প্রথমত বলব পদ্মা সেতুতে বাইক নিয়ে ওঠা নিষিদ্ধ সেটা আসলে যথাযথ কারণ রয়েছে, তার কারণে হয়তো আপনারা উপরে উঠতে পারেননি। তবে সেখানে পদ্মার ইলিশ যেভাবে পেঁয়াজ এবং বেগুন ভাজার সমন্বয় ইলিশ মাছ ভাজা খেয়েছেন, আসলে দেখে লোভ লাগছে। তবে হ্যাঁ ইলিশ মাছের লেজ দিয়ে যে ভর্তা বানানো হয়, সেটি আমাদের বাসায়ও মাঝেমধ্যে বানানো হয়। অনেক সুস্বাদু একটি ভর্তা হয়ে থাকে। যাইহোক অনেক সুন্দর ভাবে একটি দিন কাটিয়েছেন ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্টটি পড়ে ধন্যবাদ।

 2 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন পদ্মা সেতুতে বাইকে উঠে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে তাই আমরা উঠতে পারিনি। তবে সেখানে যাওয়ার পথে ইলিশ মাছ দিয়ে এবং ইলিশ মাছের লেজের জের ভর্তা বানিয়ে খাবার খেয়েছি ভীষণ মজা হয়েছে।

 2 years ago 

অনেক মজা হয়েছে এবং অনেক মজা করেছেন পুরোটাই কিন্তু উপলব্ধি করেছি আপনার পোস্ট জুড়ে। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন যাতে করে আমরাও উপভোগ করতে পেরেছি আপনার পোস্টের মাধ্যমে ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

এত রাতে বাইকে চোরে ঘুরতে গিয়েছেন যা শুনে খুবই ভালো লাগলো। আমারও বাইকে ঘুরতে খুবই ভালো লাগে। তবে কখনো এত রাতে ঘোরা হয়নি। আর আমার মাওঘাটে ও পদ্মা সেতু দেখতেও যাওয়া হয়নি। ভাবছি যাব কিন্তু সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না।

 2 years ago 

আসলে ই এই জায়গায় রাতের বেলায় যাওয়ার মজাই আলাদা ।আমারও এর আগে কখনো এভাবে রাতে ঘোরাঘুরি হয়নি। জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা খুবই আনন্দময় ছিল।

 2 years ago 

আপনারা তো দেখছি পুরো রাত ভ্রমণ করেছেন। ফেরিঘাট থেকে পদ্মা সেতু দেখা যাওয়ার কারণে আপনারা মনে হয় অনেক মজা করেছেন। কাছে না যেতে পারলেও দূর থেকে দেখতেও অনেক সুন্দর দেখায়। সত্যি ই আপনি আজকের এই পোস্ট খুবই ভালোভাবে করেছেন। আবার পদ্মা ইলিশ খাতেও ভীষণ ভালো লেগেছে মনে হচ্ছে।

 2 years ago 

আপনি একদম ঠিক বলেছেন সেখানে গিয়ে অনেক মজা করেছি ফেরিঘাট থেকে পদ্মা সেতুর লাইটিং গুলো দূর থেকে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছিল ।আর পদ্মা নদীতে গিয়ে যদি পদ্মার ইলিশ না খায় তাহলে তো যাওয়াই বৃথা।

 2 years ago (edited)

গাড়িতে চলে আপনি পদ্মা সেতু ঘুরতে গিয়েছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু। আপনার পোস্টটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছেন। খাবার গুলো দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে আপু । ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল

 2 years ago 

আপু গাড়িতে চড়ে না বাইকে চড়ে গিয়েছিলাম। আসলেই সেখানকার খাবার-দাবার গুলো খুবই লোভনীয় যে একবার যায় সে বারবার যেতে মন চাইবে আর পদ্মার ইলিশ কতটা মজার সেটা তো সবাই জানে।

 2 years ago 

একটানা ৬৩ কিলোমিটার ১৩৪ স্পিডে বাইক চড়ে আমরা সেখানে পৌঁছলাম

এতো স্পিডে না যাওয়াই ভালো আপু। একটা দূর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না হয়ে থেকে যায়। মাওয়া মানেই ইলিশ। ইলিশ মাছ মাছের লেজ ভর্তা দেখে আমার লোভ লাগছে। বেশ দারুণ ছিল আপনার মাওয়া ভ্রমণটা।।

 2 years ago 

এটা আপনি একদম ঠিক বলেছেন এত স্পিডে না যাওয়াই ভালো। তবে ভাইয়া স্পিড টা সর্বোচ্চ একবারই উঠেছি আর এভারেজ স্পিড এত বেশি ছিল না। অনেক রাত হওয়াতে রাস্তায় কোন গাড়িও ছিল না।

 2 years ago 

আমার বাংলা ব্লকের সকল বন্ধুরা

আপু প্রথমে আমি আপনাকে বলব বানানোর প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়ার কথা কেননা এখানে ব্লগ বানানে ভুল আছে।একটানা ৬৩ কিলোমিটার পথ ১৩৪ স্পিডে বাইক চড়ে যাওয়াটা এক ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ বলে আমি মনে করি। তারপরও আপনি দারুন একটি ভ্রমণ সুসম্পন্ন করেছেন। আর রাতের বেলায় মাওয়া ফেরি ঘাট দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগে। আর আমরাও জানি পদ্মা সেতুতে ওঠা নিষিদ্ধ। তবে অসাধারণ সুন্দর একটি ভ্রমণ করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আসলে। টাইপের কারণে ভুল উঠে গিয়েছে। আসলে এত দূরের পথ শুধুমাত্র রাত্রিবেলায় হওয়ার কারণে যেতে পেরেছি। কারণ তখন রাস্তায় কোন জ্যাম ছিল না এবং অতিরিক্ত গাড়ি ছিল না আর রাত্রিবেলা ঘুরাঘুরির মজা আলাদা।

Hi, @morioum,

Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.

Your post was picked for curation by @gorllara.


Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 67743.75
ETH 3805.34
USDT 1.00
SBD 3.53