আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা😍
আসসালামুয়ালাইকুম 😍😍
প্রীতি ও শুভেচ্ছা 😍😍😍
- আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। সবাই নিশ্চয়ই অবগত আছেন আমাদের এবারের কনটেস্ট চলছে পটল নিয়ে।
- রান্না একটি আর্ট। আর এই আর্টকে যারা মন থেকে করে তারাই হচ্ছে আসল রন্ধনশিল্পী। কিন্তু এই রন্ধন শিল্পকে প্রতিভার দিক থেকে কাজে লাগানোর সুযোগ সব সময় হয়ে ওঠেনা। তবে আমি এ কথা বিশ্বাস করি যে এই কমিউনিটি তে কাজ করতে পেরে আমরা সবাই আমাদের রন্ধন শিল্প গুলো নতুন রূপে নতুন আঙ্গিকে সবার মাঝে তুলে ধরতে পারছি। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা নিজেদের একধাপ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। কারণ আমরা সবাই কিন্তু প্রতিযোগিতা পছন্দ করি। সবাই চাই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অন্যের থেকে নিজেকে একটু উপরে রাখার আর সেই সুযোগ করে দিয়েছে আমাদের প্রিয় @rme দাদা। আর প্রতিনিয়ত মডারেটর ভাইয়েরা আমাদের সেই কাজগুলো পরিচালনা করে যাচ্ছে। তাই দাদা এবং সকল মডারেটর দের আমার পক্ষ থেকে জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন। আজ আমি আপনাদের মাঝে পটলের যে ইউনিক রেসিপিটি নিয়ে হাজির হয়েছি তা হচ্ছে **মাছের পুর ও কিসমিসের সাথে পটলের দোরমা রেসিপি।
এই রেসিপিটি আমার ভীষণ প্রিয় এক কথায় একবার যখন খাই মনে হয় যেন অনেকদিন পর্যন্ত এর স্বাদ মুখে লেগে থাকে। আমার মনে হয় আপনাদের সবারই পছন্দ হবে আমার আজকের এই রেসিপিটি। যারা খেতে চায় না তারাও এই রেসিপিটি খেয়ে মজা পাবে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন ঝটপট দেখে নেই আমার আজকের মাছের পুর ও কিসমিসের স্বাদে পটলের দোরমা রেসিপিটি।
- পটল ৮ পিস
- পাঙ্গাস মাছ ৩ পিস
- পেঁয়াজ কুচি
- কাঁচা মরিচ কুচি
- হলুদের গুঁড়ো
- মরিচের গুঁড়ো
- লবণ
- বিট লবণ
- আদা পেস্ট
- রসুন পেস্ট
- জিরার গুঁড়ো
- তেজপাতা
- কিসমিস
- প্রথমে আমি মাছগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে এর মধ্যে হলুদ ও লবণ মেখে রাখলাম।
- এবার আমি একটি কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল নিয়ে তার মধ্যে হলুদ মেখে রাখা মাছগুলো ভেজে নিলাম।
- মাছ দুই বিট ভালোভাবে ভেজে উঠিয়ে রাখলাম।
- এবার মাছগুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে কাটা বেছে মাছ নরম করে নিলাম।
- এবার পটলগুলো উপরের চামড়া পাতলা করে ছেড়ে নিয়ে দুই পাশ সমান করে কেটে হালকা ভাজি করে নিলাম।
- এবার পটলের ভেতরে চামচ দিয়ে বিচিগুলো বের করে নিলাম।
- এবার একটি করে পরিমাণ মতো তেল নিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।
- এবার সবগুলো মসলা দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিলাম।
- এবার মেখে নেওয়া মাছগুলো পাতিলে ছেড়ে নাড়তে থাকলাম।
- মাছের পুর তৈরি করা হয়ে গেলে ঠান্ডা হওয়ার পর পটলের খোসার ভেতরে পর গুলো ঢুকিয়ে দিলাম।
- এবার একই কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল নিয়ে তার মধ্যে পটলের বিচিগুলো দিয়ে সামান্য পরিমাণ হলুদ ও লবণ দিয়ে দিলাম।
- এবার সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে তার মধ্যে পুর ঢুকানো পটলগুলো দিয়ে দিলাম। ঝোল মাখামাখা হয়ে গেলে পাতিল চুলা থেকে নামিয়ে ফেললাম।
- এবার পটলের দোরমার উপরে কিচমিচ দিয়ে পরিবেশন করে ছবি তুলে নিলাম।
ডিভাইসঃSamsungA22
🌺 আশা করি আমার আজকের রেসিপি টি আপনাদের ভালো লাগবে।ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 🌺 |
🌺 ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🌺 |
ওয়াও কি মজাদার রেসিপি প্রস্তুত করেছেন মাছ কিসমিস আর পটলের মিশ্রণে সত্যি পারেনও বটে।। তবে রেসিপির প্রস্তুত প্রণালী টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে খেতে দেখুন সুস্বাদু হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।।
একদম ঠিক বলেছেন উপরে যখন কিসমিস দিয়ে পরিবেশন করেছি তখন কামড় দিলেই যখন কিসমিসের ফ্লেভার জিভে লেগে যায় তখন খেতে খুবই দারুণ লাগে আপনিও খেয়ে দেখতে ভুলবেন না।
আপু পটল কুমার দিয়ে এত সুন্দর রেসিপি করা যায় সেটা তো আগে জানতাম না। দেখে অনেক ভাল লাগলো। আমি কি রেসিপি দিবো সেটাই চিন্তা করতেছি। ধন্যবাদ আপু।
বাহ এটি শুনে খুবই ভালো লাগলো যে পটল কুমার আসলেই পটল দিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর রেসিপি তৈরি করা যায়। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি। প্রত্যেকের অংশগ্রহণ আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে।
প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভিন্নধর্মী পটলের রান্না দেখতে পারলাম।। আসলে আমার কাছে একদমই ইউনিক মনে হয়েছে ।দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। খেতেও আশা করি সুস্বাদু হবে।। এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে ভাইয়া যে কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে আর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে নতুন নতুন চিন্তাধারা মাথায় আসে। কিভাবে নতুন ভাবে রন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায় তাইতো আমি পটলের এই নতুন রেসিপিটি নিয়ে হাজির হয়ে গেছি আপনাদের কাছে।
পটলের এরকম রেসিপি আসলে কখনো খাওয়া হয়নি। খুব ইউনিক একটি রেসিপি আজকে দেখলাম। আপনি মাছের পুর ও কিসমিসের সাথে পটলের কোরমা তৈরি করেছেন আপু দেখতে তো বেশ লোভনীয় লাগছে। খেতেও মনে হয় অনেক বেশি মজা হয়।
আসলে ভাইয়া কিসমিসের সাথে এবং মাছের প্রোর সংমিশ্রণে এই পটলের দোরমা রেসিপিটি খুবই লোভনীয় হয়। নাকে আসলেই যেন দু তিন প্লেট ভাত খেয়ে ফেলা যাবে খুবই মজার একটি রেসিপি।
অসম্ভব চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। মাছের পুর দিয়ে এভাবে কখনো পটল এর দোরমা রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার মাধ্যমে এই রেসিপিটি শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে নতুন নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে যেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে পটল আমরা সাধারণত মাছ দিয়ে সবজি হিসেবে রান্না করে খাই তাই আজ ভাবলাম প্রতিযোগিতায় যেহেতু অংশগ্রহণ করছি একটু নতুন আঙ্গিকে পটলের দরমা রেসিপি তৈরি করি
প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আরো নতুন ধরনের একটা পটলের রেসিপি দেখতে পেলাম।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুবই চমৎকার ভাবে একটি পটলের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। প্রত্যেকটি ধাপে ধাপে আপনি আমাদেরকে দেখেছেন কিভাবে এমন লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করতে হয়।
আসলে ভাইয়া এই প্রতিযোগিতায় যারা অংশগ্রহণ করবে তারা প্রত্যেকেই নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে হাজির হয়ে যাবে আর আমার কাছে খুবই ভালো লাগে সবার এই ধরনের পোস্ট গুলো দেখতে। তাই তো আমিও সবার মাঝে নিজেকে ধরে রাখার জন্য পটলের নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।
একদম ইউনিক একটি পটলের রেসিপি দেখতে পেলাম আসলে আপু । পটলের দোমরা । এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি, আপনি যেভাবে রেসিপিটি দেখিয়েছেন আসলে ।খেতে খুবই মজা হয়েছে মনে হয় । ধন্যবাদ আপনাকে
আপনি যেহেতু এর আগে কখনো এই রেসিপিটি খাননি আমি বলব একবার অন্তত আমার মত করে রান্না করে খেয়ে দেখবেন। খুবই স্বাদ পাবেন একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে।
পটলের এরকম রেসিপি এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি আসলেই অনেক ইউনিক ছিল। আপনার রেসিপিটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। পটল আমি তেমন একটা পছন্দ করি না তবে এভাবে রান্না করলে নিশ্চয়ই দারুন লাগবে খেতে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
পটল এমনিতেই সবজি হিসেবে রান্না করলে আমিও বেশি একটা খেতে চাই না তবে এই দরবারে কিন্তু আমি প্রায় সময় বাসায় তৈরি করি। এভাবে তৈরি করলে প্রত্যেকেই ছোট থেকে বড় সবাই খেতে চায় আমার মনে হয় আপনিও খেয়ে দেখলে আপনারও পছন্দ হবে।
এক কথায় অসাধারণ। প্রতিযোগিতা হিসেবে অসাধারণ একটি রেসিপি উপস্থাপন করেছেন আপনি আমাদের মাঝে। সত্যি কথা বলতে পটলের এই রকম রেসিপি আজকে প্রথম শুনলাম। খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া পটল দিয়ে আসলেই অনেক কিছু তৈরি করা যায় শুধু একটু চেষ্টা লাগে। আর সুন্দর সুন্দর রেসিপি পেতে এই প্রতিযোগিতার প্রত্যেকের পোস্টগুলো দেখলেই বোঝা যায় একটা রেসিপি কত রকমের তৈরি করা যায় ধন্যবাদ মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
এই প্রসেসে কখনো পটল রান্না খেয়েছি বলে আমার মনে হয় না। তবে বেশ ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর রান্নার আইটেম দেখে। মাছের সমন্বয়ে বেশ সুন্দর রান্না কাজ সম্পন্ন করে দেখিয়েছেন। আশা করি,হয়তো অনেকে এই বিষয়ে অবগত ছিল না তবে নতুন করে রান্না শিখে নিবে আপনার থেকে।
ভাইয়া আসলে কি কোন রেসিপি বিভিন্নভাবে তৈরি করা যায় শুধু একটু সিস্টেমেটিক ফলো করলেই হয় তবে সাত যেন নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। তাইতো আমি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গেছি। আপনাদের মাঝে আশা করি আমার রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে।