মজাদার মজারেলা চীজ (রেনেট ছাড়া)//১০%প্রিয় লাজুক-খ্যাক এর জন্য
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা 💁♀️💁♀️
আসসালামু আলাইকুম 🙋♀️🙋♀️
প্রীতি ও শুভেচ্ছা 🌺🌺
আশা করি সবাই ভাল আছে। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি ।
চীজ সাধারনত বার্গার, পিৎজা, মেক্সিকানডিশ, সালাড এবং স্যান্ডউইচ এর মত জনপ্রিয় খাবারের সাথে দেয়া হয়। এটি সুপ, বা কেক, এবং অন্যান্য খাবারের সাথে যোগ করা যেতে পারে। চিজ দামী খাবার হলেও ঘরোয়া ভাবে কম দামে খুব সহজে তৈরি করা যায়। আর তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে যে রেসিপি নিয়ে আবির্ভুত হয়েছি তা হচ্ছে মজারেলা চীজ।নিচে আমি আমার রেসিপি টি ধাপে ধাপে বর্ণনা করছি। আশা করছি আপনাদের সবার কাছে আমার নতুন রেসিপিটি ভালো লাগবে। মজারেলা চীজ তৈরি করতে খুব বেশি উপকরণের প্রয়োজন নেই।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- তরল দুধ ( ১ লিটার)
- ভিনেগার (১ কাপ)
- লবন ( পরিমাণ মত)
প্রথম ধাপঃ
- প্রথমে আমি ১ লিটার তরল দুধ নিয়ে ২ মিনিট সামান্য গরম করে নেব।
দ্বিতীয় ধাপঃ
- তারপর ওই দুধগুলোতে এককাপ ভিনেগার দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়বো। কিছুক্ষণের মধ্যেই এগুলা চাকা ধরে যাবে।
তৃতীয় ধাপঃ
- এবার আমি ১৫ মিনিটের জন্য ঢাকনা দিয়ে দুধগুলো রেস্টে রেখে দিলাম ।
চতুর্থ ধাপঃ
- ১৫ মিনিট পর ঢাকনা উঠিয়ে দেখি ছানা এবং পানি সম্পূর্ন আলাদা হয়ে গেছে।
পঞ্চম ধাপঃ
- তারপর আমি চাকা হয়ে যাওয়া ছানাগুলো হাত দিয়ে ভালোভাবে চেপে চেপে এর মধ্যে জমে থাকা পানি গুলো সরিয়ে নিলাম। কারণ এই চাকে পানি জমে থাকলে ভালোভাবে চীজ তৈরি হবে না।
ষষ্ঠ ধাপঃ
- এবার আমি দুইবার হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে ছানাগুলো বারবার চেপে নিলাম। তারপর আরেকবার ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে চেপে ভালোভাবে পানি সরিয়ে নিলাম।
সপ্তম ধাপঃ
- ভালোভাবে পানি সরিয়ে ছানার চাকা গোল করে আমি একটি প্লাস্টিকের কাগজে নিলাম।
অষ্টম ধাপঃ
- এবার আমি ছানার চাকাটি সুন্দর করে কাগজে টাইট করে মুড়িয়ে নরমাল ফ্রিজে তিন থেকে চার ঘণ্টা রেখে দিলাম।
নবম ধাপঃ
- তিন থেকে চার ঘণ্টা পর নরমাল ফ্রিজ থেকে নামিয়ে দেখি সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে গেছে আমার তৈরি করা মজারেলা চীজ।
সর্বশেষ ধাপঃ
- সবশেষে আমি এটিকে ছুরি দিয়ে কেটে দেখলাম ঠিকভাবে হয়েছে কিনা।
- এবার আমি আমার তৈরি করা মোজারেলা চিজ গুলোকে কুচি কুচি করে কেটে নিলাম যাতে যে সব খাবারের সাথে খাওয়া যায়, আমি এটি সুন্দরভাবে পরিবেশন করতে পারি।
- এবার আপনি আমার তৈরি করা মোজারেলা চিজ এর সাথে আমার একটি সেলফি তুলে দিলাম।
আশা করি আমার তৈরি করা রেসিপিটি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। কেমন হয়েছে মন্তব্য করবেন।
ধন্যবাদ❤️❤️





















ওয়াও আপু আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি আপু।আপনাকে ধন্যবাদ আপু এটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মতামত দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। শুভকামনা রইল
আপু আপনি দারুন ভাবে মোজারেলা চিজ বানিয়েছেন।আমার কাছে চিজ ভালো লাগে।পিজ্জা বানানোর সময় বেশি করে মোজারেলা চিজ দিয়ে খেতে ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি দেওয়ার জন্য,আপনার জন্য শুভ কামনা রইল
ইউনিক এবং খুব দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। খুব ভাল লাগছে ঘরে তৈরি চিজ এর রেসিপি দেখে
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সাপোর্ট মূলক মন্তব্যের জন্য। আশা করি সবসময় সাপোর্ট করবেন ।
ওয়াও অনেকদিন পর একটি অনেক মজাদার রেসিপি দেখতে পেলাম।রেসিপিটি আমার খুব ভালো লেগেছে। রেসিপি করার প্রক্রিয়া আপনি নিখুঁত ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এত সুন্দর ভাবে ঠিক রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি খুবই সহজ ভাবে মোজোরোলা চিজ তৈরির পদ্ধতি দেখিয়েছেন ।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এবং ঘরে কিভাবে খুব সহজেই মোজোরোলা চিজ তৈরি করা যায় সেটাও শিখে নিলাম অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। বাসায় খুব সহজেই চিজ তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার ঘরের তৈরি মজাদার মজারেলা চীজ দেখে জিভে জল এসে গেল আমার। আর যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর তাই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু। আশা করি সবসময় সাপোর্ট করবেন।
আমি অনেকবার চিজ তৈরি করতে গিয়েও তৈরি করিনি।বারবার মনে হচ্ছে ঝামেলার কাজ, তবে আপনার পোস্ট দেখে বানাতে ইচ্ছে করছে।
আপনাকে ধন্যবাদ আপু। কষ্ট হলেও ভালো খাবার তৈরি করতে ভাল লাগে তাই করলাম। আশা করি
সাপোর্ট করবেন সবসময়।