কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন ।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের ব্লগটি হচ্ছে কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি। আমাদের এই কমিউনিটিতে সবাই খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে। যা দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ।কারণ ফটোগ্রাফি আমারও পছন্দের একটি বিষয়। যারা ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসে তারা যেকোনো জায়গায় ফটোগ্রাফি করার জন্য প্রস্তুত থাকে। তাইতো ফুল পাখি প্রকৃতি এমনকি যে কোন সুন্দর কিছু দেখলেই তারা ফটোগ্রাফি করে ফেলে। তেমনি মাঝে মাঝে কোন শৃঙ্খলা রাখি না ।শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফিক করি যেটাই আমার পছন্দ হয়। আর ফটোগ্রাফি করি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। কেননা আমার যে কোন কিছুই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আমার খুবই ভালো লাগে কারণ এই কমিউনিটি আমার আরেকটি পরিবার। তাহলে বন্ধুরা আর কথা না বললে চলুন আমার আজকের এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেয়া যাক।

GridArt_20230628_120140604.jpg

🌺 ফটোগ্রাফি -১🌺

এই ফুলটি আপনারা সবাই নিশ্চয়ই চিনতে পেরেছেন। কারণ এটি খুবই পরিচিত একটি ফুল। এই ফুল হচ্ছে কৃষ্ণচূড়া। কৃষ্ণচূড়া ফুল আমার অনেক ভালো লাগে। এমন দিনে বৃষ্টি হওয়ার পর কৃষ্ণচূড়া গাছের দিকে তাকালেই প্রাণটাই জুড়িয়ে যায়। চারপাশের স্বচ্ছ সবুজ পরিবেশ আর কৃষ্ণচূড়ার পুরো গাছ জুড়ে টকটকে লাল রঙের ফুল অনেক দূর থেকেও খুব সহজে চোখে পড়ে। কিছুদিন আগে আমাদের বাড়ির সামনে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছের ডাল ভেঙে নিচে পড়ে আছে আর তা কুড়িয়ে এনে আমি ফটোগ্রাফি করেছি।

20230531_135912.jpg

20230531_135906.jpg

20230531_135852.jpg

🌺 ফটোগ্রাফি -২🌺

ছোট এই প্রাণীগুলো নিশ্চয়ই সবার চেনা। কারণ এগুলোর কামড় খায়নি এমন মানুষ আছে কিনা সন্দেহ হাহাহা। যেকোনো গাছে এই পিপড়া গুলো বাসা পেতে থাকে। বিশেষ করে আম গাছে বেশি বাধে। আর যদি সামান্য ঝোক পায় ওমনি আপনাকে কিল বিলিয়ে ধরে শরীরের বিভিন্ন অংশে হালকা কামড় থেকে শুরু করবে? যা আপনার কাছে অসহনীয় লাগবে। যখন কামড়াবে তখন খুব জোরে টেনে ছাড়াতে হবে। এমনি একটি পিঁপড়ার বাসা আমি ভেঙেছিলাম তারপর অনেকগুলো পিঁপড়া পানির ট্যাংকের উপর হাঁটা শুরু করলো ।তখনই আমি এই ফটোগ্রাফি করে ফেললাম।

20230406_113506.jpg

20230406_113456.jpg

🌺 ফটোগ্রাফি -৩🌺

এগুলো হচ্ছে কাঁচা মরিচ কিন্তু লাল হয়ে যাওয়া মরিচগুলো। গাছে যেই মরিচগুলো পেকে যায় সেগুলো শুকিয়ে আমরা পরবর্তীতে গুড়া মরিচ করি। তবে অনেকেই হয়তো এই সিস্টেম না করেই সরাসরি দোকান থেকে গুড়া মরিচ কিনে খায়। তবে গ্রাম অঞ্চলে বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের মরিচ গাছ থেকে লালমরিচ সংগ্রহ করে সেগুলো শুকিয়ে তারপর গুড়ো করে। কিছুদিন আগে আমি আমাদের গাছ থেকে এই লাল মরিচগুলো সংগ্রহ করে রোদে শুকাতে দিয়েছিলাম। এতটাই টকটকে লাল লাগছিল মরিচগুলো ফটোগ্রাফি না করে পারলাম না।

20230331_105318.jpg

20230331_105257.jpg

🌺 ফটোগ্রাফি -৪🌺

এগুলো হচ্ছে সিমের বিচি। সিমের সিজনে যে সিন গুলো গাছে পেকে যায় সেগুলো রান্না করে খেতে মজা নেই তাই খোসা ছাড়িয়ে বিচিগুলো আলাদা করে সংরক্ষণ করে রাখে। পরবর্তীতে সীমের বিচি দিয়ে ডাল রান্না করা যায়। আবার এই সিমের বিচি মাটিতে রোপন করে শিম গাছ লাগানো হয়। তাই আমি সংরক্ষণ করে সিমের বিচি রোদে শুকাতে দিয়ে ছবি তুলেছি।

20230331_105203.jpg

20230331_105159.jpg

🌺 ফটোগ্রাফি -৫🌺

এগুলো হচ্ছে ফলের রাজা আম। আম খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ যে বলে মনে হয় না। আমি সিজনে যাদের বাড়িতে আম গাছ আছে তারা প্রচুর পরিমাণে আম খায়। এইতো মাত্র ক'দিন হলো আম গাছ থেকে পেড়ে খেয়েছি যদিও এখনো দোকান থেকে কিনে খেতে হচ্ছে। তবে নিজেদের কাছ থেকে আম পেড়ে খাওয়ার মত তৃপ্তি বোধহয় আর নেই। যখন কাঁচা কুচিয়াম থাকে কাছে সেগুলো পেরে ভর্তা বানিয়ে খেতে খুবই টেস্ট। আমি সিজন তো চলে যাবে তাই আমগুলো স্মৃতি হিসেবে ছবি তুলে রেখেছি পরবর্তী বছর পর্যন্ত।

20230329_135814.jpg

20230318_174631 (1).jpg

🌺 ফটোগ্রাফি -৬🌺

এটি হচ্ছে একটি মুরগির বাচ্চা। মুরগি একসাথে অনেকগুলো বাচ্চা নিয়ে বের হয়। খুবই ছোট অবস্থায় মুরগির বাচ্চা গুলো দেখতে অনেক কিউট লাগে। তাই আমি বেশিরভাগ সময় এগুলো হাতে ধরে বসে থাকি। তখন মুরগির বাচ্চা গুলো ধরতে খুবই তুলতুলের নরম লাগে। একটি মুরগির বাচ্চা ঘরে এসে আমার হাতে পায়ের উপর হাটাহাটি করছিল তখনই তাকে ধরে ফটোগ্রাফি করে ফেললাম।

20230328_172520.jpg

20230328_172517.jpg

🌺 আশা করি আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 🌺

🌺 ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🌺

Sort:  
 last year 

আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সবগুলো ফটোগ্রাফিই ভাল ছিল। তবে বিশেষ করে লাল মরিচের ফটোগ্রাফি এবং মুরগির বাচ্চার ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 last year 

ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই আমি মাঝে মাঝেই বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি করে থাকি। লাল মরিচের ফটোগ্রাফি এবং মুরগির বাচ্চার ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমার কাছেও ভালো লাগছে।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

এলোমেলো অপরূপ সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছে। যা দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো, এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

এলোমেলো অপরূপ সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

অনেক সুন্দর সুন্দর আপনার পোষ্টের মাধ্যমে উপভোগ করলাম খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে কৃষ্ণচূড়া ফুল এবং কিউট মুরগির বাচ্চা।।

 last year 

আমার পোস্ট এর মাধ্যমে আমি কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। কৃষ্ণচূড়া ফুল এবং কিউট মুরগির বাচ্চা আপনার পছন্দ হয়েছে তাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

আমরা মানুষেরা বরাবরি সুন্দরের পূজারী আমরা সুন্দর জিনিসকে অনেক ভালোমতো পুজো করতে পারে ঠিক তেমনিভাবে ফুল পাখি এবং প্রকৃতির দৃশ্য দেখলে আমরা ফটোগ্রাফি করে ফেলি। ফটোগ্রাফি করাটা একটা আর্ট আমার কাছে মনে হয়, যারা খুবই দক্ষ হয়ে ফটোগ্রাফি করে তারা এতটা ভালো ফটোগ্রাফি করে যে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আসলেই আমরা মানুষেরা সুন্দরের পূজারী। তাই সুন্দর জিনিস দেখলেই আমরা সেটা নিজেদের মাঝে রেখে দেয়ার চেষ্টা করি। আর ফটোগ্রাফি হচ্ছে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম।

 last year 

আপু ঠিক বলেছেন, আমার বাংলা ব্লগ হচ্ছে আমাদের আরেকটি পরিবার। সেই পরিবারের সকলের কাছে নিজের ভালোলাগা মন্দলাগা সমস্ত অনুভূতি শেয়ার করতে খুবই ভাল লাগে। যাইহোক আপু আপনার আজকের এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর হ্যাঁ হাতে রাখা মুরগির ছোট বাচ্চাটিকে খুবই কিউট লাগছে, ফটোগ্রাফিটিও দারুন হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, সুন্দর কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

 last year 

আসলেই ভাইয়া আমার বাংলা ব্লগ হচ্ছে আমাদের আরেকটি পরিবার। আর তাইতো এই পরিবারের আমাদের ভালোলাগা মন্দ লাগা শেয়ার করতে ভালো লাগে। তাই আমি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

 last year (edited)

খুবই ভালো লাগলো আপু আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করেছেন যেখানে লক্ষ্য করে দেখলাম সিমের বিচি, আম, ঝাল, মুরগির বাচ্চা, ফুল আরো অনেক কিছু। খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্টের এত সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেরে।

 last year 

আপনি আমার সবগুলো ফটোগ্রাফি খুবই ভালোভাবে লক্ষ্য করেছেন এবং প্রত্যেকটি সুন্দরভাবে বর্ণনা দিয়েছেন এবং চমৎকার মন্তব্য করেছেন তাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

বাহ্ মুরগির বাচ্চাটি দেখতে ভীষণ কিউট। লাল পিঁপড়া গুলো দেখে তো ভয় লাগতেছে আপু। ছোটবেলায় তো কতো কাড় খেয়েছি। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে ছোটবেলায় স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

 last year 

মুরগির বাচ্চাটি দেখতে আসলেই অনেক কিউট তাই আমি ফটোগ্রাফি করে ফেললাম। ছোটবেলায় আসলে আমিও অনেক লাল পিপড়ার কামড় খেয়েছি এখনো মাঝে মাঝে খাই। আমার পোষ্টের মাধ্যমে আপনার ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল।

 last year 

এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে থেকে আমার কাছে কৃষ্ণচূড়া ফুলের ফটোগ্রাফি এবং মুরগির বাচ্চার ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে।

 last year 

আমি মাঝে মাঝেই বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করি কিন্তু আজ কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি অর্থাৎ যেখানে কিছু পছন্দের জিনিস দেখেছি সেখানেই ফটোগ্রাফি করেছি।

 last year 

খুব দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই অসাধারণ হয়েছে । বিশেষ করে মুরগির বাচ্চার ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। কৃষ্ণচূড়া ফুল খুবই দুর্দান্ত লাগছে। এত চমৎকার ফটোগ্রাফি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

আমার ফটোগ্রাফি গুলো কেমন হয়েছে জানি না তবে আমি চেষ্টা করেছি ভালো কিছু উপহার দেয়ার জন্য ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 55971.81
ETH 2362.70
USDT 1.00
SBD 2.32