একটি আনন্দময় মুহূর্ত কাটানো//10% বেনিফিশিয়ারি@shy-foxএর
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন এবং আমি আপনাদের সুস্থতা কামনা করতেছি।
আমি@monjel1 বাংলাদেশ দিনাজপুর জেলা, পার্বতীপুর থানা, জমির হাট থেকে বলতেছি। পড়াশোনার জন্য আমাকে বাহিরে থাকতে হয়। যেহেতু আমার পরীক্ষা শেষ ও ডিসেম্বর মাস পড়েছে তাই সব স্কুল-কলেজ আপাতত ছুটিতে আছে। আবার কোন স্কুল কলেজে পরীক্ষা চলতেছে।তাই আমি গ্রামের বাসায় চলে এসেছি। এসে আমার ছোটবেলার বন্ধুর সঙ্গে অনেকদিন পর দেখা। দেখে অনেক খুশি হলাম আমি। আমার বন্ধু খুবেই খুশি হলো। আমার বন্ধু বলল আমাদের পাশের গ্রামে একটি ইসলামিক জলসার আয়োজন করা হয়েছে। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে। সে বলল সন্ধ্যায় রেডি থাকো আমরা সবাই মিলে সেখানে যাব ।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWc7gvP52S9mWWmGEbN2Tptp7u6qHNKWT41ZFLxYokqdQ/IMG_20211208_211305.jpg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdCy1FuVUjYWhpmCqLV3e3WL2UTqdYMAVqJGc4xTSZwxX/IMG_20211208_205855.jpg)
সন্ধ্যার সময় সে আমার বাসায় এসে আমাকে ডাকলো। যেহেতু শীতকাল তাই আমি শীতের পোশাক পরিধান করে বের হলাম তার সঙ্গে। আমাদের গ্রাম থেকে কিছুদূরে। তাই আমরা ভেন বা অটো কিছুই নিলাম না। পায়ে হেঁটে রওনা দিলাম। কিছু সময় হাঁটার পর আমাদের গন্তব্য স্থল ইসলামিক জলসায় উপস্থিত হতে পেলাম। প্রথমে আমরা দেখতে পেলাম অনেক সুন্দর করে একটি গেড তৈরি করা হয়েছে। আমি আবার গ্রেডের একটি ছবি তুললাম। তারপর স্টেট এর ভিতরে গিয়ে দেখলাম অনেক সুন্দর করে সাজানো রয়েছে এবং ইসলামিক আলোচনা করা হচ্ছে। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। তারপর দেখতে পেলাম একটি ফুচকার দোকান। ফুচকা ওয়ালা মামাকে বললাম দুই প্লেট ফুচকা কত টাকা। মামা বলল ৬০ টাকা। কয়টি করে ফুচকা দিচ্ছেন মামা বলল ১০টা করে দিচ্ছি। আচ্ছা আমাদের জন্য স্পেশাল করে দুই প্লেট ফুচকা দিবেন। মামা বলল তোমরা বস আমি বানিয়ে দিচ্ছি।কিছুক্ষণ পরে আমাদের ফুচকা দিয়ে গেল। ফুচকা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর ফুসকা গুলো খেতে অসাধারণ ছিল। লাগবেই না কেন ফুচকার সঙ্গে ছিল তেতুল টক। আপনারা যারা ফুচকা তেতুল টক দিয়ে খেয়েছেন তারা অবশ্যই ভালোভাবে জানে ফুচকা খেতে কতটা মজা ও ভালো লাগে। আমরা দুইজন ফুচকা খেয়ে বিল মিটিয়ে সেখান থেকে চলে আসলাম।
আসার পর দেখলাম রাস্তার পাশে বিভিন্ন প্রকার আচার তৈরি করে দোকানে বিক্রি করছে। আমরা দুইজন আচারের দোকানে গেলাম। গিয়ে দেখতে পেলাম বিভিন্ন রকমের আচার যেমন বড়ই আচার, তেঁতুল আচার, আম সুটি আচার ইত্যাদি সব। আচার বিক্রি করছে একজন ছেলে। তাকে আমরা জিজ্ঞেস করলাম কতদিন ধরে আচার বিক্রি করছো। সে আমাকে বলল প্রায় দুই থেকে তিন বছর ধরে আচার বিক্রি করতেছি। আমি বললাম তাহলে আচার তৈরি করা সম্পর্কে আপনার অনেক ধারণা হয়েছে। সে বলল হ্যাঁ হয়েছে। আমি বললাম আচারগুলো প্রতিদিন তৈরি করেন। ছেলেটি বলল না, আমরা একবার আচার তৈরি করি। কি বলে নষ্ট হয় না, ছেলেটি বলল প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মাস পর্যন্ত রাখা যায়। এরমধ্যে সব আচার বিক্রি হয়ে যায়। তার কাছ থেকে আমরা তিন প্রকারের আচার খেলাম। আচারগুলো খেতে খুবেই ভালো ছিল। আচার খেয়ে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। আমার বন্ধু বলল প্রায় অনেক রাত হয়েছে। বাসায় যাওয়া যাক। আমি বললাম অনেকদিন পর ঘোরাঘুরি করতেছি আর একটু। তারপর আরো কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরির পর বাড়ির পথে রওনা দিব। হঠাৎ করে চোখে পড়ল একজন লোক ভ্যানে করে পান বিক্রি করছে।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmXxAXQbumxU7WBUpKRK48K3PycaTkB7iyqrpy6xfmUqg3/IMG_20211208_203007.jpg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZzo5kKCun1GZbx6rRTz5Wanuq8kra7XYSrb17EHkjiCC/IMG_20211208_203000.jpg)
আমি ও আমার বন্ধু মিলে ভ্যানে পান বিক্রি করতেছে সেখানে গেলাম। সেখানে অনেক ভিড় ছিল আমরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম এবং কিছুক্ষণ পর ভিড় কমে গেল। আমি লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম কেমন আছেন মামা। বলল ভাল আছি। আপনি যে পান বিক্রি করতেছেন আপনার প্রাণে এমনকি রয়েছে যা সবাই খাচ্ছে। মামা টি বলল পানের সঙ্গে অনেক কিছু দিয়ে থাকি তাই আমার পান সবাই খেতে চায়। আমি আবার কথায় কথায় জিজ্ঞেস করলাম পানির মধ্যে কি কি মিশিয়ে থাকেন। তিনি আমাদের বললেন, পান, সুপারি, মিষ্টি জর্দা, নারিকেল, মধু, জিরা, ইত্যাদি অনেক কিছু সেগুলি এই মুহূর্তে আমার মনে পড়তেছে না। কিন্তু পান খেতে অন্যরকম স্বাদ ছিল। আমি ও আমার বন্ধু পান খেলাম। পান খেয়ে অনেক তৃপ্তি পেলাম এবং টক খাওয়ার পর পান খেয়ে মুখে যেন সাদ চলে আসলো। পান খেয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম। তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। অনেকদিন পর বন্ধুর সঙ্গে দেখা ভালো এবং অনেক মজা ও ইনজয় করলাম। আরো ভালো লাগতেছে মনের ভাব আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে আপনাদের সাথে প্রকাশ করতে পেরে খুবেই মনের ভিতর তৃপ্তি ও আনন্দিত হচ্ছে। তো বন্ধুরা এখানে আমি শেষ করতেছি । আমার পোস্টটি ধৈর্য্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার সম্পর্কে কিছু কথা। আমার নাম মনজেল হক আমি মিশুক টাইপের ছেলে। আমি অতি সহজেই সবাইকে আপন করে নিতে পারি। আমার নতুন কিছু করার ও শেখার আগ্রহ হয়েছে।আমি ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি এবং ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি।
আপনি অনেক সুন্দর একটি সময় এর কথা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন।
মাহফিলে গিয়ে আমরা জানা অজানা অনেক কিছু শিখতে পারি।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।