একটি আনন্দময় ভ্রমণ কাহিনী// 10% beneficiary @shy-fox
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। আমি @monjel1 বাংলাদেশ দিনাজপুর থেকে বলতেছি। আজকে আমি ট্রেন জার্নি সম্পর্কে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমি দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কলেজে পড়াশোনা করি। আমার গ্রামের বাড়ি হচ্ছে পার্বতীপুর জমির হাট ডাঙ্গাপাড়া। আমি দিনাজপুরে পড়াশোনা করতে এসেছি। আমি মেসে থাকি। বিগত বেশ কয়েকদিন হচ্ছে পরিবারের কারো সাথে দেখা হয়নি। তাই আমার পরিবারের সদস্যদের দেখার জন্য খুবেই মন আনচান করতেছে। পরিবার থেকে যখন বাইরে যাওয়া হয়। তখন বুঝা যায় যে পরিবারের কতটা মূল্য ও আপনজন। তাই দেরি না করে বড় ভাইয়ের সঙ্গে বের হলাম। যাওয়ার সময় বড় ভাইয়ের এক ফ্রেন্ড ফোন দিয়ে বলল। তোমাদের সঙ্গে আমিও যাব। ভাইয়ের ফ্রেন্ড চলে আসলো। আমি ও আমার বড় ভাই এবং তার ফ্রেন্ড সহ চলে গেলাম রেল স্টেশনে। ট্রেন যাবে ২:৩০ মিনিটে। ট্রেন যাওয়ার কিছু সময় আগে রেল স্টেশনে উপস্থিত হলাম।
ট্রেন আসার কিছু সময় আগে আমরা তিন জন প্লাটফর্মে বসে অপেক্ষা করছি। কিছুক্ষণ পর ট্রেন চলে আসলো। তারপর আমরা ট্রেনে উঠলাম।
ট্রেনে অনেক ভিড় ছিল। আমি ট্রেনের জালনা দিয়ে ট্রেনের সিটে আমার ব্যাগ রাখলাম। ট্রেনে খুব ভিড় ছিল বলে সিট নিয়ে খুব এই প্রতিযোগিতা চলছিল। তারপর ট্রেনে উঠলাম। আমি ও আমার বড় ভাই এক সিটে বসলাম। ভাইয়ের ফ্রেন্ড আমাদের বিপরীত দিকে বসলো। ট্রেন কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিল।
ট্রেনের জানালা দিয়ে আমি বাইরের দৃশ্য দেখতেছি। দেখতে পেলাম প্রাকৃতিক দৃশ্য ফসলের মাঠ। চারিদিকে শুধু ফসলের মাঠ আর মাঠ। এখন আমাদের দেশে জিরা ধানের ফসল উৎপাদন হয়। বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শীতকালেই হয়। বাঙালিরা যখন নতুন ধান ঘরে তোলে। তখন বিভিন্ন ধরনের উৎসব পালন করে। ট্রেন চলাকালীন অবস্থায় আমি ফসলের মাঠের ছবি আমার ফোন ক্যামেরা বন্দী করে। ফসলের মাঠের উপর দিয়ে বসন্তের বাতাস বইছে। এই দৃশ্যটি আমার খুব এই ভালো লাগে। বসন্তের বাতাস যেন মন ছুঁয়ে যায়।
এটি হচ্ছে কারেন্টের হাট কাঁকড়া নদী। এই নদীর উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। মূলত এটি বিখ্যাত মাছ ও কাঁকড়া অধিকহারে পাওয়া যায়। তাই নদী নামকরণ করা হয় কাঁকড়া নদী। আসলে চলন্ত ট্রেন থেকে ফটোগ্রাফি করা খুবই কষ্টকর। ভালোভাবে ফটোগ্রাফি করা যায় না।
অবশেষে আমার গন্তব্য স্থল পার্বতীপুরে আসলাম। এটি হচ্ছে বাংলাদেশ উত্তরবঙ্গের সর্বোচ্চ বড় রেল স্টেশন পার্বতীপুর।এই রেল স্টেশন দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসে।
আমার সম্পর্কে কিছু কথা। আমার নাম মনজেল হক আমি মিশুক টাইপের ছেলে। আমি অতি সহজেই সবাইকে আপন করে নিতে পারি। আমার নতুন কিছু করার ও শেখার আগ্রহ হয়েছে।আমি ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি এবং ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি।
পোষ্টের শুরুটা ভালো ছিল। আপনার এই পোস্টটি ছোট হয়ে গিয়েছে। এ ধরনের পোস্টে চেষ্টা করবেন আরো বেশি লেখার। মারকডাউন এর ব্যবহার দ্রুত শিখে নিন। তাহলে আপনার এই পোস্ট দেখতে আরো সুন্দর লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আপনি আমার ভুল গুলো ধরে দেওয়ার জন্য। পরের বার থেকে পোস্ট কোয়ালিটি ও মারকডাউন এর ব্যাপারে লক্ষ রেখে কাজ করার চেষ্টা করব। আর পোস্টে বেশি বেশি করে লেখার চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ ভাইয়া।