নাটকের মূল চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন উনার নাম পুতুল। তিনি একজন ডিভোর্সি। নাটকের শুরুতে আমরা দেখতে পাই সে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডী হচ্ছে। আর তার পরিবারের সবাই তাকে জানায় তাকে পত্র পক্ষ দেখতে আসছে। এরপর সে জানায় সে বিয়ে করতে চায় না। এরপর অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। এবার যখন সে অফিসে যায় তখন অফিসের বস তাকে ডেকে পাঠায়। এরপর তিনি তার সাথে খারাপ আচরণ করে এবং বাজেভাবে ইঙ্গিত করে। এটা দেখে পুতুলের ভীষণ খারাপ লাগে। কিন্তু সে প্রচন্ড রকমের প্রতিবাদী মেয়ে এবং নিজের জায়গা থেকে একটুকুও নড়ে না। বসের কথা কানে না দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর তার আরেক কলিগ তাকে নিয়ে শপিংয়ে যেতে চায়। তিনি সেখানেও প্রতিবাদ করে ওঠেন এবং তার কথা এড়িয়ে গিয়ে অন্য একজনকে তার কলিগের সাথে পাঠান। এভাবে একটি মেয়ে সমাজের সাথে যুদ্ধ করে টিকে আছে। সে যেখানে যায় সেখানেই অপমানিত হয়। বিশেষ করে সবাই তাকে খারাপ ইঙ্গিত দেয়। এভাবে প্রতিবাদ করেই সে দিন পার করছিল

অন্যদিকে ছেলে পক্ষ তাকে থেকে দেখতে এসেছে। ছেলে পক্ষের কথা শুনে সে ভীষণভাবে রেগে যায়। ছেলেপক্ষের সবাই জানায় তাকে আর চাকরি করতে দিবে না এবং তারা চায় সে যেন চাকরি-বাকরি বাদ দিয়ে ঘর সংসার সামলায়। এই কথা শুনে পুতুল বেশ অবাক হয়ে যায় এবং সে বিয়ে করবে না জানিয়ে দেয়। এরপর পাত্রপক্ষ সেখান থেকে ফিরে যায় আর তার পরিবারের সবাই তাকে ভুল বুঝে এবং খারাপ ব্যবহার করতে থাকে। পুতুল মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়ে। পুতুল তার অফিসে লোনের জন্য আবেদন করে। যাতে করে সে তার বাবার অন্য একটি জমিতে আলাদাভাবে বাড়ি করতে পারে এবং নিজের মত করে থাকতে পারে। অন্যদিকে অফিসের বস তাকে খারাপ প্রস্তাব দেয় এবং বলে সে যদি তার কথায় রাজি হয় তাহলে সে লোনটা পাইয়ে দিবে। এই কথা শুনে পুতুলের খুবই মন খারাপ হয়ে যায় এবং বুঝতে পারে তার লোন পাওয়া হবে না। এভাবে তার সময় গুলো কেটে যাচ্ছিল। অন্যদিকে রাস্তার পাশের এক দোকানদার তাকে ইশারায় ইঙ্গিতে বাজে রকমের কথা বলে। সেখানেও সে প্রতিবাদ করে এবং নিজের বাসায় ফিরে আসে।

এরপর যখন সে আবার অফিস যায় তখন জানতে পারে তার বস তাকে ডেকেছে এবং তিনি জানান ট্রেনিংয়ের জন্য তাকে কক্সবাজার পাঠানো হবে। আর সাথে যাবেন তার বস। তারপর তিনি বলেন সে যদি তার বসের কথা রাজি হয় তাহলে খুব সহজেই লোন পেয়ে যেতে পারে। এই কথা শুনে তার ভীষণ রকমের রাগ হয় এবং সেখান থেকে চলে আসে। একদিকে সে পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্যদিকে লোনটাও আটকে আছে। কি করবে কিছুই বুঝতে পারে না। এবার সে কঠোর একটি সিদ্ধান্ত নেয়। সে তার অফিসের বসের নামে কমপ্লেন করে। তার কমপ্লেন হেড অফিসে চলে যায়। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয় পরের দিন সকাল বেলায় কোম্পানির মালিকের ছেলে সেই অফিসে আসে এবং সবকিছু ইনভেস্টিগেশন করার চেষ্টা করে। তিনি একজন একজন করে সবার কাছে সবকিছু জানতে চায়। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন পুতুলকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার। এই কথা শুনে পুতুল আরো বেশি ভেঙে পরে।

এরপর কোম্পানির সাধারণ এক কর্মচারী অফিসের মালিকের ছেলের সাথে কথা বলেন এবং তিনি জানান যেখানে মেয়েদেরকে সম্মান করা হয় না আর মিথ্যে ভাবে মেয়েদেরকে ফাঁসানো হয় সেখানে সে চাকরি করতে চায় না। এই কথা শুনে অফিসের মালিকের ছেলে বুঝতে পারে আসলে এর মধ্যে অন্য কিছু আছে। এবার সে তাকে একটি কলম দেয় এবং অবশেষে সেই ম্যানেজারের টেবিলে রেখে আসতে বলে। এবার পরের দিন যখন পুতুল অফিসে আসে সে অফিসের ম্যানেজারের সাথে ভালোভাবে কথা বলে এবং জানায় সে তার সব প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। এই কথা শুনে অফিসের ম্যানেজার বলে আগে যদি সে কথাগুলো বলতো তাহলে এত ঝামেলা হতো না। এরপর অফিসের সবাইকে নিয়ে একটি মিটিং এর আয়োজন করা হয়। সেই মিটিংয়ে ম্যানেজার সাহেব বলেন তাদের এক্টিভিটিসের উপর দারুন একটি প্রজেক্ট করা হয়েছে এবং সেটা তিনি এখন দেখাবেন। যখনই ল্যাপটপটা অন করা হয় তখনই তার বাজে কথার ভিডিও রেকর্ডিং চালু হয়ে যায়। এটা দেখার পর ম্যানেজার অনুরোধ করে যাতে করে এটা বন্ধ করা হয় এবং জানায় এগুলো সব মিথ্যে। এবার মালিকের ছেলে জানায় আপনি এই মুহূর্তে চাকরি থেকে বেরিয়ে যাবেন। না হলে আমরা অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এরপর তিনি সেখান থেকে চলে যান এবং সবার সবকিছু বোঝা হয়ে যায়। এরপর মালিকের ছেলে জানায় এই অফিসে নতুন ম্যানেজার নিযুক্ত করা হয়েছে। এরপর পুতুলকে ভেতরে আসতে বলেন এবং জানান তিনি এই অফিসের নতুন ম্যানেজার। এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।