রেসিপি-লাউ পাতার বড়া☘️|[১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য]
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি করা মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। শীতের দিনে বিভিন্ন রকমের বড়া কিংবা পাকোড়া খেতে ভালো লাগে। তাইতো আজকে আমি নতুন একটি মজার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। লাউ শাক হয়তো সবার কাছেই প্রিয়। তাই তো আজকে আমি লাউ পাতার বড়া রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
☘️লাউ পাতার বড়া:☘️
লাউ পাতার বড়া আমার খুবই প্রিয়। গরম গরম লাউ পাতার বড়া খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আসলে শীতের সময় গরম ভাতের সাথে এই লাউ পাতার বড়া খেতে বেশ ভালো লাগে। এছাড়া বিকালের রাস্তায় কিংবা সন্ধ্যায় চায়ের সাথে খেতেও ভালো লাগে। তবে গরম ভাতের সাথে খেতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। তাইতো আমি মাঝে মাঝেই লাউ পাতার বড়া রেসিপি তৈরি করি। চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি লাউ পাতার বড়া রেসিপি তৈরি করেছি এবং কি কি উপকরণ ব্যবহারের প্রয়োজন হয়েছে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
নাম | পরিমান |
---|---|
লাউ শাক | ৬ পিস |
চালের গুঁড়া | পরিমান মত |
ধনিয়া পাতা | পরিমান মত |
কাঁচামরিচ | পরিমান মত |
পেঁয়াজ কুচি | ১ চামচ |
রসুন কুচি | ১/২ চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ১/২ চামচ |
লবণ | পরিমাণমতো |
সয়াবিন তেল | ৫ চামচ |
লাউ পাতার বড়া রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ:
ধাপ-১
লাউ পাতার বড়া রেসিপি তৈরি করার জন্য প্রথমে লাউশাকগুলো খুব ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি। যাতে করে খুব সহজেই বড়া তৈরি করা যায়। এবার অন্যান্য উপকরণগুলো প্রস্তুত করে নিয়েছি এর মধ্যে দেওয়ার জন্য।
ধাপ-২
পরিমাণ অনুযায়ী ধনিয়া পাতা, কাঁচামরিচ, রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি, লবণ ও হলুদের গুঁড়া দিয়েছি। সবকিছু ভালোভাবে পরিমাণ অনুযায়ী দিয়েছি।
ধাপ-৩
সবকিছু দেওয়া হয়ে গেলে এবার ভালোভাবে লাউ পাতাগুলো নরম করে নেওয়ার জন্য কিছুক্ষণ সময় হাত দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
বেশ কিছুটা সময় লাউ পাতাগুলো একেবারে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি। যাতে করে নরম হয় এবং পাকোড়া কিংবা বড়া খুব সহজেই ভাজা হয়।
ধাপ-৫
এবার পরিমাণ অনুযায়ী চালের গুঁড়া দিয়েছি। আসলে লাউ পাতার বড়া রেসিপি তৈরিতে যদি চালের গুঁড়া দেওয়া হয় তাহলে বেশ মচমচে হয় খেতে।
ধাপ-৬
এবার সুন্দর করে চালের গুঁড়া এবং অন্যান্য উপকরণ গুলো ভালোভাবে মিক্স করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং বড়া তৈরি করার জন্য প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-৭
লাউ পাতার উপকরণগুলো যখন সুন্দর ভাবে প্রস্তুত হয়েছে তখন বড়ার আকৃতি করার জন্য বিভিন্ন সাইজ করে নিয়েছি। যাতে করে তেল দিতে সুবিধা হয়।
ধাপ-৮
এবার একটি বড়া ভাজার কড়াই চুলার উপর দিয়েছি। এরপর সুন্দরভাবে তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে বড়াগুলো তেলের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-৯
ধীরে ধীরে বাড়াগুলো সুন্দর করে গরম তেলের মধ্যে দিয়েছি এবং ভেজে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-১০
কিছুক্ষণ পরপর এপাশ ওপাশ উল্টে দিয়েছি। যাতে করে দুই পাশেই ভালোভাবে ভাজা হয় এবং মচমচে হয়।
শেষ ধাপ
এভাবে আরো কিছুক্ষণ সময় গরম তেলে বাড়া গুলো ভাজার পর বেশ মচমচে হয়েছে এবং ভালোভাবে ভাজা হয়েছে। এভাবেই আমি এই বড়া তৈরি করে নিয়েছি।
উপস্থাপনা:
লাউ পাতার বড়া রেসিপি তৈরি হয়ে গেলে সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য সাজিয়ে নিয়েছি। আসলে লাউ পাতার রেসিপি তৈরি করা যেমন সহজ তেমনি খেতেও ভালো লাগে। গরম গরম লাউ পাতার বড়া খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনাদের কাছে যদি এই রেসিপি ভালো লাগে তাহলে এভাবে আপনারাও তৈরি করে খেতে পারেন।
এই শীতের মধ্যে এরকম গরম গরম পাকোড়া গুলো সত্যিই খুব ভালো লাগে খেতে। তবে লাউ পাতা দিয়ে এরকম পাকোড়া আমি এর আগে কখনো খাইনি। সত্যি বেশ ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি। লাউ পাতা এমনিতেও আমার ভীষণ পছন্দ আর এভাবে বড়া তৈরি করলেও নিশ্চয়ই খুব ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ওয়াও অসাধারণ একদম নতুন ইউনিক রেসিপি যাকে বলে ৷ আসলে এই শীতের সময়ে যত রকমের নিত্য নতুন ইউনিক খাবার ৷ এখন আবার সরিষার ফুল দিয়েও বড়া বা পাকোড়া খাওয়া যায় ৷
যা হোক আপনার লাউ এর কচি পাতা দিয়ে দারুন বড়া ভাজি করেছেন ৷ দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো ৷ দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে ৷ যা নতুন ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ৷
শীতকালে মজার মজার খাবার খেতে ভালো লাগে। বিশেষ করে পাকোড়া বা বড়া খেতে বেশি ভালো লাগে। সরিষার ফুল দিয়ে তৈরি করা বড়া কখনো খাওয়া হয়নি। সরিষার ফুল দিয়ে বড়া তৈরি করে খেয়ে দেখতে হবে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপু লাউ পাতার বড়া কখনো খাওয়া হয়নি।আসলে লাই পাতার জে বড়া বানানো হয় সেটি আমার আগে জানা ছিল না। আপনি খুব সুন্দর করে লাউ পাতার বড়া বানিয়েছেন। দেখে মনে হচ্ছে শীতকালে ঠান্ডা ঠান্ডা এই লাউ পাতার বড়া একেবারে জমে যাবে।
এবার যেহেতু লাউ পাতার বড়া রেসিপি শিখে নিলেন আশা করছি তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আপু। আশা করছি একবার খেলে বারবার খেতে চাইবেন। শীতের সময় এই খাবারটি খেতে বেশি ভালো লাগে।
একটু আগেই ডিস্কোর্ডে আপনার রেসিপিটি দেখতে পেলাম। তখনই কিন্তু অনেক ভালো লেগেছিল আপনার রেসিপিটি। এখন পুরো রেসিপিটি দেখতে পেয়ে আরো বেশি ভালো লাগলো এবং মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।
জি ভাইয়া ডিস্কোর্ডে ছবি শেয়ার করেছিলাম। এই রেসিপি ভালো হয়েছিল খেতে। তাইতো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপনি একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন ভাইয়া। আশা করছি আপনার কাছে ভালো লাগবে।
লাউ পাতার বড়া আমি আগে কখনো খাইনি আপু। এটা দেখতে অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি এভাবে আরও সুন্দর সুন্দর রেসিপি আমাদের কে উপহার দিবেন।
লাউ পাতার বড়া খেতে খুবই ভালো লাগে আপু। আপনি চাইলে বাসায় খুব সহজেই তৈরি করতে পারেন। লাউ পাতার বড়া গরম গরম খেতে বেশ ভালো লাগে। আমিও চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে আপনাদের মাঝে এই রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য।
লাউ পাতার বড়া, নামটা শুনে একটু অবাক লাগছিল। তবে এক এক অঞ্চলে এক এক রকম খাবার আমাদের সবারই অপরিচিত। লাউ পাতার বড়ার উপকরণ এবং কি রেসিপি তৈরি প্রক্রিয়া অনেক সুন্দর। খাবারের বর্ণনা শুনে তো জিভে জল চলে এসেছে। এত সুস্বাদু খাবার মিস করলাম, একবার তৈরি করে খেয়ে দেখব এর মজা কেমন। আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে লাউ পাতার বড়া রেসিপি শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকমের খাবার তৈরি করা হয়। আসলে কারো কাছে নতুন নতুন খাবার যেমন ভালো লাগে তেমনি অন্যের কাছে যেগুলো জনপ্রিয়। খাবারের বর্ণনা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছি। আপনি একদিন তৈরি করে এসে দেখতে পারেন ভাইয়া।
লাউ পাতার বড়া বাহ্ দারুন হয়েছে। এভাবে কখনো আমি চিন্তা ভাবনা করিনি। আসলে রেসিপি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমিও বাসায় তৈরি করবো। দেখা বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
লাউ পাতা দিয়ে যে এভাবে বড়া তৈরি করা যায় তা যেহেতু আপনি চিন্তা করেননি এবার সম্পূর্ণ রেসিপি দেখে বাসায় তৈরি করবেন ভাইয়া। আমার মনে হচ্ছে এই রেসিপি খাওয়ার পর বারবার খেতে চাইবেন এবং আমাকেও ধন্যবাদ দিবেন।
শীতের সময় এমন গরম গরম বড়া খেতে অনেক ভালো লাগে।তবে আমি কখনো লাউ পাতার বড়া খায়নি। আপনার বড়া গুলো দেখে লোভ লেগে গেল। মনে হচ্ছে একটি নিয়ে খেয়ে ফেলি। প্রতিটি ধাপ আপনি অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
শীতের সময় গরম গরম বড়া খেতে সত্যি ভালো লাগে। এই বড়া আপনার যেহেতু কখনো খাওয়া হয়নি একবার তৈরি করতে পারেন আপু। খেতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। আমি তো মাঝে মাঝেই তৈরি করি। আপনি একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন আপু।
ঠিক বলেছেন বিকালের নাস্তায় কিংবা সন্ধ্যায় চায়ের সাথে ভাজাপোড়া খেতে বেশ ভালোই লাগে।তবে এভাবে লাউ পাতার বড়া খাওয়া হয়নি।তবে দেখতেই বেশ লোভনীয় লাগছে। একবার বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখতে হবে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
দারুন একটা রেসিপি করেছেন আপু। লাউ পাতার বড়া খেতে কিন্তু খুবই সুস্বাদু লাগে। তবে আমি বিভিন্ন রকম শাক দিয়ে বড়া বানানোর ক্ষেত্রে সাথে আলুও যোগ করি এবং কয়েক রকমের শাক একসাথে ব্যবহার করি। আমার কাছে সবকিছু মিলিয়ে খেতেও ভালো লাগে। তবে লাউ পাতা দিয়ে বড়া তৈরি করে খেতেও অনেক বেশি সুস্বাদু হবে। চালের গুড়ো দেয়ার কারণে বড়া একটু মুচমুচে হয়। দারুন রেসিপি শেয়ার করেছেন।