দিনাজপুরের পুরনো রাজবাড়ি ও মন্দির ভ্রমণ||আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সাম্প্রদায়ের একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। পুরনো রাজবাড়ি গুলো কেন জানি আমার খুবই ভালো লাগে। অনেকদিন আগে যখন কুমিল্লায় ছিলাম তখন বিভিন্ন রাজবাড়ীতে ঘুরতে যেতাম। বাবার ছুটির দিনগুলোতেই সেখানে যেতাম। এমনকি আমরা যেই আর্মি কোয়ার্টারে ছিলাম তার পাশেই একটি পুরনো রাজবাড়ী ছিল। সেখানে বিকেল বেলায় প্রায়ই যেতাম। তবে অনেকদিন থেকে সেরকম কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া হয় না। তাই এবার হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিলাম দিনাজপুরে ঘুরতে যাওয়ার। তবে এবার প্রথম আমি দিনাজপুরে আসলাম। দিনাজপুরের পুরনো একটি রাজবাড়ি আছে। রাজবাড়ির কথা অনেক শুনেছি। তাই তো সেখানে ঘুরতে গিয়েছি। এবার চলুন আমি আপনাদেরকে সেই রাজবাড়ী ও মন্দিরের দৃশ্যগুলো দেখাবো।
দিনাজপুরের পুরনো রাজবাড়ি ও মন্দির ভ্রমণ:
Location
Location
দিনাজপুরে অনেক পুরনো একটি রাজবাড়ি আছে। এখন অবশ্য সেই রাজবাড়ীর পাশে একটি মন্দির গড়ে উঠেছে। সেই মন্দিরটি অনেক দিনের পুরনো। সেই মন্দিরটির ভেতরে নাকি অনেক সুন্দর। সেদিন যেহেতু শুক্রবার ছিল তাই মন্দিরটির ভেতরে তালা লাগানো ছিল। তবে চারপাশের পরিবেশ ঘুরে দেখতে বেশ ভালো লেগেছে। সুন্দর এই মন্দিরের বিভিন্ন কারুকার্য গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে।
Location
Location
মন্দির এরিয়ার বিভিন্ন কারুকার্য আর রঙিন সৌন্দর্য সবাইকে আকৃষ্ট করে। তাইতো সবাই বিকেল বেলায় এখানে ঘুরতে আসে। আমরা যখন সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম আশেপাশে অনেক মানুষ ছিল। তারাও আমাদের মতই সেখানে ঘুরতে এসেছে। আসলে এসব জায়গায় ঘুরতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই তো আমি এই পুরনো মন্দিরটির চারপাশে ঘুরে ঘুরে ফটোগ্রাফি করেছি। যাতে করে আমার কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পারি।
Location
Location
এই মন্দিরটির পাশেই পুরোনো সেই রাজবাড়ীটির দেয়াল গুলো অনেক পুরনো হয়ে গেছে। তবে কাছ থেকে দেখলে বুঝতে পারা যায় সেই বাড়ির সৌন্দর্য। দেয়ালের সৌন্দর্যগুলো দেখলে বোঝা যায় বাড়িটি কত সুন্দর ছিল। দরজা জানালার সৌন্দর্যগুলো সত্যিই দেখার মত ছিল। আর দূর থেকে যখন দেয়ালের কারুকার্য গুলো দেখা যাচ্ছিল তখন দেখতে দারুন লাগছিল।
Location
Location
পুরনো রাজবাড়ির বিভিন্ন পাশে ঘুরতে ভালই লাগছিল। মনে হচ্ছিল যেন এখানে আরো কিছুটা সময় কাটিয়ে যাই। তবে আমি যেহেতু ছোট বোনদের কে নিয়ে গিয়েছিলাম তারা একটু ভয় পাচ্ছিল। তাই তো দূর থেকেই ছবিগুলো তুলেছি। ভেতরে যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল। যেহেতু দেখলাম ভিতরে পরিবেশ খোলামেলা তাই সেখানে যাওয়ার ইচ্ছে একটু বেশি ছিল। তবে পুরনো সেই রাজবাড়ী দেখে একটু ভয়ও লাগছিল।
Location
Location
যখন আমি চারপাশে ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম তখন খুবই ভালো লাগছিল। চারপাশের সৌন্দর্য সত্যি অনেক সুন্দর ছিল। সেখানে গিয়ে দেখলাম মহিলাগুলো পাপড় তৈরি করছে আর বিক্রি করছে। কাপড় গুলো দেখতে ভালো লাগছিল। কিন্তু কেন জানি নিতে ইচ্ছে করছিল না। আসলে অন্যের হাতের এভাবে তৈরি করা জিনিসগুলো কেন জানি খেতে ইচ্ছা করে না। তারা এই কাজগুলো করেই নিজের জীবিকা নির্বাহ করছে। পৃথিবীতে কত মানুষ কত ভাবেই না জীবিকা নির্বাহ করছে। সেই মহিলা গুলো পাপড় বিক্রি করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করছে। অনেকে আবার সেখান থেকে পছন্দের পাপড় গুলো কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
Location
দেয়ালের চারপাশের কারুকার্য গুলো সত্যি দেখার মত ছিল। আমি তো দূর থেকে ফটোগ্রাফি করেছি। তাই হয়তো খুব ভালোভাবে ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। তবে যদি কেউ কাছে গিয়ে ফটোগ্রাফি করে তাহলে অনেক সুন্দর হবে। সত্যি কথা বলতে কিছু কিছু পুরনো মন্দির কিংবা রাজবাড়ীগুলোতে ঘুরতে ভালই লাগে। আসলে আলদা রকমের অনুভূতি তৈরি হয়। তাইতো আমি সেখানে অনেকটা সময় কাটিয়েছি।
সত্যি ভাইয়া অনেকদিন পর ঘুরতে গিয়ে ভালই লেগেছে। আসলে একঘেয়েমি ভাবটা কাটার জন্য মাঝে মাঝে ঘুরে আসা বেশ ভালো। মানসিক প্রশান্তির জন্য হলেও মাঝে মাঝে ঘুরে আসতে হয়। মন্দিরটি সত্যি অনেক সুন্দর। তবে রাজবাড়ীটি অপরিচ্ছন্ন ছিল।
আপনার কাটানো সুন্দর কিছু মুহুর্তের স্বাক্ষী বানাইলেন আমাদের আপু🥰।ছবিগুলো দেখে এবং আপনার কথাগুলো জেনে খুব ভালো লাগলো।
আমি একবার গিয়েছিলাম দিনাজপুরের কান্তজির মন্দিরে।সেই ছোট্টবেলায়!স্মৃতিগুলো মনে পরে গিয়েছল।
ফটোগ্রাফিগুলো সুন্দর ছিল। শুভ কামনা রইলো 💓
আমার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। আমার এই পোস্ট দেখে আপনার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। মন্দিরটি দেখতে সত্যি অনেক সুন্দর।
দিনাজপুরের রাজবাড়ীতে আমি গিয়েছিলাম।আপনার তোলা ছবি দেখে মনে হচ্ছে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমি আগে যেমন দেখেছি, তেমনই আছে।আমি যখন গিয়েছিলাম তখন মন্দির খোলাই ছিল। তখন ও এমন পাপড় বানাতো।আমার ও কেমন জানি লেগেছিলো, দেখে।খাওয়ার কোন রুচিই হয় নি, কেন জানি।একটু একটু ভয় ভয় পরিবেশ তখনও ছিলো।ভালো ছিলো আপু।ধন্যবাদ
দিনাজপুরের রাজবাড়ীতে আপনি যেতেতু গিয়েছিলেন তাই বুঝতেই পারছেন জায়গাটি কতটা সুন্দর। তবে আমি যেহেতু শুক্রবার গিয়েছিলাম তাই মন্দির বন্ধ ছিল। আসলে সেখানে বানানো পাপড় গুলো দেখে খাওয়ার রুচি নেই।
ঘরের ভিতর থাকতে থাকতে এক সময় এগিয়ে চলে আসে তাই মাঝে মাঝে ঘোরাঘুরি দরকার আছে আপু।আমার কাছে জমিদার বাড়ি খুবই সুন্দর লাগছে সেই সাথে মন্দিরটাও দারুন সাজিয়েছে।আপনি ঠিক বলেছেন এভাবে বাইরের খাবার বানানো খাবার একদম খেতে ইচ্ছে করে না।
সত্যি আপু ঘরের ভিতর থাকতে থাকতে এক সময় বিরক্তি চলে আসে। তাই মাঝে মাঝে বেড়াতে গেলে ভালো লাগে। অবশ্য অনেকদিন পর বেড়াতে গিয়েছিলাম। সত্যিই আপু রাজবাড়ী ও মন্দির দুটোই অনেক সুন্দর ছিল।
ভালই লাগলো আপু আপনার দিনাজপুর ভ্রমণ দেখে। আরো ভালো লেগেছে আপনার মন্দির আর রাজবাড়ী পরিদর্শনের বিষয়টি। খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফার মাধ্যমে আমাদের সাথে আপনার ভ্রমণটি কাহিনীটিখুব ভালোভাবে শেয়ার করেছেন।
রাজবাড়ী ও মন্দির প্রদর্শনের বিষয়টি আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আসলে এরকম জায়গা গুলোতে ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। তাইতো আমার কাটানো মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি।
দিনাজপুরের রাজবাড়ীতে আমি কখনো যায়নি তবে আপনার পোস্টটে মাধ্যমে ফটোগ্রাফিগুলো দেখে অনেক ভালো লাগল। মন্দিরের ভিতরের কাজ কর্ম আর সৌন্দর্য সত্যিই মুগ্ধ করার মতো। সেখানকার মহিলারা পাপড় তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। আসলে আপু যেকোন জিনিস তৈরি করা দেখলে আর খেতে ইচ্ছে করে না।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি যেহেতু দিনাজপুরের রাজবাড়িতে কখনো যাননি তাই একবার সময় করে গিয়ে ঘুরে আসবেন। আসলে পুরনো মন্দির গুলো এবং রাজবাড়ী গুলো দেখতে ভালো লাগে। আর এর সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। আর সেখানে অনেকেই পাপড় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। তবে সেই খাবার গুলো দেখে কেন জানি খেতে ইচ্ছে করে না।
দিনাজপুর রাজবাড়িতে আমি কখনো যাইনি। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে এবং আপনার মাধ্যমে দিনাজপুর রাজবাড়ির সবকিছু দেখার সুযোগ হল। আপনার সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি যেহেতু বগুড়াতেই থাকেন তাই সময় করে একবার চলে আসতে পারেন। এই জায়গাটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। রাজবাড়ী সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। পুরনো বাড়ি গুলো দেখলে আলাদা রকমের অনুভূতি তৈরি হয়।
দিনাজপুর রাজবাড়ীর কথা কখুনো শুনেছি কিনা মনে নেই আপনার ঘুরাঘুরি দেখে ভাল লাগলো বেশ মজা করেছেন এবং সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।