রেসিপি-ডিম দিয়ে মাসকলাইয়ের ডাল রান্না|[১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য]
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি আপনাদের মাঝে মজার রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই মজার রেসিপি আমার ভীষণ প্রিয়। আসলে মাঝে মাঝে পছন্দের রেসিপি গুলো শেয়ার করতে ভালো লাগে। আপনারা অনেকেই হয়তো মাসকলাইয়ের ডাল খেতে পছন্দ করেন। তাই আজকে আমি ডিম দিয়ে মাসকলাইয়ের ডাল রান্নার মজার একটি রেসিপি আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি।
ডিম দিয়ে মাসকলাইয়ের ডাল রান্না:
ডিম আমার খুবই প্রিয়। তাই তো বিভিন্নভাবে ডিমের রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করি। শীতকালে মাসকলাইয়ের ডাল খাওয়ার মজাই আলাদা। আমার তো ভীষণ পছন্দ। মাসকলাইয়ের ডাল মাছের মাথা দিয়ে রান্না করলে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি ডিম দিয়ে রান্না করলেও খেতে বেশ ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে খেতে বেশ মজার হয়। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি ডিম দিয়ে মাসকলাইয়ের ডাল রান্না করেছি এবং কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
নাম | পরিমান |
---|---|
মাসকলাইয়ের গুঁড়া | ১০০ গ্রাম |
ডিম | ১ টি |
ধনিয়া পাতা | পরিমান মত |
পেঁয়াজ কুচি | ১ চামচ |
রসুন বাটা | ১/২ চামচ |
জিরা বাটা | ১/২ চামচ |
গোটা জিরা | ১/২ চামচ |
কাঁচা মরিচ | ২ চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ১/২ চামচ |
লবণ | পরিমাণমতো |
সয়াবিন তেল | ৪ চামচ |
ডিম দিয়ে মাসকলাইয়ের ডাল রান্নার রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ:
ধাপ-১
ডিম দিয়ে মাসকলাইয়ের ডাল রান্না করার জন্য প্রথমে ডিম ভেজে নেব। এর জন্য প্রথমে একটি বাটির মধ্যে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, লবণ ও হলুদের গুঁড়া নিয়েছি। এরপর ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি। এবার ডিম ফাটিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবার ডিম ভাজার জন্য একটি কড়াই চুলার উপর দিয়েছি। এরপর তেল দিয়ে তেল গরম করে নিয়েছি এবং ডিম ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি। ডিম ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে ছোট ছোট পিস করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার ডিম দিয়ে মাসকলাইয়ের ডাল রান্না করার জন্য একটি কড়াই চুলার উপর দিয়েছি। এরপর কিছুক্ষণ সময় করে গরম হলে তেল দিয়েছি।
ধাপ-৪
তেল গরম হলে এবার পেঁয়াজ দিয়েছি। পরিমাণ অনুযায়ী পেঁয়াজ দিয়েছি।
ধাপ-৫
এবার পরিমাণ অনুযায়ী কাঁচামরিচ দিয়েছি। যাতে করে খেতে ভালো লাগে।
ধাপ-৬
এবার পরিমাণ অনুযায়ী রসুন বাটা ও জিরা বাটা দিয়েছি। এরপর সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে ভেজে নেওয়ার জন্য নাড়াচাড়া করেছি।
ধাপ-৭
এভাবে কিছুক্ষণ তেলের সাথে মসলাগুলো ভাজার পর বেশ ভালোভাবে ভাজা হয়েছে। এবার পরিমাণ অনুযায়ী হলুদের গুঁড়া দিয়েছি। এরপর লবণ দিয়েছি।
ধাপ-৮
এবার মসলাগুলো যখন ভালোভাবে ভাজা হয়েছে তখন এর মধ্যে পরিমাণ অনুযায়ী পানি দিয়েছি। ডাল রান্না করার জন্য পরিমাণ অনুযায়ী পানি দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৯
পানি গরম হওয়ার জন্য বেশ কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করেছি। পানি ভালোভাবে গরম হলে এর মধ্যে ডাল দিতে হয়। তাইতো অনেকটা সময় অপেক্ষা করেছি। এরপর যখন পানি গরম হয়েছে তখন ধীরে ধীরে ডালের গুঁড়া গুলো দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-১০
কিছুক্ষণ সময় নাড়াচাড়া করেছি। এরপর ধীরে ধীরে আবারও গুঁড়া গুলো দিয়ে মিক্স করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-১১
এরপর ভেজে রাখা ডিম গুলো এর মধ্যে দিয়েছি। চামচ দিয়ে সুন্দর করে নাড়াচাড়া করে মিশিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-১২
এবার একটি বাটির মধ্যে ডাল ঢেলে নিয়েছি। এরপর কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণ অনুযায়ী তেল দিয়েছি। এরপর পেঁয়াজ, রসুন বাটা ও গোটা জিরে দিয়ে ফোড়ন দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
শেষ ধাপ
পেঁয়াজগুলো যখন ভালোভাবে ভাজা হয়েছে এবং ফোড়ন দেওয়ার উপযুক্ত হয়েছে তখন ডালগুলো এর মধ্যে ঢেলে দিয়েছি। এরপর ধনিয়া পাতা দিয়েছি। এভাবেই এই মজার রেসিপি তৈরি করেছি।
উপস্থাপনা:
ডিম দিয়ে মাসকলাইয়ের ডাল রান্না করলে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। শীতের সময় এই খাবারটি মাঝে মাঝেই খাওয়া হয়। তাই ভাবলাম এই মজার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আপনারা হয়তো বিভিন্নভাবে এই মজার রেসিপি খেয়ে থাকেন। এভাবে কেউ কখনো ডিম দিয়ে খেয়েছেন কিনা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
শীতকালে মাসকলাই ডাল খেতে বেশ মজার হয়। কিন্তু ডিম দিয়ে ডাল এভাবে কখনও আমার খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি দেখে বেশ সুস্বাদু হবে মনে হচ্ছে। আমার কাছে একদম নতুন রেসিপি লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
শীতে মাশকলাইয়ের ডাল খেতে সত্যি অনেক মজার হয়। ডিমের সাথে খেতে আরো ভালো লাগে। আপনি যেহেতু কখনো খাননি একদিন ডিম দিয়ে রান্না করে দেখতে পারেন আপু। নতুন নতুন খাবার খেলে ভালই লাগে।
ঠিকই বলেছেন আপু, শীতকালে মাসকলাইয়ের ডালের স্বাদই আলাদা। এটি আমারও ভীষণ পছন্দ। তবে এভাবে ডিম দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। আমরাও ডিম দিয়ে রান্না করি তবে কিছুটা অন্যরকম ভাবে। আপনার রেসিপিটি বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
শীতকালে এই মাসকলাইয়ের ডাল খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তাই তো ভিন্ন ভাবে রান্না করার চেষ্টা করেছি। ডিম দিয়ে খেতে বেশ ভালো লেগেছিল। আপনি একদিন খেয়ে দেখতে পারেন আপু। মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু শীতকালে মাশকলাইর ডাল খুবই স্বাদ লাগে। আমার কাছে এই ডালটা খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে এভাবে ডিম দিয়ে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রান্নাটা একটু আলাদা খুব সুন্দরভাবে ডিম দিয়ে মাশকলাই রান্নার ধাপগুলো আপনি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার ধন্যবাদ
কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো শীতকালে খেতেই বেশি ভালো লাগে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাসকলাইয়ের ডাল। আর ডিম দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। একদিন খেয়ে দেখবেন ভাইয়া। আশা করছি আপনার কাছেও ভালো লাগবে।
আপনি একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।ডিম দিয়ে মাসকলাই এভাবে একসাথে কখনও রান্না করে খাওয়া হয়নি আমার ।একদিন বাসায় ট্রাই করে দেখবো আপনার রেসিপিটি।আপনার রান্নার প্রসেস দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালোই হয়েছিল।ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
মাঝে মাঝে নতুন খাবার রান্না করে খেতে ভালো লাগে। তাই আপনি যেহেতু এভাবে কখনো ডিম দিয়ে মাসকলাইয়ের ডাল খাননি একদিন খেয়ে দেখতে পারেন আপু। আশা করছি এই নতুন খাবার আপনার কাছে ভালো লাগবে।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু, শীতকালে মাসকলাইয়ের ডাল খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো গুছিয়ে লিখেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু শীতকালে মাসকলাইয়ের ডাল খাওয়ার মজাই আলাদা। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লাগে। তাই তো এই পছন্দের রেসিপি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। সব সময় পছন্দের রেসিপি গুলো শেয়ার করতে ভালো লাগে আপু।
মাসকলাইয়ের ডাল খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। পুষ্টিকর ও বটে। ডিম আর মাসকলাইয়ের ডাল মিলেয়ে চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। এভাবে রান্না করে খেতে অনেক মজা লাগে। অনেক দিন হলো এভাবে খাওয়া হয়নি
। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মাসকলাইয়ের ডাল খেতে অনেক সুস্বাদু। আর পুষ্টিগুনে ভরপুর। ডিমের সাথে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। এছাড়া মাছের মাথা দিয়েও খেতে ভালো লাগে। এভাবে একদিন খেয়ে দেখতে পারেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
এভাবে ডাল দিয়ে পাতলা ঝোল করে ডিম রান্না করলে আমার খেতে অনেক ভালো লাগে।এই ধরনের ডিম ভাজা করে ডালের সাথে আমি যখন ব্যাচেলর ছিলাম স্টুডেন্ট লাইফে তখন বেশি রান্না করতাম। দুপুর বেলায় কলেজ থেকে এসে এই রেসিপি দিয়ে ভাত খেলে অনেক বেশি ভাত খাওয়া যেত।আপনার প্রিয় ডিম দিয়ে মাসকলাই ডাল রান্না করেছেন খেতে অনেক সুস্বাদু হবে।মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ডিম ভাজি করে এরপর ডালে দিলে সত্যি খেতে অনেক ভালো লাগে। আসলে ঝটপট কোন কিছু তৈরি করতে এই রেসিপিগুলো খুবই কাজে আসে। স্টুডেন্ট লাইফে আপনিও এভাবে রান্না করতেন জেনে ভালো লাগলো আপু।
ঠিক বলেছেন আপু ডিম সবার প্রিয়।আর আমার বাচ্চা দুটো ডিম ছাড়া কিছু বোঝে না।ওদের ডিম হলে আর কিছুই লাগেনা।আপনার রেসিপির কালারটি অনেক সুন্দর দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ছিল।
ডিম আমারও খুবই প্রিয়। তাই মাঝে মাঝে ভিন্নভাবে খাওয়ার চেষ্টা করি। এভাবে একদিন ডাল দিয়ে রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন এবং আপনার বাচ্চাদের কেউ খাওয়াতে পারেন আপু। আশা করছি তাদের ভালো লাগবে।
ঠিক বলেছেন শীতকালে মাসকালাইয়ের ডাল খাওয়ার মজায় অন্যরকম। ডিম দিয়ে এভাবে পাতলা করে ডাল রান্না করে খাওয়া হয়নি। খেয়ে দেখতে হবে একদিন কেমন লাগে খেতে। ডিম খেতে আমারও খুব ভালো লাগে।
মাসকলাইয়ের ডাল দিয়ে ডিম ভাজা রান্না করলে খেতে ভালই লাগে ভাইয়া। একদিন খেয়ে দেখতে পারেন। মনে হচ্ছে আপনার কাছে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া মতামত প্রকাশের জন্য।
আপু চিমটি। আমারও ডিম খুব প্রিয়। আর মাসকলাইর ডাল খাইনা তে কত বছর বলতেও পারবো না।খুব সুন্দর একটি রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন। যেন মা মা গন্ধ পাচ্ছি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ডিম যেহেতু আমাদের দুজনেরই পছন্দ তাই ডিম রান্না করলে আমাকে দাওয়াত দিয়েন। সত্যি আপু মায়ের হাতের কিছু কিছু রান্না আছে যেগুলো সারা জীবন মনে থাকে।