নাটক রিভিউ-মন দুয়ারে|
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। মাঝে মাঝেই সময় পেলে নাটক দেখি। এই নাটকটি কিছুদিন আগে দেখেছিলাম। আমার প্রিয় অভিনয় শিল্পীদের নাটক দেখতে বেশি ভালো লাগে। আশা করছি আমার শেয়ার করা নাটক রিভিউ সবার ভালো লাগবে।
নাম | মন দুয়ারে |
---|---|
পরিচালনা | হাসিব হোসাইন রাফি |
প্রধান সহকারী পরিচালক | শাহেদ হাসান ইমন |
অভিনয়ে | তাসনিয়া ফারিন,তৌসিফ মাহবুব |
দৈর্ঘ্য | ১ ঘন্টা ২০ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ১৩ফেব্রুয়ারি ২০২৪ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- তৌসিফ মাহবুব (সিয়ান)
- তাসনিয়া ফারিন (তিথি)
নাটকের শুরুতেই দেখি সবাই স্টেশনে অপেক্ষা করছে ট্রেনের জন্য। আর নাটকের নায়িকা তিথি তার মায়ের সাথে কথা বলছে। সে তার মাকে ভুলভাল বোঝানোর চেষ্টা করছে। আসলে সে তার বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছে। আর মাকে বলেছে সে সবার সাথে ট্যুরে যাচ্ছে। এবার তিথির মা তিথির কাছে অন্য একজনের ফোন নাম্বার চায়। তখন তিথি যাকে সামনে পায় সে হলো সিয়ান। সিয়ানের কাছে যেয়ে তিথি সিয়ানের ফোনটি চায় এবং বলে সে তার মাকে কল করতে চায়। সিয়াম কোন কিছু বুঝে ওঠার আগে তিথি ফোনটি নেয় আর তার মাকে ফোন করে বলে এটা তার ফ্রেন্ডের নাম্বার। আর কোন সমস্যা হলে যেন তার ফ্রেন্ড কে ফোন করে।
কথা বলা শেষ করে সিয়ানকে ফোনটা ফিরিয়ে দিয়ে তিথি যখন চলে যাচ্ছিল তখন হঠাৎ করে তার মনে পড়ে সে তার মাকে সিয়ানের নাম্বার দিয়েছে। এবার তিথি সিয়ানের কাছে গিয়ে বলে আপনি আমার সাথে অজয়নগর চলেন। না হলে আপনার ফোনটা আমাকে ধার দেন। পরে আপনাকে ফেরত দিবো। এই কথা শুনেছেন সিয়ান ভাবে হয়তো মেয়েটির মাথায় সমস্যা আছে। এরপর মেয়েটির অনুরোধ করা দেখে সিয়ান বুঝতে পারে মেয়েটি হয়তো একটু বেশি কথা বলে। এরপর সিয়ান জানায় সেও অজয়নগর যাচ্ছে। এই কথা শুনে তো মেয়েটি ভীষণ খুশি আর বলে তাহলে কোন চিন্তাই নেই।
এবার তারা ট্রেনে উঠে পড়ে। ট্রেনে উঠে ঘটে যায় কিছু মজার ঘটনা। সিয়ানের পাশাপাশি বসার জন্য তিথি বলে সিয়ান তার বয়ফ্রেন্ড। এরপর তাদের দুজনের সিট একসাথে করা হয়। অন্যদিকে হঠাৎ করে তিথি যখন নিজের ফোন খুঁজে তখন বুঝতে পারে তার ফোনটি হয়তো আগেই স্টেশনে চুরি হয়ে গেছে। এবার তিথি বিপদে পড়ে যায়। অনেক কষ্ট করে সিয়ান টিকিট চেকারকে ম্যানেজ করে। আর তিথি বেঁচে যায়। এরপর তিথি সিয়ানের সাথে অনেক গল্প করে এবং বলে সে তার বান্ধবীর বিয়ে ভাঙ্গার জন্য যাচ্ছে। আর তার বান্ধবী অন্য একজনকে ভালোবাসে। এসব বলতে বলতেই তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। এবার সিয়ান চলে যায় তার নিজের গন্তব্যে। সেখানে গিয়ে তার হবু শ্বশুর বাড়ির সবার সাথে সিয়ার কথা বলছিল। এমন সময় হঠাৎ করে বাহিরে চিল্লাচিল্লি শুনে সবাই এগিয়ে যায়। আর ভেতরে আসার পর তিথি দেখে সিয়ান সেখানে বসে আছে। এটা দেখে তিথি অবাক হয়ে যায়। এরপর সে জানতে পারে আসলে তিথির বান্ধবীর হবু স্বামী হল সিয়ান। যাকে সে আগেই সব কথা বলে দিয়েছে।
এমনকি তিথির বয়ফ্রেন্ডের কথাও বলে দিয়েছে। আর সে যে তার বান্ধবীর বিয়ে ভাঙ্গার জন্য এই বাড়িতে এসেছে সেটাও বলে দিয়েছে। তিথি এবার ঝামেলায় পড়ে যায়। বুঝতে পারছিল না কি করবে। এরপর সিয়ানের সাথে কথা বলে সবটা ঠিক করে ফেলে। অন্যদিকে সিয়ার তিথির বান্ধবীর বাবাকে ম্যানেজ করে এবং বলে তিনি যেন তার মেয়ের ভালোবাসার মানুষটির সাথেই তাকে বিয়ে দেয়। অবশেষে তিনিও রাজি হয়ে যান। আর তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে তিথি আর সিয়ানের দূরত্ব কমতে থাকে। সিয়ান ধীরে ধীরে তিথিকে পছন্দ করতে থাকে। এভাবে শেষ হয়ে যায় বিয়ের প্রোগ্রাম। অবশেষে তাদের ফেরার পালা। ফেরার সময় মন খারাপ করতে দেখে তিথি বলে মন খারাপ করিয়েন না আপনার জন্য হয়তো অন্য কেউ আছে। এবার সিয়ান বলে আমার মা অসুস্থ এবার যদি শুনে আমার বিয়ে হয়নি। তাহলে তিনি অনেক কষ্ট পাবে।
এবার তিথি সিয়ানের মিথ্যে বউ হতে রাজি হয়। আর তাদের বাসায় চলে যায়। এরপর ধীরে ধীরে তাদের দুজনের মাঝে বেশ ভালো একটি সম্পর্ক হয় এবং একে অন্যকে ভালোবাসতে শুরু করে। তিথি তার বান্ধবীকে ফোন করে সবকিছু জানায়। এবার তিথি যখন বাড়ি ফিরে যায় তখন তার সৎ বাবা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকে আবারও সিয়ানের বাড়িতে ফিরে আসে। আর আসার পর জানতে পারে আসলে সিয়ান অনেক মিথ্যা কথা বলেছে। এটা শুনে তিথি রেগে যায় আর সেখান থেকে চলে যায়। এরপর আর তিথি সিয়ানের সাথে যোগাযোগ করেনি। হঠাৎ করে একদিন তিথির বান্ধবীর সাথে সিয়ানের দেখা হয়। তখন সিয়ান জানতে পারে তিথি তাকে ভালবাসতো এরপর সে তিথিকে খুঁজে বের করে আর তাদের পছন্দের জায়গাটিতে যায়। সেখানে গিয়ে তিথিকে খুঁজে পায় আর দুজনের মান-অভিমান শেষ হয়।
এই নাটকটিতে মূলত তিথি তার বান্ধবীর বিয়ে ভাঙতে গিয়েছিল। আর সেখানে যাওয়ার পর বান্ধবীর হবু বরের সাথেই তার রাস্তায় দেখা হয়ে যায়। আর অবশেষে বিয়েটা ভেঙে যায়। কিন্তু শেষমেষ বিভিন্ন কারণে সেই ছেলেটির সাথে তিথির ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায় এবং দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলে। সব মিলিয়ে নাটকটি ভালো ছিল।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
https://x.com/Monira93732137/status/1802302581118775521?t=kSVktEnO8eydxoHzyk46gQ&s=19
বাহ বেশ মজার একটা ঘটনা নিয়ে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে কারণ বান্ধবীর বিয়ে ভাঙতে গিয়ে নিজে বান্ধবের প্রেমে পড়ে যাওয়া এই তোমাদের ইউনিক কাহিনী তেমন একটা চোখে মেলে না । যাই হোক খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে নাটকটি আপনি রিভিউ করার চেষ্টা করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।
এই নাটকটি অনেক ভালো লেগেছিল ভাইয়া। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
খুবই দারুন একটি নাটক রিভিউ করেছেন আপু আমার কাছে নাটক টা খুবই ভালো লেগেছিলো অনেকদিন আগে দেখেছিলাম। খুব সুন্দর ভাবে আপনি প্রতিটি পয়েন্ট উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
নাটকের গল্পটা দারুন ছিল ভাইয়া। তাইতো প্রতিটি পয়েন্ট তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
বেশ কয়েকদিন আগেই নাটকটা দেখেছিলাম। নাটকের গল্পটা সত্যি অসাধারণ ছিল। আমার অনেক ভালো লেগেছে এই নাটকের গল্পটা। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই বেশ দারুণ লেগেছিল । আপনি খুব সুন্দরভাবে পুরো নাটকটা রিভিউ করেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি এই নাটকটি দেখেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। নাটকের গল্পটা দারুন ছিল আপু। আমি চেষ্টা করেছি সুন্দর করে উপস্থাপন করার।
এই সমস্ত নাটকগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। এ জাতীয় নাটকগুলো যত দেখি তত মনের মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগার সৃষ্টি হয়। ঠিক তেমনি সুন্দর একটা নাটক সম্পর্কে রিভিউ করেছেন আপনি। আপনার ভিডিওটা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে আমার।
এই ধরনের নাটক দেখতে আপনার ভালো লাগে জেনে ভালো লাগলো আপু। এই নাটকটি দারুন ছিল। আপনিও সময় পেলে নাটকটি দেখতে পারেন আপু।
প্রথমে তিথি তার বান্ধবীর বিয়ে তে যায়। এরপর নানাভাবে তার বান্ধবীর বিয়ে ভাঙ্গার চেষ্টা করে। অবশ্যই সে পরবর্তীতে বিয়ে ভাঙতে সফল হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সে তার বান্ধবীর ঠিক করা বিয়ের পাত্রকে ভালোবেসে ফেলে এটা জেনে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দারুন একটি নাটক রিভিউ করেছেন আপু।আপনার নাটকটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। ভীষণ সুন্দর হয়েছে আপনার নাটক রিভিউটি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
তিথি তার বান্ধবীর বিয়ে ভাঙ্গার জন্য গিয়ে নিজেই সেই ছেলেটির প্রেমে পড়ে যায়। নাটকটি সত্যিই দারুণ ছিল। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।