লাইফ স্টাইল-বোনের সাথে পিকনিকে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটিতে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। লাইফস্টাইল নিয়ে পোস্ট করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাই মাঝে মাঝে সুযোগ পেলে এই ধরনের পোস্ট করার চেষ্টা করি। গতকাল ছোটবোনের স্কুল থেকে সবাই মিলে পিকনিকে গিয়েছিলাম। তাইতো আজকে আমি বোনের সাথে পিকনিকে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করছি সেই মুহূর্তগুলো সবার ভালো লাগবে।
বোনের সাথে পিকনিকে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত:
![IMG_20240303_171739.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmSyrx4ZHkggw3WzEZGkdCFByyPP3oVzgtNkGTbeiAqXk1/IMG_20240303_171739.jpg)
Location
![IMG_20240303_144330.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmes9DLgSGeVgiMeeZG7dzWSCN35nXU4xYnbXXekZqH7Dr/IMG_20240303_144330.jpg)
Location
যেহেতু বোনের স্কুল থেকে সবাই পিকনিকে যাচ্ছিল তাই বোন বায়না শুরু করেছিল পিকনিকে যাবে। কিন্তু এতটা দূর পিকনিকে যাবে এটা প্রথমে বাবা রাজি হচ্ছিলেন না। এর আগে বাবা সবসময় বোনের সাথে যেত। কিন্তু এবার বাবা যেহেতু ব্যস্ত ছিল তাই ভাবলাম একা একা পাঠানো একদম ঠিক হবে না। সেই সুযোগে আমি বোনের সাথে চলে গেলাম। যদিও শরীরটা খুব একটা ভালো ছিল না। তবুও ছোট বোনকে একা ছাড়ার পক্ষে আমি মোটেও ছিলাম না। যা দিনকাল পড়েছে😜😜। তাইতো আমিও সকাল সকাল রেডি হয়ে গেলাম। যেহেতু দুজনের টাকা দেওয়া হয়েছিল পিকনিকের জন্য তাই আমিও তৈরি হয়ে গেলাম। অনেকটা পথ যেহেতু যেতে হবে তাই সকাল সাতটায় সবাই উপস্থিত হয়ে গেল। এরপর সবাই বাসে উঠে পড়েছে। আমরাও বাসে উঠে পড়লাম। কিন্তু বাসে ওঠার পর শুরু হয়ে গেল আরেক কাহিনী। তারা কোন গার্ডিয়ানকে সেই বাসে নিচ্ছে না। গার্ডিয়ানদের জন্য আলাদা বাস রয়েছে। এটা দেখে তো আমার মেজাজ আরো গরম হয়ে গেল। এরপর আমি স্যারকে বললাম আমাকে এই বাসেই যেতে হবে। বাবা না হলে আমার উপর রাগ করবেন।
![IMG_20240303_145215.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQBYyxJg2qUhjaXpJhNjApnBj6dJhUkNyg6wUrWYiNpLY/IMG_20240303_145215.jpg)
Location
![IMG_20240303_143627.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQyEr1DnMQf9Dd4DSDdcgoziwj3rt1p2uiXcLXXtFvKUn/IMG_20240303_143627.jpg)
Location
অবশেষে কি আর করার জোর করে হলেও আমিও স্টুডেন্টদের বাসে যাওয়ার জন্য পারমিশন পেয়ে গেলাম। এরপর বাসে ওঠার পর শুরু হয়ে গেল সবার নাচানাচি আর গান বাজনা। যেহেতু টিচাররা সেখানে ছিল তাই আমার এরকম পরিস্থিতিতে বেশ লজ্জা লাগছিল। কিন্তু পোলাপানের একটুও লজ্জা নেই🤣। তারা তো একেবারে গানের তালে তালে নেচেই যাচ্ছে। এরপর দীর্ঘ চার ঘণ্টার জার্নি করার পর আমরা পৌঁছে গেলাম স্বপ্নপুরী। স্বপ্নপুরী দিনাজপুর শহরের অনেকটা কাছেই অবস্থিত। যদিও স্বপ্নপুরী দিনাজপুর শহরে নয় তবে অনেকটা গ্রামের দিকেই এই স্বপ্নপুরী গড়ে উঠেছে। আর এটা দারুন একটি পিকনিক স্পট। আমাদের মত হাজার হাজার মানুষ সেখানে এসেছে দূর-দূরান্ত থেকে। গাড়ি নিয়ে সবাই ছুটে চলে এসেছে পিকনিক করার জন্য।
![IMG_20240303_143803.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUnHJG5Fdu9Go4uLWRiJgkD8euG4udHkiHzWVv5T5qRwc/IMG_20240303_143803.jpg)
Location
![IMG_20240303_144929.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmNh4ZeQELkM87BTR3maWgS5h3n7XFmv3RxtB9CjZuuC8c/IMG_20240303_144929.jpg)
Location
স্বপ্নপুরী পৌঁছে সবাই যে যার মত করে সময় কাটাতে শুরু করেছে। আমিতো আমার বোনকে একা ছাড়ছিলাম না। তাদের পিছে পিছে সব সময় যাচ্ছিলাম। আসলে এরকম পরিস্থিতিতে সচেতনতা অনেক বেশি দরকারি। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে কে কোথায় যাচ্ছে বোঝাই যাচ্ছিল না। তাইতো আমি বোনকে বললাম আমার সাথেই থাকতে। বোনের সাথে বোনের বান্ধবীরাও আমার সাথে ছিল। আমরা চারপাশে ঘোরাঘুরি করছিলাম আর দেখছিলাম। চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করার চেষ্টা করছিলাম। যেহেতু চার ঘন্টা সময় আমরা জার্নি করে এসেছি তাই অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তবে কি আর করার এতটা পথ যখন আমরা গিয়েছি তাই ঘুরে ঘুরে সবটা দেখার চেষ্টা করেছি।
![IMG_20240303_144841.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV6wFHxYWC368oKsizFmYF7pgBSxt7fr1eJZgeBGUBCwL/IMG_20240303_144841.jpg)
Location
![IMG_20240303_144856.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmPz5R3VtSyMUSyC1kCs7J8P67iu2ZWN4JK37kUUrhPNAk/IMG_20240303_144856.jpg)
Location
আমরা যেহেতু অনেকটা পথ জার্নি করে এসেছি তাই সবার অনেক পিপাসা লেগেছিল। তাই তো সবাই মিলে আইসক্রিম খেয়েছিলাম। যদিও আইসক্রিমের প্রাইস অনেকটাই বেশি নিয়েছিল। তাই আমরা বেশি কিছু না খেয়ে আইসক্রিম আর আচার খেয়েছিলাম। এরপর চারপাশের সৌন্দর্য আর মনোরম দৃশ্য দেখে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। এরকম সৌন্দর্য দেখে ক্লান্তি হয়ে গিয়েছিল। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে এসেছি। আর তারাও নিজেদের পরিবার-পরিজন নিয়ে সময় কাটানোর চেষ্টা করছে। আমিও সবাইকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিলাম। যেহেতু টিচাররা সাথেই ছিল তাই সবাই বেশ ভালোভাবে ঘুরতে পেরেছিল। অন্যদিকে কিছু টিচার পিকনিক স্পটে রয়ে গিয়েছিল। উনারা খাবারের অ্যারেঞ্জমেন্ট করছিলেন। যেহেতু এই জায়গাটি একটি জনপ্রিয় পিকনিক স্পট তাই সবকিছু সেখানে ভাড়া পাওয়া যায়। বাবুর্চি থেকে শুরু করে হাড়ি, পাতিল, কাজের মহিলা সব কিছুই পাওয়া যায়। তাইতো প্রথমে সবাই জায়গা নির্ধারণ করে ফেলেছে। সেই সাথে একটি জায়গা ভাড়া নিয়েছে। সেই সাথে কাজের লোকগুলো সেখানে ছিল।
![IMG_20240303_145145.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdm3Uuz3xLS8gX5KWCv98pBsEXMvZ64pUJx7aAk2UwALY/IMG_20240303_145145.jpg)
Location
![IMG20240302160435.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmSNmx61NZi3JUnW5d7RK1uur2dBygUPvVk8wb5WWcF2T7/IMG20240302160435.jpg)
Location
এরপর ঘোরাঘুরি খাওয়া-দাওয়া সব কিছুই হয়েছে। সবার শেষে ছিল লটারির ব্যবস্থা। যেহেতু স্টুডেন্টদের কাছে খুবই অল্প মূল্য নির্ধারণ করে লটারি বিক্রি করা হয়েছে তাই গিফটের প্রাইস গুলো ছিল অনেকটা মিডিয়াম। সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছি। অবশেষে যখন যাওয়ার সময় হল তখন আবারো সবাই বাসে উঠে পড়লাম। আসার সময় তো শুরু হয়ে গেল আরেক সার্কাস🤣। কিছু মেয়ে এতটা নাচানাচি শুরু করেছিল যেটা দেখে আমার নিজের লজ্জা লাগছিল। তাদের নাচানাচি দেখে আমি সত্যি শিহরিত 😜😜। ছেলেরা নাচানাচি করেছে এটা মানা যায় কিন্তু তাই বলে মেয়েরা এভাবে নাচানাচি করবে এটা দেখে কেমন জানি লেগেছে। আমি তো বাবা জীবনেও আর আমার পরিবারের কাউকে এভাবে পিকনিকে যেতে দেবোনা। খুব বেশি প্রয়োজন হলে নিজেও সাথে যাবো। যাই হোক সব মিলিয়ে সময়টা মোটামুটি ভালোই কেটেছে। তবে জার্নিটা অনেকটা বেশি ছিল। আশা করছি আমাদের কাটানো মুহূর্তগুলো আর পিকনিকের মুহূর্ত গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
আপনি আপনার বোনের সাথে পিকনিক গিয়েছিলেন, দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। আসলে বর্তমান মেয়েদের কে কোথাও একা পাঠানো একদম ঠিক নয়। এখন মেয়েরা একমাত্র তার বাসায় নিরাপদ, তাছাড়া আর অন্য কোথাও নিরাপদ নয়। আপনি আপনার বোনের সাথে পিকনিকের মধ্যে গিয়ে বেশ ভালো আনন্দ উপভোগ করেছেন এবং খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বর্তমানে মেয়েদেরকে একা কোথাও পাঠানো মুশকিল। তাইতো আমিও বোনের সাথে পিকনিকে গিয়েছিলাম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
স্বপ্নপুরী আমার পছন্দের একটি জায়গা। বোনের সাথে পিকনিকে গিয়েছেন জেনে খুশি হলাম। আর একদমই ঠিক বলেছেন আপনার বোনকে একা না ছাড়াই ভালো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। সবাই ভীষণ ইনজয় করেছে দেখে বোঝা যাচ্ছে। সবার জন্য শুভ কামনা রইল ❣️
ভাইয়া আপনি স্বপ্নপুরী গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। জায়গাটি সত্যি অনেক সুন্দর। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
আপনি অনেক ভালো একটা কাজ করেছেন। আসলে বর্তমান যুগের বাচ্চাদের একা ছাড়া মোটেই উচিত নয়।আর পিকনিকে বাচ্চারা নাচানাচি করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে স্বপ্নপুরী জায়গাটা অনেক সুন্দর। যাইহোক সব মিলে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চাদের একা ছাড়া একদম ঠিক না। তাইতো আমিও বোনের সাথে পিকনিকে গিয়েছিলাম। স্বপ্নপুরী অনেক সুন্দর একটি জায়গা।
বোনের সাথে পিকনিকে গেলেন বেশ ভালোই লাগতেছে। আপনাকে অনেকদিন পর দেখতেছি অনেক ভালো লাগতেছে। দুই বোন একসাথে আসলে আপনারা বেশ মজা করেছেন, দেখে বোঝাই যাচ্ছে। শরীরটা খারাপ ছিল তাও অনেক সুন্দরভাবে আপনি নিজেকে ভালো সময়ের মধ্যে অতিবাহিত করেছেন। আমিও সামনে 9 তারিখে ঘুরতে যাব দেখা যাক। ঘোরাঘুরি করলে একটু মন ভাল থাকে।
জি ভাইয়া বোনের সাথে পিকনিকে গিয়ে অনেক আনন্দ করেছি। আপনি ঘুরতে যাবেন জেনে ভালো লাগলো। আশা করছি মন ভালো হয়ে যাবে।
পিকনিকে যেতে আমারও অনেক ভালো লাগে ।আপনি আপনার ছোট বোনের সাথে পিকনিকে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।প্রতিবার আপনার বোনের সাথে আপনার বাবা যাই। বাবা ব্যস্ততার কারণে আপনি এবার শরীর অসুস্থ থাকার সত্বেও বোনের সাথে পিকনিকে গিয়েছেন ।যেয়ে অনেক পিপাসা পেয়েছিল তাই আপনারা আইসক্রিম এবং আচার খেয়েছেন ।ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অনেক পথ জার্নি করে অনেক বেশি পিপাসা লেগেছিল তাইতো আইসক্রিম এবং আচার খেয়েছিলাম আপু। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
অসুস্থ থাকা সত্বেও বোনের সাথে পিকনিক যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন নি আপু।আর ঠিকই তো একা ছাড়া ঠিক হবেনা যেহেতু এখনো অনেকটা ছোট।এখনকার ট্রেন্ড আপু নাচানাচি হৈ হুল্লোড় যে যত বেশি পারে করতে সে তত বেশি স্মার্ট।স্কুলের পিকনিক এ একটু বেশিই মজা হয়।আর সবাই যেহেতু ছোট এগুলো কমন বিষয় ই বলা যায় 😁😁।ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
নাচানাচি হৈ হুল্লোড় দেখে সত্যি আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তবে সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
হাহাহা! মেয়েরাও তাহলে বাসা ফাটায় দিছিল আপু 🤣🤣। সেই লেভেলের একটা ফিলিংস আপনি নিতে পারলেন 😂। যাক আপনার বোনকে একা না ছেড়ে ভালো করেছেন। আপনার বোন তাহলে স্কুলে পড়াশোনা করে। এস সময়ে পড়াশোনা করার পাশাপাশি কোনো জায়গায় ঘুরে আসাও ভালো।
কি আর বলবো ভাইয়া ওদের নাচানাচি দেখে আমিতো ভেবেছিলাম বাস উল্টে যাবে। সবমিলিয়ে সময়টা ভালোই কেটেছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
অসুস্থ হলেও দায়িত্ব বোধ থেকে বোনকে একা পিকনিকে পাঠাননি।আপনি গেলেন সাথে।যদিও এতোটা পথ তাই ক্লান্ত হয়ে গেলেন কিন্তু তারপরেও সময়টা বেশ ভালোই কেটেছে।দিনটা একটু হলেও ভিন্নতায় কেটেছে।ধন্যবাদ আপনাকে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
অনেক পথ জার্নি করে একটু খারাপ লেগেছিল আপু। তবে সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বোনের সাথে পিকনিকে যাওয়ার অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত আপনি সবার মাঝে শেয়ার করেছেন আজকে। ভালোই করেছেন আপনার বোনকে একা একা না যেতে দিয়ে। কারণ এখনকার দিনে ছোটদেরকে একা একা কোথাও যাওয়ার জন্য দেওয়াটাই ভুল হবে। কারণ কখন যে তারা কি করবে এটা বলা মুশকিল। আর আপনি সব সময় আপনার বোনের সাথেই থেকে ভালো করেছেন। আমার তো মনে হয় আপনার কারণে আপনার বোন একটুও নাচানাচি করতে পারেনি 😁😁। আসলে তারা যেহেতু এখন ছোট তাই পিকনিকে একটু মজা তো করবেই আপু নাচানাচি তো সিম্পল ব্যাপার। এখন যদি মজা না করে কখন আর মজা করবে। পরবর্তীতে নিজের ফ্যামিলির অন্য কাউকে পিকনিকে নিয়ে যাওয়ার সময় আপনার মতই লজ্জা পেয়ে বসে থাকতে হবে তাদেরকে।
আমার বোন চুপচাপ বসে ছিল আপু। জানিনা আমি না থাকলে নাচানাচি করতো কিনা। তবে একা ছাড়লে কি করতো জানিনা আপু।
বোনের সাথে পিকনিকে গিয়ে ভালোই সময় কাটিয়েছিলেন দেখছি। যদিও বাসের মধ্যে বাচ্চারা নাচানাচি করছিল দেখে আপনি নিজেই শরম পাচ্ছিলেন অনেক বেশি। এই বয়সে এখন বাচ্চারা আনন্দ করে। বিশেষ করে সারা বছর তো পড়ালেখা করে, পিকনিকে যাওয়ার সময় একটু আনন্দ করে। আপনি আপনার বোনকে একা ছেড়ে দেননি ভালোই করেছেন। সব সময় তার সাথেই ছিলেন আপনি এসব কিছু জেনে ভালো লাগলো। প্লেসটা কিন্তু সত্যি অনেক বেশি সুন্দর। এরকম জায়গায় গেলে অনেক ভালোই লাগে।
সত্যি ভাইয়া স্যারদের সামনে বেশ লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলাম। তবে মাঝে মাঝে আনন্দ করলে মন ভালো হয়ে যায়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।