পরীক্ষা মানেই যেন শুধু ভোগান্তি||

in আমার বাংলা ব্লগ8 months ago

আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার


আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে সারাদিন অনেক ব্যস্ততায় কেটেছে। কি পোস্ট করবো ভেবেই পাচ্ছিলাম না। যেহেতু আমার আজকে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ছিল তাই ব্যস্ততা অনেকটা বেশি ছিল। তবে আমার কাছে মনে হয় পরীক্ষা মানেই যেন শুধু ভোগান্তি। আর তাই নিজের অনুভূতি থেকে কিছু কথা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি।


পরীক্ষা মানেই যেন শুধু ভোগান্তি:

IMG_20240315_160929.jpg


পরীক্ষা মানেই আলাদা রকমের এক প্যারাময় জীবন। যেহেতু আজকে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ছিল তাই কয়েকদিন থেকে অনেক চাপের মধ্যে ছিলাম। আর আজকে যখন সেহেরী খাওয়ার জন্য ভোর তিনটায় উঠে গেলাম তখন ভাবলাম একটুখানি পড়ে নেই। একদিকে রান্না অন্যদিকে পড়াশোনা অবশেষে সেহরির সময় শেষ হয়ে গেল। আর ফুটে উঠলো ভোরের আলো। পরীক্ষার কেন্দ্র বাসা থেকে অনেকটা দূরে ছিল। তাই ভোর পাঁচটায় আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য। আমার পাশের বাসারও যেহেতু কয়েকজন পরীক্ষার্থী ছিল তাই আমরা ঠিক করেছিলাম একসাথেই সবাই যাবো। যাতে করে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে পারি। আগের দিন আমরা একটি সিএনজি ঠিক করে রেখেছিলাম পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য। এবার সেখানে গিয়ে শুরু হল নতুন ঝামেলা। পরীক্ষার কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। যাকেই জিজ্ঞাসা করছিলাম সে বলছিল একটু সামনে যান একটু সামনে যান। এরপর যখন অনেকটা পথ চলে গিয়েছি তখন একজন বলল আপনাকে আবার ঘুরে যেতে হবে। কারণ আপ ভুল রাস্তায় চলে এসেছেন। এইকথা শুনে তখন একেবারে নাজেহাল অবস্থা। মোবাইল ফোনও নিয়ে যেতে পারিনি তাই লোকেশন বের করার কোন উপায় ছিল না।


এবার যখন সেই কাঙ্ক্ষিত জায়গায় যাওয়ার জন্য আবারো হাঁটা শুরু করলাম তখন কোন রিক্সা পাচ্ছিলাম না। ব্যস্ত নগরীতে সবাই যে যার মত ব্যস্ত। কেউ কাউকে সময় দিতে চায় না। এরপরেও অনেকটা পথ হেঁটে এগিয়ে গেলাম। কারণ সময়টা তখন আটটা বেজে গিয়েছিল। যেহেতু ৯ টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে তাই আমার বেশ ভয় লাগছিল। কারণ রাস্তা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। শহরের অলি গুলির মাঝে নিজেকে বড় অসহায় লাগছিল। আমার সাথে যারা ছিল তারা যেহেতু অন্যান্য কেন্দ্রে পড়েছে তাই তারাও যে যার মত যাওয়ার চেষ্টা করেছে। আমি তখন একাই হেঁটে যাচ্ছিলাম এরপর এক বয়স্ক চাচা বললেন তুমি যদি আমার সাইকেলের পিছনে উঠতে পারো তাহলে আমি তোমাকে রেখে আসবো। আমি বললাম না চাচা আপনি এই বয়সে আমাকে নিয়ে যেতে পারবেন না। এরপর এগিয়ে গেলাম আরো কিছুদূর। সেই বয়স্ক চাচা আমাকে বেশ কিছুদূর এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন। কারণ আমি রাস্তাঘাট কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।


অবশেষে একটি রিক্সা পেয়ে গেলাম। রিক্সাওয়ালা এক্সাম সেন্টারের কাছাকাছি পৌঁছে দিলেন। এক্সাম সেন্টারের সামনে গিয়ে দেখি ওমা বিশাল লাইন। ভেতরে প্রবেশ করার জন্য একেবারে লাইন ধরে সবাই দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু গেট তখনো বন্ধ। গেট নাকি নয়টার পরে খুলবে। এক ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে আমাদের। কাছাকাছি গিয়ে জানতে পারলাম হাত ঘড়ি নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। এবার কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। অন্যদিকে এক্সাম সেন্টারের সামনে একটি দোকানে ভিন্ন রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি, ব্যাগ সবকিছুই জমা রাখা যায়। এখন এই ঘড়িটি জমা দেওয়ার জন্য আমিও সেখানে গেলাম। ওরে বাবা সেখানে গিয়ে দেখি বিশাল লম্বা লাইন। অনেক কষ্ট করে ভিতরে ঢুকে ঘড়িটা জমা দিয়ে কোন রকমে চলে আসলাম। এবার আবারো সেই লাইনে দাড়িয়ে এক্সাম সেন্টারে ঢোকার পালা। এবার মহিলা পুলিশ এতগুলো মানুষের সামনে প্রত্যেকটা মেয়ের হিজাব খুলে খুলে চেক করছিলেন। সে যেন এক বিশ্রী অবস্থা। যাই হোক অনেক কষ্টে আবারো এক্সাম সেন্টারের ভিতরে প্রবেশ করলাম। এরপর শুরু হয়ে গেল নতুন সমস্যা। যেহেতু স্কুল এন্ড কলেজ দুটোই এখানে তাই বিশাল ক্যাম্পাস ছিল। আর এই বিশাল ক্যাম্পাসে কাঙ্ক্ষিত রুম খুঁজে পাওয়া অনেক মুশকিলের হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজের কাঙ্খিত আসনে বসে গিয়েছিলাম।


এক্সাম ভালোই হয়েছে। এরপর আমি ভাবলাম যেহেতু আবারও সেই দোকানে যেতে হবে ঘড়ি নেওয়ার জন্য তাই দ্রুতই বেরিয়ে গেলাম। আর সেখান থেকে আমার ঘড়িটি নিয়ে আবার চলে এলাম। সবকিছুই ভালোয় ভালোয় মিটে যাচ্ছিল। এরপর যখন সেখান থেকে বেরিয়ে আবার হাঁটা শুরু করলাম ওরে বাপরে বাপ কি আর বলবো এত স্টুডেন্ট পরীক্ষা দিতে এসেছে এটা দেখে মাথা নষ্ট। কোন রিক্সা, অটো, সিএনজি কিছু পাচ্ছিলাম না। রোজা রেখে এতটা পথ হাঁটার পর মনে হচ্ছিল যেন গলাটা একেবারে শুকিয়ে গেছে। আর কিছুক্ষণ হাঁটলেই আমি দম বন্ধ হয়ে মারা যাবো। এরপর দেখলাম একটি আপু পরীক্ষা দিয়ে ফিরছেন। আর তিনি রিক্সায় একাই আছেন। এরপর আমি আপুটিকে অনুরোধ করলাম দয়া করে আপনার রিক্সায় আমাকে নিন আর আমাকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এগিয়ে দিন। যেহেতু ওই আপুটা ওই রাস্তা দিয়েই যাবে তাইতো রিক্সাওয়ালা চাচা রাজি হয়ে গেলেন। আর আমি উনাকে পুরো ভাড়াটাই দিয়েছিলাম। কারণ তিনি আমার বিপদের সময় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এরপর চলে গেলাম বাস কাউন্টারে। সেখানে গিয়ে টিকিট নিয়ে বসে পড়লাম। শহরে এতটা জ্যাম ছিল যে বলার মত নয়। তবুও জ্যাম পার হয়ে যখন শহরের কিছুটা বাহিরে চলে এলাম তখন শুরু হলো নতুন ঝামেলা।


প্রায় দুই ঘন্টা জ্যামে আটকা পরে জীবন একেবারে যায় যায় অবস্থা হয়ে গেল। কি করবো কিছুই বুঝে পাচ্ছিলাম না। দুই পাশে শুধু গাড়ি আর গাড়ি। একটুও বাতাস ছিল না। মনে হচ্ছিল যেন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অনেকটা সময় বসে থাকতে হয়েছিল জ্যামের মধ্যে। কি আর করার পরীক্ষা দিতে গেলে যেন ভোগান্তির শেষ নেই। একদিকে ট্রাফিক জ্যাম অন্যদিকে দূরদূরান্তে পরীক্ষার কেন্দ্র। সব মিলিয়ে পরীক্ষার্থীদের অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যায়। আর পরীক্ষার কেন্দ্রের নিয়ম কানুন দেখলে তো আরো মেজাজ গরম হয়ে যায়। সামান্য হাত ঘড়ি নিয়ে প্রবেশ করাও নিষেধ ছিল। কিন্তু তাদের রুমের ঘড়িটা যে বন্ধ হয়ে আছে সেটা দেখেনি। ঘুমহীন রাত আর বিরক্তিকর সারাটি দিন কাটিয়ে শরীরটা যেন একেবারে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এরপরেও যখন আমরা দুর্নীতির কষাঘাতে বলি হই তখন নিজের ভেতরের স্বপ্নগুলো হারিয়ে যায়। হারিয়ে যায় নিজের ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন। আমার মত হয়তো সব পরীক্ষার্থীরাই অনেক কষ্টে নিজের পরীক্ষা দিতে পেরেছে। যাই হোক নিজের অনুভূতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনারা যারা পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন আমি মনে করছি তাদেরও এরকম কষ্টের অনুভূতি হয়েছে। আজ আর লিখব না এই পর্যন্তই থাক। সবাই ভালো থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি।



আমার পরিচয়

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230828_190629.jpg

আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।

Sort:  
 8 months ago 

আসলে জব পরীক্ষা অনেক ভোগান্তির।আপনি ঠিকই বলেছেন আজকে আমি পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম আর পরীক্ষার দেওয়ার মুহূর্তগুলো এতটা কঠিন ছিল কারণ আমি হলে ঠিকভাবে প্রবেশ করতে পারছিলাম না। আমিও জ্যামে আটকায়ে ছিলাম। আর এই জ্যামের করণে আমার পরীক্ষার দ্বিতীয় দেরি হয়ে গেছিল। আসলে জ্যামের কারণে আমরা জীবনের অনেক মূল্যবান মুহূর্তগুলো হারিয়ে ফেলি।

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

সত্যি ভাইয়া জব পরীক্ষা গুলো অনেক বেশি ভোগান্তির। তাদের অনেক নিয়ম কানুন। আর রাস্তার জ্যামের কথা কি আর বলবো।

 8 months ago 

জি আপু, আপনি বলেছিলেন যে পরীক্ষার মধ্যে আছেন। ঝামেলার মধ্যেই আছেন আর রোজার সময় তো অনেকক্ষণ ঝামেলা বলতেই হয়। শহরে এটাই ভুল হয়ে যায় যে, ভুল রাস্তায় গেলে সেখান থেকে ফের অনেক কঠিন হয়ে যায় আর আপনার তো পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে হবে তাহলে বেশ নাজেহাল অবস্থা। যাক এক্সাম ভালো হয়েছে, আশা করব সুন্দর একটি ফলাফল করতে পারেন। রোজা রেখে আপনি হেঁটে গেছেন। সত্যিই ভীষণ খারাপ লাগতেছে, অনেক আসলে সৃষ্টিকর্তা যেন আপনার কষ্টের প্রতিদান দেন।বেশ কড়াকড়িভাবে সকলে দেখতেছি পরীক্ষা দিচ্ছে। যাইহোক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

সত্যি ভাইয়া এক একটি পরীক্ষা দেওয়া ভীষণ ঝামেলার। আর পরীক্ষার হলে পৌঁছানো অনেক বেশি কষ্টের। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

 8 months ago 

আসলে আপু পরিক্ষার মধ্যে ঝামেলার শেষ নেই। তারপর যদি এমন লম্বা লাইন দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাহলে তো মুশকিল। তারপর রোজা সব মিলে বেশ ঝামেলার মধ্যেই পরিক্ষা দিয়েছেন। তবে আপু পরিক্ষা ভালো হয়েছে যেনে অনেক ভালো লাগলো। দোয়াকরি আপু পরিক্ষায় যেন পাশ করতে পারেন। ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ু

 8 months ago 

সত্যি আপু পরীক্ষার সময় ঝামেলার শেষ নেই। লাইনে দাঁড়িয়ে প্রবেশ করা আর ভেতরে গিয়ে আসন খোজা অনেক বেশি ঝামেলার কাজ। ধন্যবাদ অপু মন্তব্যের জন্য।

 8 months ago 

আমারও আজকে পরীক্ষা ছিল নিবন্ধনের আপু কিন্তু আমি দেয়নি 🙆‍♂️। কোনো প্রিপারেশনও নেয়া হয়নি। আপনি তো মহাবিপদের মধ্যে দিয়ে বলতে গেলে দিনটি পার করলেন। শহরের অলিগলি না চিনলে আবার সমস্যা হয়। আর এবার নিবন্ধনে এপ্লাইও করেছে অনেক। আপনার পরীক্ষা ভালো হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।

 8 months ago 

ভাইয়া আপনি পরীক্ষাটা দিতে পারতেন। তাহলে অন্তত অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগ হতো। আমিও অনেক কষ্টে পরীক্ষাটা দিয়েছিলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

 8 months ago 

আমার বাসায় যে কাজিন আপুটা আছে,সে ও গিয়েছিলো আজকে এক্সাম দিতে।সকাল থেকে যাবো না যাবো না করছিলো।পরে গেলো,প্রশ্ন নাকি সহজ হয়েছে বললো।তবে,ও দেরি করে গিয়েছিলো।তাই সব দাগাতে পারেনি।

 8 months ago 

পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না গেলে খুবই সমস্যা হয়ে যায়। তাই আগে গেলেই ভালো হয়। আপনার কাজিনের এক্সাম সেন্টারে যেতে দেরি হওয়াতে তিনি সমস্যা পরেছিলেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু মন্তব্যের জন্য।

 8 months ago 

আমার মনে হয় অনেক সময় তাড়াহুড়া করতে গিয়ে অনেক কিছু ভুল হয়ে যায়। আর রাস্তাঘাট গুলিয়ে ফেললে তো কথাই নেই। পরবর্তীতে জায়গায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যায়। যাক অবশেষে পরীক্ষা দিলেন আর আশা করছি কষ্টের প্রতিদানে ভালো রেজাল্ট পাবেন সেই দোয়া করি। ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন।

 8 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া অনেক সময় তাড়াহুড়া করতে গিয়ে রাস্তা ভুল হয়ে যায়। পরে অনেক কষ্ট করে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছিলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

 8 months ago 

আমরা এক আজব দেশে বসবাস করি আপু। হাত ঘড়ি নিয়ে এক্সাম দেওয়া যাবে না কেনো সেটাই বুঝলাম না। হাত ঘড়ি থাকলে তো পরীক্ষা দিতে সুবিধা হয়। যাইহোক রোজা রেখে অনেক কষ্ট করে পরীক্ষা দিয়েছেন আপু। পরীক্ষা নামক জিনিসটা আসলেই প্যারা। পরীক্ষা ভালো হয়েছে, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। তবুও যদি শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেন,তাহলে এই কষ্টটা সার্থক হবে। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইলো আপু।

 8 months ago 

সত্যি ভাইয়া হাত ঘড়ি নিলে তাদেরকি সমস্যা সেটাই বুঝিনা। আর এক্সাম হলে গিয়ে দেখি সেখানকার ঘড়িতে বারোটা বেজে আছে। তার মানে ওরা সেটা চেক করতে ভুলে গেছে যে তাদের ঘড়িটা নষ্ট। আজব সবকিছু।

 8 months ago 

আমাদের দেশের এই পরীক্ষার সিস্টেম একেবারে নিম্ন পর্যায়ের একটি সিস্টেম৷ আসলে আমি নিজেও এরকম অনেক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি৷ আমরা যখন সাধারণ ঘড়ি নিয়েও প্রবেশ করতে চেয়েছিলাম তখন আমাদেরকে বাধা দেওয়া হয়েছিল৷ তারা আমাদের ঘড়ি রেখে দিয়েছিল৷
আমরা এই বিষয়টি বুঝতে পারি না যে কেন সাধারণ ঘড়িও তারা ব্যাবহার করতে দেয় না৷ যাইহোক আপনি পরীক্ষা দিয়েছেন শুনে খুবই ভালো লাগলো৷ পরীক্ষা ভালো হয়েছে শুনেও অনেক খুশি হলাম৷ পরবর্তী সময়ের রেজাল্ট এর দিকে যদি আপনি সফলতা অর্জন করতে পারেন তাহলে এই ক্ষনিকের কষ্ট পূরণ হবে বলে আমি মনে করি৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷

 8 months ago 

পরীক্ষার দিন দেখবেন কোনো না কোন ঝামেলা লেগেই থাকে ।আমারও ক্ষেতেও এমন টাই হয় আপু।টেনশনে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।আপনি অনেক কষ্টের পরে পরীক্ষার হলে যেতে পেরেছেন আপু।রোজা রেখে অনেক কষ্ট করে এক্সাম দিতে গিয়েছেন অবশ্যই ভালো হবে আপনার ।দোয়া করি আপনি ভালো ফলাফল করবেন।

 8 months ago 

সত্যি আপনার উপর দিয়ে বেশ ভালো একটা ভোগান্তি গিয়েছে দেখছি। ব‍্যাপার টা বেশ দুঃখজনক। এইরকম একটা খারাপ দিন হয়তো সবার জীবনেই আসে। রাস্তা ভুল করার বিষয়টি ছিল অনাকাঙ্খিত। আর এখনকার মানুষ গুলো হয়তো এমনই। কেউ কাউকে কোন সাহায্য করতেই চাই না আফসোস। তারপরও আপনার পরীক্ষা টা ভালো হয়েছে শুনে ভালো লাগল। আপনার জন্য শুভকামনা।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 76576.73
ETH 3043.84
USDT 1.00
SBD 2.62