নাটক রিভিউ-খুনসুটি সংসার||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। প্রত্যেক সপ্তাহে একটি করে নাটক শেয়ার করি। আর আজকে আমি আমার খুবই ভালো লাগার একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। কিছু কিছু নাটকের গল্প বাস্তবতার সাথে মিলে যায়। আর তেমনি একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
নাম | খুনসুটি সংসার |
---|---|
সহকারী পরিচালক | ইমরান রবিন |
পরিচালনা | মাসুদ মাহিন |
প্রধান সহকারী পরিচালক | শামিম খান শামু, তনময় সাহা |
অভিনয়ে | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, সাবিলা নূর ও আরো অনেকে |
দৈর্ঘ্য | ৩৯ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- জিয়াউল ফারুক অপূর্ব(রবিন)
- সাবিলা নূর(মাইশা)
নাটকের শুরুতেই দেখতে পাই মাইশা এবং রবিন ডিভোর্স পেপারে সাইন করার জন্য উকিলের কাছে এসেছে। রবিন দেরিতে এসেছে বলে মাইশা ভীষণ রাগারাগি করছে আর বলছে তার দেরিতে আসার কারণ কি। তখন রবিন বলছে একটি সাইনের উপর তাদের সম্পর্ক টিকে আছে। এখন এসব প্রশ্ন করে কি হবে। তখন মাইশা বলে সে যদি দেরিতে আসার কারণ না বলে তাহলে সে ডিভোর্স পেপার ছিড়ে ফেলে দিবে এবং সিগনেচার করবে না। এবার মাইশা আর রবিন সেখান থেকে উঠে চলে যায়। আর দুজন দুজনার পাশাপাশি বসে নিজেদের পুরনো দিনের কথা মনে করতে থাকে। তখন তাদের পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো দেখানো হয়।
মাইশা আর রবিনের দেখা হয়েছিল একটি ক্যাফেতে। মাইশা তার বান্ধবীর সাথে বসে ছিল। আর রবিন তাদের সাথে কথা বলার জন্য প্রথমে তার বান্ধবীকে কনভেন্স করে এবং বলে সে তার ছোটবেলার বন্ধু। অর্থাৎ তার পরিচিত এক আঙ্কেলের ছেলে। এরপর রবিন বুদ্ধি করে মাইশার বান্ধবীর কাছ থেকে তার ফোন নাম্বার নেয়। এরপর কথা বলে ধীরে ধীরে মাইশার ফোন নাম্বার নেয় এবং বলে আসলে সে তার বাবার বন্ধুর ছেলে নয়। সে মাইশাকে পছন্দ করে। তাই সেদিন মিথ্যে বলেছিল। এরপর ধীরে ধীরে মাইশার সাথে রবিনের কথা হয়।
রবিন প্রথমে প্লান করেছিল সে কোনদিন বিয়ে করবে না। সারা জীবন সিঙ্গেল থাকবে এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটাবে। কিন্তু প্রেম করার কিছু দিনের মধ্যেই রবিন সিদ্ধান্ত নেয় সে মাইশাকে বিয়ে করবে। এমনকি তারা দুজনে বিয়ে করে ফেলে। ভালোই চলছিল তাদের ছোট্ট সুখের সংসার। মাইশা রান্নাবান্না পারতো না। রবিন তাকে সব কাজে সাহায্য করতো। এভাবেই কেটে যাচ্ছিল তাদের দিনগুলো। হঠাৎ একদিন মাইশা জানায় তার বাবা-মা তাদেরকে মেনে নিয়েছে এবং বাসায় যেতে বলেছে। মাইশা বাবার বাসায় যায়। রবিন যখন অফিস থেকে মাইশার বাবার বাসায় যায় তখন বৃষ্টিতে ভিজে যায়। এসব দেখে মাইশা ভীষণ রাগারাগি করে আর বলে এভাবে ভিজে আসার কি দরকার ছিল। সে একটি গাড়ি বুক করে আসতে পারতো।
মাইশার ব্যবহারে রবিন খুবই কষ্ট পায়। এরপর থেকেই মাইশা সবসময় রবিনের ভুল ধরার কাজে ব্যস্ত থাকতো। প্রত্যেকটা কাজে সব সময় ভুল ধরতো। অন্যদিকে রবিন ভয়ে ভয়ে সময় কাটাতো। একদিন বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে ড্রিঙ্ক করে। আর বাসায় ফেরার পর মাইশা ভীষণ রাগারাগি করে। রবিন সবকিছু সামলে নেওয়ার চেষ্টা করে। দেখতে দেখতে মাইশার বার্থডে চলে আসে। মাইশার বাবা-মা এবং বোন মাইশার বাসায় আসে। অন্যদিকে রবিন অফিসের কাজে আটকে যায়। মাইশা বারবার রবিনকে ফোন করার পর একটি মেয়ে ফোন রিসিভ করলে মাইশা ভীষণ রেগে যায়। আসলে মেয়েটি ছিল রবিনের অফিস কলিগ। অফিসের কাজ শেষ করে রবিন বাসায় আসে। কিন্তু রবিন আসার পর মাইশা ভীষণ খারাপ ব্যবহার করে।
রবিন মাইশাকে জন্মদিনের উইশ করে কিন্তু মাইশা তার বাবা-মায়ের সামনে রবিনের সাথে বাজে ব্যবহার করে। আর বলে সে কখনোই তার খেয়াল রাখেনি। এরপর রবিন মাইশাকে থামানোর চেষ্টা করে এবং বলে তার বাবা-মা সামনে। সে যেন এরকম ব্যবহার না করে। এটা শুনে মাইশা আরো বেশি রেগে যায়। আর রবিনের সাথে আরো বেশি খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে। এরপর মাইশা রবিনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। কেটে যায় বেশ কিছুদিন। কিন্তু রবিন মাইশাকে একবারও আনতে যায়নি। এমনকি ফোন করেনি। এই বিষয়টি মাইশার কাছে খুবই খারাপ লাগছিল। অন্যদিকে মাইশা চলে যাওয়াতে রবিন ভীষণ কষ্ট পাচ্ছিল।
মাইশা এবং রবিন দুজনেই অভিমান করেছিল। তাই কেউ কাউকে ফোন করেনি। এমনকি কোন প্রকার যোগাযোগ রাখেনি। দুজনের কষ্ট হচ্ছিল ঠিকই কিন্তু কেউ কাউকে বুঝতে দিচ্ছিল না। এই সুযোগে মাইশার বাবা মাইশাকে সাথে বলে রবিনকে ডিভোর্স দিতে। মাইশা বলে তোমরা যেটা ভালো মনে করো সেটাই করো। মাইশার বাবা সব আয়োজন করে ফেলে। তখনই দেখানো হয় নাটকের প্রথম সিন। যেখানে মাইশা আর রবিন একজন উকিলের কাছে গিয়েছে ডিভোর্স করাতে। তখন রবিন বলে সে মাইশাকে অনেক ভালোবাসে এবং এই কয়দিন অনেক মিস করেছে। এরপর দুজন দুজনার ভুল বুঝতে পারে এবং তাদের মধ্যে আবারও মিল হয়ে যায়।
সংসার মানে একটু একটু খুনসুটি আর ভালোবাসা। তবে যখন দুজন দুজনকে ভালোবাসার পরেও নিজের ভালোবাসা বোঝাতে পারেনা তখন তাদের মাঝে দূরত্ব তৈরি হয়। আর সেই দূরত্ব এক সময় সংসার ভাঙ্গনের পথে পৌঁছে যায়। এই নাটকটির ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত দুজন দুজনের ভুল বুঝতে পেরেছে এটা দেখে ভালো লেগেছে।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
আসলে আপু অপূর্ব নাটকগুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। অপূর্বর অনেক নাটক দেখেছি। আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি নাটক রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন। এই নাটকটি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটি খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য।
নাটক দেখতে খুবই ভালো লাগে। তাই সময় পেলে নাটক দেখি। আর অপূর্ব এই নাটকটিতে অনেক ভালো অভিনয় করেছে।
https://x.com/Monira93732137/status/1835237989322236303?t=qURKvkYBt0lZufwmJHAosQ&s=19
অপূর্ব নাটক মানে প্রেমের অভিনয়। খুব সুন্দর সুন্দর অভিনয় নিয়ে তিনি নাটক করে থাকেন। আর তার রোমান্টিক অভিনয়গুলো আমাকে মুগ্ধ করে। তাই আমি মাঝেমধ্যে অপূর্ব নাটক গুলো দেখার চেষ্টা করে থাকি। সুযোগ করে এই নাটকটাও দেখে নেব।
অপূর্ব বেশ রোমান্টিক নাটক করে। আর এই নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি আমাদের মাঝে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনার শেয়ার করা এই নাটকের সম্পূর্ণ রিভিউ। এরকম নাটক গুলো দেখতে যেমন আমার কাছে ভালো লাগে, তেমনি আমি নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়তে ও অনেক বেশি পছন্দ করি। এই নাটকের পুরো কাহিনীটা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। অপূর্বের নাটকগুলো আমার একটু বেশি ভালো লাগে। আমি সময় পেলে অবশ্যই চেষ্টা করবো নাটকটা সম্পূর্ণ দেখার জন্য।
নাটক রিভিউ শেয়ার করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আর যখনই নাটক দেখি তখনই শেয়ার করি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপু আপনি সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।কিছু কিছু নাটক না দেখলে তার রিভিউ গুলো পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। সময় করে নাটক টি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।।
কিছু কিছু নাটক আছে যেগুলোর রিভিউ শেয়ার করতে অনেক ভালো লাগে। আর এই নাটকটিও দারুন ছিল ভাইয়া।
নাটকের শেষে দুজন দুজনের ভুল বুঝতে পেরেছে এই জিনিসটাই বেশ ভালো লাগলো দেখে। অপূর্বর নাটক গুলো অনেক দিন দেখা হয়না। নাটকের গল্পটা পড়ে মনে হচ্ছে নাটকটা ভীষণ সুন্দর। বেশ চমৎকার ভাবে নাটকের পুরো গল্পটা উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
অবশেষে দুজনে ভুল বোঝাবুঝি শেষ হয়েছে। আর নাটকের শেষে ভালো লেগেছে আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
খুনসুটি সংসার নাটক টি আমি দেখেছি। গল্প এবং দৃশ্যপট খুবই সুন্দর। আপনি বেশ সুন্দর নাটক রিভিউ করেছেন। আপনার নাটক রিভিউ খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। অপূর্বের নাটক গুলো আমার বেশ ভালো লাগে। বেশ চমৎকার ভাবে নাটকের পুরো গল্পটা উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে আপু। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর নাটক রিভিউ করার জন্য।
নাটকের গল্পটি অনেক ভালো লেগেছে। আর সুন্দর করে রিভিউ শেয়ার করার চেষ্টা করেছি ভাইয়া। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু সংসার মানে ভালোবাসা সংসার মনে খুনসুঁটি।এই গুলো নিয়েই একটি সংসার গড়ে উঠে।খুবই চমৎকার একটি নাটক রিভিউ করেছেন আপু। নাটকের গল্প টি আমার কাছে দারুন লেগেছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এই নাটকটি সত্যি দারুন ছিল। মনে হচ্ছিল যেন বাস্তবতা থেকে নাটকটি তৈরি হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আপনার শেয়ার করা নাটক রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। যদিও নাটকটি দেখা হয়নি তবে দেখার চেষ্টা করব।আমি অপূর্বর নাটক দেখতে অনেক পছন্দ করি। এ নাটকের পুরো কাহিনীটি পড়ে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সময় পেলেই বাংলা নাটক দেখা হয়। যদিও এ নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। তবে আপনার রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো। সময় পেলে দেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।