জেনারেল রাইটিং-পথের মানুষ||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। মাঝে মাঝে লেখালিখি করতে অনেক ভালো লাগে। তাই সময় পেলে লেখালেখি করার চেষ্টা করি। বর্তমানে শীতের প্রকোপ অনেকটাই বেড়ে গেছে। আর এই শীতে অসহায় মানুষগুলোর কথা হয়তো আমরা কেউ খুব একটা ভাবি না। তাইতো আমি সেই মানুষগুলোকে নিয়ে কিছু কথা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করছি আমার এই পোস্ট সবার ভালো লাগবে।
পথের মানুষ:
![IMG_20240122_141519.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbBtWszAW8FT5Q7ZUbbS69No5NZ1saeg4SYD1JEzwfvz4/IMG_20240122_141519.jpg)
দিনে দিনে শীত যেমন বেড়ে হচ্ছে তেমনি অসহায় মানুষগুলোর কষ্ট আরো বেশি বেড়ে যাচ্ছে। শীতের সাথে লড়াই করে বেঁচে আছে সেই পথের মানুষগুলো। শহরের অলিতে গলিতে কিংবা পাকা রাস্তার দুই ধারে আমরা এমন কিছু পথের মানুষকে দেখতে পাই যেই মানুষগুলো প্রতীক্ষায় থাকে একটু আলো ফুটে ওঠার। নির্ঘুম রাত কাটিয়ে ক্লান্ত শরীর যখন তাদেরকে আঁকড়ে ধরে তখনই পেটের ক্ষুধার তাড়নায় ছুটে চলে যেতে হয় কাজের সন্ধানে। যেই মানুষগুলোর দুবেলা খাওয়ার মত সঞ্চয় থাকে না সেই মানুষগুলো শীতের কাপড় কেনার কথা কল্পনাই করতে পারে না। আর সেসব অসহায় মানুষগুলোর কথা আমরা কেউ ভাবি না। তাদের দেখলেই হৃদয়ের মাঝে কষ্ট অনুভূত হয়। পথের ধারে যেই মানুষগুলোর বাস সেই মানুষগুলোর কাছে শীত মানে যেন তীব্র এক যন্ত্রণা।
আমরা একটু আরাম-আয়েশে থাকার জন্য শীতের সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখি। একটু ভালো থাকার জন্য শীতের কাপড় কিনি। কিন্তু সেই সব অসহায় মানুষগুলো আতঙ্কে থাকে এই বুঝি শীতের কষাঘাত তাদেরকে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। শীতের তীব্রতা তাদের হৃদয়টাকে বিষিয়ে তুলে। শীতের সেই অনুভূতি তাদের মনে কখনো সুখ দেয় না। তাদের মনে হাজার কষ্ট এসে ভিড় করে। হয়তো তারাও একটু ভালোভাবে বাঁচতে চায়। হয়তো তাদেরও অধিকার আছে বাঁচার। কিন্তু সমাজ পরিস্থিতি তাদেরকে একটু ভালো থাকতে দেয় না। সবাই হয়তো দূর থেকে শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে তাদের কষ্ট দেখে। কেউ তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ায় না। দামি দামি গাড়ি রাস্তায় ছুটে চলে। সেই দামি গাড়ির ভেতরে থাকা মানুষগুলো হয়তো কখনো সেই পথের মানুষগুলোকে চেয়েও দেখেনা। হয়ত রাস্তার কোনো মানুষের কথা তারা ভেবেও দেখে না।
আমাদের দেশে এমন অনেক শিশু আছে যারা এই শীতে শীতের বস্ত্র না পেয়ে ফুটপাতে খালি গায়ে শুয়ে থাকে। কখনো বা শীতের কষ্ট সইতে না পেরে ছেড়া বস্তা তাদের সঙ্গী হয়। হয়তো সেই পাতলা বস্তার মাঝে তারা একটুকরো সুখ খুঁজে নেয়। তাদের কাছে একটু ভালো থাকাটা অনেকটা বিলাসিতার মতো। তাদের কাছে শীতকাল যেন এক অভিশপ্ত সময়। সেই পথ শিশুদের কথা ভাবলে হৃদয়টা কেঁদে ওঠে। সেই পথ শিশুরাও হয়তো একটু ভালো থাকতে পারতো। যদি আমাদের সমাজের বৃত্তবান মানুষরা তাদের পাশে দাঁড়াতো। আমরা যদি অপচয় না করে সেই সব শিশুদের পাশে দাঁড়াতাম তাহলে হয়তো তাদের মুখেও হাসি ফুটে উঠতো। কিন্তু আমরা যে সবকিছু দেখেও চোখ বন্ধ করে হাঁটি।
কেউ দামি দামি শোরুম থেকে শীতের কাপড় কিনছে কেউবা ফুটপাতের দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চোখের জল ফেলছে। হয়তো প্রত্যাশা করেছিল এক টুকরো শীতের কাপড়ের। কিন্তু পকেট যে তার বড্ড ফাঁকা। হয়তো সেই দিনমজুর বাবাও চেয়েছিল তার সন্তানকে এক টুকরো কাপড় কিনে দিতে। দিন শেষে যাদের কপালে ভাত জোটে না তাদের কাছে শীতের কাপড় কেনা অনেকটা বিলাসিতার মতো। যেই মানুষগুলোর থাকার মত ঠাঁই নেই সেই মানুষগুলোর কাছে শীতের কাপড় কেনা যেন পাহাড় সমান। হয়তো পথের মানুষগুলো এভাবেই দিনের পর দিন কষ্ট করছে। আর আমরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছি। কখনো তাদের পাশে দাঁড়াইনি কিংবা তাদের কথা কখনো ভেবেই দেখিনি।
আমার কাছে মনে হয় যাদের সামর্থ্য আছে তারা যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে এই অসহায় মানুষগুলোকে শীতবস্ত্র বিতরণ করে তাহলে তারা একটু ভালো থাকতে পারবে। শুধু লোক দেখানো শীত অস্ত্র বিতরণ করা আর ছবি তোলা এর মাঝে কখনো মানবিকতা থাকে না। নিজের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় একটি দুইটি যতটুকু পারি আমরা সেই অসহায় মানুষগুলোকে দান করব। হয়তো সেই মানুষগুলোর মুখে একটু হাসি ফুটে উঠবে। আর সেই হাসির দাম লাখ টাকার সমান। তাই আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সেই সব অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াবো। একটু হলেও তাদেরকে সাহায্য করবো। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের পাশে দাঁড়াবো।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
অসাধারণ একটি ব্লগ তুলে ধরেছেন ৷ সত্যি বলতে একদম যথার্থই বলেছেন প্রতিটা কথার সাথে আমি একমত আপু ৷ আসলেই এই কনকনে শীতের তিব্রতা যা অসহায় মানুষদের জীবনে বড় সর্বনাশ হয়ে দারিয়েছে৷ আর আবার কেও কেও বড় শরুমে শীতের কাপড় কিনছে ৷ তবে মানুষ হিসেবে আমাদের সবার এগিয়ে উচিত ৷ আমরা যদি একটু যে যার মতো সহযোগিতার হাত বাড়াই তবেই কিছুটা অসহায় মানুষদের পাশে দারানো সম্ভব ৷
যা হোক অনেক সুন্দর একটি ব্লগ তুলে লিখেছেন ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
সত্যি ভাইয়া যেসব অসহায় মানুষগুলো শীতে অনেক কষ্ট করে তাদের পাশে কেউ দাঁড়ায় না। আর সবাই যদি এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতো তাহলে সত্যি অনেক ভালো হতো।
এখন যে পরিমাণে শীত পড়ছে আমাদের নিজের কাছেই এত পরিমানে শীত অনুভূত হয়৷ আর যারা রাস্তার পাশে বসবাস করছে তারা কি পরিমান কষ্টে আছে তা ভাবলে নিজেদের কাছে অনেক কষ্ট হয়৷ আর তাদের এই কষ্ট দেখার মত কেউ নেই৷ আমাদের সকলের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো৷ অনেক ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে এই পোস্টটি পড়তে পেরে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
এই তীব্র শীতে আমরা কম্বল নিয়ে আরামে ঘুমানোর পরেও মনে হয় যে কতো ঠান্ডা পরেছে, কিন্তু যারা গৃহহীন তারা তো রাস্তা ঘাটেই ঘুমাচ্ছে। তারা কিভাবে এই তীব্র শীত সহ্য করছে, সেটা ভাবলে আসলেই অবাক লাগে। কতো মানুষ ঠান্ডার প্রকোপ সহ্য করতে না পেরে মারা যাচ্ছে। এসব কথা শুনলে ভীষণ কষ্ট লাগে। আমাদের সবার উচিত অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। সাধ্যমতো তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করা। তাহলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর খুব খুশি হবেন। যাইহোক এমন সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই শীতে আমরা কত আরাম করে ঘুমাই অথচ অনেক মানুষ আছে যারা রাস্তায় দিন কাটায় আর অনেক কষ্টে দিন কাটায়।
পথের মানুষ নিয়ে ব্লগটিতে মনের অনুভূতি গুলো চমৎকার ভাবে লিখেছেন আপু। এজন্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। আসলে এসব অসহায় মানুষের পাশে যার যার জায়গা থেকে সাহায্যের হাতটি বাড়িয়ে দেয়া উচিত।তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে। একার পক্ষে এটা একদমই সম্ভব নয়।
ঠিক বলেছেন আপু আমরা নিজেরাও তো এই শিখে কুল পায় না। কিন্তু পথে-ঘাটে রাস্তার অলি গলিতে যারা বসবাস করে তারা কিভাবে থাকে। আমার তাদের জন্য ভীষণ কষ্ট হয়। কিন্তু কি আর করার আমরা হয়তো তাদের পাশে গিয়ে হয়তো দাঁড়াতে পারি না। কিন্তু আমিও আমার সাধ্যমত চেষ্টা করি কোথাও এমন কাউকে দেখলে তাকে সাহায্য করার জন্য। কারণ রাস্তাঘাটে যারা বসবাস করে তারা এই শীতের মধ্যে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে থাকে। কিন্তু কারোর কাছে চাইতেও পারেনা হাত পেতে। আসলে আপু আমরা এই শীতে কতই না আর আমি ঘুমাই কিন্তু তারা কতই না কষ্টে থাকে। যাইহোক আপু আপনার পোস্টে পড়ে বেশ ভালো লাগলো সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখলেন আজকে।
আপু আপনি পথের মানুষদের নিয়ে খুব সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করেছেন। আপনার এই পোস্ট পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো। আমরা অল্প সময়ের জন্য হয়তো তাদের কথা চিন্তা করি কিন্তু আমরাও কি সেভাবে তাদের সাহায্য করি? এই যে এখন প্রচন্ড শীত পড়েছে আর এই শীতে আমরা কম্বলের ভিতরে থেকেও বলছি এত ঠান্ডা ভালো লাগে না। কিন্তু তারা কি অবস্থায় রয়েছে তা কখনো চিন্তা করিনা। আমরা যদি তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতাম তাহলে হয়তো একটু হলেও তাদের কষ্ট কম হতো। আমাদের সবার উচিত তাদের পাশে দাড়ানোর। ধন্যবাদ আপু আপনার মনের অনুভূতি এভাবে শেয়ার করার জন্য।
সময়োপযোগী একটি পোস্ট করেছেন আপু। এই বছরে প্রচন্ড শীত পড়ছে সব জায়গাতে। যেখানে পথ রাস্তায় শুয়ে থাকা মানুষের কষ্টের বিষয়টি অনুভব করা সবার উচিত। আমরা হয়তো মার্কেটে গিয়ে শীতের পোশাক কিনে শীত থেকে রেহাই পাওয়ার চেষ্টা করছি। আর যারা রাস্তার ধারে শুয়ে থাকে গায়ে পোশাক নেই । সত্যিই এ সকল মানুষের পাশে সহযোগিতার একটু হাত বাড়িয়ে দিলে তারাও শী তের হাত থেকে রক্ষা পাবে। অনেক ভালো লাগলো পোস্ট পড়ে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।