নাটক রিভিউ-প্রীতি মাই লাভ|
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। নাটক দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। যখন কোন কিছুই ভালো লাগে না তখন মাঝে মাঝে বসে পরি নাটক দেখতে। তাই তো আজকে আমি একটি নাটক রিভিউ সবার মাঝে উপস্থাপন করতে চলে এসেছি। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
নাম | প্রীতি মাই লাভ |
---|---|
প্রযোজক | সরকার সুমন |
পরিচালনা | শিহাব শাহীন |
সম্পাদনা | রমজান আলী |
রচনা | জান্নাতুল ফেরদৌস লাবণ্য |
অভিনয়ে | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব,তাসনিয়া ফারিন ও আরো অনেকে |
দৈর্ঘ্য | ৪৭ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ২৮ এপ্রিল ২০২৩ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- জিয়াউল ফারুক অপূর্ব- সোহাগ
- তাসনিয়া ফারিন- প্রিয়ন্তী
নাটকের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই প্রিয়ন্তী বউ সেজে বসে আছে। আর অন্যদিকে সোহাগ বাসর ঘরে ঢুকেই কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে। এসব দেখে প্রিয়ন্তী অনেকটা অবাক হয়ে যায়। সে বুঝতে পারছিল না সোহাগ কাদছে কেনো। এরপর যখন প্রিয়ন্তী সোহাগের কাছে জানতে চাইলো তার কি হয়েছে তখন সোহাগ তাকে জানালো সে প্রীতিকে ভালোবাসে এবং তার সাথে তার অনেক দিনের সম্পর্ক। সে বিয়ে করাতে প্রীতি তার উপর রাগ করেছে। প্রীতির সাথে ঝগড়া হওয়ার পর সে এই বিয়েটা করে ফেলেছে। এখন প্রীতি রাগ করে তার সাথে কথা বলছে না। তাই তো সে কান্না করছে। এ কথা শুনে প্রিয়ন্তী ভীষণ রেগে গেল। আর সোহাগকে বলল সে এই বিষয়গুলো কেন আগে তাকে জানায়নি। কেনই বা তাকে বিয়ে করল। এবার সোহাগ বলে প্রীতির উপর রাগ করে সে তাকে বিয়ে করেছে। তাদের মাঝে অনেক ঝগড়া হয়েছিল এরপর সে তার মাকে বলেছিল সে বিয়ে করবে। আর মায়ের পছন্দেই প্রিয়ন্তীকে সে বিয়ে করেছে।
এবার প্রিয়ন্তী অনেকটা আপসেড হয়ে গেল। কি করবে কিছুই বুঝতে পারছিল না। অন্যদিকে সোহাগ তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে ফোনে কথা বলেই যাচ্ছিল। তার গার্লফ্রেন্ডকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল প্রিয়ন্তীর সাথে তার অন্য কোন সম্পর্ক নেই। আর রাগ করে তাকে বিয়ে করেছে। প্রীতি এবং সোহাগের ফোনের কথাগুলো শুনে প্রিয়ন্তী রেগে যায়।বাসর ঘরে এরকম পরিচিতিতে এসে পড়বে সেটা ভাবতেই পারেনি। প্রিয়ন্তী মনে মনে সোহাগকে অনেক গালিগালাজ করছিল। সে ভেবে পাচ্ছিল না কি করবে। এরপর সে ঘুমিয়ে পড়ে। আর সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে যখন খাবার টেবিলে যায় তখন সকালে সোহাগের বাবা মা প্রিয়ন্তীকে বলে সবকিছু ঠিক আছে কিনা। কারণ প্রিয়ন্তীকে ভীষণ বিষন্ন লাগছিল। অন্যদিকে সোহাগ প্রীতির সাথে ফোনে কথা বলেই যাচ্ছিল। এটা দেখে প্রিয়ন্তী আরো বেশি রেগে যাচ্ছিল। এরপর প্রিয়ন্তী সোহাগের কাছে ডিভোর্স চায়। কিন্তু সোহাগ তাকে ডিভোর্স দিতে রাজি হয় না। সোহাগ প্রিয়ন্তীকে বলে সে চাইলে অন্য কারো সাথে প্রেম করতে পারে। এটা শুনে প্রিয়ন্তী আরও বেশি ক্ষেপে যায়।
প্রিয়ন্তী রাতের বেলায় যখন ঘুমাচ্ছিল তখন সোহাগ প্রীতির সাথে কথা বলছিল। প্রীতি বারবার ভিডিও কল করছিল। এসব দেখে প্রিয়ন্তী আরো বেশি রেগে যাচ্ছিল। প্রিয়ন্তী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার বাবা মাকে সবকিছু জানাবে। কিন্তু হঠাৎ করে তার মনে হল যদি তার বাবা-মা এসব জানে তাহলে অনেক কষ্ট পাবে। এছাড়া প্রিয়ন্তীর বাবা অনেক রাগী মানুষ। যদি অঘটন ঘটিয়ে ফেলে এই কথা ভেবে আর কাউকে কিছু জানায়না। তাইতো প্রিয়ন্তী সিদ্ধান্ত নেয় সোহাগের মাকে সবকিছু জানাবে। কিন্তু সোহাগের মা এসব কথা শুনতে চাইলেন না। তিনি বললেন তোমাদের পারিবারিক সমস্যা আর ব্যক্তিগত সমস্যা তোমরা নিজেরাই সমাধান করবে। এখন প্রিয়ন্তী কি করবে বুঝে উঠতে পারছিল না। এমন সময় সোহাগের মোবাইলে প্রীতি কল করতে থাকে। এরপর প্রীতি কল করলে প্রিয়ন্তী রিসিভ করে এবং কথা বলে। প্রীতির কথা শুনে প্রিয়ন্তীর মেজাজ আরো বেশি খারাপ হয়ে যায়। অন্যদিকে সোহাগ এবং প্রিয়ন্তী প্রিয়ন্তীদের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে সোহাগ বুঝতে পারে প্রিয়ন্তীর বাবা অনেক রাগী। তিনি যেকোন সময় যে কাউকে খুন করতে পারে। এটা দেখে সোহাগ ভীষণ ভয় পেয়ে যায় এবং বাড়ি চলে আসে।
এভাবে কেটে গেল আর কিছুদিন। একদিন হঠাৎ করে প্রিয়ন্তী দেখে সোহাগ রুমে বসে কাঁদছে। সোহাগকে এভাবে কাঁদতে দেখে প্রিয়ন্তী অবাক হয়ে যায়। এরপর জানতে চায় তার কি হয়েছে। এবার সোহাগ জানায় প্রীতির বিয়ে হয়ে গেছে। আর সে তার সাথে কথা বলা বন্ধ করেছে। এটা শুনে প্রিয়ন্তীর বেশ হাসি পায় এবং তাকে সান্ত্বনা দিতে লাগে। এরপর ধীরে ধীরে সোহাগ প্রিয়ন্তীর প্রতি দুর্বল হয়ে যায়। সোহাগ প্রিয়ন্তীকে পটানোর চেষ্টা করে। বারবার প্রিয়ন্তীর কাজে সাহায্য করতে যায়। এমনকি প্রিয়ন্তীর পিছে ঘুরতে থাকে। এটা দেখে প্রিয়ন্তী বুঝতে পারে সোহাগের মনে প্রিয়ন্তীর জন্য অন্য রকমের অনুভূতি তৈরি হয়েছে। একদিন সন্ধ্যা বেলায় প্রিয়ন্তী ছাদে দাঁড়িয়েছিল। এরপর সোহাগ সেখানে যায় এবং প্রিয়ন্তীকে গান শোনায়। এরপর প্রিয়ন্তীকে বলে তার ভুল হয়েছে। তাকে ক্ষমা করে দিতে। প্রিয়ন্তী শেষ পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করে দেয়। এভাবেই নাটকটি শেষ হয়।
বাংলা নাটক দেখতে আমার ভালো লাগে। নাটকের গল্পের প্লট যখন আলাদা রকমের হয় তখন সেই নাটক দেখার প্রতি আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। এই নাটকটি বেশ কিছুদিন থেকেই দেখবো দেখবো করে আর দেখা হয়নি। নাটকের গল্পটি ভালো ছিল। আসলে বিয়ের আগে হয়তো অনেকেই সম্পর্কে জড়ায়। কিন্তু বিয়ের পর সবকিছু ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়। হয়তো কিছুটা সময় লাগে সবকিছু মানিয়ে নিতে। সোহাগ এবং প্রিয়ন্তীর এই মিষ্টি প্রেমের গল্পটিও ঠিক তেমনটাই ছিল। বিয়ের পর ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক ঠিক হয়েছিল।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
দারুন একটি নাটকের রিভউ করেছেন। তবে আমি কিন্তু অনেক রাগ করলাম। আপনি আমার ক্রাসের সব গুলো নাটক রিভিউ করে করে শেষ করে দিলেন। যাই হোক নাটকটি আমি দেখেছিলাম। দারুন লেগেছে। হাসতে হাসতে শেষ আমি। আর আজ আবার হাসলাম কিছুক্ষন। রিভিউ করেছেন দারুন।
এই নাটকটি আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে আপু। আপনার পছন্দের নায়ক বলেই উনার নাটক শেয়ার করেছি। যাতে করে আপনার ভালো লাগে।
বাংলাদেশের প্রতিটি নাটক আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তার মধ্যে আরফান নিশো, অপূর্ব মোশারফ করিম আখম হাসান এদের নাটক আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আপনার বিয়ে করার একটি করে খুবই ভালো লাগলো। খুব চমৎকারভাবে নাটকটা আপনি রিভিউ করেছেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাংলাদেশের প্রতিটি নাটক অনেক ভালো লাগে। আর বাংলাদেশের অভিনয় শিল্পীরা সব সময় দারুন অভিনয় করেন। ধন্যবাদ ভাইয়া মতামতের জন্য।
এই নাটকের কাহিনীটা কিন্তু আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আসলে বিয়ের আগে বেশিরভাগ মানুষ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে থাকে। তবে বিয়ে হওয়ার পরে আস্তে আস্তে সব কিছু ঠিক হয়ে যায় এবং বিয়ে করা মানুষটার সাথে ভালোভাবে সেটেল হওয়া লাগে। প্রীতি মাই লাভ নাটকটার রিভিউ এত সুন্দর করে লিখে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
এই নাটকের কাহিনী আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপু। ঠিক বলেছেন আপু বিয়ের সময় অনেকের হয়তো আপত্তি থাকে। কিন্তু ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিক হয়ে যায়।
প্রীতি মাই লাভ নাটকটির রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো এবং নাটকটির কাহিনীটা অনেক সুন্দর। এ ধরনের নাটক গুলো দেখতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। আগে প্রচুর নাটক দেখতাম কিন্তু এখন আর নাটক দেখা হয় না। তাই আপনাদের থেকে এসব নাটকের রিভিউ পড়তে খুব ভালো লাগে।
সময় পেলে আমি নাটক দেখার চেষ্টা করি আপু। একটা সময় খুবই নাটক দেখতাম। তবে এখন মাঝে মাঝে দেখার চেষ্টা করি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি চমৎকার একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। এই নাটকটি আমার এখনো দেখা হয়নি।তবে তাসনিয়া ফারিন দারুণ অভিনয় করে।যাইহোক সময় পেলে নাটকটি দেখে নিবো। খুব সুন্দর ভাবে নাটকটির রিভিউ শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমার শেয়ার করা নাটক রিভিউ আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। এই নাটকটি সত্যি দারুন ছিল। আপনি সময় পেলে দেখে নিবেন।
শিহাব শাহীনের নাটকগুলো আমার কাছে ভালোই লাগে। এ নাটকের গল্পটিও দারুণ ছিল। অপূর্বের বাসর রাতের ব্যাপারটা ভালো লাগছিল, হাহাহা! শেষ মেষ প্রিয়ন্তীকে হারালো, প্রীতিকে নিয়েই সংসার জীবন হলো
শিহাব শাহীনের নাটকগুলো আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। তাই তো মাঝে মাঝে সময় পেলে দেখার চেষ্টা করি। নাটকটি অনেক ভালো ছিল।
আমি ফারিনের কোন নাটক মিস করি না, তবে এ বছর ফারিন এতগুলো নাটক করেছে সবগুলো দেখা হয়ে উঠছে না। এই নাটকের নামটাও কিন্তু খুবই চমৎকার লেগেছে আমার কাছে দেখার চেষ্টা করব।
ফারিনের নাটক আমার কাছেও ভালো লাগে ভাইয়া। আমিও সময় পেলে নাটক দেখার চেষ্টা করি ভাইয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মতামতের জন্য।
শিহাব শাহীনের নাটকগুলো খুব সুন্দর হয়।অনেক দিন হয় তার নাটক চোখে পড়েনি। তাই দেখা হয়ে উঠেনি।আপনার নাটকের রিভিউটি পড়ে দেখার ইচ্ছে হলো।আশাকরি দেখে নেবো সময় করে।ধন্যবাদ আপু নাটকের রিভিউ পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।