নাটকের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই বাড়ির কেয়ারটেকার একই ফ্ল্যাট দুজনের কাছে ভাড়া দিয়েছে। এরপর ভাগ্যক্রমে দুজনে একসাথেই একই দিনে সেই ফ্ল্যাটে ওঠার জন্য জিনিসপত্র নিয়ে এসেছে। দুজনের মাঝে বেশ তর্ক শুরু হয়ে যায়। কারণ তারা দুজনেই এই ফ্ল্যাটটিতে থাকতে চায়। এভাবেই চলছিল তাদের ঝগড়া। এবার কেয়ারটেকার সবকিছু সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিল এবং সেই রাতটা সবাইকে একসাথে থাকার জন্য অনুরোধ করেছিল। অনেকটা বাধ্য হয়ে তারা সবাই একসাথে একই ফ্ল্যাটে রাত কাটানোর চেষ্টা করেছে। কেয়ারটেকার এবং তার ওয়াইফ দুজনে মিলে দুই পক্ষের কাছেই টাকা নেওয়ার চেষ্টা করে এবং বলে যে বেশি টাকা দিবে তার হয়ে সে কথা বলবে এবং অন্যজনকে এই ফ্ল্যাট থেকে বের করে দিবে। এভাবে দুজনকেই মিথ্যা বলে এবং তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়।

অন্যদিকে এই ফ্ল্যাটের মালিক কেয়ারটেকারকে ভালোভাবেই বলে দিয়েছিল যাতে করে কোন ব্যাচেলরকে সে ভাড়া না দেয়। এবার বেধে যায় আরও একটি বিপত্তি। সকালবেলায় কেয়ারটেকার দেখে তার বাড়ির মালিক বিদেশ থেকে চলে এসেছেন। তার বাড়ির মালিককে দেখে সে অবাক হয়ে যায় এবং কি করবে বুঝে উঠতে পারছিল না। এরপর কেয়ারটেকারের ওয়াইফ তাদের ভাড়াটিয়া অর্থাৎ আবির এবং নীলার কাছে যায় এবং তাদেরকে গিয়ে অনুরোধ করে তারা যেন বাড়ির মালিককে বলে তারা দুজন স্বামী-স্ত্রী। তারা এই প্রস্তাব মেনে নিচ্ছিল না। এরপর তাদের অনুরোধে এবং কেয়ারটেকারের চাকরি বাঁচানোর জন্য আবির এবং লীলা এই প্রস্তাবে রাজি হয় এবং মিথ্যে স্বামী-স্ত্রীর অভিনয় করতে থাকে।

বাড়ির মালিকের মনে যাতে সন্দেহ না হয় এর জন্য তারা মিথ্যে স্বামী-স্ত্রীর অভিনয় করে এবং বাড়ির মালিক দূর থেকে সেটা লক্ষ্য করে। অন্যদিকে সেই বাড়ির অন্য ফ্ল্যাটের একজন লোক আছেন যিনি এদেরকে সন্দেহ করেন যে তারা ব্যাচেলর। এই সন্দেহ অনুযায়ী সে বাড়ির মালিককে সব কিছু জানান। কিন্তু বাড়ির মালিক যখন দেখে আবির এবং নীল দুজনেই বেশ সুন্দরভাবে সংসার করছে তখন তিনি বুঝতে পারেন যে আসলে তারা হয়তো সত্যিই স্বামী স্ত্রী। এভাবেই কেটে যায় আরো কিছুটা দিন। আবির এবং নীলা দুজনে স্বামী-স্ত্রীর অভিনয় করতে থাকে। প্রথমে দুজনের মাঝে বেশ ঝগড়া হতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে দুজনের বেশ বন্ধুত্ব হয়ে যায়। অন্যদিকে আবির অন্য বাসা খুঁজছিল। এরপর হঠাৎ একদিন আবির নীলাকে জানায় সে নতুন বাসা পেয়ে গেছে এবং কালকেই চলে যাবে। এমন সময় নীলা মাথা ঘুরে পড়ে যায় এবং তার গায়ে প্রচন্ড জ্বর ছিল। আবির নীলার প্রতি বেশ যত্নশীল হয় এবং সারারাত জেগে নীলার সেবা করে এবং তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। আবিরের এই ব্যবহারে নীলা মুগ্ধ হয়ে যায়।

এবার দেখতে দেখতে নীলা কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে। এরপর আবির সেখান থেকে চলে যেতে চায়। এমন সময় নীলার বান্ধবী বাসা থেকে চলে আসে এবং বাড়িওয়ালার সাথে দেখা হয়ে যায়। সে জানায় সে এবং তার বান্ধবী সেখানে ভাড়া থাকে। এই কথা শুনে বাড়িওয়ালা ভীষণ রেগে যায় এবং নীলা ও আবিরকে ডেকে পাঠায়। তখন নীলা ও আবির স্বীকার করে নেয় যে তারা হাজবেন্ড ওয়াইফ নয়। কিন্তু কেয়ারটেকারের চাকরি বাঁচানোর জন্য তারা অভিনয় করেছে। এই কথা শুনে বাড়ির মালিক ভীষণ রেগে যায় এবং তাদেরকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলে। এরপর কেটে যায় আরো কিছু দিন। একদিন হঠাৎ করে নীলা দেখে আবির তার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। এরপর আবির বলে তার জন্য বাসা থেকে মেয়ে দেখা হচ্ছে। তখন নীলা তাকে বলে কেমন মেয়ে তার পছন্দ যদি বলেন তাহলে সেও খুঁজে দেবে। এরপর ইশারা ইঙ্গিতে আবির বোঝানোর চেষ্টা করে সে নীলাকে বিয়ে করতে চায়। আবিরের ইশারয় তাল মিলিয়ে নীলা বেশ উৎসাহ নিয়ে আবিরের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। এভাবেই সুন্দর একটি নাটকের সমাপ্তি ঘটে।