অসমাপ্ত ভালোবাসা||আমার বাংলা ব্লগ [10% shy-fox]
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে একটি ব্লগ তৈরি করতে যাচ্ছি। গল্প লিখতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই আজকে আমি নতুন একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আপনারা হয়তো গল্পের নাম দেখেই বুঝতে পারছেন একটি অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
অসমাপ্ত ভালোবাসা:
Source
ভালোবাসা কখনো সমাপ্ত হয় না। হয়তো প্রিয় মানুষটি পাশে থেকে সারা জীবন ভালোবেসে। আর নয়তো দূরে গিয়েও হৃদয়ের মাঝে ভালোবাসা তৈরি করে। ভালোবাসার মায়া বড়ই অদ্ভুত। প্রিয় মানুষটি হারিয়ে গেলেও ভালোবাসা হারিয়ে যায় না। হয়তো প্রিয় মানুষটি হারিয়ে যায় কিন্তু ভালোবাসা সেই আগের মতই থেকে যায়। রেহান ও রিদিতা ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। দুজনে একই সাথে পড়াশোনা করত। ভার্সিটিতেই তাদের প্রথম পরিচয়। এরপর বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। রিদিতা বড়লোকের আদরের মেয়ে ছিল। তাইতো রেহানকে তারা মেনে নেয়নি। রিদিতা রেহানের হাত ধরে নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিল। বাবা-মায়ের সুখ, ঐশ্বর্য, সম্পদ সবকিছু ছেড়ে রেহানের ভালোবাসা পেতে তার সাথে ঘর বেঁধেছিল। এভাবে কেটে যাচ্ছিল তাদের দিনগুলো। হয়তো বিলাসিতা ছিল না তাদের জীবনে কিন্তু ভালোবাসায় পরিপূর্ণ ছিল তাদের জীবন।
দেখতে দেখতে বেশ কয়েক মাস কেটে গেল তাদের সংসার জীবনের। যেই মেয়েটি কখনো কোন কাজ করেনি সুখ স্বাচ্ছন্দে বড় হয়েছে সেই মেয়েটি নিজের সংসার বেশ গুছিয়ে নিয়েছে। রেহানও ছোট্ট একটি চাকরি জুটিয়ে নিয়েছে। যেটা দিয়ে হয়তো বিলাসিতায় জীবন পার করা যায় না তবে সুখে স্বাচ্ছন্দে থাকা যায়। রিদিতা কেন জানি বেশি করে রেহানকে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছিল। মাঝে মাঝে যখন রেহান ঘুমিয়ে পড়তো রিদিতা তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত। কেন জানি রিদিতা দিনে দিনে বদলে যাচ্ছিল। ছোট বাচ্চাদের মত আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছিল রেহানকে। রিদিতা নিজের সংসারের কাজকর্ম শেষ করে রেহানের জন্য কিছু তৈরি করার চেষ্টা করত। যদিও সে খুব ভালো রান্না পারতো না। তবে রেহান তার রান্নার প্রশংসা করত। যাতে করে রিদিতা অনেক খুশি থাকে। একদিন বিদিতা রেহানকে বলল তুমি আসার সময় আমার জন্য কিছু উলের সুতা নিয়ে এসো আমি তোমার জন্য সোয়েটার করতে চাই। বাসায় তো সারাক্ষণ বসেই থাকি সময়টাও কেটে যাবে। রিদিতা মোবাইলে দেখে দেখে তার প্রিয় মানুষটির জন্য সোয়েটার বুনা শুরু করেছে। যখন রেহান অফিস থেকে আসে তখন প্রতিদিন দৌড়ে গিয়ে রেহানকে সেই সোয়েটারটি দেখায় আজ কতদূর করেছে। এভাবে চলছিল তাদের সুখের সংসার। মাঝে মাঝে মনে হয় আমাদের জীবনের সুখ গুলো ক্ষণিকের। আসলে ক্ষনিকের সুখগুলোর কাছে বাস্তবতার নির্মমতা এসে যখন সামনে দাঁড়ায় তখন সুখগুলো সব ফ্যাকাসে হয়ে যায়। তেমনি রেহান ও রিদিতার জীবনেও নেমে এসেছিল অন্ধকার ছায়া।
তাদের এই সুখের ঘরের মাঝে হঠাৎ নেমে এলো অন্ধকার। যেই অন্ধকার তাদের জীবনকে তছনছ করে দিল। হঠাৎ একদিন রেহান বাসায় এসে দেখল রিদিতা ফ্লোরে পড়ে আছে। রিদিতার এই অবস্থা দেখে রেহান খুবই ভয় পেয়ে গেল। সে সাথে সাথে একটি অ্যাম্বুলেন্স খবর দিয়ে রিদিতাকে হসপিটালে নিয়ে গেল। রিদিতার বিভিন্ন টেস্ট করার পর ডক্টর বললেন উনাকে হসপিটালে ভর্তি করতে হবে। আর রিপোর্ট পেলেই বুঝতে পারা যাবে কি হয়েছে। রিপোর্টের জন্য রেহান অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। সে শুধু প্রার্থনা করছিল রিদিতার যেন বড় ধরনের কিছু না হয়। কিন্তু তার আশঙ্কাই সত্যি হলো। রিদিতার ক্যান্সার ধরা পড়েছে। রিদিতার রিপোর্ট দেখে রেহান রিদিতার সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর সাহস পাচ্ছিল না। রিদিতার জ্ঞান ফিরেছে। অবশেষে রেহান নিজেকে বেশ সামলে নিয়ে রিদিতার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। বলল তোমার কিছু হয়নি। আমরা দু-একদিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরে যাব। রিদিতা বলল তুমি আমার পাশে থেকো আমি তোমাকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে চাই না। তোমাকে ছাড়া থাকতে আমার ভীষণ ভয় লাগে। রিদিতার কথাগুলো রেহানের অন্তরে গিয়ে লাগলো। নিজেকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করছে সে। ডক্টরের সাথে কথা বলে তার সুস্থতার চেষ্টা করছে। কিন্তু ডক্টর সব আশা ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ রিদিতার ক্যান্সার একেবারে লাস্ট স্টেজে চলে এসেছে। হয়তো হাতেগোনা কয়েক মাস সে এই পৃথিবীতে আছে।
রিদিতাকে হসপিটাল থেকে কয়েক দিনের মধ্যেই ছেড়ে দিয়েছে। রেহান আজকাল আর অফিস যেতে চায় না। রিদিতার পাশেই বসে থাকে। রিদিতা বারবার বলে তুমি অফিসে যাও আমি একাই থাকতে পারবো। মন না চাইলেও রেহান অবশেষে অফিসে যায়। অন্যদিকে রিদিতা আবারও নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তার প্রিয় রেহানের জন্য সোয়েটার বুনতে শুরু করে। এভাবে যতই দিন যাচ্ছিল রিদিতা কেমন জানি হয়ে যাচ্ছিল। এর মাঝে রেহান রিদিতার বাবার সাথে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু উনারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। রেহান পারছিলনা রিদিতাকে সবকিছু খুলে বলতে পারছিল না রিদিতার শেষ হয়ে যাওয়া মেনে নিতে। এভাবে যখন কিছু দিন কেটে গেল হঠাৎ একদিন সকালবেলায় রেহান উঠে দেখল রিদিতা কেমন জানি হয়ে আছে। রিদিতাকে দেখে রেহান কেঁদে উঠলো। এরপর ডক্টর আসলো। ডক্টরের এসে দেখলো রিদিতা আর এই পৃথিবীতে নেই। রিদিতার এই চলে যাওয়া রেহান কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না। সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। এভাবেই কেটে গেল বেশ কিছুদিন। হঠাৎ একদিন রেহান রিদিতার ডায়েরী খুলে দেখলো সেখানে লেখা ছিল রেহান আমি সবকিছুই বুঝতে পারছি। হয়তো তুমি আমাকে কিছুই বলতে পারছ না। কিন্তু আমি এই পৃথিবীতে হয়তো অল্প দিনের অতিথি। তাইতো আমি আমার অসমাপ্ত ভালোবাসা সমাপ্ত করে যেতে পারলাম না। আমার তৈরি অসমাপ্ত সেই সোয়েটার আমার ভালবাসার স্মৃতি হিসেবে তোমাকে দিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। তবে বিধাতা আমাকে সেই সময় দিলেন না। রিদিতার লেখাগুলো পড়ে রেহান চিৎকার করে কেঁদে উঠলো। রেহান বারবার বলতে লাগলো ভালোবাসা কখনো অসমাপ্ত হয় না। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন ভালোবাসা বেঁচে থাকবে। আর সেই সাথে তুমি বেঁচে থাকবে আমার অন্তরে।
গল্প লিখতে আমার ভালো লাগে বলেই মাঝে মাঝেই লেখার চেষ্টা করি। জানিনা আমার লেখা গল্প গুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগে। তবে গল্প লিখে আপনাদের কাছে শেয়ার করতে আমার খুবই ভালো লাগে।
আমি কেমন যেন গল্পটার মাঝে হারিয়ে যাচ্ছিলাম। সত্যি বলতে কিছুক্ষণের জন্য নিজেকে রেহান ভেবে নিয়েছিলাম, আর মিষ্টি প্রেমের অনুভূতিটা উপলব্ধি করতে চাইছিলাম। ভালোই লাগছিলো, কিন্তু শেষের দিকটায় এসে থমকে গেলাম। রিদিতার এই পরিণতি সত্যিই আশা করিনি কিন্তু দূর্ঘটনা ঘটেই গেলো। তবে রিদিতার পিতা-মাতা হয়তো এগিয়ে আসতে পারতো। রিহানের জন্য ভীষণ খারাপ লাগলো।
আপনার গল্প লিখার হাত সত্যিই খুব ভালো আপু। এগিয়ে যান।
সত্যি ভাইয়া রেহানের মত অনেকেই আছে যারা নিজের প্রিয় মানুষটিকে পেয়েও হারিয়ে ফেলে। হয়তো কিছু কিছু ভালোবাসা অসমাপ্তই থেকে যায়। ভাইয়া আমি চেষ্টা করছি নিজের মতো করে লেখার জন্য। আপনাদের উৎসাহ আমাকে আরো নতুনভাবে লিখতে সাহায্য করে।
আপু আপনার গল্পের নায়িকা রিদিতার মতো আমি কখনো রান্নাঘরের চৌকাট পেরো নি। এমনকি বাসার কোন কাজও করতাম না। ভালই লাগছিল রিদিতার সংসারটি দেখে। কিন্তু একটা কথা আপনি রিদিতাকে কেন মারলেন? শুধু রিদিতারাই মারা যাবে?
প্রিয় মানুষটিকে পাওয়ার আনন্দে মেয়েরা সবকিছুই করতে শিখে যায় আপু। হয়তো না বলা কথাগুলো কখনো বলা হয় না। তবে ভালোবাসার মানুষটির সাথে ঘর বাধতে গেলে একটু তো কষ্ট করতেই হয়। আসলে রিদিতারাই সব সময় মরে। হয়তো কখনো প্রাণে মরে না হয়তো সবার চোখে মরে যায়।
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। গল্পটি পড়ে পুরো শরীর যেন শিউরে উঠেছে। আসলে ভালোবাসা কখনো অসমাপ্ত হয় না। যখন প্রিয় মানুষটি হাত ছেড়ে চলে যায় তখনই সে ভালোবাসার সমাপ্ত ঘটে। যাহোক রুহানা রিধিতার সুখের সংসার হঠাৎ এভাবে ভেঙ্গে যাওয়াতে খুবই খারাপ লাগলো। এখন এতদিন বেঁচে থাকবে সে অসমাপ্ত সুয়েটার দিকে তাকিয়েই বেঁচে থাকবে রিদিতার শেষ স্মৃতি হিসেবে আগলে রাখবে।
সত্যি আপু ভালোবাসা কখনো অসমাপ্ত হয় না। প্রিয় মানুষটির চলে যাওয়া ভালোবাসাকে আরো বাড়িয়ে তোলে। দুজনের সুখের সংসার ভেঙে গেলে সত্যিই অনেক খারাপ লাগে। হয়তো সেই অসমাপ্ত সোয়েটারের দিকে তাকিয়ে রেহান পুরনো স্মৃতিগুলো মনে করবে।
আপু গল্পটি ছোট ছিল কিন্তু এর মাঝেই সুখ দুঃখ দুটোর অনুভূতিই খুব ভালভাবে পেলাম।যখন তাদের সংসার ভাল যাচ্ছিল তখন আমার আনন্দ হচ্ছিল,আবার যখন রিদিতার ক্যান্সার ধরা পড়ল তখন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল।দারুন হয়েছে আপু গল্পটি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্পের জন্য।
কিছু কিছু গল্প আছে যেগুলো খুবই ছোট। কিন্তু অনুভূতিতে ভরা। হয়তো সুখ-দুঃখের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করার জন্য খুব বড় গল্পের প্রয়োজন পড়ে না। তাইতো ছোট কথায় নিজের অনুভূতি দিয়ে এই সুন্দর গল্পটি লিখেছি ভাইয়া। যাই হোক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহ পাই ভাইয়া।
সত্যিই তাই। ভালোবাসা কখনোই সমাপ্ত হয় না। হওয়া সম্ভবও না। অনুভূতিগুলো খুব সহজ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ভালো হয়েছে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ভালোবাসা কখনো সমাপ্ত হয় না। হয়তো প্রিয় মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসা বেঁচে থাকে আজীবন। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার তৈরি করা অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্পটি গুলো অনেক ভালো লাগলো আপু। তবে গল্পটির মধ্যে রিদিকার ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে ব্যাপারটি দেখে অনেক খারাপ লাগলো। তাছাড়া গল্পটি অনেক সুন্দর ছিল আপনার।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আমার লেখা গল্পটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। আসলে কিছু কিছু গল্প আছে যেগুলোর মাঝে দুঃখ এসে ভিড় করে। হয়তো রিদিতা তার প্রিয় মানুষটিকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে গেছে। কিন্তু তার স্মৃতি গুলো রয়ে গেছে।
আপু গল্পটা ছোট কিন্তু এই ছোট জীবনে রিদিতা ও রেহান সুখ ও দুঃখ মিলে ভালোই চলছিল তাদের জীবন। হঠাৎ তাদের জীবনে এভাবে ঝড় নেমে আসবে হয়তো বা তারা কখনো অনুভব করতে পারেনি।রিদিতার চলে যাওয়া রেহান কেনো যে কেউ মেনে নেওয়া অনেক কষ্টের। তারপরেও প্রকৃতির নিয়ম মেনে তো নিতেই হবে। রেহান ঠিক বলেছেন ভালোবাসা কখনো অসমাপ্ত হয়। যতদিন বেঁচে থাকবো ভালোবাসা বেঁচে থাকবে অন্তরে।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে আমাদের জীবনে সুখ দুঃখ লেগেই আছে। তবে হঠাৎ করে জীবনে নেমে আসা ঝড় সামলানো বড় মুশকিল। রিদিতার এভাবে চলে যাওয়া সত্যি হয়তো মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম মেনে নিতেই হয়। আসলে ভালোবাসা কখনোই সমাপ্ত হয় না সারা জীবন থেকে যায়।
গল্পটি বেশ দারুন লিখেছেন আপু, গল্পটি ছোট ছিল কিন্তু এর মাঝেই সুখ দুঃখ দুটোর অনুভূতিই খুব ভালভাবে উপভোগ করতে পারলাম। যখন তাদের সংসার ভাল যাচ্ছিল তখন আমার খুবই আনন্দ হচ্ছিল,আবার যখন রিদিতার ক্যান্সার ধরা পড়ল তখন খুবই দুঃখিত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত চমৎকার একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার লেখা গল্পটি আপনি উপভোগ করেছেন জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। আসলে জীবনের বাস্তবতার কাছে আমরা সবাই অসহায়। হয়তো জীবনের একটি প্রতিচ্ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কতটুকু পেরেছি জানিনা তবে সুন্দর মন্তব্য করেছেন এজন্য অনেক উৎসাহ পেয়েছি।
অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্পটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তাদের ভালোবাসার সংসারে এরকম পরিণতি আশা করিনি। গল্পের শেষের দিকে পড়ে আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে। কিন্তু রিদিতার মা বাবা এগিয়ে আসলে তার কাছে ভালো লাগতো। আর ভালোবাসা কখনো অসমাপ্ত হয় না। যতদিন মানুষ বেঁচে থাকে তার ভালোবাসা ও বেঁচে থাকে। এত সুন্দর একটি গল্প লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্পটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। গল্প হয়তো আমাদের জীবন থেকেই নেওয়া। জীবনের বাস্তবতার কাছে আমরা মাঝে মাঝে হার মেনে যাই। হয়তো এভাবেই রিদিতার মত মানুষরা হারিয়ে যায়। অনেকে পরিবার পরিজন ছেড়ে এসে প্রিয় মানুষটির সাথে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু ভাগ্য তাদের আলাদা করে দেয়।