তবুও ফিরে এসো||আমার বাংলা ব্লগ [10% shy-fox]

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার


আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে একটি ব্লগ তৈরি করতে যাচ্ছি। গল্প লিখতে আমার খুবই ভালো লাগে। যারা আমার লিখা গল্প পড়েন তাদের সুন্দর মন্তব্য গুলো আমাকে উৎসাহ যোগায় নতুন করে গল্প লিখতে। তাইতো আজকে আমি নতুন একটি গল্প লিখে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।


তবুও ফিরে এসো:

heart-g2668e09c9_1920.jpg

Source


সোহান ও সুরভীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছে। সোহান ও সুরভীর বাবা একে অপরের বন্ধু ছিলেন। সুরভীর বাবা যখন মারা যান তখন সোহানের বাবার হতে সুরভীকে তুলে দিয়ে যান। তারা দুজন ছোটবেলার বন্ধু ছিলেন। তাইতো তাদের বন্ধুত্বের গভীরতা অনেক বেশি ছিল। সুরভীর মা সুরভীকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা গিয়েছেন। তাই বাবা মারা যাওয়ার পর সুরভী একা হয়ে পড়ে। বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য এবং নিজের দায়িত্ব পালনের জন্য সোহানের বাবা সিদ্ধান্ত নেন সুরভীর সাথে সোহানের বিয়ে দিবেন। সোহান যখন জানতে পারে তার সাথে সুরভীর বিয়ে ঠিক করা হয়েছে তখন সোহান জানায় সে কোনভাবেই সুরভীরকে বিয়ে করতে পারবেনা। সোহান রাজি হচ্ছিল না বিয়ে করতে।


অবশেষে বাবার কথা চিন্তা করে সোহান সুরভীকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায়। সুরভী দেখতে শুনতে কোন দিক থেকেই কম ছিল না। কিন্তু সোহান সুরভীকে কেন জানি মেনে নিতে পারছিল না। সোহানের জীবনে এসে তার যোগ্য সম্মান পায়নি সুরভী। এই অবহেলা সোহানের বাবা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। তিনি নিজেকে অপরাধী মনে করছিলেন। তার নিজের ছেলেকে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সোহান কিছুতেই তার বাবার কথা শুনছিল না। দিনে দিনে সুরভীর সাথে আরও বেশি খারাপ ব্যবহার করতে লাগলো। সুরভীরকে মেনে না নেওয়ার সোহানের একটাই কারণ ছিল সেটা হলো সোহান অন্য একজনকে ভালোবাসতো। কিন্তু তার বাবাকে বলতে পারেনি। বাধ্য হয়ে সুরভীকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিল। সময় যত যেতে লাগলো সোহান ধীরে ধীরে বদলে যেতে লাগলো। সুরভীর প্রতি সোহানের দুর্বলতা যেন বেড়েই গেল। সে ধীরে ধীরে সুরভীকে ভালোবাসতে শুরু করল। আজকাল সুরভীকে সোহানের ভালই লাগে। রাগ, অভিমান, ঘৃণা সবকিছুই যেন ভালোবাসায় বদলে যেতে লাগলো। অন্যদিকে সুরভীও বিষয়টি বেশ ভালোভাবেই লক্ষ্য করল। এভাবেই চলছিল তাদের নতুন সংসার।


দিন যত যাচ্ছিল তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক আরো মধুর হচ্ছিল। এভাবে যখন ধীরে ধীরে তাদের মিষ্টি প্রেমের একটি সম্পর্ক তৈরি হলো তখন তাদের জীবনে নেমে এলো এক অন্ধকার। সেই অন্ধকারের কালো ছায়া তাদের সুন্দর এই সংসার এলোমেলো করে দিল। সোহান তার এক বন্ধুর সাথে বসে গল্প করছিল আর বলছিল বাবার কথা রাখতেই বিয়েটা করেছি। কিন্তু তাকে ভালোবাসতে পারিনি। হয়তো কোনদিন ভালোবাসতে পারবো কিনা জানিনা। কারন আমার মনের জায়গা জুড়ে আমার প্রিয় মানুষটি এখনো আছে। এই কথাগুলো জানার পর সুরভী নিজেকে সামলাতে পারছিল না। পারছেনা সোহানকে কিছু বলতে। পারছিল না নিজেকে সামলাতে। সুরভী ভাবছিল হয়তো তার জন্যই সোহান তার প্রিয় মানুষটিকে পাবেনা। হয়তো সারা জীবন সোহানের মনের মাঝে সেই মেয়েটির জায়গা রয়ে যাবে। হয়তো সারা জীবন সে অপূর্ণতায় নিজের জীবন কাটিয়ে দিবে। সারারাত অনেক ভাবার পর খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে সুরভী সোহানের বাসা থেকে চলে গেল। সোহানের ভালোবাসার অপূর্ণতা সুরভী মেনে নিতে পারছিল না। তাইতো সে তাদের জীবন থেকে দূরে চলে গেল।


সোহান যখন সুরভীকে খুঁজে পাচ্ছিল না তখন সে একেবারে ভেঙে পড়ল। সোহান সুরভীর চলে যাওয়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছিল না। এরপর যখন সোহান সুরভীর লেখা ডায়েরি দেখতে পেল। ডায়েরির শেষ পাতায় যে কথাটি লিখেছিল সেটা পড়ে সোহান আরো বেশি ভেঙে পড়ল। সুরভী তার ডায়েরির শেষ পাতায় লিখেছিল আমি একাই এই পৃথিবীতে বাঁচতে চাই। কিন্তু প্রিয় মানুষটির ভালোবাসাকে অপূর্ণ রাখতে চাই না। আমার ভিতরে যে আছে তাকে আমি শুধুই আমার করেই রাখতে চাই। সোহানের বুঝতে বাকি রইল না সুরভী মা হতে চলেছে। কিন্তু সুরভীর এভাবে চলে যাওয়া সোহান কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না। এভাবে কেটে যাচ্ছিল দিনগুলো। সোহান শহরের আনাচে-কানাচে সুরভীকে খুঁজেছে। কিন্তু কোথাও খুঁজে পায়নি। অন্যদিকে একাকীত্ব ও অজানা অপরাধবোধে সোহান ভালো থাকতে পারছিল না। সুরভীকে হারিয়ে সোহান একাকিত্বে দিন পার করছিল। সোহান পাগলের মত রাস্তার এপাশ ওপাশ বেড়াতে লাগলো তার স্ত্রী সন্তানকে একটিবার কাছে পাওয়ার জন্য। এভাবেই কেটে গেল পাঁচটি বছর।


সোহান আর আগের মত নেই। আজ সে রাস্তার ভবঘুরে পাগল। সোহানের বাবা আরও বছর দুয়েক আগেই মারা গেছেন। সুরভীকে খুঁজতে গিয়ে সোহানের রোড এক্সিডেন্ট হয়েছিল। রোড এক্সিডেন্ট এর পর সোহান নিজের স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে। কাউকে আর চিনতে পারছেনা সে। হঠাৎ একদিন সুরভী যখন তার ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে স্কুলের দিকে হেঁটে যাচ্ছিল তখন হঠাৎ করেই সোহানকে দেখতে পায়। সোহানকে দেখে সুরভী কান্নায় ভেঙে পড়ে। সোহানের এই অবস্থা দেখার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। এরপর যখন সে সোহানের কাছে গিয়ে দাঁড়ায় তখন সোহান সুরভীর দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু কিছুই বলতে পারছিল না। সুরভী নিজেকে আর সামলে রাখতে পারছিল না। এবার সে সোহানকে নিয়ে সোহানদের বাড়িতে যায়। সেখানে যাওয়ার পর সবকিছু জানতে পারে।


আসলে সুরভী বুঝতে পারছিল না সোহানের জীবনে এতটা এলোমেলো হয়ে গেল কি করে। সে তো সোহানকে ভালোবেসে মুক্তি দিয়ে চলে গিয়েছিল। সোহানের ভালবাসার মানুষটিকে সোহানের জীবনে আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই নিজের অনাগত সন্তানকে নিয়ে দূরে চলে গিয়েছিল। তাহলে কেন সোহান আজ পথের পাগল। এই কথাগুলো ভাবতে ভাবতে সুরভীর বেশ কান্না পাচ্ছিল। অবশেষে সুরভী জানতে পারে সুরভী চলে যাওয়ার পর সোহান বুঝতে পেরেছিল সে সুরভীকে সত্যিকারের ভালোবাসা। ওই মেয়েটির সাথে সোহানের বিয়ে হয়নি। সুরভী তার ভুল বুঝতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। তার জীবন থেকে পাঁচটি বছর হারিয়ে গেছে। সেই সাথে তার স্বামী আজ নিজের স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। সবকিছু মেনে নিতে সুরভীর কষ্ট হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে সোহানের জন্য। মানুষটি তাকে ভালোবেসে পথের পাগল হয়ে গেছে। সুরভী চেষ্টা করছে সোহানকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে। সুরভী যখন সোহানের ঘরে প্রবেশ করে তখন দেখতে পায় দেয়ালের চারপাশে লেখা তবুও ফিরে এসো। হয়তো সোহান সুরভীর প্রতীক্ষায় বসেছিল। কিন্তু সুরভী আসেনি। সোহান সুরভীকে আজ চিনতে পারছে না। তবুও সুরভী সোহানকে ফিরে পেতে চায়। আবার সোহানের সেই জীবন ফিরিয়ে দিতে চায়। সুরভী ফিরে পেতে চায় তার ভালোবাসার মানুষটিকে।


কিছু কিছু সম্পর্ক হয়তো অবহেলায় হারিয়ে যায়। আবার কিছু কিছু সম্পর্ক ভুল বুঝাবুঝির তাড়নায় বিলীন হয়ে যায়। হয়তো এভাবেই সোহান ও সুরভীর মত মিষ্টি প্রেমের একটি সম্পর্ক হারিয়ে যায়। আমার লেখা গল্পটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে জানিনা তবে আমি চেষ্টা করেছি নিজের মতো করে এই গল্পটি লেখার জন্য।


❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️

Sort:  
 2 years ago 

তবুও ফিরে এসো গল্পটি পড়ে প্রথমের দিকে যদিও ভালো লাগলো। তবে শেষের দিকে এসে সোহানের পাগল হওয়ার কথা শুনে একটু রাখাপ লাগলো। সত্যিই ভালোবাসা গুলো অদ্ভুত এক এক জনের ভালোবাসা একেক রকম। সুরভী ফিরে পেতে চায় তার ভালোবাসার মানুষটিকে জেনে খুশি হলাম। সুরভী আর সোহানের জন্য শুভ কামনা রইলো।

 2 years ago 

আমার লেখা এই গল্পটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে বুঝতেই পারছি। আসলে কিছু কিছু ভালোবাসা আছে বড়ই অদ্ভুত। যখন প্রিয় মানুষটি দূরে চলে যায় তখন ভালোবাসা বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আসলে আপু, কিছু কিছু সময় মানুষ হারিয়ে যাওয়ার পর তার গুরুত্ব বোঝা যায়। এমনটাই সোহানের ক্ষেত্রে হয়েছে। আর ভালোবাসাটা বেড়ে যাওয়ার আরেকটা কারণ হচ্ছে যখন সে জানতে পেরেছে সে বাবা হতে যাচ্ছে। কোনো মেয়েই হয়তো এটা মেনে নিতে পারবে না যে তার ভালোবাসার মানুষেরও অন্য আরেকজন ভালোবাসার মানুষ আছে। তাই সুরভী সোহানকে ছেড়ে চলে যায়। তবে শেষ দিকটা সত্যিই খুব খারাপ লেগেছে। গল্পটা দারুন লিখেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

সত্যি আপু কিছু কিছু মানুষ আছে যারা কাছের মানুষের গুরুত্ব বোঝেনা। যখন হারিয়ে যায় তখন তার গুরুত্ব বুঝতে পারে। সোহানের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। যখন সুরভী তার জীবন থেকে চলে গেছে তখন সে সুরভীর মূল্য বুঝতে পেরেছে। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আপনার গল্পটি আসলে অনেক সুন্দর ছিল। আসলে যে কেউ যখন আমাদেরকে কেউ ভালোবেসে কাছে থাকতে চাই। তখন সেটা আমাদের পছন্দ হয় না। আর যখন সে চলে যায় তখন বুঝতে পারে যে কি ভুলটাই করেছিলাম। আপনার গল্পটি জাস্ট অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ‌।

 2 years ago 

সত্যি ভাইয়া সত্যিকারের ভালোবাসাগুলো অনেকে বুঝতে পারে না। কিন্তু যখন সে চলে যায় তখন সে ভালোবাসার মূল্য বুঝতে পারে। আমার লেখা গল্পটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।

 2 years ago 

আমার লিখা গল্প পড়েন তাদের সুন্দর মন্তব্য গুলো আমাকে উৎসাহ যোগায় নতুন করে গল্প লিখতে।

অনেক রকম অনুপ্রেরণার মধ্যে একটি হল সুন্দর মন্তব্য করা বা কোন কাজের প্রশংসা করা আসলে নিজের করা কোন কাজ যদি অন্যের কাছে ভালো লাগে এবং তার কাছ থেকে খুব সুন্দর একটি মতামত পাওয়া যায় তখন নিজের কাছেও এটি ভালো লাগে।

কিছু কিছু সম্পর্ক হয়তো অবহেলায় হারিয়ে যায়। আবার কিছু কিছু সম্পর্ক ভুল বুঝাবুঝির তাড়নায় বিলীন হয়ে যায়।

আজকের এই গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। গল্পটি এত সুন্দর করে লিখেছেন যা পড়তে পড়তে যেন নিজের চোখের সামনে সব কিছুই দেখতে পাচ্ছি। এই কথাটা একদমই ঠিক।কিছু কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে অনেক ভালোবাসা বা অনেক গভীর সম্পর্কগুলো ভেঙে যায় এবং একদম নিঃশেষ হয়ে যায়। খুব ভালো লাগলো আপু, খুব সুন্দর গল্প লিখেছেন।

 2 years ago 

সত্যিই আপু কিছু কিছু সম্পর্ক অবহেলায় হারিয়ে যায়। হয়তো কিছু কিছু ভুল বুঝাবুঝি সম্পর্কের মাঝে দূরত্ব তৈরি করে। আপু আপনি আমার লেখা গল্পটি পড়েছেন এবং সুন্দর করে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 2 years ago 

আমি বই পড়তে খুব ভালবাসি। যদিও এখন তেমন সময় পাইনা। বই পড়লে আমি সেই বই এর ভেতর এতটাই ডুবে যাই, তা বলে বোঝাতে পারব না। এই গল্পটিতেও ডুবে গিয়েছিলাম।অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার লেখা গল্পটি।সত্যি ই বলেছেন,ভুল বোঝাবুঝির কারনে অনেক সম্পর্ক ই নষ্ট হয়ে যায়। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্য।

 2 years ago 

আপু আপনি বই পড়তে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে যখন কোন পাঠক গল্পের মাঝে ডুবে যায় তখন লেখনি স্বার্থক হয়। আমার লেখা গল্পটি পড়ে আপনি গল্পের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলেন বুঝতে পারছি। আসলে ভুল বোঝাবুঝি একটি সুন্দর সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

সুরভী মনে করেছিল সে চলে গেলে সোহান তার ভালোবাসার মানুষকে ফিরে পাবে। কিন্তু সে চলে যাওয়ার পর সোহান বুঝিতে পারে সুরভী তার সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ। সত্যি প্রকৃত ভালোবাসা এরকমই হয়ে থাকে। সোহান যেন আবার আগের মত সুস্থ হয়ে যায় সেই দোয়া করি। যখন আপন জন কাছে থাকে তখন তার মর্ম বোঝা খুবই কঠিন হয়ে থাকে। কিন্তু যখন সেই দূরে চলে যায় তখন তার মর্ম সে বুঝে। যেমন সুরভী আর সোহানের ভালোবাসা। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই গল্পটি লিখেছেন। আমার কাছে গল্প পড়তে ভীষণ ভালো লাগে।

 2 years ago 

সোহানকে ভালোবেসে সুরভী তার জীবন থেকে দূরে চলে গিয়েছিল। কারণ সে ভেবেছিল হয়তো সোহান তার ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে সুখে থাকবে। কিন্তু সেটা আর হলো না। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

আসলে ঠিকই বলেছেন, কিছু কিছু সম্পর্ক হয়তো অবহেলায় হারিয়ে যায়। যখন সুরভী সোহানের সাথে ছিল প্রথম প্রথম সোহান তাকে সহ্য করত না। কিন্তু যখন তাকে একটু একটু করে আপন করে নিলো তখন সুরভী ভুল বুঝে ওকে ছেড়ে চলে গেল। পুরো সম্পর্কটা ভুলে ভুলে শেষ হয়ে গেল। এখন কেউ কাউকেই আর আগের মত ফিরে পেল না। তবে শোভানোর জন্য ভীষণ কষ্ট লাগলো।

 2 years ago 

সত্যি আপু কিছু কিছু সম্পর্ক অবহেলায় হারিয়ে যায়। হয়তো ভালোবাসার মূল্য তারা দিতে জানে না। কিন্তু যখন সেই মানুষটি হারিয়ে যায় তখন সেই ভালোবাসা ফিরে পেতে তাকে খুঁজে বেড়ায়। আসলে শেষটা হয়তো সবসময়ই সুন্দর হয় না। তাইতো সোহানের জীবনেও দুঃখ নেমে এসেছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 68014.74
ETH 3533.72
USDT 1.00
SBD 2.81