নাটক রিভিউ-প্রেম এসেছিলো একবার|
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। নাটক দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাই মাঝে মাঝে নাটক রিভিউ শেয়ার করার চেষ্টা করি। আজকে আমি একটি দারুন নাটক রিভিউ সবার মাঝে উপস্থাপন করবো। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
নাম | প্রেম এসেছিলো একবার |
---|---|
প্রযোজক | শেখ শাহেদ আলী পাপ্পু |
পরিচালনা | রুবেল হাসান |
সম্পাদনা | আগুন শুভ |
রচনা | মেজবাহ উদ্দিন সুমন |
অভিনয়ে | রোহান, তটিনী এবং আরো অনেকে |
দৈর্ঘ্য | এক ঘন্টা এক মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ৮ মে ২০২৪ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- রোহান(রামিম)
- তটিনী(নীলিমা)
নাটকের শুরুতেই দেখতে পাই রামিম একটি মেয়ের মিষ্টি ভয়েজে কবিতা আবৃতি শুনছে। মেয়েটির কথাগুলো রামিমের ভালোই লাগে। যদিও ব্যক্তিগতভাবে রামিম মেয়েটিকে চেনে না। তবে তার লেখাগুলো দেখে রামিমের বেশ ভালো লেগেছে। এরই মাঝে হঠাৎ করে রামিমের অফিসের বস জানান এখনই একটি ফিমেল কন্ঠের ভয়েস দরকার এবং কয়েক লাইন লিখে পাঠিয়ে দেন। তখন রামিম ভেবে পাচ্ছিল না এত রাতে কিভাবে এই কাজটি করবে। এরপর অনেকক্ষণ চিন্তা করার পর সেই মেয়েটি অর্থাৎ নীলিমার কথা মনে পড়ে রামিমের। রামিম নীলিমার সাথে যোগাযোগ করে। নীলিমাকে অনুরোধ করে যাতে করে নীলিমা কাজটি করে দেয়। এরপর নীলিমা নিজের মিষ্টি কন্ঠে ভয়েসটি পাঠায়। অন্যদিকে নীলিমার ভয়েস ক্লায়েন্টের অনেক পছন্দ হয়। আর ক্লায়েন্ট খুশি হয়ে যায়। এরপর পরের দিন অফিসে যাওয়ার পর রামিমকে কিছু টাকা পেমেন্ট করা হয় সেই ভয়েসের জন্য।
রামিম এবার নীলিমার সাথে যোগাযোগ করে আর বলে তার কাজের জন্য কিছু টাকা পেমেন্ট করতে চায়। তখন নীলিমা প্রথমে ভেবেছিল হয়তো এমনিতেই বলছে। এরপর রামিম বলে আপনি আপনার বিকাশ নাম্বার দিন আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি। তখন নীলিমা বলে নাম্বার নেওয়ার টেকনিক নাকি। তখন রামিম বলে যেকোন দোকানে গিয়ে নাম্বার দিলেও হবে। এরপর নীলিমা বিকাশ নাম্বার দেয়। এরপর রামিম নীলিমার সাথে দেখা করতে চায়। নীলিমা রাজি হয়ে যায়। এবার দুজনের দেখা হয়। প্রথম দেখাতেই নীলিমাকে বেশ ভালো লেগেছিলো রামিমের। আর দুজনে অনেক সময় কাটানোর চেষ্টা করেছে। এভাবে কেটে যায় কিছুটা সময়। এরপর হঠাৎ করে নীলিমা রামিমকে ফোন করে জানায় সেই মুহূর্তে তার বিশ হাজার টাকার প্রয়োজন। নীলিমা ১৫ দিন পর তাকে টাকাটা শোধ করে দিবে। রামিম বুঝতে পারছিলোনা কি করবে। অফিসের সবাই টাকা দিতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু রামিম নীলিমার অনুরোধ ফেলতে পারেনি। এরপর নীলিমাকে টাকা পাঠিয়ে দেয়। নীলিমাকে টাকা পাঠানোর পর থেকে নীলিমার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারছিল না।
রামিম কিছুক্ষণ পরপর নীলিমাকে ফোন করে যাচ্ছিল। কিন্তু নীলিমার ফোন বন্ধ আসছিল। আর কোনভাবেই নীলিমার সাথে যোগাযোগ করার উপায় খুঁজে পাচ্ছিলোনা। ভীষণ মেজাজ খারাপ হয়েছিল। এর মাঝে তার অফিস কলিগরা তাকে বিদ্রুপ করতে থাকে। কারণ নীলিমাকে টাকা ধার দিতে সবাই নিষেধ করেছিল। তারা এটাও বলেছিল যে এখন অনেক ফ্রট মেয়ে আছে যারা কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর যোগাযোগ রাখে না। রামিমের তো ভীষণ মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। এমন সময় রামিম দেখে নীলিমার ফোনটা ওপেন আছে। তখন আবারো ফোন করে এবং নীলিমা ফোন রিসিভ করে। তখন রামিম যা ইচ্ছে তাই অনেক গালিগালাজ করে। নীলিমা কান্না কান্না গলায় বলে আমি আপনার টাকাটা ফেরত দিবো। তবে আমার কাছে সম্পূর্ণ টাকা নেই। অল্প কিছু টাকা আছে। রামিম বিকেল বেলায় দেখা করার জন্য রাজি হয়ে যায় এরপর বিকেল বেলায় দেখা করে ১০ হাজার টাকা ফেরত দেয়। এরপর রামিম তার ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেয়। এবার রামিম যখন তার অফিস কলিগদের সাথে রেস্টুরেন্টে খেতে যায় তখন দেখে নীলিমা সেখানে ওয়েটারের কাজ করছে। এটা দেখে রামিমের ভিশন খারাপ লাগে। এরপর তার কাছে জানতে চায় আসলে তার কি হয়েছে।
তখন নীলিমা তার দুঃখের কথা রামিমকে জানায়। বলে তার বাবা টাকা ধার নিয়ে বিদেশে চলে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছে। আর পাওনাদারদের টাকা শোধ করার জন্য নীলিমা অনেক কষ্ট করছে। নীলিমার কথা শুনে রামিমের ভীষণ খারাপ লাগে। আর গালিগালাজ করার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেয়। এরপর তাদের দুজনের সম্পর্ক আবারও ঠিক হয়ে যায়। তারা অনেক সুন্দর সময় কাটানোর চেষ্টা করে। এর পরের দিন রামিম নীলিমাকে বলে তার মা বাসায় নেই। তাই সে যেন এসে রান্না করে খাওয়ায়। তখন নীলিমা রামিমের জন্য তার পছন্দের খাবারগুলো রান্না করে নিয়ে আসে। এমন সময় রামিমের মা বাসায় ফিরে আসেন। তখন তাদের দুজনের পরিচয় হয় আর উনি নীলিমাকে বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করেন। এরপর থেকেই মাঝে মাঝে রামিম আর নীলিমা নিজেদের মতো করে সময় কাটায়। আর দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলে।
এরপর হঠাৎ একদিন রামিম যখন নীলিমাকে ফোন করে তখন দেখে নীলিমা ফোন রিসিভ করছে না। অনেক সময় পর নীলিমার ফোনটা রিসিভ করে অন্য একটি ছেলে। ছেলেটি নাম সায়েদ। সায়েদ জানায় সে নীলিমার হাজবেন্ড। এই কথা শুনে রামিম অবাক হয়ে যায়। পরদিন নীলিমার সাথে দেখা করে। নীলিমার সাথে দেখা করার পর নীলিমা বলে এর আগে নীলিমা তাকে অনেক মিথ্যা কথা বলেছে। আসলে সে সায়েদের সাথে পালিয়ে এসেছিল। আর বিয়ের কিছুদিন পর জানতে পারে।সায়েদ ভালো ছেলে নয়। সে নীলিমার অনেক ভিডিও আর ছবি নিজের কাছে রেখে নীলিমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে। তাই তো নীলিমা সায়েদকে কিছু না বলে পালিয়ে এসেছে। আর সায়েদ মাঝে মাঝে এসে নীলিমার কাছে টাকা চায়। এসব কথা বলে নীলিমা কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। তখন রামিম তাকে সান্তনা দেয় এবং বলে আমি তোমার পাশে আছি। আমি সবকিছু সামলে নেব। এরপর রামিম নীলিমার হাজবেন্ডের সাথে দেখা করে। এবার সমস্যার সমাধান করার জন্য নীলিমার হাজব্যান্ড রামিমের কাছে ২০ লাখ টাকা চায়। রামিম বুঝতে পারছিল না কিভাবে এতগুলো টাকা ম্যানেজ করবে। এরপর তার মা, অফিস কলিগ থেকে শুরু করে সবাই রামিমকে সাহায্য করে। এবার সে বিশ লাখ টাকা নিয়ে নীলিমার হাজবেন্ডের কাছে যায় এবং সেখানে যাওয়ার পর তাদের হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে নীলিমার হাজবেন্ড রামিম ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
রামিমকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর রামিম প্রাণে বেঁচে যায়। কিন্তু তখন থেকে নীলিমাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। রামিম বারবার নীলিমাকে খোঁজার চেষ্টা করে। এরপর কেটে একটি বছর। এরপর একদিন সকালবেলায় রামিম অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিল তখন থানা থেকে ফোন আসে। রামিম সেখানে যাওয়ার পর পুলিশ অফিসার বলে তারা ফ্রড দম্পতিদের এরেস্ট করেছে। এরপর একটি দম্পতিকে রামিমের সামনে আনা হয়। রামিম জানায় সে এদেরকে চেনে না। এরপর আরও দুজনকে সামনে আনা হয়। রামিম তো তাদের দিকে তাকিয়ে নিজেই অবাক হয়ে যায়। কারণ এই ফ্রড দম্পতি হলো নীলিমা এবং নীলিমার হাজবেন্ড। নীলিমাকে দেখে রামিমের চোখ ছল ছল করে ওঠে। এরপর পুলিশের কাছে বলে আমি এদেরকে চিনি না। এটা বলে রামিম সেখান থেকে চলে আসে। বাহিরে আসার পর নীলিমা রামিমকে পেছন থেকে ডাকে। আর বলে তুমি কেন সত্যি কথা বললেনা। তখন রামিম বলে আমি সত্যি ভালোবেসে ছিলাম। তাই সত্যিটা বললাম না। রামিমের দুচোখে পানি চলে আসে। আর সে কান্না করতে শুরু করে। চলে যাওয়ার সময় নীলিমাকে অনুরোধ করে যদি পারো এভাবে কারো মন নিয়ে খেলা করো না। আর আমার জীবনে প্রেম একবারই এসেছিল। হয়তো আর কখনো আসবেনা। এসব বলে রামিম সেখান থেকে চলে যায়। এখানেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
নাটকটি দেখে কি বলবো ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। আসলে প্রতারণা যে কত রকমের হয় সেটা তারাই বোঝে যারা প্রতারণার শিকার হয়েছে। একজন মানুষকে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে তার সর্বোচ্চ লুটে নেওয়াটা যেমন জঘন্য কাজ তেমনি একজন মানুষের ভালোবাসা নিয়ে খেলা করাটা আরো বেশি জঘন্য কাজ। হয়তো রামিম নীলিমাকে সত্যি সত্যি ভালোবেসে ছিল। কিন্তু নীলিমা রামিমের ভালোবাসা নিয়ে খেলা করেছে। আর তার মন ভেঙে দিয়েছে। হয়তো রামিমের জীবনে আর সত্যিকারের ভালোবাসা কখনোই আসবেনা। কিংবা কাউকে ভালোবাসতে পারবে না। কারণ তার জীবনে ভালোবাসা এসেছিল প্রতারণা হয়ে। হয়তো সারা জীবন রামিম নীলিমাকে ভালোবেসেই যাবে।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
রোহান, তটিনী এদের জুটিটা ভালই লাগে দেখতে। এই নাটকটা দেখতে দেখব দেখব করে আর দেখা হয়নি। কয়েকটা শর্ট ক্লিপ্স দেখেছিলাম। সেটা দেখেই কিছুটা বুঝেছিলাম নাটকের গল্পটা। রামিমের সাথে মূলত প্রতারণা করা হয়েছে। আপনার রিভিউটা পড়ে সম্পূর্ণটা বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রিভিউ দেওয়ার জন্য।
রোহান ও তটিনী জুটি আমারও খুবই ভালো লাগে। এই নাটকটি দারুন ছিল। রামিমের সাথে প্রতারনা করেছিল নীলিমা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
একটা মানুষ যদি একবার প্রতারণা শিকার হয়, তাহলে তখন সে মানুষটা সেই প্রতারণা আর কখনো ভুলতে পারে না। আসলে মানুষ ভালোবাসার পরেই প্রতারণার শিকার হয়ে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। রামিম তো নীলিমাকে সত্যিকারের ভালোবেসেছিল। কিন্তু নীলিমা তো দেখছি রামিমের সাথে অনেক বড় প্রতারণা করেছে। রোহান এবং তটিনীর জুটিটা আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি তাদের অনেক নাটক দেখেছি। আজকে অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়তে পেরে ভালো লাগতেছে। সময় পেলে নাটকটাও দেখবো।
ঠিক বলেছেন আপু প্রতারণার শিকার হলে তাকে কখনো ভোলা যায় না। আর যদি ভালোবেসে প্রতারিত হয় তাহলে সারা জীবন কষ্ট পায়।
আসলে ভালোবাসা নিয়ে খেলা করা আমার মনে হয়, মোটেও কোন ভালো কাজ নয়।আর আসলে কোন মানুষ ভালোবাসার মধ্যে একবার প্রতারিত হলে আর দ্বিতীয় বার কারো প্রেমে পড়তে চায় না। এরকম ঘটনা বর্তমান সমাজের মধ্যে এখন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এভাবে অনেক ছেলে মেয়েরা আত্নহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ভালোবাসা নিয়ে খেলা করা মোটেও উচিত নয়। আর যার সাথে খেলা করে সে অনেক বেশি কষ্ট পায়।
অনেকদিন নাটকটা দেখবো ভাবছিলাম। আজ এর কিছুটা অংশ দেখেছি। আর কিছুটা অংশ দেখে বুঝতে পেরেছি যে,তটীনি রোহানের ভালোবাসার সুযোগ নিয়ে ঠকিয়েছে। এদের দুজনের অভিনয় আমার ভালো লাগে জুটি হিসেবে এদের মানিয়েছে ভালো। আসলে বাস্তবতাকেই নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরে। আমাদের দেশে কত এরকম প্রতারনার স্বীকার হচ্ছে। এই নাটকটির রিভিউ খুবি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন আপু। যা আমি পারিনা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
জি আপু এখানে তটিনী রোহানকে ঠকিয়েছে। ভালোবাসার মিথ্যে অভিনয় করেছে। সময় পেলে নাটকটি দেখতে পারেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি অনেক সুন্দর একটি নাটকের কিছু করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এমন সুন্দর চেয়ে মনে হচ্ছে মূলক নাটক গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বেশি অসাধারণ হয়েছে আপনার নাটক রিভিউটা। চমৎকার ভাবে রিভিউ করেছেন।
নাটক দেখতে আপনার ভালো লাগে জেনে ভালো লাগল। সময় পেলে আমি আমার পছন্দের নাটক রিভিউ শেয়ার করার চেষ্টা করি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
প্রেম এসেছিলো একবার নাটকটি দেখা হয়েছে। নাটকটি প্রথম থেকে দেখতে বেশ ভালো লাগে। তবে শেষের দিকে গিয়ে ততটা ভালো লাগেনি। রোহান এবং তোটিনি বেশ সুন্দর অভিনয় করে যাচ্ছেন। আপনার রিভিউ দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
জি ভাইয়া এই নাটকটি প্রথমে ভালো লেগেছিল। শেষের দিকে এসে বুঝতে পারলাম আসলে সবটাই প্রতারণা ছিল।
বাস্তবেও নীলিমার মতো এমন অনেক মেয়ে রয়েছে যারা ভালোবাসাকে এভাবে কলঙ্কিত করে। তারা এটা চিন্তা করে না যেই মানুষটিকে ভালোবাসার মিথ্যে জালে জড়িয়ে এমন করছে যখন সে জানতে পারবে তার সব ভালোবাসা মিথ্যে ছিল তখন কি হতে পারে। যাই হোক আপু আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। যদিও এই নাটক এখনও দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। তটিনীর নাটক দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু নীলিমার মত অনেক মেয়ে আছে যারা ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে একজন মানুষকে নিঃস্ব করে দেয়। মিথ্যে দিয়ে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করে।
আপনি বেশ চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।রোহানের নাটক গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে আমার। তবে রোহানের সাথে তটিনীকে দেখতে আরো বেশি ভালো লাগে। যাইহোক আপনি খুবই সুন্দর ভাবে নাটকটির রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন। নাটকটি কিছু দিন আগে দেখলাম। খুবই সুন্দর একটি নাটক।ধন্যবাদ আপু নাটকটির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রোহান এবং তটিনী আমারও খুবই পছন্দের অভিনয় শিল্পী। তাইতো এই শিল্পীদের নাটকগুলো দেখার চেষ্টা করি। আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে।
দুর্দান্ত একটি নাটকের রিভিউ করেছেন আপু। বেশ গুছিয়ে নাটকের গল্পটি লিখেছেন আপু। যদিও নাটকটি দেখা হয়নি তবে আপনার গল্পটি পড়ে ভালই লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য
এই নাটকটি সত্যি দারুন ছিল। আপনি সময় পেলে নাটকটি দেখতে পারেন। আশা করছি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এই নাটকটার সম্পূর্ণ রিভিউ পড়ে যেমন ভালো লেগেছে, তেমনি নাটকটার শেষের কাহিনী টা দেখে অনেক বেশি খারাপ লাগলো। নায়কের সাথে নায়িকাই শেষ পর্যন্ত বেইমানি করেছে, এটা অনেক খারাপ লেগেছে। আসলে প্রতারণা বিষয়টা একটা মানুষকে অনেক বেশি কষ্ট দেয়। বিশেষ করে ভালোবাসার মানুষের ক্ষেত্রে কষ্টটা সবথেকে বেশি হয়ে থাকে। এই নাটকটা এত সুন্দর যে নাটকটার পুরো কাহিনী আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে রিভিউর মাধ্যমে পড়ে। ধন্যবাদ সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য।