জেনারেল রাইটিং-ডেঙ্গুর ভয়াবহতা||

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার


আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে আমি বর্তমান সময়ের একটি ভয়াবহ রোগ নিয়ে আলোচনা করতে চলে এসেছি। ডেঙ্গুর প্রকোপ বর্তমানে এতটাই বেড়ে গেছে যে সবাই আতঙ্কের মধ্যে দিনপার করছে। তাই তো আজকে আমি ডেঙ্গুর ভয়াবহতা নিয়ে কিছু কথা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে চলে এসেছি। আশা করছি আমার এই পোস্ট করে সবার ভালো লাগবে।


ডেঙ্গুর ভয়াবহতা:

hospital-gd4a6fc83b_1280.jpg

Source


বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বর এক আতঙ্কের নাম। এই সময় ঘরে ঘরে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জ্বর সর্দি শুরু হলেই সবাই অনেকটা ভয়ে দিন পার করছে। বিশেষ করে ডেঙ্গু জ্বর মানুষকে আরও বেশি আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বর্তমানে হসপিটালগুলোতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েই চলেছে। সময়ের সাথে সাথে ডেঙ্গু জ্বর ভয়ানক রূপ ধারণ করছে। এই সময় আমরা যদি সচেতন ভাবে চলাফেরা না করি তাহলে আমরাও আমাদের প্রিয়জনকে হারাতে পারি। খবরের কাগজ কিংবা টিভিতে যেসব নিউজ দেখাচ্ছে সেসব নিউজ দেখলে আতঙ্কে পড়ে যাই আমরা। কত মানুষ তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে। সেই সব বাবা মায়ের আর্তন দেখলে হৃদয়ের মাঝে কেঁপে উঠে।


এইতো কয়েকদিন আগের কথা আমার এক পরিচিত রিলেটিভের বাচ্চাটাকে দেখলাম কত সুন্দর খেলাধুলা করছে। কয়েকদিনের জ্বরে সেই ছোট্ট বাচ্চাটির অবস্থা নাজেহাল। এরপর হঠাৎ করে জানতে পারলাম ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। বাচ্চাটিকে নিয়ে তারা এক হসপিটাল থেকে অন্য হসপিটালে দৌড়াদৌড়ি করছে। কিন্তু যেখানেই তারা যাচ্ছে কোন সঠিক সেবা পাচ্ছে না। এভাবে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে কখন যে বাচ্চাটির জীবনের শেষ মুহূর্ত চলে এসেছে তার বাবা মা বুঝতেই পারেনি। চোখের সামনে শেষ হয়ে গেল একটি ফুটফুটে শিশু। হয়তো বাবা মায়ের কিছু করার ছিল না। তারা হারিয়ে ফেলল তাদের আপন মানুষ। ছোট্ট শিশুটির বাবা-মায়ের সেই কষ্টের হাহাকার চারপাশের আকাশ বাতাস ভারী করে তুলেছে। হয়তো তারা চেষ্টা করেছিল তাদের সন্তানকে আগলে রাখার জন্য। তাই আমাদেরকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। যাতে করে আর কোন শিশু ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত না হয়


বিভিন্ন খবরের চ্যানেলে যখন ডেঙ্গু রোগের ভয়াবহতার কথা তুলে ধরা হয় তখন হৃদয় মাঝে অচেনা ভয় তৈরি হয়। মনে হয় এই বুঝি আমাদের কোন প্রিয় মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই বুঝি আমরাও হারিয়ে ফেলছি তাদেরকে। অচেনা সেই আতঙ্ক আর ভয়ের মাঝে দিনপার করছি আমরা সবাই। তবে আমরা যদি আগে থেকেই সচেতন হই তাহলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। আমাদের বাসার চারপাশের খোলা জায়গাগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ছোট ছোট বোতল থেকে শুরু করে ফুলের টপ বা যে কোন জায়গায় জামা পানি দেখলেই নিজ দায়িত্বে সেই পানিগুলো ফেলে দিতে হবে। আসলে আমরা যদি দায়িত্ব না নেই তাহলে আমাদের পরিবার ভালো থাকবে না। আর আমাদের পরিবার ভালো না থাকলে আমরাও ভালো থাকতে পারবো না।


বিশেষ করে রাস্তার পাশ দিয়ে গড়ে ওঠা ড্রেনগুলো যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকে তাহলে ডেঙ্গু রোগের জীবাণু তৈরি হয়। এছাড়া পঁচা নোংরা পানিতেই বাসা বাঁধে বিভিন্ন রোগের জীবাণু। আর আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব নিজেরাই পালন করি তাহলে হয়তো আমরা সবাই ভালো থাকতে পারবো। এমনকি আমাদের চারপাশের মানুষগুলো ভালো থাকতে পারবে। তখন প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভয়াবহ সব মৃত্যুর খবর দেখতে হবে না। দেখতে হবে না কোন বাবা মায়ের হাহাকার। দেখতে হবে না কোন অসহায় বাবা মায়ের আহাজানি। আর দেখতে হবে না প্রিয়জন হারানোর কষ্ট। সেই করুন দৃশ্য গুলো দেখে সত্যিই হৃদয় কেঁদে ওঠে। আর সেই দৃশ্যগুলো আমরা দেখতে চাই না। আমরা চাই না কারো আপন মানুষ হারিয়ে যাক। কিংবা অসুস্থ হয়ে কষ্ট পাক।


ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহতা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধ করার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমরা যদি পদক্ষেপ গ্রহণ না করি তাহলে কোন এক সময় আমরাই আমাদের প্রিয়জনকে হারিয়ে চিৎকার করে কাঁদবো। কিন্তু তখন আর কোনো কিছু শুধরানোর সময় থাকবে না। তাই তো সময় থাকতে যদি আমরা সচেতন হই এবং সবকিছু নিজ দায়িত্বে করার চেষ্টা করি তাহলে আমরা যেমন ভালো থাকবো তেমনি আমাদের পরিবার সুরক্ষিত থাকবে। নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে হলেও আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। তাহলে হয়তো আর কোন মায়ের বুক খালি হবে না। হয়তো আমাদের সচেতনতায় একজন মানুষ তার পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবে। কিংবা নিজের পরিবারকে ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে। এর জন্য আমাদের সবাইকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে এবং ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর এজন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো সচেতনতা।


❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️

Sort:  
 last year 

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এর থেকে বাঁচতে হলে সচেতনতাই সবচেয়ে বেশি জরুর। ঢাকা শহরের অসংখ্য হাসপাতালগুলোতে এখন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের সবাইকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন এর লক্ষণ দেখে হাসপাতালে চলে যাওয়া প্রয়োজন।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু ডেঙ্গুর ভয়াবহতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সচেতনতা অনেক বেশি জরুরী। সচেতনতাই আমাদেরকে ভালো রাখবে এবং আমাদের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখবে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

 last year 

ডেঙ্গু একটি মারাত্মক ব্যাধি। তবে এখান থেকে ভয় পাওয়ার কিছু নাই ম্যাডাম। শুধু একটু সচেতনতা অবলম্বন করলেই চলে।

আমাদের প্রিয়জনরা যেন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত না হয় তাদেরকে সেই বিষয়ে সচেতনতা এবং পরামর্শ দেওয়া জরুরী। আতঙ্ক না হয়ে সচেতনতা অবলম্বন করাটাই বেটার

 last year 

বর্তমান পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু নিয়ে সবাই ভয় পাচ্ছে। আসলে সময়ের সাথে সাথে ডেঙ্গু অনেক ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। তাইতো প্রিয়জনদের হারানোর ভয় সবার মনেই তৈরি হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আসলে ডেঙ্গু একটি মারাত্মক ব্যাধি। দিন দিন ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছে। আমাদের সবাইকে খুব সচেতন হতে হবে। এবং কেউ অসুস্থ হলে তাকে ভালো চিকিৎসা পেয়ে কাছে গিয়ে সেবা নেওয়া খুবই জরুরী। আমরা আতঙ্ক না হয়ে সতর্কতা হওয়ায় আমাদের জন্য বেশি জরুরী। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু ডেঙ্গু একটি মারাত্মক রোগ। আর সময়ের সাথে সাথে এই রোগের ভয়াবহতা বেড়ে চলেছে। সতর্কতা আমাদের খুবই কাজে লাগবে। সবাইকে সতর্ক হতে হবে।

 last year 

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে সময় উপযোগী একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ডেঙ্গুর ভয়াবহতা।কয়েক সপ্তাহ ধরে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেড়েই চলছে। কিছুদিন আগে এই সমস্যাতে আমিও পড়েছিলাম। আসলে আমরা এখন সবাই সচেতন নাগরিক বাড়ির আশেপাশে রাখতে হবে।তাহলে ইনশাল্লাহ ডেঙ্গু থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারবো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ভাইয়া আমি চেষ্টা করেছি সময়োপযোগী একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আসলে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা দেখে সত্যি অনেক খারাপ লেগেছে। তাই তো এই সমস্যাগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

পত্রিকা খুললেই দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ছোট ছোট শিশু থেকে শুরু করে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। এগুলো দেখে আসলেই মনের মধ্যে ভয় কাজ করে। ছোট ছোট শিশুরা পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছে। এতে করে একটি পরিবারের উপর দিয়ে যে কেমন একটা ঝড় বয়ে যায়, যাদের সাথে ঘটে একমাত্র তারাই বুঝতে পারে সেটা। এমতাবস্থায় সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া কোনো উপায় নেই। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া পত্রিকা খুললেই দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত শিশুরা বেশি মারা যাচ্ছে। এই দৃশ্যগুলো দেখে অনেক খারাপ লাগে। যাই হোক ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 67163.45
ETH 2666.94
USDT 1.00
SBD 2.70